সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়। ছবি: সংগৃহীত
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়সহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। রাজধানীর পূর্বাচলে রাজউকের প্লট বরাদ্দে দুর্নীতির অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা পৃথক দুই মামলায় দাখিল করা অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে এ পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
পরোয়ানা জারি করা অন্য ১৬ জন হলেন, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম সরকার; সিনিয়র সহকারী সচিব পুরবি গোলদার, অতিরিক্ত সচিব কাজী ওয়াছি উদ্দিন, সাবেক সচিব শহিদ উল্লা খন্দকার, রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যানের ব্যক্তিগত সহকারী মো. আনিসুর রহমান মিঞা, রাজউকের সাবেক সদস্য মো. খুরশীদ আলম, মেজর (অব.) শামসুদ্দিন আহমেদ চৌধুরী ও মো. শফিউল হক, সদস্য তন্ময় দাস, মো. নাসির উদ্দিন ও মো. নুরুল ইসলাম, সহকারী পরিচালক মো. মাজহারুল ইসলাম, উপপরিচালক নায়েব আলী শরীফ, পরিচালক কামরুল ইসলাম, মো. সালাউদ্দিন এবং সাবেক গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ।
মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. জাকির হোসেন গালিব পৃথক আদেশে ওই পরোয়ানা জারি করেন। একই সঙ্গে আগামী ২৯ এপ্রিল পরোয়ানা তামিলসংক্রান্ত প্রতিবেদনের জন্য দিন ধার্য করেন।
দুই মামলাতেই শেখ হাসিনাকে আসামি করা হয়েছে। এক মামলায় শেখ হাসিনা ও জয়সহ ১৭ জন আসামি। অন্য মামলায় শেখ হাসিনাসহ ১২ জন আসামি। দুই মামলাতে ১১ জন আসামি এক ও অভিন্ন। সে অনুযায়ী উভয় মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা আসামির সংখ্যা ১৮ জন। দুর্নীতি দমন কমিশনের আদালতের প্রসিকিউশন কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আমিনুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
গত ২৫ মার্চ দুদক দুই মামলায় হাসিনা, জয়সহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে। তাদেরকে পলাতক দেখানো হয়েছে। বলা হয়েছে, শেখ হাসিনা রাজউক কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগসাজশে নিজের জন্য, বোন শেখ রেহানা, ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুল ও শেখ রেহানার ছেলে-মেয়েদের জন্য তথ্য গোপন করে প্লট বরাদ্দ নিয়েছিলেন।
এই মামলা দুটিতে পরোয়ানা জারির ফলে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া দুর্নীতির ছয়টি মামলাতেই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হলো। অন্য চারটিতে আগেই পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
নিজের এবং স্বজনদের নামে প্লট বরাদ্দে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ছয়টি মামলা করে দুদক। চলতি বছরের গত ১২, ১৩ ও ১৪ জানুয়ারি এই মামলাগুলো করা হয়।