ঢাকা ৩ চৈত্র ১৪৩১, সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫
English

খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে হামলার মামলায় সাবেক ৩ মন্ত্রী রিমান্ডে

প্রকাশ: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৮:২৩ পিএম
খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে হামলার মামলায় সাবেক ৩ মন্ত্রী রিমান্ডে
সাবেক বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী ফারুক খান, তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু ও সমাজকল্যাণমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে হামলার ঘটনায় মতিঝিল থানায় হওয়া হত্যাচেষ্টার মামলায় সাবেক বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী ফারুক খান, তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু ও সমাজকল্যাণমন্ত্রী রাশেদ খান মেননকে পাঁচ দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। 

বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এম এ আজহারুল ইসলাম শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। 

এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা প্রত্যেককে পাঁচ দিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন। আসামিদের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিলপূর্বক জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক রিমান্ড মঞ্জুর করেন। 

মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ২০১৫ সালের ২০ এপ্রিল নির্বাচনি প্রচারণার সময় পল্টনে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত পথসভায় দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে হত্যার উদ্দেশ্যে আসামিরা অস্ত্রসহ তার গাড়িবহরে হামলা চালান। এ সময় তারা খালেদা জিয়ার গাড়িবহরের ১২ থেকে ১৪টি গাড়ি ভাঙচুর করেন। চারটি মোটরসাইকেলে আগুন দেন। নেতা-কর্মীদের মারধর করেন। হামলায় খালেদা জিয়ার নিরাপত্তারক্ষীরা আহত হন।

আরও বলা হয়, খালেদা জিয়াকে লক্ষ্য করে হামলাকারীরা ইট-পাথর নিক্ষেপ করলে সাধারণ পথচারীরাও আহত হন। আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪-দলীয় জোট ও এর অঙ্গসংগঠনের ২০০ থেকে ৩০০ নেতা-কর্মী দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটান। হামলাকারীরা মূল্যবান জিনিসপত্র ছিনিয়ে নেন ও জোরপূর্বক আটকে রেখে মুক্তিপণ দাবি করেন।

হাসিনার সঙ্গে আসামি হলেন সাবেক আইজিপি মামুন

প্রকাশ: ১৬ মার্চ ২০২৫, ০৮:৫৮ পিএম
আপডেট: ১৬ মার্চ ২০২৫, ০৯:২৮ পিএম
হাসিনার সঙ্গে আসামি হলেন সাবেক আইজিপি মামুন
শেখ হাসিনা ও চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে গণহত্যাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে হওয়া মামলায় পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকেও আসামি করা হয়েছে। 

চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলামের করা এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে রবিবার (১৬ মার্চ) এক আদেশে সাবেক আইজিপি মামুনকেও আসামি করার আদেশ দেন বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। একই সঙ্গে এ মামলায় চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকে এক দিন জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তদন্ত সংস্থায় অনুমতি দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। 

গত বছরের ৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ট্রাইব্যুনাল পুনর্গঠিত হলে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে প্রথম মামলাটি হয় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে। এতদিন এ মামলায় একমাত্র আসামি ছিলেন শেখ হাসিনা। এখন তার সঙ্গে আসামি হিসেবে চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকে অন্তর্ভুক্ত করা হলো।

এ বিষয়ে চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে গণহত্যাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে একটা মামলা আছে। সেই মামলায় তিনি একাই আসামি ছিলেন। আজকে তার সঙ্গে আসামি হিসেবে সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকে যুক্ত করে গ্রেপ্তার দেখানোর জন্য আবেদন করা হয়েছিল। সেই আবেদন মঞ্জুর হয়েছে। ফলে চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন এই মামলায় শেখ হাসিনার সঙ্গে সহ-আসামি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হলেন। একই সঙ্গে সাবেক আইজিপি মামুনকে এক দিন জিজ্ঞাসাবাদ করতে ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থাকে অনুমতি দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। শুনানির সময় সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত ছিলেন। সকালে তাকে কারাগার থেকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। তিনি হত্যাসহ বিভিন্ন মামলায় কারাবন্দি আছেন।’

তাজুল ইসলাম আরও বলেন, ‘শেখ হাসিনার যে কমান্ড রেসপনসিবিলিটি, তার সবকিছু বাস্তবায়নের ডানহাত ছিলেন তৎকালীন আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। সে কারণে কৌশলগত কারণে তাকে (সাবেক আইজিপি মামুন) এই মামলায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের মুঠোফোন এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে অনুসন্ধান চলছে।’

হানিফ ও পাপনের পরিবারের সদস্যদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

প্রকাশ: ১৬ মার্চ ২০২৫, ০৮:৩৭ পিএম
হানিফ ও পাপনের পরিবারের সদস্যদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
মাহবুবউল আলম হানিফ ও নাজমুল হাসান পাপন

