ঢাকা ৪ বৈশাখ ১৪৩২, বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫
English
বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ৪ বৈশাখ ১৪৩২

বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা: হাইকোর্টের রায় রবিবার

প্রকাশ: ১৫ মার্চ ২০২৫, ১১:২৮ এএম
আপডেট: ১৫ মার্চ ২০২৫, ১১:৩০ এএম
বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা: হাইকোর্টের রায় রবিবার
ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় হাইকোর্টের রায় আগামীকাল রবিবার (১৬ মার্চ)।

বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ রায়ের জন্যে এ দিন ধার্য্য করেছেন। 

এর আগে আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় ডেথ রেফারেন্স ও আসামিদের আপিলের ওপর ২৪ ফেব্রুয়ারি শুনানি শেষ করে রায়ের জন্য অপেক্ষমান রাখা হয়। 

শনিবার (১৫ মার্চ) সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে দেখা গেছে এটির রায়ের জন্য রবিবারের কার্যতালিকায় রয়েছে।

২০১৯ সালের ৭ অক্টোবর রাতে বুয়েটের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে ছাত্রলীগের একদল নেতা-কর্মী পিটিয়ে হত্যা করেন।হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার দায়ে ২০২১ সালের ৮ ডিসেম্বর বুয়েটের ২০ শিক্ষার্থীকে মৃত্যুদণ্ড দেন আদালত। এ মামলায় আরও পাঁচ শিক্ষার্থীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। নিম্ন আদালতের রায় খতিয়ে দেখতে ডেথ রেফারেন্স হিসেবে ২০২২ সালের ৬ জানুয়ারি মামলার নথি হাইকোর্টে পৌঁছায়। পরে গত বছরের ২৮ নভেম্বর হাইকোর্ট বেঞ্চে এ বিষয়ে শুনানি শুরু হয়।

মেহেদী/

মোজাম্মেল-শাকিল-ফারজানা রুপা নতুন মামলায় গ্রেপ্তার

প্রকাশ: ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:৫৩ পিএম
মোজাম্মেল-শাকিল-ফারজানা রুপা নতুন মামলায় গ্রেপ্তার
মোজাম্মেল হক বাবু, শাকিল আহমেদ ও ফারজানা রূপা

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানায় দুই হত্যা মামলায় একাত্তর টেলিভিশনের সাবেক সিইও মোজাম্মেল হক বাবু, সাবেক বার্তাপ্রধান শাকিল আহমেদ ও সাবেক প্রধান প্রতিবেদক ও উপস্থাপক ফারজানা রূপাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।  

বুধবার (১৬ এপ্রিল) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মিনহাজুর রহমান শুনানি শেষে তাদের গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন। 

এর আগে সকালে কারাগার থেকে তাদের আদালতে হাজির করে মামলাগুলোতে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তারা। 

মামলা সূত্রে জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলার সময় গত ৫ আগস্ট যাত্রাবাড়ী থানার উত্তর কুতুবখালী বউ বাজারে আন্দোলনে অংশ নেন ইমরান হাসান। সেদিন দুপুর ১টার দিকে আসামিদের ছোড়া গুলিতে আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। পরে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। 

এ ঘটনায় নিহতের মা কোহিনূর আক্তার গত বছরের ৬ সেপ্টেম্বর সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ২৯৭ জনকে এজাহারনামীয় আসামি করে যাত্রাবাড়ী থানায় হত্যা মামলা করেন। 

অপর মামলা সূত্রে জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় গত বছরের ৫ আগস্ট রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানার দনিয়া এলাকায় আন্দোলনে অংশ নেন মাদরাসার আলিম ১ম বর্ষের শিক্ষার্থী সৈয়দ মুন্তাসির রহমান। দুপুরে আসামিদের ছোড়া গুলিতে আহত হওয়ায় হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। 

এ ঘটনায় নিহতের বাবা সৈয়দ গাজিউর রহমান ১১ সেপ্টেম্বর শেখ হাসিনাসহ ১৫৭ জনকে এজাহারনামীয় আসামি করে যাত্রাবাড়ী থানায় মামলা করেন।

গত বছরের ২১ আগস্ট শাকিল আহমেদ ও ফারজানা রুপাকে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে আটক করা হয়। বিভিন্ন থানার মামলায় রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের পর থেকে তারা কারাগারে আছেন। 

এ ছাড়া গত বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর সীমান্ত এলাকা থেকে মোজাম্মেল হক বাবুকে আটক করা হয়। পরদিন রাজধানীর ভাষানটেক এলাকায় ফজলু হত্যা মামলায় তার সাতদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়। এরপর থেকে রিমান্ড শেষে কারাগারে আছেন তিনি।

