ঢাকা ১৪ বৈশাখ ১৪৩২, রোববার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫
English
রোববার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫, ১৪ বৈশাখ ১৪৩২

নতুন দলের নিবন্ধন: ইসির গণবিজ্ঞপ্তি চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট

প্রকাশ: ১৭ মার্চ ২০২৫, ০৯:১০ পিএম
নতুন দলের নিবন্ধন: ইসির গণবিজ্ঞপ্তি চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট
ছবি: সংগৃহীত

নতুন রাজনৈতিক দলের নিবন্ধনের জন্য নির্বাচন কমিশনের (ইসি) জারি করা সাম্প্রতিক গণবিজ্ঞপ্তি চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে একটি রিট করা হয়েছে। রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম এ রিট করেন।

সোমবার (১৭ মার্চ) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এই রিট করেন তিনি।

এতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশনের সচিব এবং নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনকে বিবাদী করা হয়েছে।

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী হাসনাত কাইয়ুম এ বিষয়ে বলেন, ‘রিটে আমরা কয়েকটি বিষয়কে চ্যালেঞ্জ করেছি। এর অন্যতম হলো রাজনৈতিক দলের নিবন্ধনের জন্য ইসির আইনে বলা আছে- রাজনৈতিক দলের নিবন্ধনের জন্য কমপক্ষে ১০০ উপজেলা ও ২২ জেলায় দলের কমিটি থাকতে হবে। কিন্তু পাহাড়ি জনসংখ্যা অধ্যুষিত তিন জেলায় উপজেলা আছে মাত্র ২০টি। তাই পাহাড়ি জনগোষ্ঠী ইচ্ছা করলেও রাজনৈতিক দল গঠন করতে পারবে না, এমনকি আঞ্চলিক দলও গঠন করতে পারবে না। ইসির বর্তমান আইন অনুযায়ী পাহাড়ি জনগোষ্ঠীকে রাজনৈতিক দল গঠনের সুযোগ থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। এ কারণে পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর রাজনৈতিক দল গঠনের অধিকারসহ আরও কয়েকটি বিষয় উল্লেখ করে এ রিট করা হয়েছে। এতে ইসির গণবিজ্ঞপ্তি বাতিলের নির্দেশনা চেয়েছি।’ আগামীকাল মঙ্গলবার রিট আবেদনটির ওপর শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে বলে জানান হাসনাত কাইয়ুম।

প্রসঙ্গত, ইসি গত ১০ মার্চ রাজনৈতিক দলের নিবন্ধনের জন্য গণবিজ্ঞপ্তি জারি করে। এতে আগামী ২০ এপ্রিলের মধ্যে নিবন্ধন পেতে রাজনৈতিক দলগুলোকে আবেদন করার আহ্বান জানানো হয়েছে। 

পারভেজ হত্যা মামলার প্রধান আসামি ৫ দিনের রিমান্ডে

প্রকাশ: ২৫ এপ্রিল ২০২৫, ০৫:৫৩ পিএম
আপডেট: ২৫ এপ্রিল ২০২৫, ০৬:০৫ পিএম
পারভেজ হত্যা মামলার প্রধান আসামি ৫ দিনের রিমান্ডে
প্রাইম এশিয়া ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম পারভেজ হত্যা মামলার প্রধান আসামি মেহেরাজ ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর বনানীতে প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম পারভেজ হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার প্রধান আসামি মেহেরাজ ইসলামকে পাঁচ দিন রিমান্ড নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেরা মাহবুব ওই আদেশ দেন।

এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বনানী থানার পরিদর্শক এ কে এম মাইন উদ্দিন আসামিকে আদালতে হাজির করেন। সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে ১০ দিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন। আসামির আইনজীবী পুলিশের রিমান্ড নামঞ্জুর করে জামিন চান। শুনানি শেষে বিচারক তার জামিন আবেদন নাকচ করে  রিমান্ড মঞ্জুর করেন। 

গত বুধবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে গাইবান্ধা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গত বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) এ মামলায় গ্রেপ্তার একই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মো. মাহাথির হাসান আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন।

