ঢাকা ৫ চৈত্র ১৪৩১, বুধবার, ১৯ মার্চ ২০২৫
English

২৭তম বিসিএসের ভাইভা বাতিলবিষয়ক রায় বৃহস্পতিবার

প্রকাশ: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:০৯ পিএম
আপডেট: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:২৪ পিএম
২৭তম বিসিএসের ভাইভা বাতিলবিষয়ক রায় বৃহস্পতিবার
বাংলাদেশ সুুপ্রিম কোর্ট। ছবি: সংগৃহীত

২৭তম বিসিএসের ভাইভা বাতিলবিষয়ক রায় বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) ধার্য করেছেন আদালত। এ  বিসিএসে নিয়োগবঞ্চিত ১ হাজার ১৩৭ জন চাকরি ফেরত পাবেন কি না সে বিষয়ে আগামীকাল রায় দেবেন আদালত।

বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন ৫ সদস্যের আপিল বিভাগ এ দিন ধার্য করেন। 

২০১০ সালের ১১ জুলাই ২৭তম বিসিএসে প্রথমবারের মৌখিক পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্ত বৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বহাল রেখে রায় দেন আপিল বিভাগ। পরবর্তী সময়ে রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে ১ হাজার ১৩৭ জনের পক্ষে ১৪০ জন ২০২৪ সালে পৃথক আবেদন করেন।

আবেদনকারীদের আইনজীবী সালাহ উদ্দিন দোলন বলেন, ‘এক-এগারোর সরকারের সময় ২৭তম বিসিএসে দ্বিতীয়বারের মতো মৌখিক পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ১ হাজার ১৩৭ জন চূড়ান্ত সুপারিশের পর চাকরিতে প্রবেশ করবেন এমন অবস্থায় ওই সিদ্ধান্ত হয়। পরে দ্বিতীয় মৌখিক পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নিয়ে মামলা হয়।’

এই আইনজীবী জানান, হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ দ্বিতীয়বারের মৌখিক পরীক্ষা অবৈধ ঘোষণা করেন। অপর একটি বেঞ্চ দ্বিতীয় মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া বৈধ বলেন। পরে দ্বিতীয়বারের মতো মৌখিক পরীক্ষা অবৈধ ঘোষণার হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে সরকারপক্ষ পৃথক লিভ টু আপিল করে। এরপর লিভ টু আপিল পর্যবেক্ষণসহ নিষ্পত্তি করে ২০১০ সালে আপিল বিভাগ রায় দেন। এই রায়ে দ্বিতীয় মৌখিক পরীক্ষা নেওয়াকে সঠিক বলা হয়।

আইনজীবী সালাহ উদ্দিন দোলন বলেন, দ্বিতীয়বার মৌখিক পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত দেওয়ার ক্ষমতা তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ছিল না। এমনকি দ্বিতীয়বার মৌখিক পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়টি পিএসসি আইন ও বিধিতে নেই।

সালাহ উদ্দিন বলেন, ‘২০০৮ সালের ৩ জুলাই হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ ২৭তম বিসিএস পরীক্ষার প্রথম মৌখিক পরীক্ষার ফল বাতিলের সিদ্ধান্ত বৈধ ঘোষণা করে রায় দেন। হাইকোর্টের অপর একটি বেঞ্চ ২০০৯ সালের ১১ নভেম্বর দ্বিতীয় মৌখিক পরীক্ষা অবৈধ ঘোষণা করেন। প্রথম রায়ের বিরুদ্ধে নিয়োগবঞ্চিত ২৫ জন আপিল বিভাগে দুটি লিভ টু আপিল করেন। দ্বিতীয় রায়ের বিরুদ্ধে সরকার তিনটি লিভ টু আপিল করে। এ ক্ষেত্রে ২০৫ জন হাইকোর্টে রিট করেছিলেন। কিছু পর্যবেক্ষণ দিয়ে আপিল বিভাগ সরকারের লিভ টু আপিল নিষ্পত্তি করে ২০১০ সালের ১১ জুলাই রায় দেন।’

