ঢাকা ৫ চৈত্র ১৪৩১, বুধবার, ১৯ মার্চ ২০২৫
English

ওবায়দুল করিম ও তার পরিবারের সদস্যদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

প্রকাশ: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:২৩ পিএম
আপডেট: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:২৫ পিএম
ওবায়দুল করিম ও তার পরিবারের সদস্যদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
ওবায়দুল করিম। আঁকা: নিয়াজ চৌধুরী তুলি

বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগে ওরিয়ন গ্রুপের চেয়ারম্যান ওবায়দুল করিম ও তার পরিবারের সদস্যদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন আদালত। নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা বাকিরা হলেন- ওবায়দুল করিমের স্ত্রী আরজুদা করিম, ছেলে সালমান ওবায়দুল করিম ও মেয়ে জেরিন করিম। 

সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিব এ আদেশ দেন।

দুদকের সহকারী পরিচালক আমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

দুদকের আবেদনে বলা হয়েছে, ওরিয়ন গ্রুপের চেয়ারম্যান ও তার কোম্পানির বিরুদ্ধে অর্থপাচারসহ বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগের অনুসন্ধান চলছে। অনুসন্ধানে পাওয়া তথ্য-প্রমাণে অভিযোগের স্বপক্ষে প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে। অভিযোগ সংশ্লিষ্টরা অন্য দেশে যাওয়ার চেষ্টা করছেন বলে তথ্য রয়েছে। তাই তাদের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা প্রয়োজন। 

গত বছরের সেপ্টেম্বরে ওবায়দুল করিম ও তার পরিবারের সদস্যদের ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করা হয়। আর্থিক খাতের গোয়েন্দা বিভাগ বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) নির্দেশে তাদের সব অ্যাকাউন্ট জব্দ করা হয়েছে। এর আগে ওবায়দুল করিম ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে কর ফাঁকি ও আর্থিক দুর্নীতি বিষয়ে অনুসন্ধান শুরু করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স সেল (সিআইসি)।

ব্যবসায়িক জগতে ওবায়দুল করিমের আবির্ভাব ঘটে ১৯৯৩ সালে কোহিনূর কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ লিজ নেওয়ার মধ্য দিয়ে। ১৯৯৪ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হয় ওরিয়ন ইনফিউশন লিমিটেড। ১৯৯৬ সালে যখন দেশের শেয়ারবাজারে বড় ধরনের বিপর্যয় হয়, তখন ওরিয়ন তার শেয়ারহোল্ডারদের জন্য বড় লভ্যাংশ এবং বোনাস শেয়ার ঘোষণা করে। এতে শেয়ারের দাম বহুগুণ বেড়ে যায়। তবে শেয়ারবাজার বিপর্যয়ের পর ওরিয়ন কোনো লভ্যাংশ বা বোনাস শেয়ার দেয়নি। এতে ওরিয়নের বিরুদ্ধে মামলা করে সিকিউরিটিজ এক্সচেঞ্জ কমিশন। কিন্তু পরে মামলাটি অনিষ্পন্ন অবস্থায় অকার্যকর হয়ে যায়। সে সময়ে শেয়ারবাজারের কারসাজির জন্য অনুসন্ধান চালায় দুদক। কিন্তু সে অনুসন্ধানের কোনো প্রতিবেদন আলোর মুখ দেখেনি।

এর পর থেকে ওবায়দুল করিমের দুর্নীতি আর অপকর্ম বেড়ে যায় বহুগুণ। ‘বেলহাসা’ নামের এক বিদেশি কোম্পানিকে কৌশলে পার্টনার বানিয়ে সেই কোম্পানি হাইজ্যাক করেন তিনি। ২০০৩ সালে সংযুক্ত আরব আমিরাতভিত্তিক (ইউএই) বেলহাসা ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড কনস্ট্রাকশন কোম্পানির ৬০০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেই ক্ষান্ত হননি। প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে কোম্পানিটিই হাইজ্যাক করেন। এ নিয়ে মামলাও করে বেলহাসা। মামলায় জালিয়াতি, প্রতারণা ও নথি গায়েবের মতো ঘটনাও ঘটে। এ ছাড়া হাইজ্যাক করা ওই কোম্পানির নামে ব্যাংক থেকে ১৬৬ কোটি টাকা ঋণ নিয়ে খেলাপির তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন ওবায়দুল করিম।

