ঢাকা ৪ বৈশাখ ১৪৩২, বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫
English
বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ৪ বৈশাখ ১৪৩২

স্ত্রীসহ সাবেক মন্ত্রী মায়া ও বিজিবির সাবেক ডিজি সাফিনুলের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

প্রকাশ: ১৩ মার্চ ২০২৫, ০৭:৫২ পিএম
স্ত্রীসহ সাবেক মন্ত্রী মায়া ও বিজিবির সাবেক ডিজি সাফিনুলের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া ও বিজিবির সাবেক ডিজি মেজর জেনারেল (অব.) মো. সাফিনুল ইসলাম

সাবেক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, তার স্ত্রী পারভীন চৌধুরীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া দেশ ত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সাবেক মহাপরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) মো. সাফিনুল ইসলাম ও তার স্ত্রী সোমা ইসলামের। 

এদিকে, ঢাকা-১৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সাদেক খান, তার স্ত্রী ফেরদৌসী খান ও ছেলে ফাহিম সাদেক খানের ২১টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ দেওয়া হয়েছে। হিসাবগুলোর মধ্যে মিসেস ফেরদৌসী খানের ১৪টি, সাদেক খানের ৫টি ও ফাহিম সাদেক খানের ২টি। এসব হিসাবে ৪ কোটি ২০ লাখ ৭ হাজার ৬৮৬ টাকা রয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিব পৃথক আদেশ দেন। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পৃথক কর্মকর্তার করা আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক এসব আদেশ দেন। 

মায়া ও তার স্ত্রী এবং বিজিবির সাবেক প্রধান মেজর জেনারেল (অব.) মো. সাফিনুল ইসলাম ও তার স্ত্রী সোমা ইসলামের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন দুদকের উপসহকারী পরিচালক সাবিকুন নাহার। সাদেক খান, তার স্ত্রী ও পুত্রের ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করার আবেদন করেন দুদকের সহকারী পরিচালক কে এম মর্তুজা আলী সাগর।

মেজর জেনারেল সাফিনুল ইসলাম ২০১৮ সালের ২৮ মার্চ থেকে ২০২২ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বিজিবির মহাপরিচালক ছিলেন।

চুয়াডাঙ্গায় কিশোরী মেয়েকে ধর্ষণের দায়ে বাবার মৃত্যুদণ্ড

প্রকাশ: ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ১১:২০ এএম
চুয়াডাঙ্গায় কিশোরী মেয়েকে ধর্ষণের দায়ে বাবার মৃত্যুদণ্ড
চুয়াডাঙ্গায় কিশোরী মেয়েকে ধর্ষণের দায়ে বাবার মৃত্যুদণ্ড। ছবি: খবরের কাগজ

চুয়াডাঙ্গায় নিজ কিশোরী মেয়েকে ধর্ষণের দায়ে আলতাপ হোসেন (৪৬) নামের এক পিতার মৃত্যুদণ্ডের রায় দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ২ লাখ টাকা অর্থদণ্ড করা হয়েছে।

বুধবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল, চুয়াডাঙ্গার বিচারক ও জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক সৈয়দ হাবিবুল ইসলাম এই রায় ঘোষণা করেন।

দণ্ডিত আলতাপ হোসেন সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর উপজেলার মুন্সিগঞ্জ গ্রামের মৃত সাদেক আলী মৃধার ছেলে। তিনি ঘরজামাই হিসেবে চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার চিৎলা হুদাপাড়া গ্রামে বসবাস করছিলেন।

আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০২৩ সালের ৫ ডিসেম্বর রাতে আলতাপ হোসেনের স্ত্রী বাড়িতে না থাকার সুযোগে মেয়েকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ধর্ষণ করেন। এর পর তাকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে একাধিকবার এ কাজ চালিয়ে যান। ২০২৪ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি কিশোরীর বিয়ের কয়েকদিন পর শারীরিক অসুস্থতা দেখা দিলে চিকিৎসার মাধ্যমে জানা যায় সে ২-৩ মাসের অন্তঃসত্ত্বা।