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ ও তার স্ত্রী ফৌজিয়া আলম, ছেলে ফাহিম আফসার আলম ও ফারহান সাদিক আলম এবং মেয়ে তানিশা আলমের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সাবেক সভাপতি ও সাবেক মন্ত্রী নাজমুল হাসান পাপন, স্ত্রী রোকসানা হাসান, মেয়ে সুনেয়া রহমান ও রুশমিলা রহমান, ছেলে রাফসান হাসান এবং জামাতা রাকীন আল-মাহমুদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।

রবিবার (১৬ মার্চ) ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিব ওই আদেশ দেন। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপপরিচালক সাইদুজ্জামান পৃথক মামলায় আসামিদের বিদেশ যাওয়ার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার আবেদন করেন।

স্ত্রী-সন্তানসহ হানিফের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার আবেদনে বলা হয়, মাহবুবউল আলম হানিফের বিরুদ্ধে পদ্মা ও গড়াই নদীর বালুমহল থেকে চাঁদাবাজি, টেন্ডার বাণিজ্য, নিয়োগ বাণিজ্য, হাটবাজার ইজারা বাণিজ্য, বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে টিআর, কাবিখাসহ বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প থেকে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে। আত্মসাৎ করা ওই অর্থ বিদেশে পাচার ও স্ত্রীর নামে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাসহ নিজের ও পরিবারের সদস্যদের নামে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে অনুসন্ধান কার্যক্রম চলমান। দেশ ছেড়ে বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে তারা তাদের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ হস্তান্তর করার চেষ্টা করছে মর্মে অনুসন্ধানে তথ্য পাওয়া যায়। তারা বিদেশে পালিয়ে গেলে অনুসন্ধানী কার্যক্রম ব্যাহত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া প্রয়োজন।

অন্যদিকে, নাজমুল হাসান পাপন ও তার পরিবারের সদস্যদের বিদেশ গমনের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞার আবেদনে বলা হয়, তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতির মাধ্যমে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড ও সরকারি অর্থ আত্মসাৎ করে নিজ ও পরিবারের সদস্যদের নামে দেশে-বিদেশে বিপুল পরিমাণ সম্পদ অর্জনের অভিযোগের অনুসন্ধান চলছে। বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, পাপন ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে কিশোরগঞ্জ, গাজীপুর, ঢাকা এলাকা ছাড়াও দেশের বিভিন্ন স্থানে এবং দেশের বাইরে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডাসহ অন্যান্য দেশে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ রয়েছে। অভিযোগ সংশ্লিষ্টরা তাদের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ হস্তান্তর করে দেশ ছেড়ে পালানোর চেষ্টা করছেন। তারা পালিয়ে গেলে অনুসন্ধানকাজ ব্যাহত হবে। সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে তাদের বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া প্রয়োজন।

নলছিটির সাবেক পিআইও বিজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

প্রকাশ: ১৬ মার্চ ২০২৫, ০৩:২৫ পিএম
আপডেট: ১৬ মার্চ ২০২৫, ০৩:২৭ পিএম
নলছিটির সাবেক পিআইও বিজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
বিজন কৃষ্ণ খরাতী

চেক ডিজঅনার মামলায় ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার সাবেক প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) বিজন কৃষ্ণ খরাতীর (৪০) বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। 

রবিবার (১৬ মার্চ) ঝালকাঠির সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মিরাজুল ইসলাম রাসেল এ আদেশ দেন।

বাদীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট গোলাম মাওলা শান্ত এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। 

তিনি জানান, গত ২০২৪ সালের ১৯ ডিসেম্বর নলছিটির মল্লিকপুর এলাকার বাসিন্দা হাবিবুর রহমান বাদি হয়ে বিজন কৃষ্ণের বিরুদ্ধে ১২ লাখ টাকার একটি চেক ডিজঅনার মামলা করেন। ওইদিনই আদালত আসামির বিরুদ্ধে সমন জারি করেন। কিন্তু বিজন আদালতে হাজির না হওয়ায় আজ (রবিবার) তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।

কামরুজ্জামান/পপি/

ঝালকাঠির সাবেক পিপি রসুল কারাগারে

প্রকাশ: ১৬ মার্চ ২০২৫, ০২:৫৮ পিএম
আপডেট: ১৬ মার্চ ২০২৫, ০৪:১১ পিএম
ঝালকাঠির সাবেক পিপি রসুল কারাগারে
ঝালকাঠির সাবেক পিপি আব্দুল মান্নান রসুলকে কারাগারে নেওয়া হচ্ছে। ছবি: খবরের কাগজ

ঝালকাঠি জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সাবেক পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি), ঝালকাঠি বারের সাবেক সভাপতি ও জেলা কৃষক লীগের সভাপতি আব্দুল মান্নান রসুলকে জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। 

রবিবার (১৫ মার্চ) সকালে ঝালকাঠি জজ আদালতে হাজির হলে তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন ঝালকাঠি সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মো. রহিবুল ইসলাম।

