ঢাকা ৭ চৈত্র ১৪৩১, শুক্রবার, ২১ মার্চ ২০২৫
English
শুক্রবার, ২১ মার্চ ২০২৫, ৭ চৈত্র ১৪৩১

উত্তরার বাড়িতে তুরিনের মায়ের বসবাসে আইনি বাধা নেই

প্রকাশ: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:৩৮ পিএম
উত্তরার বাড়িতে তুরিনের মায়ের বসবাসে আইনি বাধা নেই
ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর উত্তরার বাড়িতে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সাবেক প্রসিকিউটর তুরিন আফরোজের মা শামসুন্নাহার বেগম এবং ভাই শিশির আহমেদ শাহনেওয়াজের বসবাস নিয়ে বিচারিক আদালতের একটি স্থিতাবস্থার আদেশ ছিল। ওই আদেশ বাতিল করে বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) রায় দিয়েছেন উচ্চ আদালত। 

আইনজীবীরা জানিয়েছেন, হাইকোর্টের এই রায়ের ফলে ওই বাড়িতে ব্যারিস্টার তুরিনের মা শামসুন্নাহার বেগম ও ভাই শিশির আহমেদের বসবাসের ক্ষেত্রে আর কোনো আইনি বাধা নেই।

বিচারপতি মো. সেলিমের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন। এ বিষয়ে জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করে এই রায় দেন আদালত। 

আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন চার আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, বি এম ইলিয়াস কচি, মনজুর রাব্বী ও আতিকুল হক। আর তুরিন আফরোজের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মোহাম্মদ সাইফুল করিম।

আদালত থেকে বের হওয়ার পর গণমাধ্যমকে আতিকুল হক বলেন, ২০০২ সাল থেকে উত্তরার ১১ নম্বর সড়কের ৩ নম্বর সেক্টরের ১৫ নম্বর প্লটের পাঁচতলা বাড়িতে বসবাস করে আসছিলেন শামসুন্নাহার বেগম এবং তার ছেলে শিশির আহমেদ শাহনেওয়াজ। তবে নিজের ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে শামসুন্নাহার বেগম ও শাহনেওয়াজকে ওই বাড়ি থেকে ২০১৭ সালে বের করে দেন তুরিন আফরোজ। পরে ওই বাড়ির ভোগদখল ও মালিকানা দাবি করে শাহনেওয়াজ ও তুরিন আফরোজ ঢাকার যুগ্ম জেলা জজ আদালতে দুটি দেওয়ানি মামলা করেন। পরের বছর ২০১৮ সালের ১১ অক্টোবর দুই পক্ষের আবেদনের শুনানি নিয়ে ওই বাড়ি ভোগদখলের ক্ষেত্রে স্থিতাবস্থা জারি করেন ঢাকার পঞ্চম যুগ্ম জেলা জজ আদালত। এরপর যুগ্ম জেলা জজ আদালতের আদেশের বিরুদ্ধে জেলা জজ আদালতে আবেদন করেন শাহনেওয়াজ। পরে ২০২৩ সালের ১৯ জানুয়ারি যুগ্ম জেলা জজ আদালতের আদেশ বহাল রাখেন জেলা জজ আদালত। ওই বছর মার্চে জেলা জজ আদালতের স্থিতাবস্থার আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে সিভিল রিভিশন দায়ের করেন শাহনেওয়াজ। পরে ওই বছরের ২ এপ্রিল হাইকোর্টের একটি একক বেঞ্চ উত্তরায় ওই বাড়ি ভোগদখলের ক্ষেত্রে স্থিতাবস্থার আদেশ কেন অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন। পরবর্তী সময়ে মামলাটি হাইকোর্টের বিচারপতি মো. সেলিমের একক বেঞ্চে আসে। ওই রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে একক বেঞ্চ রুল যথাযথ (অ্যাবসুলেট) ঘোষণা করে স্থিতাবস্থা বাতিল করে বুধবার রায় দেন।