তথ্য অনুযায়ী, ২০০৭ সালের ২১ জানুয়ারি ২৭তম বিসিএসের প্রথম মৌখিক পরীক্ষায় ৩ হাজার ৫৬৭ জন উত্তীর্ণ হন। তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ ওই বছরের ৩০ মে প্রথম মৌখিক পরীক্ষার ফল বাতিলের সিদ্ধান্ত নেন। এর প্রেক্ষিতে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) ওই বছরের ১ জুলাই প্রথম মৌখিক পরীক্ষার ফল বাতিল করে। পরবর্তী সময়ে একই বছরের ২৯ জুলাই দ্বিতীয় মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এর পর ২০০৮ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর দ্বিতীয় মৌখিক পরীক্ষায় ৩ হাজার ২২৯ জন উত্তীর্ণ হন। পরে তাদের চাকরিতে নিয়োগ দেওয়া হয়।

সুমন/

অস্ত্র মামলার সাজা থেকে খালাস বাবর

প্রকাশ: ১৯ মার্চ ২০২৫, ০৯:৫৪ পিএম
আপডেট: ১৯ মার্চ ২০২৫, ০৯:৫৪ পিএম
অস্ত্র মামলার সাজা থেকে খালাস বাবর
ছবি: খবরের কাগজ

সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরকে অবৈধ অস্ত্র রাখার অভিযোগে করা এক মামলায় ১৭ বছরের সাজা থেকে খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট। তার আপিল মঞ্জুর করে বুধবার (১৯ মার্চ) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি নাসরিন আক্তারের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।

আদালত ও মামলাসূত্রে জানা যায়, ২০০৭ সালে এক-এগার তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ২৮ মে রাজধানীতে বাবরের শোবার ঘর থেকে অবৈধ অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করার অভিযোগে ওই বছরের ৩ জুন রাজধানীর গুলশান থানায় এ মামলা হয়। বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে ওই বছরের ৩০ অক্টোবর ঢাকার মহানগর ৯ নম্বর বিশেষ ট্রাইব্যুনাল আদালত বাবরকে ১৭ বছরের কারাদণ্ড দেন।

২০০৭ সালেই ওই রায়ের বিরুদ্ধে তিনি হাইকোর্টে আবেদন করেন। ওই আবেদনের ওপর শুনানি শেষে রায়ের জন্য বুধবার দিন রাখা হয়। আদালতে তার আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। তিনি জানান, গ্রেপ্তারের সাত দিন পর এ মামলা দেওয়া হয়। অভিযোগে বলা হয়, চারটি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। এর মধ্যে বাবরের স্ত্রী একটি রিভলবারের লাইসেন্স দেখাতে পারেননি। ২০ দিন পর মামলার চার্জশিট দাখিল করেন। আর ১৪ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য নিয়ে ৩০ অক্টোবর রায় দেন।

আইনজীবীর মতে, গ্রেপ্তারের সাত দিন পর উদ্দেশ্যেমূলকভাবে এ মামলা করা হয়। বলা হয়েছে, লাল-কালো ব্যাগ থেকে অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। যদিও জব্দ তালিকায় সেই ব্যাগ ছিল না। যেই জিডিমূলে তাকে (বাবর) গ্রেপ্তার করা হয়েছে, সেই জিডি আদালতে উপস্থাপন করা হয়নি। ঘটনার দিনের সিসিটিভি ফুটেজ উপস্থাপনের আবেদন জানালেও সেটি মঞ্জুর করা হয়নি। তা ছাড়া মামলার নিরপেক্ষ দুই সাক্ষী (দারোয়ান এবং ওয়েল্ডিং মিস্ত্রি) বলেছেন, তাদের সামনে জব্দ করা হয়নি। শুধু তাদের সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০০৭ সালের ২৮ মে আটক হন লুৎফুজ্জামান বাবর। সেই থেকে প্রায় ১৭ বছর কারাবন্দি ছিলেন বিএনপির এই নেতা। এরপর বিভিন্ন মামলায় তার দণ্ড হয়। সেই সব মামলা থেকে খালাস ও জামিনের পর ১৬ জানুয়ারি ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্ত হন তিনি।