গত বুধবার কামাল আদালতে দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দেন। একইদিন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন বনানী থানার কমিটির যুগ্ম সদস্য সচিব মো. হৃদয় মিয়াজীর সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়।

এর আগে গত ২১ এপ্রিল মামলায় গ্রেপ্তার আল কামাল শেখ ওরফে কামাল (১৯), আলভী হোসেন জুনায়েদ (১৯) ও আল আমিন সানির (১৯) সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়। 

মামলার নথি থেকে জানা গেছে, প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের টেক্সটাইল বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন জাহিদুল ইসলাম পারভেজ। তার মিডটার্ম পরীক্ষা চলছিল। পরীক্ষা শেষে ১৯ এপ্রিল বেলা ৩টায় বন্ধু তরিকুল, সুকর্ণ, ইমতিয়াজসহ কয়েকজন মিলে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিপরীতে পাশের একটি সিঙ্গাড়ার দোকানে দাঁড়িয়ে কথাবার্তা বলছিলেন। হাসাহাসি করছিলেন। তাদের পেছনেই দাঁড়ানো ছিল ইউনিভার্সিটি অব স্কলারসের দুজন ছাত্রী। পারভেজ তাদের নিয়ে হাসাহাসি করেছেন কি না, সেটি জানতে আসেন মেহেরাজ ইসলাম, আবু জহর গিফফারি পিয়াস ও মাহাথির হাসান নামের তিনজন। এ নিয়ে তাদের মধ্যে তর্ক-বিতর্ক শুরু হয়। এ ঘটনা প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিস পর্যন্ত গড়ায়। শিক্ষকদের মধ্যস্থতায় বিষয়টি মীমাংসা হওয়ার পরও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বের হওয়ার সময় গেটের সামনে পারভেজের ওপর হামলা হয়। ছুরিকাঘাতে তিনি মারা যান। এ ঘটনায় ১৯ এপ্রিল দিবাগত রাতে তার মামাতো ভাই হুমায়ুন কবীর বাদী হয়ে বনানী থানায় হত্যা মামলা করেন।

এতে প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও বহিরাগতসহ আটজনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। মামলার আসামিরা হলেন– মেহেরাজ ইসলাম (২০), আবু জহর গিফফারি পিয়াস (২০), মো. মাহাথির হাসান (২০), সোবহান নিয়াজ তুষার (২৪), হৃদয় মিয়াজি (২৩), রিফাত (২১), আলী (২১) ও ফাহিম (২২)। এ ছাড়া অজ্ঞাত পরিচয়ের আরও ২৫/৩০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

এম এ জলিল উজ্জ্বল/এমএ/

 

 

সাবেক প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা

প্রকাশ: ২৫ এপ্রিল ২০২৫, ০১:৫১ পিএম
সাবেক প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা
সাবেক বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী

অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সাবেক বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী ও তার স্ত্রী শামীমা জাফরিনের বিরুদ্ধে পৃথক মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। 

গত বুধবার (২৩ এপ্রিল) দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১-এ মামলা দুটি করা হয়। 

মামলা দুটিতে মাহবুব আলী ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে ৯ কোটি ৪৪ লাখ ৪৯ হাজার ৪৯৫ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়। দুদকের মুখপাত্র ও মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. আক্তার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মাহবুব আলীর বিরুদ্ধে করা মামলায় বলা হয়, তিনি প্রতিমন্ত্রী থাকার সময় ক্ষমতার অপব্যবহার করে ও ঘুষ-দুর্নীতির মাধ্যমে ৫ কোটি ৪৮ লাখ ৯১ হাজার ৭১৮ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন, যা ২০০৪ সালের দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ও ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ।  

শামীমা জাফরিনের বিরুদ্ধে করা মামলায় বলা হয়, তিনি তার স্বামীর সহযোগিতায় ক্ষমতার অপব্যবহার ও দুর্নীতির মাধ্যমে ৩ কোটি ৯৫ লাখ ৫৭ হাজার ৭৭৭ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন। এ মামলায় মাহবুব আলীকে সহযোগী আসামি করা হয়েছে। 