আইনজীবীরা জানান, এর ফলে ওই বাড়িতে শাহনেওয়াজ ও তার মা শামসুন্নাহার বেগমের বসবাসের ক্ষেত্রে আইনহত কোনো বাধা নেই। বাড়ির ভোগদখল ও মালিকানা দাবি করে দায়ের করা দুটি মামলা বিচারিক আদালতে স্বাভাবিক নিয়মে চলবে।

মনিটরিং কমিটি ফর সাবঅর্ডিনেট কোর্টস

প্রকাশ: ২১ মার্চ ২০২৫, ১২:১৫ এএম
মনিটরিং কমিটি ফর সাবঅর্ডিনেট কোর্টস
ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি দেশের ৮টি বিভাগের জন্য হাইকোর্ট বিভাগের একজন বিচারপতিকে প্রধান করে পৃথক ৮টি Monitoring Committee for Subordinate Courts পুনর্গঠন করেন। বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট, হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি মো. জাহাঙ্গীর হোসেনকে ঢাকা-১ বিভাগের দায়িত্ব প্রদান করা হয়। গত ১১/১২/২০২৪ তারিখের ৩৪/২০২৪ জে নং এক বিজ্ঞপ্তিতে এ বিষয়টি জানানো হয়।

Monitoring Committee for Subordinate Courts-এর ঢাকা-১ বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিচারপতি মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) ঢাকা জেলার জেলা ও দায়রা জজ আদালত, ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতসহ অন্যান্য আদালত মনিটরিং/পরিদর্শন করেন এবং দিক নির্দেশনামূলক বক্তব্য দেন।

বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত চলে এবং সব বিচারকে নিয়ে বিকাল সাড়ে ৩টায় শহিদ জগন্নাথ-সোহেল স্মৃতি  মিলনায়তনে সব বিচারকদের উপস্থিতিতে সমাপনী বক্তব্যের মধ্য দিয়ে শেষ হয়।

এতে উপস্থিত ছিলেন- ঢাকার জেলা ও দায়রা জজ মো. হেলাল উদ্দিন,মহানগর দায়রা জজ মো. জাকির হোসেন গালিব, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নূরে আলম ভূইয়া, চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমানসহ অন্যান্য বিচারকরা।

এসময় বিচারপতির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন ঢাকা আইনজীবী সমিতির সভাপতি খোরশেদ মিয়া আলম, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ নজরুল ইসলাম ও  ঢাকা জেলার পাবলিক প্রসিকিউটর ইকবাল হোসেন।

টি স্পোর্টস, নাগরিক টিভি ও টফির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হাইকোর্টের নির্দেশ

প্রকাশ: ২০ মার্চ ২০২৫, ১০:০৬ পিএম
আপডেট: ২০ মার্চ ২০২৫, ১০:৩৬ পিএম
টি স্পোর্টস, নাগরিক টিভি ও টফির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হাইকোর্টের নির্দেশ
ছবি: সংগৃহীত

বিচারপতি ফাহমিদা কাদের এবং বিচারপতি মুবিনা আসাফের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ টি স্পোর্টস, নাগরিক টিভি এবং বাংলালিংকের টফির চ্যানেলে অবৈধভাবে ক্রিকেটের প্রচার সত্ব ক্রয় ও সম্প্রচারের বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। দুবাইভিত্তিক কোম্পানি টোটাল স্পোর্টস মার্কেটিং (টিএসএম) এবং পলাতক ডিআইজি সৈয়দ নুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে অর্থ পাচার, কর ফাঁকির অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এই আদেশ দেন।

ডিআইজি নুরুল, জুলাই গণহত্যায় জড়িত পলাতক একজন পুলিশ কর্মকর্তা, তার ঘনিষ্ঠ আত্মীয় মইনুল হক চৌধুরীকে দিয়ে দুবাইতে টোটাল স্পোর্টস মার্কেটিং নামে একটি কোম্পানি (TSM) প্রতিষ্ঠা করেন। টিএসএম ডিআইজি নুরুলের দুর্নীতির অবৈধ অর্থ ব্যবহার করে বিভিন্ন ক্রিকেট টুর্নামেন্টের সম্প্রচার স্বত্ব অর্জন করেছিলেন, যার মধ্যে রয়েছে উল্লেখযোগ্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ওয়েস্ট ইন্ডিজ অনুষ্ঠিত আইসিসি বিশ্বকাপ ২০২৪ এবং দুবাই, পাকিস্তানে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ২০২৫। 