মাহফুজ/

ঢাবির ‘গ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ হাইকোর্টে স্থগিত

প্রকাশ: ১৯ মার্চ ২০২৫, ০৬:৫৫ পিএম
ঢাবির ‘গ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ হাইকোর্টে স্থগিত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘গ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। ‘গ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার কিছু প্রশ্নপত্রে ভুলের অভিযোগ তুলে এক শিক্ষার্থীর রিটের শুনানি শেষে বুধবার (১৯ মার্চ) বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজীর সমন্বয়ে হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।

আদালতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী শিশির মনির।

গত ৮ ফেব্রুয়ারি এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর ‘একাধিক ভুল থাকায় সুষ্ঠু ফল প্রকাশের জন্য পুনরায় পরীক্ষার আবেদন’ শীর্ষক ভিসি বরাবর একটি আবেদন দেন এক পরীক্ষার্থী। কিন্তু তাতে সাড়া না পাওয়ায় কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে তিনি হাইকোর্টে রিট করেন। রিটে প্রশ্নপত্রে ভুলের কারণে পরীক্ষা বাতিলে কর্তৃপক্ষের কাছে রিটকারীর আবেদনের প্রেক্ষিতে পদক্ষেপ নিতে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়।

একইসঙ্গে ২০ ফেব্রুয়ারি দেওয়া ওই আবেদন নিষ্পত্তির নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। পাশাপাশি এই আবেদন নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত পরবর্তী কার্যক্রমের ওপর স্থগিতাদেশ চাওয়া হয়েছে।

এমএ/

ড. ইউনূসের মামলা বাতিল ঠিক ছিল কিনা, রায় ২৩ এপ্রিল

প্রকাশ: ১৯ মার্চ ২০২৫, ০২:২৮ পিএম
আপডেট: ১৯ মার্চ ২০২৫, ০২:৫৮ পিএম
ড. ইউনূসের মামলা বাতিল ঠিক ছিল কিনা, রায় ২৩ এপ্রিল
ফাইল ছবি

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হওয়ার পরে ড. ইউনূসের মানি লন্ডারিং মামলা বাতিল সঠিক ছিল কিনা, সে বিষয়ে আগামী ২৩ এপ্রিল রায় দেবেন আপিল বিভাগ।

বুধবার (১৯ মার্চ) প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন ৪ সদস্যের আপিল বিভাগ এ বিষয়ে রায়ের জন্য দিন ধার্য করেন।

শুনানিতে অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ড. ইউনূসের আইনজীবী একটি ভালো উদ্দেশ্যে এখানে এসেছেন, আপিল বিভাগ যেন মামলাটি খারিজ না করে আপিলটি নিষ্পত্তি করে দেন। একই সঙ্গে আপিল বিভাগকে সংবিধানের ১০৪ অনুচ্ছেদ প্রয়োগ করে মামলাটি নিষ্পত্তি করতে অনুরোধ করেন অ্যাটর্নি জেনারেল।

ড. ইউনূসের আইনজীবী বলেন, 'হয়রানি করতেই এ মামলা করা হয়েছিল। কাজেই যখন তিনি ক্ষমতায় আসলেন দ্রুত তা বাতিল হলো। এটি সঠিক হয়নি। পরে আপিল বিভাগ রায়ের দিন ঠিক করে দেন।'

এর আগে গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পতনের পর ১১ আগস্ট ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে করা মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের মামলা প্রত্যাহারের আবেদন মঞ্জুর করে সবাইকে খালাস দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪। 

মেহেদী/

রাজধানীতে ৭ বছরের শিশু ধর্ষণ মামলায় গৃহশিক্ষকের মৃত্যুদণ্ড

প্রকাশ: ১৯ মার্চ ২০২৫, ০২:২৩ পিএম
আপডেট: ১৯ মার্চ ২০২৫, ০২:৩৮ পিএম
রাজধানীতে ৭ বছরের শিশু ধর্ষণ মামলায় গৃহশিক্ষকের মৃত্যুদণ্ড
ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর বনশ্রীতে ৭ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের মামলায় শিশুটির গৃহশিক্ষক জাহিদুল ইসলামকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