এ ঘটনায় ২০২৪ সালের ৭ মার্চ ভুক্তভোগীর মা বাদী হয়ে আলমডাঙ্গা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধিত ২০২০)-এর ৯(১) ধারায় মামলা করেন। তদন্ত কর্মকর্তা পরিদর্শক (তদন্ত) বাবর আলী মামলার তদন্ত শেষে ১১ ডিসেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

মোট ৮ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আদালত দোষী সাব্যস্ত করে আলতাপ হোসেনকে মৃত্যুদণ্ড ও ২ লাখ টাকা জরিমানার আদেশ দেন। আদালত রায়ে উল্লেখ করেন, ‘জরিমানার অর্থ দণ্ডিতের জীবদ্দশায় কিংবা মৃত্যুর পর তার সম্পত্তি থেকে আদায়যোগ্য হবে এবং তা ভুক্তভোগীকে ক্ষতিপূরণ হিসেবে প্রদান করা হবে।’

রাষ্ট্রপক্ষের বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর (স্পেশাল পিপি) এমএম শাহজাহান মুকুল বলেন, ‘এই ঘৃণ্য অপরাধে আদালত সর্বোচ্চ শাস্তি দিয়েছেন। মাত্র ৪৫ দিনের মধ্যে মামলাটির বিচারিক কার্যক্রম শেষ করে রায় দেওয়া একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। সমাজে এমন অপরাধ প্রতিরোধে এই রায় একটি দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।’

মিজানুর/তাওফিক/  

সাবেক দুই এমপি-আইজিপি-ওসি রিমান্ডে

প্রকাশ: ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ১০:৪৯ এএম
আপডেট: ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ১১:৪০ এএম
সাবেক দুই এমপি-আইজিপি-ওসি রিমান্ডে
নবী নেওয়াজ, আব্দুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব, চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন ও আবুল হাসান

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পৃথক তিন মামলায় ঝিনাইদহ-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) নবী নেওয়াজ, ভোলা-৪ আসনের সাবেক এমপি আব্দুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব, পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন এবং রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসানের বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়েছে।

গতকাল বুধবার ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মিনহাজুর রহমান শুনানি শেষে আসামিদের বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। সংশ্লিষ্ট আদালতের কৌঁসুলি কামরুজ্জামান স্বপন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

সূত্র জানায়, গত বছর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় রাজধানীর ভাটারা থানার নতুন বাজার এলাকায় হোটেল কর্মচারী রোহানকে হত্যাচেষ্টার মামলায় জ্যাকবের তিন দিন রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়েছে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ভাটারা থানার উপপরিদর্শক হাফিজুর রহমান তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিন রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। 

রাজধানীর রমনা এলাকায় গৃহকর্মী লিজা আক্তারকে গুলি করে হত্যার মামলায় নবী নেওয়াজকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়েছে। তদন্ত কর্মকর্তা রমনা থানার পুলিশ পরিদর্শক পায়েল হেসেন সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক পাঁচ দিন রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

মামলার বিবরণে জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গত ১৮ জুলাই রাজধানীর রমনা থানাধীন এলাকায় গৃহকর্মী লিজা আক্তার গুলিতে আহত হন। ২২ জুলাই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। এ ঘটনায় ৫ সেপ্টেম্বর লিজা আক্তারের বাবা মো. জয়নাল শিকদার বাদী হয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১৭৪ জনের নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। নবী নেওয়াজ এ মামলায় ১৭০ নম্বর আসামি। 

আন্দোলনে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে শাওন তালুকদার হত্যা মামলায় সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিন দিন এবং যাত্রাবাড়ী থানার সাবেক অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল হাসানকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়েছে। 

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা যাত্রাবাড়ী থানার উপপরিদর্শক মেহেদী হাসান তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিন রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। 

যাত্রাবাড়ী থানার সাবেক ওসি আবুল হাসানের পক্ষে আদালতে কোনো আইনজীবী ছিলেন না। অন্যদের পক্ষে আইনজীবীরা জামিন চেয়ে আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক জামিন আবেদন নাকচ করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। 