জানা গেছে, যখন যে সরকারই থাকুক না কেন প্রভাবশালী মন্ত্রী, এমপি, সরকারি আমলার ঘাড়ে সওয়ার হয়ে দুর্নীতি করেই টিকে ছিলেন এতগুলো বছর। একের পর এক মামলা, আদালতের রায়ে অর্ধশত বছর সাজাপ্রাপ্ত হলেও তাকে ধরা যায়নি। তবে, গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর এই প্রথমবার তাকে অনেকটা বেকায়দায় পরতে হয়েছে। অবস্থা বেগতিক দেখে সপরিবারে দেশ থেকে পালানোর পথ খুঁজছিলেন ওবায়দুল করিম। বিষয়টি জানতে পেরে দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আদালতে আবেদন করেন দুদকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা। 

বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে প্রভাবশালী মন্ত্রী-এমপি ও আওয়ামী লীগ নেতাদের ব্যবসায়িক পার্টনার বানিয়ে টেন্ডার বা প্রতিযোগিতা ছাড়াই গত ১৫ বছরে ৭টি প্রতিষ্ঠানের নামে সরকারের কাছ থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের বড় বড় প্রকল্প বাগিয়ে নেন। শুরুতে তিন বছর মেয়াদে রেন্টাল ও কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করা হলেও দফায় দফায় এই মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। এভাবেই ১৫ বছর ধরে লুটপাট করে চলেছেন ওরিয়নের ওবায়দুল করিম। একই কেন্দ্র সরকারের কাছে একাধিকবার বিক্রি করা হয়। এসব কেন্দ্রের মোট বিনিয়োগের ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ বিনিয়োগকারী দেন, বাকিটা ব্যাংক ঋণের মাধ্যমে মেটানো হয়। ইক্যুইটি ইনভেস্টমেন্টের ওপর দেওয়া হয় মুনাফা (রিটার্ন অব ইক্যুইটি)। সরকার বিদ্যুৎকেন্দ্রের নির্মাণ ব্যয় শোধ করলেও কেন্দ্রটা বেসরকারি কোম্পানিরই রয়ে যায়। পরে মেয়াদ বাড়ানো হলেও একই বিদ্যুৎকেন্দ্রের বিপরীতে নির্মাণ ব্যয় পরিশোধ করা হয়। 

এভাবে রেন্টাল ও কুইক রেন্টালের মাধ্যমে দেশে লুটপাট হয়েছে, এখনো হচ্ছে। এসব অপকর্মে সহযোগী হিসেবে ওবায়দুল করিম বেছে নিয়েছেন বিগত সরকারের প্রভাবশালী মন্ত্রী, এমপি ও আওয়ামী লীগের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের। এর মধ্যে ২০১৪ সালে প্রতিষ্ঠিত ডিজিটাল পাওয়ার অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটস লিমিটেডের ব্যবসায়িক পার্টনার হিসেবে বেছে নিয়েছেন তৎকালীন সরকারের প্রভাবশালী মন্ত্রী মির্জা আজমকে। তাকে ৪০ শতাংশ শেয়ার দেওয়া হয়েছে। এ প্রতিষ্ঠানে ওবায়দুল করিমের শেয়ার ৬০ শতাংশ। ২০১১ সালে প্রতিষ্ঠিত ডাচবাংলা পাওয়ার অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটস লিমিটেডের ব্যবসায়িক পার্টনার করা হয়েছে ফেনীর সাবেক সংসদ সদস্য আলাউদ্দিন আহমেদ নাসিমকে। তাকে ৩০ শতাংশ ছেড়ে দিয়ে ৭০ শতাংশ নিজে রেখেছেন। ওরিয়ন পাওয়ার সোনারগাঁও লিমিটেডের ৪ শতাংশ শেয়ার নারায়ণগঞ্জের সাবেক এমপি শামীম ওসমানকে, ৩৮ দশমিক ৪ শতাংশ সাবেক মন্ত্রী মির্জা আজমকে দিয়ে ব্যবসায়িক পার্টনার বানানো হয়েছে। বাকি ৫৭ দশমিক ৬ শতাংশ শেয়ার নিজে রেখেছেন। এ ছাড়া ওরিয়ন পাওয়ার রূপসা লিমিটেডের ১৯ দশমিক ৪ শতাংশ শেয়ার দিয়ে মির্জা আজমকে পার্টনার বানানো হয়েছে। 