ঝালকাঠি আইনজীবী সমিতিতে হামলা, জেলা বিএনপি কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ, অ্যাডভোকেট শাহাদাৎ হোসেনের বাড়িতে হামলার ঘটনায় মামলাসহ ছয়টি মামলার আসামি তিনি। 

গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর থেকে পলাতক ছিল আওয়ামী লীগের এই নেতা। 

চার মামলায় আসামিপক্ষে আদালতে শুনানি করেন আওয়ামী লীগদলীয় আইনজীবী মুহাম্মদ নাসির উদ্দিন কবির এবং সাবেক এপিপি বনি আমিন বাকলাই। আগামী ১৮ মার্চ একই আদালতে আসামির অন্য দুটি মামলার শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।

আব্দুল মান্নান রসুলের জামিন নামঞ্জুরের পর গণমাধ্যম কর্মীদের সঙ্গে আলাপের সময় ঝালকাঠি জেলা বিএনপির সদস্য সচিব ও জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট শাহাদাৎ হোসেন বলেন, ‘মান্নান রসুল আইনজীবী হয়েও তিনি আইনজীবীদের ওপর হামলা ও ২২ জন আইনজীবীর নামে মিথ্যা মামলা করেছিল। সেই মামলা আদালতে মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। তার পক্ষে আজ যে যে আইনজীবী শুনানিতে দাঁড়িয়েছে, তারা নীতি-নৈতিকতা হারিয়েছে।’

আওয়ামী দলীয় আইনজীবী জেলা কৃষক লীগের সভাপতি আব্দুল মান্নান রসুল ২০০৯ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত টানা ১৫ বছর ঝালকাঠিতে পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) এবং আইনজীবী সমিতির সভাপতি ছিলেন। স্থানীয় সংসদ সদস্য আমির হোসেন আমুর একক সিদ্ধান্তে ঝালকাঠিতে এই পদে অন্য কেউ আসতে পারেননি।

কামরুজ্জামান/পপি/

মুন্সীগঞ্জে স্বামীকে হত্যা মামলায় স্ত্রীর যাবজ্জীবন

প্রকাশ: ১৬ মার্চ ২০২৫, ০১:৪২ পিএম
আপডেট: ১৬ মার্চ ২০২৫, ০৩:২১ পিএম
মুন্সীগঞ্জে স্বামীকে হত্যা মামলায় স্ত্রীর যাবজ্জীবন
ছবি: খবরেের কাগজ

মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে স্বামীকে 'মো. অলিউল্লাহ মোল্লা (৪২)' হত্যা মামলায় স্ত্রী মাজেদা বেগমকে (৩০) যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

রবিবার (১৬ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ কাজী আব্দুল হান্নান এ রায় দেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত মাজেদা বেগম জেলার শ্রীনগর উপজেলার হাষাড়া ঢালীপাড়া গ্রামের মো. নুরু খলিফার মেয়ে।

মামলার বিবরণে জানা গেছে, উপজেলার পুঁটিমারা গ্রামের প্রবাসী অলিউল্লাহ তার স্ত্রী মাজেদা এবং ৩ সন্তান নিয়ে আলাদা বাড়িতে বসবাস করে আসছিলেন। অলিউল্লাহ সৌদি আরবে প্রবাসে থাকতেন। মাঝে মধ্যে দেশের বাড়িতে আসতেন। সর্বশেষ ২০১৭ সালে ছুটিতে তিনি দেশে আসেন। কিন্তু পারিবারিক নানা বিষয় নিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে তার বনিবনা হচ্ছিল না। ওই বছরের ৬ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ১০টার দিকে ঘুমাতে যান অলিউল্লাহ। পরদিন ৭ ফেব্রুয়ারি সকালে ২ সন্তান নিয়ে বাড়ি থেকে বাইরে চলে যায় স্ত্রী মাজেদা। এ অবস্থায় ওই দিনদুপুরে ভাই মো. আহসান উল্লাহ বাড়িতে এসে গলায় ওড়না পেঁচানো ও হাত-পা বাঁধা অবস্থায় অলিউল্লাহকে ঘরের ভেতর দেখতে পান। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে অলিউল্লাহর মরদেহ উদ্ধার করে।

এ ঘটনায় নিহতের ভাই মো. আহসান উল্লাহ খাবারের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে অচেতন করে হাত-পা বেঁধে গলায় ফাঁস লাগিয়ে হত্যার অভিযোগ এনে স্ত্রী মাজেদা বেগম, শ্বশুর নুরু খলিফা, শ্যালক মো. হাবিব ও মো. মাসুমকে আসামি করে শ্রীনগর থানায় মামলা করেন। মামলার পর নিহতের স্ত্রী মাজেদা বেগম থানা পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেন। পরবর্তী সময়ে এ মামলায় স্ত্রী মাজেদা বেগমকে একমাত্র অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করে পুলিশ।

এ ব্যাপারে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী পাবলিক প্রসিকিউটর মো. আব্দুল হালিম বলেন, ১৬ জনের সাক্ষ্যগ্রহণের মধ্য দিয়ে এ মামলার রায় দিয়েছেন আদালত। রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করছি।

মেহেদী/