মোজাম্মেল-শাকিল-ফারজানা রুপা নতুন মামলায় গ্রেপ্তার

প্রকাশ: ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:৫৩ পিএম
মোজাম্মেল-শাকিল-ফারজানা রুপা নতুন মামলায় গ্রেপ্তার
মোজাম্মেল হক বাবু, শাকিল আহমেদ ও ফারজানা রূপা

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানায় দুই হত্যা মামলায় একাত্তর টেলিভিশনের সাবেক সিইও মোজাম্মেল হক বাবু, সাবেক বার্তাপ্রধান শাকিল আহমেদ ও সাবেক প্রধান প্রতিবেদক ও উপস্থাপক ফারজানা রূপাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।  

বুধবার (১৬ এপ্রিল) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মিনহাজুর রহমান শুনানি শেষে তাদের গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন। 

এর আগে সকালে কারাগার থেকে তাদের আদালতে হাজির করে মামলাগুলোতে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তারা। 

মামলা সূত্রে জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলার সময় গত ৫ আগস্ট যাত্রাবাড়ী থানার উত্তর কুতুবখালী বউ বাজারে আন্দোলনে অংশ নেন ইমরান হাসান। সেদিন দুপুর ১টার দিকে আসামিদের ছোড়া গুলিতে আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। পরে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। 

এ ঘটনায় নিহতের মা কোহিনূর আক্তার গত বছরের ৬ সেপ্টেম্বর সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ২৯৭ জনকে এজাহারনামীয় আসামি করে যাত্রাবাড়ী থানায় হত্যা মামলা করেন। 

অপর মামলা সূত্রে জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় গত বছরের ৫ আগস্ট রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানার দনিয়া এলাকায় আন্দোলনে অংশ নেন মাদরাসার আলিম ১ম বর্ষের শিক্ষার্থী সৈয়দ মুন্তাসির রহমান। দুপুরে আসামিদের ছোড়া গুলিতে আহত হওয়ায় হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। 

এ ঘটনায় নিহতের বাবা সৈয়দ গাজিউর রহমান ১১ সেপ্টেম্বর শেখ হাসিনাসহ ১৫৭ জনকে এজাহারনামীয় আসামি করে যাত্রাবাড়ী থানায় মামলা করেন।

গত বছরের ২১ আগস্ট শাকিল আহমেদ ও ফারজানা রুপাকে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে আটক করা হয়। বিভিন্ন থানার মামলায় রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের পর থেকে তারা কারাগারে আছেন। 

এ ছাড়া গত বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর সীমান্ত এলাকা থেকে মোজাম্মেল হক বাবুকে আটক করা হয়। পরদিন রাজধানীর ভাষানটেক এলাকায় ফজলু হত্যা মামলায় তার সাতদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়। এরপর থেকে রিমান্ড শেষে কারাগারে আছেন তিনি।

উজ্জ্বল/পপি/

স্বাস্থ্যের সেই মালেকের ৫ বছর ও তার স্ত্রীর ৩ বছরের কারাদণ্ড

প্রকাশ: ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:০৯ পিএম
আপডেট: ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:১৯ পিএম
স্বাস্থ্যের সেই মালেকের ৫ বছর ও তার স্ত্রীর ৩ বছরের কারাদণ্ড
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক গাড়িচালক আব্দুল মালেক ও তার স্ত্রী নার্গিস বেগমকে পুলিশ নিয়ে যাচ্ছে। ছবি: সংগৃহীত

জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের দায়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক গাড়িচালক আব্দুল মালেকের পাঁচ বছর ও তার স্ত্রী নার্গিস বেগমকে তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। 

বুধবার (১৬ এপ্রিল) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬-এর বিচারক জাকারিয়া হোসেন এ রায় দেন। 

