ঢাকা ৭ চৈত্র ১৪৩১, শুক্রবার, ২১ মার্চ ২০২৫
English
শুক্রবার, ২১ মার্চ ২০২৫, ৭ চৈত্র ১৪৩১

চট্টগ্রামে যৌথবাহিনীর কাজে বাধা ও এসিড নিক্ষেপ মামলায় চিকিৎসকের রিমান্ড

প্রকাশ: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৪:৩৪ পিএম
আপডেট: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৪:৩৪ পিএম
চট্টগ্রামে যৌথবাহিনীর কাজে বাধা ও এসিড নিক্ষেপ মামলায় চিকিৎসকের রিমান্ড
চিকিৎসক কথক দাশ। ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রামের কোতোয়ালী থানার হাজারী গলিতে যৌথবাহিনীর কাজে বাধা ও এসিড নিক্ষেপের ঘটনায় গ্রেপ্তার চিকিৎসক কথক দাশের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কাজী শরীফুল ইসলামের আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম মহানগর আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট মো. রায়হানুল ওয়াজেদ চৌধুরী।

তিনি জানান, হাজারী গলিতে যৌথবাহিনীর কাজে বাধা ও এসিড নিক্ষেপের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় তদন্ত কর্মকর্তা আসামি কথক দাশের ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন। তবে শুনানি শেষে আদালত তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

আদালত সূত্রে জানা যায়, গত বছরের ৫ নভেম্বর মো. ওসমান নামে হাজারী গলির এক ব্যবসায়ী ফেসবুকে ইসকনের বর্তমান কার্যক্রম নিয়ে সমালোচনা করেন। এরপর ওই পোস্টকে কেন্দ্র করে ৫০০ থেকে ৬০০ জন ইসকন সমর্থক ও সনাতন ধর্মাবলম্বী তার দোকানে হামলা চালায়।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে যৌথবাহিনী ঘটনাস্থলে গেলে বিক্ষুব্ধ লোকজন তাদের ওপর আক্রমণ চালায়। হামলাকারীরা যৌথবাহিনীর সদস্যদের লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ও এসিড ছোড়ে। এ ঘটনায় সেনাবাহিনীর পাঁচ সদস্যসহ ১২ জন আহত হন।

এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে ৪৯ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৫০০-৬০০ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করে।

এদিকে গত ৫ ফেব্রুয়ারি লন্ডনগামী ফ্লাইটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ইমিগ্রেশন পুলিশ কথক দাশকে আটক করে। পরে তাকে বিমানবন্দর থানায় হস্তান্তর করা হয় এবং সেখান থেকে কোতোয়ালী থানার পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

এর আগে, ৬ ফেব্রুয়ারি জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় তার দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছিল আদালত।

মনির/তাওফিক/

মনিটরিং কমিটি ফর সাবঅর্ডিনেট কোর্টস

প্রকাশ: ২১ মার্চ ২০২৫, ১২:১৫ এএম
মনিটরিং কমিটি ফর সাবঅর্ডিনেট কোর্টস
ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি দেশের ৮টি বিভাগের জন্য হাইকোর্ট বিভাগের একজন বিচারপতিকে প্রধান করে পৃথক ৮টি Monitoring Committee for Subordinate Courts পুনর্গঠন করেন। বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট, হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি মো. জাহাঙ্গীর হোসেনকে ঢাকা-১ বিভাগের দায়িত্ব প্রদান করা হয়। গত ১১/১২/২০২৪ তারিখের ৩৪/২০২৪ জে নং এক বিজ্ঞপ্তিতে এ বিষয়টি জানানো হয়।

Monitoring Committee for Subordinate Courts-এর ঢাকা-১ বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিচারপতি মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) ঢাকা জেলার জেলা ও দায়রা জজ আদালত, ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতসহ অন্যান্য আদালত মনিটরিং/পরিদর্শন করেন এবং দিক নির্দেশনামূলক বক্তব্য দেন।

বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত চলে এবং সব বিচারকে নিয়ে বিকাল সাড়ে ৩টায় শহিদ জগন্নাথ-সোহেল স্মৃতি  মিলনায়তনে সব বিচারকদের উপস্থিতিতে সমাপনী বক্তব্যের মধ্য দিয়ে শেষ হয়।

এতে উপস্থিত ছিলেন- ঢাকার জেলা ও দায়রা জজ মো. হেলাল উদ্দিন,মহানগর দায়রা জজ মো. জাকির হোসেন গালিব, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নূরে আলম ভূইয়া, চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমানসহ অন্যান্য বিচারকরা।

এসময় বিচারপতির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন ঢাকা আইনজীবী সমিতির সভাপতি খোরশেদ মিয়া আলম, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ নজরুল ইসলাম ও  ঢাকা জেলার পাবলিক প্রসিকিউটর ইকবাল হোসেন।

আমু ও তার পরিবারের সদস্যের বিরুদ্ধে দুদকের ৩ মামলা

প্রকাশ: ২০ মার্চ ২০২৫, ০৯:৪৭ পিএম
আপডেট: ২০ মার্চ ২০২৫, ১০:০৬ পিএম
আমু ও তার পরিবারের সদস্যের বিরুদ্ধে দুদকের ৩ মামলা
আমির হোসেন আমু

অবৈধ উপায়ে প্রায় ৩৯ কোটি টাকার সম্পদ অর্জন ও ৪৫টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে অন্তত ১৪২ কোটি টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের অভিযোগে সাবেক শিল্পমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আমির হোসেন আমু এবং তার পরিবারের তিন সদস্যের বিরুদ্ধে তিনটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। 

বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১-এ পৃথকভাবে মামলাগুলো করা হয়। অপর দুই মামলায় আসামি হলেন আমির হোসেন আমুর মেয়ে সুমাইয়া হোসেন ও শ্যালিকা সৈয়দা হক মেরী। দুদকের মুখপাত্র ও মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) আক্তার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

আমির হোসেন আমুর বিরুদ্ধে করা মামলায় বলা হয়েছে, তিনি ক্ষমতার অপব্যবহার ও ঘুষ-দুর্নীতির মাধ্যমে ২৬ কোটি ২৭ লাখ ৮১ হাজার ৪৬১ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন। এ ছাড়া তার নিজের ১৪টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ৩১ কোটি ৪৭ লাখ ৯২ হাজার ৭০৮ টাকার সন্দেহজনক লেনদেন করা হয়েছে। তিনি এসব অর্থ-সম্পদ গোপনে স্থানান্তর, রূপান্তর ও হস্তান্তর করেছেন, যা দুদকের আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
 
আমুর মেয়ে সুমাইয়া হোসেনের বিরুদ্ধে করা মামলায় বলা হয়, তিনি তার বাবার সহযোগিতায় ক্ষমতার অপব্যবহার করে ঘুষ-দুর্নীতির মাধ্যমে ৪ কোটি ৪৩ লাখ ৫২ হাজার ৮১ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন। তার নিজের ১৮টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ৪৮ কোটি ৪৯ লাখ ৫৯ হাজার ৬৪২ টাকা সন্দেহজনক লেনদেন করা হয়েছে। এই অর্থ-সম্পদ গোপনে স্থানান্তর, রূপান্তর ও হস্তান্তর করেছেন। এ মামলায় আমির হোসেন আমুকেও আসামি করা হয়েছে।
 
এদিকে আমির হোসেন আমুর শ্যালিকা সৈয়দা হক মেরীও ৭ কোটি ৬৬ লাখ ৯১ হাজার ৬৭০ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন উল্লেখ করে আরেকটি মামলা করা হয়েছে। তার নিজের ১৩টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ৬২ কোটি ৬৮ লাখ ৪১৭ টাকা সন্দেহজনক লেনদেন করা হয়েছে। মেরী তার ভগ্নিপতি আমির হোসেন আমুর সহযোগিতায় এই অর্থ-সম্পদের মালিক হয়েছেন। এসব অর্থ-সম্পদ গোপনে স্থানান্তর, রূপান্তর ও হস্তান্তর করা হয়েছে। ফলে এ মামলাতেও আমির হোসেন আমুকে সহযোগী আসামি করা হয়েছে।

মাহফুজ/

হাসিনা-জয়সহ ২০১ জনের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টার মামলা

প্রকাশ: ২০ মার্চ ২০২৫, ০৮:৪৫ পিএম
হাসিনা-জয়সহ ২০১ জনের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টার মামলা
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়

সরকারি আলিয়া মাদ্রাসার শিক্ষার্থী সাইফুদ্দিন মোহাম্মদ এমদাদ হত্যাচেষ্টার অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়সহ ২০১ জনের বিরুদ্ধে নালিশি (সিআর) মামলার আবেদন করা হয়েছে।

মামলার অন্য আসামির তালিকায় সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, শেখ রেহানা, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, ওবায়দুল কাদের, সালমান এফ রহমান, আসাদুজ্জামান খান কামাল, শেখ ফজলে নূর তাপস, সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ, মনিরুল ইসলাম, শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, মসিউর রহমান, ড. গওহর রিজভী, ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী, হারুন অর রশিদ, বিপ্লব কুমার সরকার, নাঈমুল ইসলাম খান, নঈম নিজাম, শ্যামল দত্ত, সুভাষ সিংহ রায়ের নাম রয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বাদী হয়ে মামলাটি করেন ফ্যাসিস্ট উৎখাত আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির প্রধান সমন্বয়ক ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার কমিশন বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের সভাপতি এম এ হাশেম রাজু। 

শুনানি শেষে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মনিরুল ইসলাম বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করেন। একই সঙ্গে এ ঘটনার বিষয়ে শাহবাগ থানায় কোনো নিয়মিত মামলা চলমান আছে কি না, তা জানতে চেয়ে আগামী সাত দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) নির্দেশ দেন।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় গত ৪ আগস্ট বেলা সাড়ে ১১টায় স্বৈরাচার শেখ হাসিনার বিদায়ের লক্ষ্যে সর্বাত্মক অসহযোগ আন্দোলন এক দফায় রূপ নেয়। এক দফা বাস্তবায়নের দাবিতে মামলার বাদীর নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার থেকে মামলার ঘটনাস্থল পরীবাগ হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের সামনের মোড়ে এসে পৌঁছালে ওত পেতে থাকা মামলার আসামি ছাত্রলীগ, যুবলীগ, আওয়ামী লীগের বিভিন্ন স্তরের নেতা-কর্মীরা ফ্যাসিস্ট হাসিনার সহযোগী পুলিশসহকারে ভিকটিম ও তার সঙ্গীদের অবরোধ করেন। আসামিরা বাদী এবং ভিকটিমসহ অন্য ছাত্র-জনতাকে হত্যার উদ্দেশ্যে গুলিবর্ষণ করেন। তারা তাদের লক্ষ্য করে হাতবোমা, পেট্রলবোমা ও ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটান। মিছিল ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশের কাঁদানে গ্যাস, পিপার স্প্রে ও ছররা গুলিতে  মামলার ২ নং সাক্ষী এবং ভিকটিমের ডান চোখ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তার ডান চোখের ভেতরে ছররা গুলি ঢোকে। ভিকটিম আহত চোখ নিয়ে রাস্তায় লুটিয়ে পড়লে অজ্ঞাতনামা ছাত্রলীগ, যুবলীগ এবং পুলিশ সদস্যরা তাকে বেদম মারধর করে। গুলি ও মারধরের দৃশ্য কাছ থেকে প্রত্যক্ষ করেন মামলার বাদী। তিনি আহত ভিকটিমকে উদ্ধার করে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তির জন্য যোগাযোগ করলে তাকে ভর্তি করাতে অপারগতা প্রকাশ করেন। ভিকটিম চিকিৎসাবঞ্চিত হয়ে ডান চোখের দৃষ্টিশক্তি হারান। অবস্থার আরও অবনতি ঘটলে বাদীর সহযোগিতায় তাকে গোপনে চট্টগ্রাম নিয়ে যান। পরবর্তী সময়ে হাসিনার পতনের সংবাদ জানতে পেরে ৫ আগস্ট তিনি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন। বাদী শাহবাগ থানায় মামলা করতে গেলে থানা কর্তৃপক্ষ তাকে আদালতে মামলা করার পরামর্শ দেয়।

পুতুলের বিরুদ্ধে দুদকের ২ মামলা

প্রকাশ: ২০ মার্চ ২০২৫, ০৮:২৫ পিএম
পুতুলের বিরুদ্ধে দুদকের ২ মামলা
এইচডব্লিউও’র দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক সায়মা ওয়াজেদ পুতুল। ছবি: সংগৃহীত

ক্ষমতার অপব্যবহার, প্রতারণা, জালিয়াতি ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মেয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (এইচডব্লিউও) দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের বিরুদ্ধে দুটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১-এ মামলা দুটি করেন সংস্থাটির উপপরিচালক তাহাসিন মুনাবীল হক।

পুতুলের বিরুদ্ধে করা একটি মামলায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক পদে নিয়োগ পাওয়ার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) শিক্ষকতার ভুয়া যোগ্যতা দেখিয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার, প্রতারণা ও জাল-জালিয়াতি করেছেন বলে অভিযোগ আনা হয়। অন্য মামলায় সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের প্রতিষ্ঠিত সূচনা ফাউন্ডেশনের নামে বাংলাদেশের বিভিন্ন ব্যাংক থেকে থেকে ৩৩ কোটি টাকা তুলে নিয়ে আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে। এ মামলায় বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকস ও এক্সিম ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদারকেও আসামি করা হয়েছে।

অর্থ আত্মসাতের এজাহারে বলা হয়, অটিজম ও স্নায়ু বিকাশজনিত সমস্যাবিষয়ক জাতীয় উপদেষ্টা কমিটির চেয়ারপারসন ও সূচনা ফাউন্ডেশনের সাবেক চেয়ারপারসন সায়মা ওয়াজেদ হোসেন ওরফে সায়মা ওয়াজেদ এবং বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকস ও এক্সিম ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদার যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার এবং অবৈধ প্রভাব খাটিয়ে বাংলাদেশের বিভিন্ন ব্যাংকের সিএসআর খাত থেকে সূচনা ফাউন্ডেশনের নামে ৩৩ কোটি ৫ লাখ টাকা তুলে নিয়ে আত্মসাৎ করেন, যা দুদকের তফসিলভুক্ত ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারা ও দণ্ডবিধির ১০৯ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

অন্য মামলায় বলা হয়, সায়মা ওয়াজেদ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার জন্য ২০২৩ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থায় দাখিল করা জীবনবৃত্তান্তে বিএসএমএমইউতে শিক্ষকতা/শিক্ষা ম্যানুয়েল তৈরি বা রিভিউ সম্পর্কিত কার্যক্রমে অংশ না নিয়েও নিজেকে বিএসএমএমইউর কাজের সঙ্গে সংযুক্ত থাকার মিথ্যা দাবি করে ক্ষমতার অপব্যবহার, প্রতারণা ও জালিয়াতি করেছেন, যা দুদক আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ। 

চট্টগ্রামে স্কুলছাত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ, ৪ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

প্রকাশ: ২০ মার্চ ২০২৫, ০৪:১৩ পিএম
চট্টগ্রামে স্কুলছাত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ, ৪ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
চট্টগ্রাম আদালত ভবন। ছবি: খবরের কাগজ

চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে নবম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় করা মামলায় চারজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। আদালত মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। 

বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) দুপুরে চট্টগ্রাম নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল-১-এর বিচারক এ পরোয়ানা জারি করেন। 

জেলা ও দায়রা জজ আদালত চট্টগ্রামের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট নাছির উদ্দীন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

ধর্ষকরা হলেন- কাজী মো. শহিদুল ইসলাম (২২), তৌহিদুল ইসলাম (৩০), আজম (২৫) ও জোবাইর (২৩)।

২০২৪ সালের ১১ জুলাই বাঁশখালী সমুদ্র সৈকতের কাথরিয়া হালিয়াপাড়া পয়েন্টে ঝাউবাগানে বাহারছড়া রত্নপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির সেই শিক্ষার্থীকে কাজী শহীদুল ইসলামের নেতৃত্বে দলবদ্ধ ধর্ষণ করা হয়। পরে ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রী মামলা করার জন্য থানায় গেলে থানা মামলা নিতে গড়িমসি করে এবং ধর্ষকেরা তাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। ওই স্কুলছাত্রী ছয়জনকে আসামি করে চট্টগ্রাম নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল-১-এ মামলা করলে আদালত অভিযোগ আমলে নিয়ে পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দেন।

মামলার সূত্রে জানা যায়, বাঁশখালীর বাহারছড়া ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের মেম্বার ও প্যানেল চেয়ারম্যান কাজী মো. ইউসুফ ক্ষমতা বলে তার ছোট ভাই কাজী মো. শহিদুল ইসলামকে (২২) আদমশুমারির দায়িত্ব দেন। আদমশুমারির দায়িত্ব পেয়ে একই ওয়ার্ডের ইলশা গ্রামের জনৈক বিধবার একমাত্র মেয়ের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। ২০২৪ সালের ১১ জুলাই বিকেলে মেয়েটিকে কাথরিয়া ইউনিয়নের হালিয়াপাড়া অংশে বঙ্গোপসাগরের ঝাউবাগানে নিয়ে যায়। সেখানে শহিদুলের বন্ধু তৌহিদের (৩০) একটি মাছের খামার ছিল। শহিদুল তার দুই বন্ধু মো. আজম (২৫) ও জোবাইরকেও (২৩) সেখানে ডাকে। সেখানে খোশগল্প করতে করতে পালাক্রমে ওই ছাত্রীকে বিকেল থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত ধর্ষণ করে। এ খবর এলাকায় প্রচার হলে প্রভাবশালীরা কৌশলে ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়। পরে ধর্ষকরা ভুক্তভোগীকে জন্ম নিয়ন্ত্রণ ট্যাবলেট কিনে দেয় এবং ঘরে সাংবাদিক সাজিয়ে কিছু লোক দিয়ে হুমকি দেয়। থানায় গেলে মেয়েটির ক্ষতি হবে, ধর্ষকদের ক্ষতি হবে না বলে জানায় তারা। ঘটনাটি পুলিশ ও কাউকে না জানানোর জন্য বারবার হুমকি দেওয়া হয়।

জেলা ও দায়রা জজ আদালত চট্টগ্রামের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট নাছির উদ্দীন বলেন, ‘পিবিআই তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের পর তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে চারজনের বিরুদ্ধে আদালত আজ (বৃহস্পতিবার) নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৭/৯(৩)/৩০ ধারায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।’

পপি/