বাংলাদেশ থেকে অবৈধভাবে এইসব তহবিল স্থানান্তর করে আইসিসিকে প্রদান করা হয়েছিল মূলত হুন্ডির মাধ্যমে এবং আংশিকভাবে তা করা হয়েছিল আন্ডার-ইনভয়েসিংয়ের মাধ্যমে, ব্যাংকিং চ্যানেল এবং সরকারি কর এড়িয়ে। দুবাইভিত্তিক টিএসএম, যা নিয়ন্ত্রকদের ফাঁকি দিতেই বাংলাদেশে তাদের নাম পরিবর্তন করে টোটাল স্পোর্টস ম্যানেজমেন্ট নাম দিয়ে বাংলাদেশি সম্প্রচারকদের কাছে এই সব খেলার সত্ব সরবরাহ করেছিল। বাংলালিংক, টি স্পোর্টস এবং নাগরিক টিভি ডিআইজি নুরুলের দুর্নীতির অর্থের অবৈধ উৎস নিয়ে বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রকাশিত সংবাদ জানা সত্ত্বেও এই অনুষ্ঠানগুলি সম্প্রচার করেছিল। আদালত বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) কে বিষয়টি অবিলম্বে তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছে।

নোটিশে ২০১৪ সালে পরিবেশ কর্মী ও বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের স্বামী আবু বাকের সিদ্দিকের অপহরণের ঘটনায় ডিআইজি নুরুলের জড়িত থাকার বিষয়টিও প্রকাশ করা হয়েছে। ডিআইজি নুরুলের অবৈধ কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ওমর ফারুক অনিক একটি ন্যায়বিচার দাবির নোটিশ দাখিল করার পর আদালতের এই নির্দেশনা আসে।

মাহফুজ

আমু ও তার পরিবারের সদস্যের বিরুদ্ধে দুদকের ৩ মামলা

প্রকাশ: ২০ মার্চ ২০২৫, ০৯:৪৭ পিএম
আপডেট: ২০ মার্চ ২০২৫, ১০:০৬ পিএম
আমু ও তার পরিবারের সদস্যের বিরুদ্ধে দুদকের ৩ মামলা
আমির হোসেন আমু

অবৈধ উপায়ে প্রায় ৩৯ কোটি টাকার সম্পদ অর্জন ও ৪৫টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে অন্তত ১৪২ কোটি টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের অভিযোগে সাবেক শিল্পমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আমির হোসেন আমু এবং তার পরিবারের তিন সদস্যের বিরুদ্ধে তিনটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। 

বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১-এ পৃথকভাবে মামলাগুলো করা হয়। অপর দুই মামলায় আসামি হলেন আমির হোসেন আমুর মেয়ে সুমাইয়া হোসেন ও শ্যালিকা সৈয়দা হক মেরী। দুদকের মুখপাত্র ও মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) আক্তার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

আমির হোসেন আমুর বিরুদ্ধে করা মামলায় বলা হয়েছে, তিনি ক্ষমতার অপব্যবহার ও ঘুষ-দুর্নীতির মাধ্যমে ২৬ কোটি ২৭ লাখ ৮১ হাজার ৪৬১ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন। এ ছাড়া তার নিজের ১৪টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ৩১ কোটি ৪৭ লাখ ৯২ হাজার ৭০৮ টাকার সন্দেহজনক লেনদেন করা হয়েছে। তিনি এসব অর্থ-সম্পদ গোপনে স্থানান্তর, রূপান্তর ও হস্তান্তর করেছেন, যা দুদকের আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
 
আমুর মেয়ে সুমাইয়া হোসেনের বিরুদ্ধে করা মামলায় বলা হয়, তিনি তার বাবার সহযোগিতায় ক্ষমতার অপব্যবহার করে ঘুষ-দুর্নীতির মাধ্যমে ৪ কোটি ৪৩ লাখ ৫২ হাজার ৮১ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন। তার নিজের ১৮টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ৪৮ কোটি ৪৯ লাখ ৫৯ হাজার ৬৪২ টাকা সন্দেহজনক লেনদেন করা হয়েছে। এই অর্থ-সম্পদ গোপনে স্থানান্তর, রূপান্তর ও হস্তান্তর করেছেন। এ মামলায় আমির হোসেন আমুকেও আসামি করা হয়েছে।
 