১৫ বিচারকের সম্পদ বিবরণী তলব

প্রকাশ: ২৫ এপ্রিল ২০২৫, ০১:০৪ পিএম
১৫ বিচারকের সম্পদ বিবরণী তলব
খবরের কাগজ গ্রাফিকস

অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে আইন মন্ত্রণালয়ের সাবেক যুগ্ম সচিব (প্রশাসন) বিকাশ কুমার সাহাসহ ১৫ জন বিচারকের ব্যক্তিগত নথি ও সম্পদের বিবরণী চেয়ে চিঠি দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদকের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম গত মঙ্গলবার আইন মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর এই চিঠি পাঠান। 

বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) দুদক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

নথি ও সম্পদ বিবরণী তলবের আওতায় থাকা বিচারকরা হলেন ঢাকার সাবেক চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) রেজাউল করিম চৌধুরী, সাবেক অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (এসিএমএম) মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান, কুষ্টিয়ার নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালের বিচারক শেখ গোলাম মাহবুব, কিশোরগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মাহবুবুর রহমান সরকার, সিলেটের সাবেক জেলা জজ মনির কামাল, ঢাকা মহানগর আদালতের সাবেক অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন, মাগুরার সাবেক অতিরিক্ত জেলা জজ মুশফিকুর ইসলাম, গাজীপুরের সাবেক চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কাইসারুল ইসলাম, নরসিংদীর সাবেক চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোল্লা সাইফুল আলম, ময়মনসিংহের সাবেক বিশেষ জজ ফারহানা ফেরদৌস, শেরপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালের সাবেক জজ কামরুন নাহার রুমি, ঢাকার সাবেক অতিরিক্ত জেলা জজ শওকত হোসেন, সিরাজগঞ্জের সাবেক অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ এরফান উল্লাহ এবং হবিগঞ্জ জেলা জজ সাইফুল আলম চৌধুরী।
চিঠিতে সংশ্লিষ্টদের ব্যক্তিগত নথি, ডেটাশিট এবং সর্বশেষ দাখিল করা সম্পদ বিবরণীর কপি আগামী ২৯ এপ্রিলের মধ্যে সরবরাহের অনুরোধ জানানো হয়েছে। 

২০১৪ সালে তৎকালীন সরকারের আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান অ্যাডভোকেট আনিসুল হক। ওই সময় থেকে ধীরে ধীরে কলুষিত হতে থাকে বিচার বিভাগ। খোদ আইন মন্ত্রণালয়সহ ঢাকা ও এর আশপাশের আদালতগুলোতে কর্মরত বেশ কিছু বিচারক মন্ত্রীর আস্থাভাজন হয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার, অনিয়ম-দুর্নীতি, জালিয়াতি-প্রতারণা ও বিভিন্ন অপকর্মে জড়িয়ে পড়েন। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন আইন মন্ত্রণালয়ের সাবেক যুগ্ম সচিব (প্রশাসন) বিকাশ কুমার সাহা, ঢাকার সাবেক মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) রেজাউল করিম ও সাবেক অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম (এসিএমএম) মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান নূর। তারা ঘুষ-দুর্নীতি, অপরাধমূলক অসদাচরণ ও বিভিন্ন অনিয়মের মাধ্যমে অবৈধভাবে টাকা উপার্জন করে নিজে ও পরিবারের সদস্যদের নামে বিপুল পরিমাণ সম্পদ অর্জন করেন মর্মে সম্প্রতি দুদকে অভিযোগ আসে। 

অভিযোগ অনুসন্ধানের জন্য দুদকের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মনিরুল ইসলামের নেতৃত্বে দুই সদস্যের একটি বিশেষ অনুসন্ধান কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির অপর সদস্য হলেন উপসহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন। অনুসন্ধানের প্রাথমিক তথ্যের ভিত্তিতে ১৫ জনের ব্যক্তিগত তথ্য ও সম্পদ বিবরণী তলব করলেন অনুসন্ধানকারী টিমের সদস্যরা।

ডা. জাহাঙ্গীর কবির-জারার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে লিগ্যাল নোটিশ