দণ্ডের পাশাপাশি প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড, অনাদায়ে দুজনকে আরও তিন মাস করে বিনাশ্রম কারাভোগ করতে হবে বলে বিচারক রায়ের আদেশে উল্লেখ করেন। 

এ  ছাড়া আসামিদের জ্ঞাত আয়বহির্ভূত এক কোটি ১০ লাখ ৯৩ হাজার ৫০ টাকার সম্পদ রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানান দুদকের প্রসিকিউটর আসাদুজ্জামান রানা। 

রায় ঘোষণার আগে মালেককে কারাগার থেকে আদালতে আনা হয়। জামিনে থাকা নার্গিস বেগম আদালতে হাজির ছিলেন। রায়ের পর আসামিদের সাজা পরোয়ানা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়।

জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ এক কোটি ১০ লাখ ৯২ হাজার ৫০ টাকা মূল্যের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০২১ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি আব্দুল মালেক ও তার স্ত্রী নার্গিস বেগমের বিরুদ্ধে মামলাটি করেন দুদকের সহকারী পরিচালক সৈয়দ নজরুল ইসলাম। 

তদন্ত শেষে একই বছরের ২৭ অক্টোবর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।  

২০২২ সালের ১১ মে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। বিচার চলাকালে চার্জশিটভুক্ত ১০ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। 

এর আগে গত ২৩ মার্চ অবৈধ সম্পদ অর্জনের দায়ে আব্দুল মালেককে পৃথক দুই ধারায় ১৩ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন একই আদালত। 

এ ছাড়া ২০২১ সালে ২০ সেপ্টেম্বর অস্ত্র আইনের মামলায় আব্দুল মালেককে দুই ধারায় ৩০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

এম এ জলিল/সুমন

সৎ মেয়েকে ধর্ষণ মামলায় যুবকের যাবজ্জীবন

প্রকাশ: ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ০২:৫৮ পিএম
আপডেট: ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:০৪ পিএম
সৎ মেয়েকে ধর্ষণ মামলায় যুবকের যাবজ্জীবন
ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর হাতিরঝিলে সৎ মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলায় বাবা আনোয়ার হোসেনকে (২৯) যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। 

বুধবার (১৬ এপ্রিল) ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক সাবেরা সুলতানা খানম আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার পর আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়।

দণ্ডপ্রাপ্ত আনোয়ার নোয়াখালীর চাটখিল থানার নোয়াখলা ইউনিয়নের পূর্ব সোনাখালীর মৃত হোসেনের ছেলে।

সংশ্লিষ্ট আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর মো. আবুল কালাম আজাদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

২০২২ সালের ২০ সেপ্টেম্বর সৎ মেয়েকে ধর্ষণের ঘটনায় ভুক্তভোগীর মা হাতিরঝিল থানায় ধর্ষণ মামলা করেন। পরে তদন্ত শেষে সংশ্লিষ্ট থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. মিজানুর রহমান ২০২৩ সালের ১ এপ্রিল আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দেন। 

এরপর একই বছরের ২০ আগস্ট অভিযোগ গঠনের পর আসামির বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হয়। বিচার চলাকালে ছয়জন সাক্ষী আদালতে সাক্ষ্য দেন।

ঘটনার বিবরণে জানা গেছে, মামলার বাদী ভুক্তভোগীর মা হাতিরঝিল এলাকায় গৃহপরিচারিকার কাজ করতেন। বাদীর প্রথমপক্ষের বিবাহ বিচ্ছেদ হলে দুই সন্তানসহ আসামি আনোয়ার তাকে বিয়ে করেন। ২০২২ সালের ৪ আগস্ট তিনি তার দ্বিতীয় স্বামীর কাছে প্রথম পক্ষের ১৪ বছর বয়সী মেয়েকে বাসায় রেখে বাইরে যান। এদিন ভুক্তভোগীর গলায় চাকু ধরে হত্যার ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করেন আনোয়ার। ঘটনার দিন থেকে ২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এ আসামি ভুক্তভোগী মেয়েকে ১০ থেকে ১২ বার ধর্ষণ করেন।

জলিল/মেহেদী/