এদিকে আমির হোসেন আমুর শ্যালিকা সৈয়দা হক মেরীও ৭ কোটি ৬৬ লাখ ৯১ হাজার ৬৭০ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন উল্লেখ করে আরেকটি মামলা করা হয়েছে। তার নিজের ১৩টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ৬২ কোটি ৬৮ লাখ ৪১৭ টাকা সন্দেহজনক লেনদেন করা হয়েছে। মেরী তার ভগ্নিপতি আমির হোসেন আমুর সহযোগিতায় এই অর্থ-সম্পদের মালিক হয়েছেন। এসব অর্থ-সম্পদ গোপনে স্থানান্তর, রূপান্তর ও হস্তান্তর করা হয়েছে। ফলে এ মামলাতেও আমির হোসেন আমুকে সহযোগী আসামি করা হয়েছে।

মাহফুজ/

হাসিনা-জয়সহ ২০১ জনের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টার মামলা

প্রকাশ: ২০ মার্চ ২০২৫, ০৮:৪৫ পিএম
হাসিনা-জয়সহ ২০১ জনের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টার মামলা
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়

সরকারি আলিয়া মাদ্রাসার শিক্ষার্থী সাইফুদ্দিন মোহাম্মদ এমদাদ হত্যাচেষ্টার অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়সহ ২০১ জনের বিরুদ্ধে নালিশি (সিআর) মামলার আবেদন করা হয়েছে।

মামলার অন্য আসামির তালিকায় সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, শেখ রেহানা, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, ওবায়দুল কাদের, সালমান এফ রহমান, আসাদুজ্জামান খান কামাল, শেখ ফজলে নূর তাপস, সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ, মনিরুল ইসলাম, শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, মসিউর রহমান, ড. গওহর রিজভী, ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী, হারুন অর রশিদ, বিপ্লব কুমার সরকার, নাঈমুল ইসলাম খান, নঈম নিজাম, শ্যামল দত্ত, সুভাষ সিংহ রায়ের নাম রয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বাদী হয়ে মামলাটি করেন ফ্যাসিস্ট উৎখাত আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির প্রধান সমন্বয়ক ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার কমিশন বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের সভাপতি এম এ হাশেম রাজু। 

শুনানি শেষে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মনিরুল ইসলাম বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করেন। একই সঙ্গে এ ঘটনার বিষয়ে শাহবাগ থানায় কোনো নিয়মিত মামলা চলমান আছে কি না, তা জানতে চেয়ে আগামী সাত দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) নির্দেশ দেন।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় গত ৪ আগস্ট বেলা সাড়ে ১১টায় স্বৈরাচার শেখ হাসিনার বিদায়ের লক্ষ্যে সর্বাত্মক অসহযোগ আন্দোলন এক দফায় রূপ নেয়। এক দফা বাস্তবায়নের দাবিতে মামলার বাদীর নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার থেকে মামলার ঘটনাস্থল পরীবাগ হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের সামনের মোড়ে এসে পৌঁছালে ওত পেতে থাকা মামলার আসামি ছাত্রলীগ, যুবলীগ, আওয়ামী লীগের বিভিন্ন স্তরের নেতা-কর্মীরা ফ্যাসিস্ট হাসিনার সহযোগী পুলিশসহকারে ভিকটিম ও তার সঙ্গীদের অবরোধ করেন। আসামিরা বাদী এবং ভিকটিমসহ অন্য ছাত্র-জনতাকে হত্যার উদ্দেশ্যে গুলিবর্ষণ করেন। তারা তাদের লক্ষ্য করে হাতবোমা, পেট্রলবোমা ও ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটান। মিছিল ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশের কাঁদানে গ্যাস, পিপার স্প্রে ও ছররা গুলিতে  মামলার ২ নং সাক্ষী এবং ভিকটিমের ডান চোখ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তার ডান চোখের ভেতরে ছররা গুলি ঢোকে। ভিকটিম আহত চোখ নিয়ে রাস্তায় লুটিয়ে পড়লে অজ্ঞাতনামা ছাত্রলীগ, যুবলীগ এবং পুলিশ সদস্যরা তাকে বেদম মারধর করে। গুলি ও মারধরের দৃশ্য কাছ থেকে প্রত্যক্ষ করেন মামলার বাদী। তিনি আহত ভিকটিমকে উদ্ধার করে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তির জন্য যোগাযোগ করলে তাকে ভর্তি করাতে অপারগতা প্রকাশ করেন। ভিকটিম চিকিৎসাবঞ্চিত হয়ে ডান চোখের দৃষ্টিশক্তি হারান। অবস্থার আরও অবনতি ঘটলে বাদীর সহযোগিতায় তাকে গোপনে চট্টগ্রাম নিয়ে যান। পরবর্তী সময়ে হাসিনার পতনের সংবাদ জানতে পেরে ৫ আগস্ট তিনি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন। বাদী শাহবাগ থানায় মামলা করতে গেলে থানা কর্তৃপক্ষ তাকে আদালতে মামলা করার পরামর্শ দেয়।