বুধবার (১৯ মার্চ) ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক মোছাম্মৎ রোকশানা বেগম হ্যাপী এ রায় দেন। 

মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০২১ সালে রাজধানীর খিলগাঁওয়ের বনশ্রী এলাকার একটি বাড়ির নিরাপত্তা কর্মীর ৭ বছরের মেয়েকেআরবি পড়াতে গিয়ে বাসার ওয়াশরুমের দরজা আটকে ধর্ষণ করেন গৃহশিক্ষক জাহিদুল ইসলাম। পরে এ ঘটনায় খিলগাঁও থানায় একটি মামলা করা হয়। 

রায়ের পরে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ‘ভুক্তভোগীর পরিবার ন্যায়বিচার পেয়েছে।’ 

এদিকে রায়ে ক্ষোভ জানিয়ে আসামিপক্ষের আইনজীবী মোহাম্মদ ইমরান হোসেন বলেন, ‘এ রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যাব।’

মেহেদী/

রিমান্ডে ইনু-মেনন-আনিসুল-দীপু মনি ও সাদেক খান

প্রকাশ: ১৯ মার্চ ২০২৫, ০১:২০ পিএম
আপডেট: ১৯ মার্চ ২০২৫, ০১:৪৫ পিএম
রিমান্ডে ইনু-মেনন-আনিসুল-দীপু মনি ও সাদেক খান
ছবি: সংগৃহীত

সাবেক মন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, রাশেদ খান মেনন, আনিসুল হক, দীপু মনি ও সাবেক সংসদ সদস্য সাদেক খানের বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

বুধবার (১৯ মার্চ) তাদের কারাগার থেকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে তদন্তকারী কর্মকর্তারা  সাতদিন করে রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন। শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শাহিন রেজার আদালত তাদের বিভিন্ন মেয়াদের রিমান্ডের আদেশ দেন।

ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে গুলিতে ওবায়দুল ইসলাম নিহতের মামলায় হাসানুল হক ইনু, রাশেদ খান মেনন, দীপু মনিকে চার দিনের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত।

এ ছাড়া মোহাম্মদপুরের বসিলায় মো. সুজন নামে এক ব্যক্তির গুলিতে নিহতের মামলায় আনিসুল হকের তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। এ আন্দোলনের সময় মোহাম্মদপুরের বসিলায় মিরাজুল ইসলাম অর্ণব নিহতের মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য সাদেক খানের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

ইনু,মেনন,দীপু মনির মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় গত ৪ আগস্ট বিকেল পাঁচটার দিকে যাত্রাবাড়ীর কাজলা পেট্রোল পাম্পের সামনে আওয়ামী লীগের নেতাসহ ১৪ দলের নেতা-কর্মীরা অবৈধ অস্ত্র দিয়ে নির্বিচারে হাজার হাজার জনতার ওপর গুলি চালায়। এতে ওবায়দুল ইসলাম গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। এ ঘটনায় নিহতের আত্মীয় মো. আলী শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদেরসহ ৫৮ জনকে আসামি করে যাত্রাবাড়ী থানায় মামলা করেন।

আনিসুল হকের মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, গত ২০ জুলাই ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বসিলায় আওয়ামী লীগের পার্টি অফিসের সামনে মো. সুজন নামের এক ব্যক্তি গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন। এ ঘটনায় নিহতের ভাই মো. রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে মোহাম্মদপুর থানায় মামলা করেন।

সাদেক খানের মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, মোহাম্মদপুরের বসিলায় গত ১৯ জুলাই ছাত্র-জনতার আন্দোলনে অংশ নেন মিরাজুল ইসলাম অর্ণব। পরে আসামিদের হামলায়  গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান তিনি ।এ ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানায় একটি হত্যা মামলা করা হয়। সূত্র: বাসস

মেহেদী/