প্রকাশ: ২৫ এপ্রিল ২০২৫, ১২:৫৬ পিএম
ডা. জাহাঙ্গীর কবির-জারার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে লিগ্যাল নোটিশ
ছবি: সংগৃহীত

নোটিশে ডা. জাহাঙ্গীর কবির ও ডাক্তার তাসনিম জারাসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অশ্লীলতা ছড়ানো ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে ফেসবুক, ইউটিউব, টিকটক, লাইকিসহ সব অনলাইন মাধ্যমে অশ্লীল ও পর্নোগ্রাফিক ভিডিও, বিজ্ঞাপন ও প্রচারণা বন্ধ করতে সংশ্লিষ্টদের লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৬ এপ্রিল) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ন কবির পল্লব এই নোটিশ পাঠান।

মানবাধিকার সংগঠন ল’ অ্যান্ড লাইফ ফাউন্ডেশন ট্রাস্ট এবং সুপ্রিম কোর্টের দুই আইনজীবী বায়েজিদ হোসেন ও নাঈম সরদারের পক্ষে অনলাইন ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অশ্লীলতার ভয়াবহতা উল্লেখ করে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সচিব, তথ্য ও সম্প্রচার সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, আইন সচিব, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন, পুলিশের মহাপরিদর্শক বরাবর ডাকযোগে জনস্বার্থে নোটিশটি পাঠানো হয়।

নোটিশে উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশের প্রচলিত আইন এবং সংবিধান অনুযায়ী যেকোনো ধরনের অশ্লীল ছবি বা ভিডিও তৈরি, প্রচার ও প্রকাশ করা বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ। কিন্তু নোটিশ গ্রহীতাদের নিষ্ক্রিয়তার কারণে অনেকে বিভিন্ন ধরনের অশ্লীল এবং পর্নোগ্রাফিক ছবি, ভিডিও বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার ও প্রকাশ করে আসছে। ফলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকারীদের জন্য ফেসবুক ইউটিউব এবং অন্যান্য অনলাইন প্লাটফর্ম ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।

পারিবারিক এবং সামাজিক পরিমণ্ডলে এসবের অনাকাঙ্ক্ষিত প্রভাব পড়ছে। পারিবারিক এবং সামাজিক মূল্যবোধ হারিয়ে যাচ্ছে।

বিভিন্ন পত্র-পত্রিকার তথ্য মতে, বাংলাদেশের অধিকাংশ শিশু-কিশোররা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন অশ্লীল ভিডিও এবং পর্নোগ্রাফিতে আসক্ত। হাতে হাতে স্মার্টফোন এবং ইন্টারনেট থাকায় প্রাপ্তবয়স্কদের পাশাপাশি কোমলমতি শিশুরাও আসক্ত হচ্ছে। ফলে এই সুযোগে বিদেশি কোম্পানিগুলো দেশীয় সিন্ডিকেটের সঙ্গে যুক্ত হয়ে হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করে নিয়ে যাচ্ছে। 
বাংলাদেশের নামিদামি সেলিব্রেটি এবং শোবিজ মডেল ও তারকা তাদের নিজস্ব ফেসবুক পেজ এবং ফেসবুক অ্যাকাউন্টে টাকার বিনিময়ে বিভিন্ন অশ্লীল ভিডিও ও বিজ্ঞাপন প্রমোট করছেন। অনেক ডাক্তার নিজেদের ভিউ বাড়ানোর জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন ঔষধ এবং সামগ্রীর বিক্রয়ের জন্য অশ্লীল ভিডিও এবং বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে আকৃষ্ট করে।

ডা. জাহাঙ্গির কবির, ডা. তাসনিম জারাসহ অনেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন পরামর্শের আড়ালে ভিডিও বক্তব্য ও ছবির মাধ্যমে যৌন উত্তেজক ওষুধ বিক্রি করে থাকেন। ওইসব ছবি এবং ভিডিও সমাজে ব্যাপকভাবে অশ্লীলতা ছড়িয়ে সামাজিক এবং পারিবারিক মূল্যবোধকে বিনষ্ট করছে। বিষয়গুলো খুবই উদ্বেগজনক এবং এর বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং ইন্টারনেট যেহেতু পাবলিক পরিসর সেহেতু এইসব মাধ্যমে অশ্লীল ভিডিও এবং পর্নোগ্রাফিক ছবি প্রচার একটি গণ উপদ্রব, যা দন্ডবিধির ২৬৮ ধারা অনুযায়ী অপরাধ। আবার ২৯২, ২৯৩ ও ২৯৪ ধারা অনুযায়ী কোনো ধরনের অশ্লীল ভিডিও বা ছবি তৈরি, প্রচার ও প্রকাশ করা দণ্ডনীয় অপরাধ। আমাদের সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১৮ অনুযায়ী রাষ্ট্র জনসাস্থ্যের উন্নতিসাধনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে সাংবিধানিকভাবে দায়বদ্ধ। ২০০১ সালের বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইনের ২৯ এবং ৩০ ধারায় একটি নির্ভরযোগ্য ও নিরাপদ ইন্টারনেট সেবা এবং টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা নিশ্চিত করার বাধ্যবাধকতা আরোপ করা হয়েছে। কিন্তু পরিতাপের বিষয় হলো, এসব কর্তৃপক্ষ যথাযথভাবে আইনের প্রয়োগ না করায় ইন্টারনেট ও টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা অশ্লীলতা, ক্ষতিকর ও বেআইনি অপরাধমূলক উপাদানে ভরপুর। যা কোনভাবেই কাম্য নয়।

অবিলম্বে ফেসবুক, ইউটিউব, টিকটক, লাইকিসহ সব অনলাইন মাধ্যমে অশ্লীল ও পর্নোগ্রাফিক ভিডিও, বিজ্ঞাপন ও প্রচারণা বন্ধ করতে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ এবং জড়িতদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্টদের  ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ করা হয়েছে।

অবিলম্বে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে ল’ অ্যান্ড লাইফ ফাউন্ডেশন জনস্বার্থে হাইকোর্টে রিট দায়ের করে যথাযথ আইনি পদক্ষেপ নেবে বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে।

সূত্র: বাসস

সিফাত/

সাবেক সংসদ সদস্য সারোয়ার কবির ২ দিনের রিমান্ডে

প্রকাশ: ২৫ এপ্রিল ২০২৫, ১২:১৫ পিএম
সাবেক সংসদ সদস্য সারোয়ার কবির ২ দিনের রিমান্ডে
সাবেক সংসদ সদস্য সারোয়ার কবির দুই দিনের রিমান্ডে। ছবি: খবরের কাগজ

গাইবান্ধা-২ (সদর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) শাহ সারোয়ার কবিরের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। 

বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) বিকেলে তাকে গাইবান্ধা অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়। ওই আদালতের বিচারক জাহাঙ্গীর হোসেন এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

রিমান্ডের বিষয়টি নিশ্চিত করে গাইবান্ধা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিনুর রহমান তালুকদার বলেন, জেলা বিএনপি কার্যালয় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ মামলায় সাবেক এমপিকে আদালতে তোলা হয়। এ সময় এমপিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে দশ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও সদর থানার উপ-পরিদর্শক মনিরুজ্জামান। আদালত দুইদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এর আগে গত ১৫ এপ্রিল রাতে দিনাজপুর পৌর শহরের ঈদগাহ বস্তি এলাকা থেকে শাহ সারোয়ার কবিকে আটক করে পুলিশ। পরদিন বিকেলে তাকে গাইবান্ধা অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তোলা হয়। এ সময় তার আইনজীবী জামিনের জন্য আবেদন করেন। আদালত জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে জেলা কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত ৪ আগস্ট বিকেলে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগসহ অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা শহরের সার্কুলার রোডের জেলা বিএনপির কার্যালয়ে হামলা চালায়। এ ঘটনায় জেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক আবদুল হাই বাদী ২৬ আগস্ট শাহ সারোয়ার কবিরসহ আওয়ামী লীগের ৩৬৪ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে সদর থানায় মামলা করেন।