দুবাইয়ে সম্পদের পাহাড়

দেশের টাকা চুরি করে দুবাইয়ে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন ওবায়দুল করিম। দুবাইয়ের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বেলহাসাকে ফাঁদে ফেলে জালিয়াতি, প্রতারণা, অর্থ আত্মসাৎসহ নানা অপকর্মের মাধ্যমে হাতিয়ে নেন হাজার কোটি টাকা। আবার সেই টাকা পাচার করেছেন খোদ দুবাইয়ে। পাচার করা টাকায় দুবাইয়ের অভিজাত এলাকায় কিনেছেন বিলাসবহুল হোটেল, ফ্ল্যাট, বাড়ি ও জমিজমা। ওবায়দুল করিমের নামে দুবাইয়ে যেসব সম্পদ রয়েছে, তার কোনোটিই তার বাংলাদেশি পাসপোর্ট ব্যবহার করে কেনা হয়নি। দুবাইয়ে চার তারকা মানের একটি হোটেল কেনার রেজিস্ট্রেশন নথিতে তিনি নিজেকে আলবেনিয়ার নাগরিক পরিচয় দিয়েছেন। আলবেনিয়ার করপোরেট রেজিস্ট্রির নথিতে তার মালিকানাধীন একটি কোম্পানি অ্যাগ্রি প্রোডাক্টসে ইউরোপের নাম উল্লেখ রয়েছে। যা ২০১৩ সালের ১১ নভেম্বর আলবেনিয়ার রাজধানী তিরানায় প্রতিষ্ঠিত হয়। ২০২৩ সাল পর্যন্ত বিনিয়োগের বিপরীতে গোল্ডেন পাসপোর্ট স্কিমের মাধ্যমে তাকে নাগরিকত্ব দিয়েছে আলবেনিয়া। একটি বিনিয়োগ কর্মসূচির অধীনে তাকে নাগরিকত্ব পাইয়ে দিয়েছে সাইপ্রাস সরকার। এ ক্ষেত্রে তাকে সাইপ্রাস সরকারের গবেষণা ও ভূমি উন্নয়ন তহবিলে ২ লাখ ইউরো বা প্রায় আড়াই লাখ ডলার এবং সাইপ্রাসের রিয়েল এস্টেটে প্রায় ২০ লাখ ইউরো বা প্রায় ২৫ লাখ ডলার বিনিয়োগ করতে হয়েছে।

এমন অনেক দুর্নীতি ও অপকর্মের বিষয়ে বিস্তারিত প্রতিবেদন খবরের কাগজে ছাপা হয়েছে। সেই সব প্রতিবেদনের তথ্য-উপাত্তের সূত্র ধরে অনুসন্ধান চালাচ্ছে দুদক, সিআইডি, এনবিআর ও বিএফআইইউসহ রাষ্ট্রের বিভিন্ন আইন প্রয়োগকারী ও তদন্ত সংস্থা।

ঢাবির ‘গ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ হাইকোর্টে স্থগিত

প্রকাশ: ১৯ মার্চ ২০২৫, ০৬:৫৫ পিএম
ঢাবির ‘গ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ হাইকোর্টে স্থগিত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘গ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। ‘গ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার কিছু প্রশ্নপত্রে ভুলের অভিযোগ তুলে এক শিক্ষার্থীর রিটের শুনানি শেষে বুধবার (১৯ মার্চ) বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজীর সমন্বয়ে হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।

আদালতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী শিশির মনির।

গত ৮ ফেব্রুয়ারি এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর ‘একাধিক ভুল থাকায় সুষ্ঠু ফল প্রকাশের জন্য পুনরায় পরীক্ষার আবেদন’ শীর্ষক ভিসি বরাবর একটি আবেদন দেন এক পরীক্ষার্থী। কিন্তু তাতে সাড়া না পাওয়ায় কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে তিনি হাইকোর্টে রিট করেন। রিটে প্রশ্নপত্রে ভুলের কারণে পরীক্ষা বাতিলে কর্তৃপক্ষের কাছে রিটকারীর আবেদনের প্রেক্ষিতে পদক্ষেপ নিতে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়।

একইসঙ্গে ২০ ফেব্রুয়ারি দেওয়া ওই আবেদন নিষ্পত্তির নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। পাশাপাশি এই আবেদন নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত পরবর্তী কার্যক্রমের ওপর স্থগিতাদেশ চাওয়া হয়েছে।

এমএ/

ড. ইউনূসের মামলা বাতিল ঠিক ছিল কিনা, রায় ২৩ এপ্রিল

প্রকাশ: ১৯ মার্চ ২০২৫, ০২:২৮ পিএম
আপডেট: ১৯ মার্চ ২০২৫, ০২:৫৮ পিএম
ড. ইউনূসের মামলা বাতিল ঠিক ছিল কিনা, রায় ২৩ এপ্রিল
ফাইল ছবি

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হওয়ার পরে ড. ইউনূসের মানি লন্ডারিং মামলা বাতিল সঠিক ছিল কিনা, সে বিষয়ে আগামী ২৩ এপ্রিল রায় দেবেন আপিল বিভাগ।

বুধবার (১৯ মার্চ) প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন ৪ সদস্যের আপিল বিভাগ এ বিষয়ে রায়ের জন্য দিন ধার্য করেন।

শুনানিতে অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ড. ইউনূসের আইনজীবী একটি ভালো উদ্দেশ্যে এখানে এসেছেন, আপিল বিভাগ যেন মামলাটি খারিজ না করে আপিলটি নিষ্পত্তি করে দেন। একই সঙ্গে আপিল বিভাগকে সংবিধানের ১০৪ অনুচ্ছেদ প্রয়োগ করে মামলাটি নিষ্পত্তি করতে অনুরোধ করেন অ্যাটর্নি জেনারেল।

ড. ইউনূসের আইনজীবী বলেন, 'হয়রানি করতেই এ মামলা করা হয়েছিল। কাজেই যখন তিনি ক্ষমতায় আসলেন দ্রুত তা বাতিল হলো। এটি সঠিক হয়নি। পরে আপিল বিভাগ রায়ের দিন ঠিক করে দেন।'

এর আগে গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পতনের পর ১১ আগস্ট ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে করা মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের মামলা প্রত্যাহারের আবেদন মঞ্জুর করে সবাইকে খালাস দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪। 

মেহেদী/

রাজধানীতে ৭ বছরের শিশু ধর্ষণ মামলায় গৃহশিক্ষকের মৃত্যুদণ্ড

প্রকাশ: ১৯ মার্চ ২০২৫, ০২:২৩ পিএম
আপডেট: ১৯ মার্চ ২০২৫, ০২:৩৮ পিএম
রাজধানীতে ৭ বছরের শিশু ধর্ষণ মামলায় গৃহশিক্ষকের মৃত্যুদণ্ড
ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর বনশ্রীতে ৭ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের মামলায় শিশুটির গৃহশিক্ষক জাহিদুল ইসলামকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

বুধবার (১৯ মার্চ) ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক মোছাম্মৎ রোকশানা বেগম হ্যাপী এ রায় দেন। 

মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০২১ সালে রাজধানীর খিলগাঁওয়ের বনশ্রী এলাকার একটি বাড়ির নিরাপত্তা কর্মীর ৭ বছরের মেয়েকেআরবি পড়াতে গিয়ে বাসার ওয়াশরুমের দরজা আটকে ধর্ষণ করেন গৃহশিক্ষক জাহিদুল ইসলাম। পরে এ ঘটনায় খিলগাঁও থানায় একটি মামলা করা হয়। 

রায়ের পরে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ‘ভুক্তভোগীর পরিবার ন্যায়বিচার পেয়েছে।’ 

এদিকে রায়ে ক্ষোভ জানিয়ে আসামিপক্ষের আইনজীবী মোহাম্মদ ইমরান হোসেন বলেন, ‘এ রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যাব।’

মেহেদী/

রিমান্ডে ইনু-মেনন-আনিসুল-দীপু মনি ও সাদেক খান

প্রকাশ: ১৯ মার্চ ২০২৫, ০১:২০ পিএম
আপডেট: ১৯ মার্চ ২০২৫, ০১:৪৫ পিএম
রিমান্ডে ইনু-মেনন-আনিসুল-দীপু মনি ও সাদেক খান
ছবি: সংগৃহীত

সাবেক মন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, রাশেদ খান মেনন, আনিসুল হক, দীপু মনি ও সাবেক সংসদ সদস্য সাদেক খানের বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

বুধবার (১৯ মার্চ) তাদের কারাগার থেকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে তদন্তকারী কর্মকর্তারা  সাতদিন করে রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন। শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শাহিন রেজার আদালত তাদের বিভিন্ন মেয়াদের রিমান্ডের আদেশ দেন।

ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে গুলিতে ওবায়দুল ইসলাম নিহতের মামলায় হাসানুল হক ইনু, রাশেদ খান মেনন, দীপু মনিকে চার দিনের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত।

এ ছাড়া মোহাম্মদপুরের বসিলায় মো. সুজন নামে এক ব্যক্তির গুলিতে নিহতের মামলায় আনিসুল হকের তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। এ আন্দোলনের সময় মোহাম্মদপুরের বসিলায় মিরাজুল ইসলাম অর্ণব নিহতের মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য সাদেক খানের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

ইনু,মেনন,দীপু মনির মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় গত ৪ আগস্ট বিকেল পাঁচটার দিকে যাত্রাবাড়ীর কাজলা পেট্রোল পাম্পের সামনে আওয়ামী লীগের নেতাসহ ১৪ দলের নেতা-কর্মীরা অবৈধ অস্ত্র দিয়ে নির্বিচারে হাজার হাজার জনতার ওপর গুলি চালায়। এতে ওবায়দুল ইসলাম গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। এ ঘটনায় নিহতের আত্মীয় মো. আলী শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদেরসহ ৫৮ জনকে আসামি করে যাত্রাবাড়ী থানায় মামলা করেন।

আনিসুল হকের মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, গত ২০ জুলাই ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বসিলায় আওয়ামী লীগের পার্টি অফিসের সামনে মো. সুজন নামের এক ব্যক্তি গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন। এ ঘটনায় নিহতের ভাই মো. রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে মোহাম্মদপুর থানায় মামলা করেন।

সাদেক খানের মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, মোহাম্মদপুরের বসিলায় গত ১৯ জুলাই ছাত্র-জনতার আন্দোলনে অংশ নেন মিরাজুল ইসলাম অর্ণব। পরে আসামিদের হামলায়  গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান তিনি ।এ ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানায় একটি হত্যা মামলা করা হয়। সূত্র: বাসস

মেহেদী/

অস্ত্র মামলায় খালাস লুৎফুজ্জামান বাবর

প্রকাশ: ১৯ মার্চ ২০২৫, ১২:৫৩ পিএম
অস্ত্র মামলায় খালাস লুৎফুজ্জামান বাবর
ছবি: সংগৃহীত

সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর অস্ত্র মামলায় ১৭ বছরের সাজা থেকে খালাস পেয়েছেন। 

বুধবার (১৯ মার্চ) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি নাসরিন আক্তারের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ খালাসের রায় ঘোষণা করেন। 

মামলায় লুৎফুজ্জামান বাবরের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট শিশির মনির।

অ্যাডভোকেট শিশির মনির বলেন, 'যৌথবাহিনী ওনাকে গ্রেপ্তারের সাত দিন পর উদ্দেশ্যমূলভাবে এই মামলা করা হয়। মামলার এজহারে বলা হয়, একটি লাল-কালো ব্যাগ থেকে অস্ত্র উদ্ধার করা হয়, কিন্তু জব্দ তালিকায় সেই ব্যাগ ছিল না। যেই জিডিমূলে ওনাকে গ্রেপ্তার করা হয়, আদালতে দরখাস্ত দেওয়া সত্ত্বেও সেই জিডি বিচারিক আদালতে প্রদর্শন করা হয়নি।' 


তিনি আরও বলেন, 'আসামিপক্ষ থেকে ঘটনার দিন ওই বাসার সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে আদালতে উপস্থাপনের জন্য বারবার আবেদন করা হলেও তা মঞ্জুর করা হয়নি। মূলত যৌথবাহিনীর কয়েকজন সদস্য উল্লিখিত লাল-কালো ব্যাগ হাতে নিয়েই বাসায় ঢোকে। মামলায় দুজন নিরপেক্ষ সাক্ষী রয়েছে। দারোয়ান ও ওয়েল্ডিং মিস্ত্রি। তারা সাক্ষ্য দেওয়ার সময় বলেন, তাদের সামনে জব্দ করা হয়নি। শুধু স্বাক্ষর নেওয়া হয়েছে।'

এর আগে ২০০৭ সালের ৩০ অক্টোবর বাসায় লাইসেন্সবিহীন অস্ত্র রাখার অভিযোগে লুৎফুজ্জামান বাবরকে ১৭ বছরের সাজা দেন ঢাকা মেট্রোপলিটন স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল।

মেহেদী/