উজ্জ্বল/পপি/

স্বাস্থ্যের সেই মালেকের ৫ বছর ও তার স্ত্রীর ৩ বছরের কারাদণ্ড

প্রকাশ: ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:০৯ পিএম
আপডেট: ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:১৯ পিএম
স্বাস্থ্যের সেই মালেকের ৫ বছর ও তার স্ত্রীর ৩ বছরের কারাদণ্ড
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক গাড়িচালক আব্দুল মালেক ও তার স্ত্রী নার্গিস বেগমকে পুলিশ নিয়ে যাচ্ছে। ছবি: সংগৃহীত

জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের দায়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক গাড়িচালক আব্দুল মালেকের পাঁচ বছর ও তার স্ত্রী নার্গিস বেগমকে তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। 

বুধবার (১৬ এপ্রিল) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬-এর বিচারক জাকারিয়া হোসেন এ রায় দেন। 

দণ্ডের পাশাপাশি প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড, অনাদায়ে দুজনকে আরও তিন মাস করে বিনাশ্রম কারাভোগ করতে হবে বলে বিচারক রায়ের আদেশে উল্লেখ করেন। 

এ  ছাড়া আসামিদের জ্ঞাত আয়বহির্ভূত এক কোটি ১০ লাখ ৯৩ হাজার ৫০ টাকার সম্পদ রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানান দুদকের প্রসিকিউটর আসাদুজ্জামান রানা। 

রায় ঘোষণার আগে মালেককে কারাগার থেকে আদালতে আনা হয়। জামিনে থাকা নার্গিস বেগম আদালতে হাজির ছিলেন। রায়ের পর আসামিদের সাজা পরোয়ানা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়।

জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ এক কোটি ১০ লাখ ৯২ হাজার ৫০ টাকা মূল্যের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০২১ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি আব্দুল মালেক ও তার স্ত্রী নার্গিস বেগমের বিরুদ্ধে মামলাটি করেন দুদকের সহকারী পরিচালক সৈয়দ নজরুল ইসলাম। 

তদন্ত শেষে একই বছরের ২৭ অক্টোবর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।  

২০২২ সালের ১১ মে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। বিচার চলাকালে চার্জশিটভুক্ত ১০ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। 

এর আগে গত ২৩ মার্চ অবৈধ সম্পদ অর্জনের দায়ে আব্দুল মালেককে পৃথক দুই ধারায় ১৩ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন একই আদালত। 

এ ছাড়া ২০২১ সালে ২০ সেপ্টেম্বর অস্ত্র আইনের মামলায় আব্দুল মালেককে দুই ধারায় ৩০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

এম এ জলিল/সুমন

সৎ মেয়েকে ধর্ষণ মামলায় যুবকের যাবজ্জীবন

প্রকাশ: ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ০২:৫৮ পিএম
আপডেট: ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:০৪ পিএম
সৎ মেয়েকে ধর্ষণ মামলায় যুবকের যাবজ্জীবন
ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর হাতিরঝিলে সৎ মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলায় বাবা আনোয়ার হোসেনকে (২৯) যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। 

বুধবার (১৬ এপ্রিল) ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক সাবেরা সুলতানা খানম আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার পর আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়।

দণ্ডপ্রাপ্ত আনোয়ার নোয়াখালীর চাটখিল থানার নোয়াখলা ইউনিয়নের পূর্ব সোনাখালীর মৃত হোসেনের ছেলে।

সংশ্লিষ্ট আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর মো. আবুল কালাম আজাদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

২০২২ সালের ২০ সেপ্টেম্বর সৎ মেয়েকে ধর্ষণের ঘটনায় ভুক্তভোগীর মা হাতিরঝিল থানায় ধর্ষণ মামলা করেন। পরে তদন্ত শেষে সংশ্লিষ্ট থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. মিজানুর রহমান ২০২৩ সালের ১ এপ্রিল আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দেন। 

এরপর একই বছরের ২০ আগস্ট অভিযোগ গঠনের পর আসামির বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হয়। বিচার চলাকালে ছয়জন সাক্ষী আদালতে সাক্ষ্য দেন।

ঘটনার বিবরণে জানা গেছে, মামলার বাদী ভুক্তভোগীর মা হাতিরঝিল এলাকায় গৃহপরিচারিকার কাজ করতেন। বাদীর প্রথমপক্ষের বিবাহ বিচ্ছেদ হলে দুই সন্তানসহ আসামি আনোয়ার তাকে বিয়ে করেন। ২০২২ সালের ৪ আগস্ট তিনি তার দ্বিতীয় স্বামীর কাছে প্রথম পক্ষের ১৪ বছর বয়সী মেয়েকে বাসায় রেখে বাইরে যান। এদিন ভুক্তভোগীর গলায় চাকু ধরে হত্যার ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করেন আনোয়ার। ঘটনার দিন থেকে ২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এ আসামি ভুক্তভোগী মেয়েকে ১০ থেকে ১২ বার ধর্ষণ করেন।

জলিল/মেহেদী/

সালমান-আনিসুল-কামরুলসহ ১০ জনকে নতুন মামলায় গ্রেপ্তার

প্রকাশ: ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ০২:৫৭ পিএম
সালমান-আনিসুল-কামরুলসহ ১০ জনকে নতুন মামলায় গ্রেপ্তার
সালমান-আনিসুল-কামরুল

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় পৃথক মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাবেক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকসহ ১০ জনকে নতুন মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। 

বুধবার (১৬ এপ্রিল) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মিনহাজুর রহমান শুনানি শেষে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন। 

গ্রেপ্তারদের মধ্যে অন্যরা হলেন- সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম, জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু, ওয়ার্কাস পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, সাবেক নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান, সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, সাবেক সংসদ সদস্য আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব, পুলিশের সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, নাসা গ্রুপের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদার। 

এর আগে আসামিদের আদালতে হাজির করে পৃথক আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তারা। বিচারক শুনানি শেষে আবেদনগুলো মঞ্জুর করেন।  

আদালতের পাবলিক প্রসিকিউশন বিভাগের অফিসার ইনচার্জ কাজী গোলাম মোস্তফা এ তথ্য নিশ্চিত করেন। 

সূত্র জানায়, আনিসুল হককে শাহবাগ থানায় একটি, মুগদা থানায় একটি ও যাত্রাবাড়ী থানায় পাঁচটি, চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনকে মুগদা থানায় একটি, যাত্রাবাড়ী থানায় চারটি, জুনাইদ আহমেদ পলককে মুগদা থানায় একটি ও যাত্রাবাড়ী থানায় তিনটি, শাহজাহান খানকে যাত্রাবাড়ী থানায় তিনটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। 

এ ছাড়া সালমান এফ রহমান, নজরুল ইসলাম মজুমদার, রাশেদ খান মেনন, হাসানুল হক ইনু, আব্দুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকবকে যাত্রাবাড়ী থানায় পৃথক একটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। 

উজ্জ্বল/পপি/

রাজউকের প্লট দুর্নীতি: শেখ হাসিনাসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

প্রকাশ: ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ০২:৫৬ পিএম
রাজউকের প্লট দুর্নীতি: শেখ হাসিনাসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে
গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়। ছবি: সংগৃহীত

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়সহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। রাজধানীর পূর্বাচলে রাজউকের প্লট বরাদ্দে দুর্নীতির অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা পৃথক দুই মামলায় দাখিল করা অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে এ পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। 

পরোয়ানা জারি করা অন্য ১৬ জন হলেন, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম সরকার; সিনিয়র সহকারী সচিব পুরবি গোলদার, অতিরিক্ত সচিব কাজী ওয়াছি উদ্দিন, সাবেক সচিব শহিদ উল্লা খন্দকার, রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যানের ব্যক্তিগত সহকারী মো. আনিসুর রহমান মিঞা, রাজউকের সাবেক সদস্য মো. খুরশীদ আলম, মেজর (অব.) শামসুদ্দিন আহমেদ চৌধুরী ও মো. শফিউল হক, সদস্য তন্ময় দাস, মো. নাসির উদ্দিন ও মো. নুরুল ইসলাম, সহকারী পরিচালক মো. মাজহারুল ইসলাম, উপপরিচালক নায়েব আলী শরীফ, পরিচালক কামরুল ইসলাম, মো. সালাউদ্দিন এবং সাবেক গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ।

মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. জাকির হোসেন গালিব পৃথক আদেশে ওই পরোয়ানা জারি করেন। একই সঙ্গে আগামী ২৯ এপ্রিল পরোয়ানা তামিলসংক্রান্ত প্রতিবেদনের জন্য দিন ধার্য করেন।

দুই মামলাতেই শেখ হাসিনাকে আসামি করা হয়েছে। এক মামলায় শেখ হাসিনা ও জয়সহ ১৭ জন আসামি। অন্য মামলায় শেখ হাসিনাসহ ১২ জন আসামি। দুই মামলাতে ১১ জন আসামি এক ও অভিন্ন। সে অনুযায়ী উভয় মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা আসামির সংখ্যা ১৮ জন। দুর্নীতি দমন কমিশনের আদালতের প্রসিকিউশন কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আমিনুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

গত ২৫ মার্চ দুদক দুই মামলায় হাসিনা, জয়সহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে। তাদেরকে পলাতক দেখানো হয়েছে। বলা হয়েছে, শেখ হাসিনা রাজউক কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগসাজশে নিজের জন্য, বোন শেখ রেহানা, ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুল ও শেখ রেহানার ছেলে-মেয়েদের জন্য তথ্য গোপন করে প্লট বরাদ্দ নিয়েছিলেন।

এই মামলা দুটিতে পরোয়ানা জারির ফলে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া দুর্নীতির ছয়টি মামলাতেই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হলো। অন্য চারটিতে আগেই পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। 

নিজের এবং স্বজনদের নামে প্লট বরাদ্দে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ছয়টি মামলা করে দুদক। চলতি বছরের গত ১২, ১৩ ও ১৪ জানুয়ারি এই মামলাগুলো করা হয়।