
১৩ বছর আগে রাজধানীর মিরপুরের একটি গির্জায় মিরপুর বাংলা কলেজের স্নাতক শ্রেণির শিক্ষার্থী সুব্রত বৈদ্য হত্যা মামলার আসামিদের খালাস দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৮ (বিশেষ দায়রা জজ)-এর বিচারক মো. মঞ্জুরুল হোসেন এই রায় ঘোষণা করেন।
রায় ঘোষণার সময় আদালত বলেন, ‘রাষ্ট্রপক্ষ আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে পারেনি। আসামিরা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রিমান্ডে নেওয়ার পর দিয়েছেন। নির্যাতন করে স্বীকারোক্তি আদায় করা হয়েছে।’
খালাস পাওয়া আসামিরা হলেন রিপন দাস, শিমন শিকদার ও প্রভুদান বাড়ৈ। রায় ঘোষণার সময় রিপন দাস ও শিমন শিকদারকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। এই মামলার দায় থেকে অবিলম্বে তাদের মুক্তির নির্দেশ দেন আদালত। অপর আসামি প্রভুদান বাড়ৈ পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে ইতিপূর্বে জারি করা গ্রেপ্তারি পরোয়ানা প্রত্যাহারের নির্দেশ দেন আদালত।
এদিকে আদালতের এ রায়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন সুব্রত বৈদ্যর পরিবারের সদস্যরা। এ রায় তারা কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছেন না।
রায় ঘোষণার সময় মামলার বাদী সুবর্ণা বৈদ্যের স্বামী দুলাল গাইন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, ‘এ রায় আমরা মানি না। আমরা ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছি। আমরা খালাসের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করব।’
আসামিদের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে এ রায় দেওয়া হয়েছে বলে মন্তব্য করেন বাদী পক্ষের আইনজীবী আবুল ফারুক।
তিনি খবরের কাগজকে বলেন, ‘এটা প্রভাবিত রায়। যেখানে আসামিরা স্বীকারোক্তি দিয়ে হত্যার দায় স্বীকার করেছেন সেখানে তাদের খালাস দেওয়া হয়েছে। এ রায় মেনে নেওয়া যায় না।’ মক্কেলের সঙ্গে পরামর্শ করে হাইকোর্টে আপিল করবেন বলে জানান তিনি।