ঢাকা ১৪ বৈশাখ ১৪৩২, রোববার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫
English
রোববার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫, ১৪ বৈশাখ ১৪৩২

শক্তি দইয়ে ভেজাল, ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে মামলা হাইকোর্টে বাতিল

প্রকাশ: ১৭ মার্চ ২০২৫, ০৫:২৩ পিএম
আপডেট: ১৭ মার্চ ২০২৫, ০৫:৩৪ পিএম
শক্তি দইয়ে ভেজাল, ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে মামলা হাইকোর্টে বাতিল
ফাইল ছবি

নোবেলবিজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে গ্রামীণ শক্তি দইয়ে ভেজালের অভিযোগে করা মামলা বাতিল করে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট।

সোমবার (১৭ মার্চ) বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।

মামলা বাতিলে জারি করা রুল মঞ্জুর করে এই রায় দেন আদালত।

আদালতে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী তানিম হোসেইন শাওন। আর রাষ্ট্রপক্ষে  ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তাহেরুল ইসলাম তৌহিদ। তিনি এই তথ্য নিশ্চিত করেন।

মাহমুদুল/মেহেদী/

রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের পদমর্যাদাক্রমের রিভিউ শুনানি ১৮ মে

প্রকাশ: ২৭ এপ্রিল ২০২৫, ১২:২৬ পিএম
রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের পদমর্যাদাক্রমের রিভিউ শুনানি ১৮ মে
ফাইল ছবি

রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের পদমর্যাদাক্রম (ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স) নিয়ে আপিল বিভাগের রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউয়ের পরবর্তী শুনানি আগামী ১৮ মে।

রবিবার (২৭ এপ্রিল) বিষয়টি নিয়ে শুনানির পর জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন ছয় বিচারপতির আপিল বিভাগ এই দিন ধার্য করেন।

আদালতে আজ (রবিবার) বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের রিভিউ আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার সালাউদ্দিন দোলন।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ রুলস অব বিজনেস অনুযায়ী ১৯৮৬ সালে ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স তৈরি করে। রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের পর ওই বছরের ১১ সেপ্টেম্বর তা জারি করা হয়। পরে বিভিন্ন সময়ে তা সংশোধন করা হয়। তবে ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স তৈরির ক্ষেত্রে সাংবিধানিক পদ, সংবিধান কর্তৃক স্বীকৃত ও সংজ্ঞায়িত পদগুলো প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের নিচের ক্রমিকে রাখা হয়েছে বলে বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক মহাসচিব মো. আতাউর রহমান ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্সের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ২০০৬ সালে হাইকোর্টে রিটটি করেন।

২০১০ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট আট দফা নির্দেশনাসহ ১৯৮৬ সালের ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স (সংশোধিত) অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করে রায় দেন। এ রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ ২০১১ সালে আপিল করে। সে আপিলের শুনানি শেষে ২০১৫ সালের ১১ জানুয়ারি রায় দেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। এই রায়ে হাইকোর্টের দেওয়া আট দফা নির্দেশনার কিছুটা সংশোধন করে তিন দফা নির্দেশনা দেওয়া হয়। সেগুলো হলো- ১. যেহেতু সংবিধান দেশের সর্বোচ্চ আইন, তাই বিরোধপূর্ণ প্রিসিডেন্সে সাংবিধানিক পদধারীরা অগ্রাধিকার পাবেন। ২. জুডিশিয়াল সার্ভিসের সদস্য হিসেবে জেলা জজ ও সমপদমর্যাদা সম্পন্নরা সরকারের সচিবদের সঙ্গে ১৬ নম্বরে অবস্থান করবেন। ৩. জেলা জজদের পরেই অতিরিক্ত সচিবেরা ১৭ নম্বর ক্রমিকে থাকবেন।

একপর্যায়ে আপিল বিভাগের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ আবেদন করে বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন। পরে রিভিউ আবেদনে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেলরা পক্ষভুক্ত হয়।

বাসস/তাওফিক/ 

চট্টগ্রামে হাইকোর্টের স্থায়ী বেঞ্চ স্থাপনের দাবিতে মতবিনিময়

প্রকাশ: ২৭ এপ্রিল ২০২৫, ১০:২৯ এএম
চট্টগ্রামে হাইকোর্টের স্থায়ী বেঞ্চ স্থাপনের দাবিতে মতবিনিময়
চট্টগ্রামে হাইকোর্টের স্থায়ী বেঞ্চ স্থাপনের দাবিতে মতবিনিময়। ছবি: খবরের কাগজ

চট্টগ্রামে হাইকোর্টের স্থায়ী বেঞ্চ স্থাপনের দাবিতে আইনজীবী ও গণমাধ্যমকর্মীরা মতবিনিময় সভা করেছেন। এতে বৃহত্তর চট্টগ্রাম বিভাগের বিশাল জনগোষ্ঠীর বিচারপ্রার্থীদের প্রয়োজনের কথা তুলে ধরা হয়। সেখানে থাকা আইনজীবীরা অভিযোগ করেন, দীর্ঘদিন ধরে এমন দাবি করা হলেও ঢাকার বিরোধিতার কারণে তা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে না।

শনিবার (২৬ এপ্রিল) সকাল ১০টায় চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। ‘হাইকোর্ট বেঞ্চ বাস্তবায়ন পরিষদ’ ও চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় এতে আইনজীবী ছাড়াও সমাজকর্মী, মানবাধিকারকর্মী ও সাংবাদিকরা অংশ নেন।

তখন লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন হাইকোর্ট বাস্তবায়ন পরিষদের সভাপতি অ্যাডভোকেট এস এম বদরুল আনোয়ার। এতে বলা হয়, চট্টগ্রামবাসীর দীর্ঘদিনের প্রাণের দাবি চট্টগ্রামে হাইকোর্টের বেঞ্চ প্রতিষ্ঠা করা। সম্প্রতি বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে বিষয়টি নিয়ে বক্তব্য তুলে ধরেছেন বিচারপতি শাহ আবু নাঈম মমিনুর রহমান। এ জন্য আমরা তাকে ধন্যবাদ জানাই। বর্তমানে প্রায় ২০ কোটি জনগণের বাংলাদেশে বিচারিকসেবা দিচ্ছেন মাত্র দুই হাজার বিচারক।

এ সময় অ্যাডভোকেট কাশেম কামাল বলেন, ‘বর্তমানের নতুন বাংলাদেশ, পরিবর্তিত বাংলাদেশ। এ পরিস্থিতিতে জোরালোভাবে বেঞ্চ স্থাপনের দাবিটিকে আমরা পুনরায় রাষ্ট্রপতি, প্রধান উপদেষ্টা, প্রধান বিচারপতি, আইন উপদেষ্টা এবং অ্যাটর্নি জেনারেলসহ বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সুবিবেচনার জন্য পেশ করতে চাই। এটি জনগণের স্বার্থে করা উচিত বলে আমরা মনে করি। এখন আমাদের ভেবে দেখার সময় এসেছে দীর্ঘ ৪৫ বছরে এই ইস্যুতে আমাদের অর্জন কি? সমস্যাই বা কোথায়? সমাধানই বা কি?’

এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন, হাইকোর্টে বেঞ্চ বাস্তবায়ন পরিষদের প্রধান সমন্বয়কারী অ্যাডভোকেট বদরুল হুদা মামুন, চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি নাজিমউদ্দীন চৌধুরী, সাবেক সেক্রেটারি জাহেদ হোসেন মীর, সাবেক সভাপতি মাহবুবউদ্দীন আহমেদ, জিয়া হাবিব আহসান, বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সাবেক সদস্য মাহবুব উদ্দিন আহমেদ, চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির বর্তমান সভাপতি আবদুস সাত্তার প্রমুখ। এতে আরও বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সদস্যসচিব জাহিদুল করিম কচি, চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মোহাম্মদ শাহনওয়াজ, সাংবাদিক কাজী আবুল মুনসুর।

পারভেজ হত্যা মামলার প্রধান আসামি ৫ দিনের রিমান্ডে

প্রকাশ: ২৫ এপ্রিল ২০২৫, ০৫:৫৩ পিএম
আপডেট: ২৫ এপ্রিল ২০২৫, ০৬:০৫ পিএম
পারভেজ হত্যা মামলার প্রধান আসামি ৫ দিনের রিমান্ডে
প্রাইম এশিয়া ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম পারভেজ হত্যা মামলার প্রধান আসামি মেহেরাজ ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর বনানীতে প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম পারভেজ হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার প্রধান আসামি মেহেরাজ ইসলামকে পাঁচ দিন রিমান্ড নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেরা মাহবুব ওই আদেশ দেন।

এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বনানী থানার পরিদর্শক এ কে এম মাইন উদ্দিন আসামিকে আদালতে হাজির করেন। সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে ১০ দিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন। আসামির আইনজীবী পুলিশের রিমান্ড নামঞ্জুর করে জামিন চান। শুনানি শেষে বিচারক তার জামিন আবেদন নাকচ করে  রিমান্ড মঞ্জুর করেন। 

গত বুধবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে গাইবান্ধা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গত বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) এ মামলায় গ্রেপ্তার একই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মো. মাহাথির হাসান আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন।

গত বুধবার কামাল আদালতে দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দেন। একইদিন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন বনানী থানার কমিটির যুগ্ম সদস্য সচিব মো. হৃদয় মিয়াজীর সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়।

এর আগে গত ২১ এপ্রিল মামলায় গ্রেপ্তার আল কামাল শেখ ওরফে কামাল (১৯), আলভী হোসেন জুনায়েদ (১৯) ও আল আমিন সানির (১৯) সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়। 

মামলার নথি থেকে জানা গেছে, প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের টেক্সটাইল বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন জাহিদুল ইসলাম পারভেজ। তার মিডটার্ম পরীক্ষা চলছিল। পরীক্ষা শেষে ১৯ এপ্রিল বেলা ৩টায় বন্ধু তরিকুল, সুকর্ণ, ইমতিয়াজসহ কয়েকজন মিলে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিপরীতে পাশের একটি সিঙ্গাড়ার দোকানে দাঁড়িয়ে কথাবার্তা বলছিলেন। হাসাহাসি করছিলেন। তাদের পেছনেই দাঁড়ানো ছিল ইউনিভার্সিটি অব স্কলারসের দুজন ছাত্রী। পারভেজ তাদের নিয়ে হাসাহাসি করেছেন কি না, সেটি জানতে আসেন মেহেরাজ ইসলাম, আবু জহর গিফফারি পিয়াস ও মাহাথির হাসান নামের তিনজন। এ নিয়ে তাদের মধ্যে তর্ক-বিতর্ক শুরু হয়। এ ঘটনা প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিস পর্যন্ত গড়ায়। শিক্ষকদের মধ্যস্থতায় বিষয়টি মীমাংসা হওয়ার পরও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বের হওয়ার সময় গেটের সামনে পারভেজের ওপর হামলা হয়। ছুরিকাঘাতে তিনি মারা যান। এ ঘটনায় ১৯ এপ্রিল দিবাগত রাতে তার মামাতো ভাই হুমায়ুন কবীর বাদী হয়ে বনানী থানায় হত্যা মামলা করেন।

এতে প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও বহিরাগতসহ আটজনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। মামলার আসামিরা হলেন– মেহেরাজ ইসলাম (২০), আবু জহর গিফফারি পিয়াস (২০), মো. মাহাথির হাসান (২০), সোবহান নিয়াজ তুষার (২৪), হৃদয় মিয়াজি (২৩), রিফাত (২১), আলী (২১) ও ফাহিম (২২)। এ ছাড়া অজ্ঞাত পরিচয়ের আরও ২৫/৩০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

এম এ জলিল উজ্জ্বল/এমএ/

 

 

সাবেক প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা

প্রকাশ: ২৫ এপ্রিল ২০২৫, ০১:৫১ পিএম
সাবেক প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা
সাবেক বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী

অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সাবেক বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী ও তার স্ত্রী শামীমা জাফরিনের বিরুদ্ধে পৃথক মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। 

গত বুধবার (২৩ এপ্রিল) দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১-এ মামলা দুটি করা হয়। 

মামলা দুটিতে মাহবুব আলী ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে ৯ কোটি ৪৪ লাখ ৪৯ হাজার ৪৯৫ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়। দুদকের মুখপাত্র ও মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. আক্তার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মাহবুব আলীর বিরুদ্ধে করা মামলায় বলা হয়, তিনি প্রতিমন্ত্রী থাকার সময় ক্ষমতার অপব্যবহার করে ও ঘুষ-দুর্নীতির মাধ্যমে ৫ কোটি ৪৮ লাখ ৯১ হাজার ৭১৮ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন, যা ২০০৪ সালের দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ও ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ।  

শামীমা জাফরিনের বিরুদ্ধে করা মামলায় বলা হয়, তিনি তার স্বামীর সহযোগিতায় ক্ষমতার অপব্যবহার ও দুর্নীতির মাধ্যমে ৩ কোটি ৯৫ লাখ ৫৭ হাজার ৭৭৭ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন। এ মামলায় মাহবুব আলীকে সহযোগী আসামি করা হয়েছে। 

১৫ বিচারকের সম্পদ বিবরণী তলব

প্রকাশ: ২৫ এপ্রিল ২০২৫, ০১:০৪ পিএম
১৫ বিচারকের সম্পদ বিবরণী তলব
খবরের কাগজ গ্রাফিকস

অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে আইন মন্ত্রণালয়ের সাবেক যুগ্ম সচিব (প্রশাসন) বিকাশ কুমার সাহাসহ ১৫ জন বিচারকের ব্যক্তিগত নথি ও সম্পদের বিবরণী চেয়ে চিঠি দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদকের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম গত মঙ্গলবার আইন মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর এই চিঠি পাঠান। 

বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) দুদক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

নথি ও সম্পদ বিবরণী তলবের আওতায় থাকা বিচারকরা হলেন ঢাকার সাবেক চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) রেজাউল করিম চৌধুরী, সাবেক অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (এসিএমএম) মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান, কুষ্টিয়ার নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালের বিচারক শেখ গোলাম মাহবুব, কিশোরগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মাহবুবুর রহমান সরকার, সিলেটের সাবেক জেলা জজ মনির কামাল, ঢাকা মহানগর আদালতের সাবেক অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন, মাগুরার সাবেক অতিরিক্ত জেলা জজ মুশফিকুর ইসলাম, গাজীপুরের সাবেক চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কাইসারুল ইসলাম, নরসিংদীর সাবেক চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোল্লা সাইফুল আলম, ময়মনসিংহের সাবেক বিশেষ জজ ফারহানা ফেরদৌস, শেরপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালের সাবেক জজ কামরুন নাহার রুমি, ঢাকার সাবেক অতিরিক্ত জেলা জজ শওকত হোসেন, সিরাজগঞ্জের সাবেক অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ এরফান উল্লাহ এবং হবিগঞ্জ জেলা জজ সাইফুল আলম চৌধুরী।
চিঠিতে সংশ্লিষ্টদের ব্যক্তিগত নথি, ডেটাশিট এবং সর্বশেষ দাখিল করা সম্পদ বিবরণীর কপি আগামী ২৯ এপ্রিলের মধ্যে সরবরাহের অনুরোধ জানানো হয়েছে। 

২০১৪ সালে তৎকালীন সরকারের আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান অ্যাডভোকেট আনিসুল হক। ওই সময় থেকে ধীরে ধীরে কলুষিত হতে থাকে বিচার বিভাগ। খোদ আইন মন্ত্রণালয়সহ ঢাকা ও এর আশপাশের আদালতগুলোতে কর্মরত বেশ কিছু বিচারক মন্ত্রীর আস্থাভাজন হয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার, অনিয়ম-দুর্নীতি, জালিয়াতি-প্রতারণা ও বিভিন্ন অপকর্মে জড়িয়ে পড়েন। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন আইন মন্ত্রণালয়ের সাবেক যুগ্ম সচিব (প্রশাসন) বিকাশ কুমার সাহা, ঢাকার সাবেক মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) রেজাউল করিম ও সাবেক অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম (এসিএমএম) মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান নূর। তারা ঘুষ-দুর্নীতি, অপরাধমূলক অসদাচরণ ও বিভিন্ন অনিয়মের মাধ্যমে অবৈধভাবে টাকা উপার্জন করে নিজে ও পরিবারের সদস্যদের নামে বিপুল পরিমাণ সম্পদ অর্জন করেন মর্মে সম্প্রতি দুদকে অভিযোগ আসে। 

অভিযোগ অনুসন্ধানের জন্য দুদকের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মনিরুল ইসলামের নেতৃত্বে দুই সদস্যের একটি বিশেষ অনুসন্ধান কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির অপর সদস্য হলেন উপসহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন। অনুসন্ধানের প্রাথমিক তথ্যের ভিত্তিতে ১৫ জনের ব্যক্তিগত তথ্য ও সম্পদ বিবরণী তলব করলেন অনুসন্ধানকারী টিমের সদস্যরা।