পুতুলের বিরুদ্ধে দুদকের ২ মামলা

প্রকাশ: ২০ মার্চ ২০২৫, ০৮:২৫ পিএম
পুতুলের বিরুদ্ধে দুদকের ২ মামলা
এইচডব্লিউও’র দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক সায়মা ওয়াজেদ পুতুল। ছবি: সংগৃহীত

ক্ষমতার অপব্যবহার, প্রতারণা, জালিয়াতি ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মেয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (এইচডব্লিউও) দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের বিরুদ্ধে দুটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১-এ মামলা দুটি করেন সংস্থাটির উপপরিচালক তাহাসিন মুনাবীল হক।

পুতুলের বিরুদ্ধে করা একটি মামলায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক পদে নিয়োগ পাওয়ার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) শিক্ষকতার ভুয়া যোগ্যতা দেখিয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার, প্রতারণা ও জাল-জালিয়াতি করেছেন বলে অভিযোগ আনা হয়। অন্য মামলায় সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের প্রতিষ্ঠিত সূচনা ফাউন্ডেশনের নামে বাংলাদেশের বিভিন্ন ব্যাংক থেকে থেকে ৩৩ কোটি টাকা তুলে নিয়ে আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে। এ মামলায় বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকস ও এক্সিম ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদারকেও আসামি করা হয়েছে।

অর্থ আত্মসাতের এজাহারে বলা হয়, অটিজম ও স্নায়ু বিকাশজনিত সমস্যাবিষয়ক জাতীয় উপদেষ্টা কমিটির চেয়ারপারসন ও সূচনা ফাউন্ডেশনের সাবেক চেয়ারপারসন সায়মা ওয়াজেদ হোসেন ওরফে সায়মা ওয়াজেদ এবং বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকস ও এক্সিম ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদার যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার এবং অবৈধ প্রভাব খাটিয়ে বাংলাদেশের বিভিন্ন ব্যাংকের সিএসআর খাত থেকে সূচনা ফাউন্ডেশনের নামে ৩৩ কোটি ৫ লাখ টাকা তুলে নিয়ে আত্মসাৎ করেন, যা দুদকের তফসিলভুক্ত ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারা ও দণ্ডবিধির ১০৯ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

অন্য মামলায় বলা হয়, সায়মা ওয়াজেদ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার জন্য ২০২৩ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থায় দাখিল করা জীবনবৃত্তান্তে বিএসএমএমইউতে শিক্ষকতা/শিক্ষা ম্যানুয়েল তৈরি বা রিভিউ সম্পর্কিত কার্যক্রমে অংশ না নিয়েও নিজেকে বিএসএমএমইউর কাজের সঙ্গে সংযুক্ত থাকার মিথ্যা দাবি করে ক্ষমতার অপব্যবহার, প্রতারণা ও জালিয়াতি করেছেন, যা দুদক আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ।