ঢাকা ১১ বৈশাখ ১৪৩২, বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫
English
বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ১১ বৈশাখ ১৪৩২

কুমিল্লায় সমিতির অর্থ আত্মসাৎ মামলায় আইনজীবী নেতা কারাগারে

প্রকাশ: ১৮ মার্চ ২০২৫, ০৩:৫৯ পিএম
কুমিল্লায় সমিতির অর্থ আত্মসাৎ মামলায় আইনজীবী নেতা কারাগারে
ছবি: সংগৃহীত

কুমিল্লা আইনজীবী সমিতির সাড়ে ৪ কোটি টাকা আত্মসাৎ মামলায় সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাডভোকেট আবু তাহেরকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। গতকাল সোমবার হাইকোর্টের নির্দেশে কুমিল্লা আদালতের আত্মসমর্পণ করলে আদালত তাকে কারাগারে পাঠান। জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. মাহবুবুর রহমান এ আদেশ দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুমিল্লা আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট কাইমুল হক রিংকু।

এর আগে গত বছরের ২৬ ডিসেম্বর সমিতির ৪ কোটি ২৪ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে অ্যাডভোকেট আবু তাহের এবং হিসাবরক্ষক কাজী সুমনের বিরুদ্ধে কুমিল্লা আদালতে মামলা করা হয়। সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে এ মামলা করেন। অভিযুক্ত অ্যাডভোকেট আবু তাহের কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের আইনবিষয়ক সম্পাদক। সাবেক স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলামের আস্থাভাজন বলে জানা যায়।

অভিযোগে জানা গেছে, লেজার বইয়ে ওভাররাইটিং, ভুয়া ও দ্বৈত ভাউচার করা, লেজার বইয়ের বিভিন্ন অংশে ফ্লুইড ব্যবহার করে অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে অভিযুক্ত অ্যাডভোকেট আবু তাহের ২০২২-২৩ এবং ২০২৩-২৪ অর্থবছরে দুই মেয়াদে আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক থাকাকালে হিসাবরক্ষক কাজী সুমনকে নিয়ে আত্মসাৎ করেন ৪ কোটি ২৪ লাখ ২৩ হাজার ৭২০ টাকা। এর মধ্যে প্রথম মেয়াদে ২০২২-২৩ অর্থবছরে আত্মসাৎ করেন ৩ কোটি ৩০ লাখ ৩৮ হাজার ১৪৪ টাকা এবং দ্বিতীয় মেয়াদের ২০২৩-২৪ অর্থবছরে আত্মসাৎ করেন ১ কোটি ১৫ লাখ ৮৯ হাজার ৭৬ টাকা।

আইনজীবী সদস্যদের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে এর আগে ২০২৪ সালের ৬ নভেম্বর সমিতির সাধারণ সভার প্রস্তাবক্রমে একই বছরের ২৪ নভেম্বর কার্যকরী কমিটির জরুরি সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক অভিযুক্ত অ্যাডভোকেট আবু তাহেরের কুমিল্লা জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সদস্য পদ স্থগিত করা হয় এবং একই সঙ্গে হিসাবরক্ষক কাজী সুমনকে বহিষ্কার করা হয়।

এদিকে মামলায় হাইকোর্টের আগাম জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করতে আসেন আবু তাহের। সোমবার দুপুরে সরাসরি তিনি এজলাসে যাচ্ছিলেন। মাস্ক পরে এজলাসে যাওয়ার পথে আইনজীবীরা তাকে দেখে ধাওয়া দেন। এ সময় তিনি দৌড়ে এজলাসে ঢুকতে যাওয়ার আগেই আইনজীবীরা তাকে এলোপাতাড়ি কিল-ঘুসি মারেন। একপর্যায়ে তিনি এজলাসে ঢুকে পড়েন। এ সময় আইনজীবীরা তাকে হামলার চেষ্টা করলেও বিচারক চলে আসেন। পরে আইনজীবীরা এজলাসের বাইরে অবস্থান করেন।

পরে আদালত উভয় পক্ষের শুনানি শেষে জেলহাজতে পাঠান। পরে তাকে জেলহাজতে পাঠানোর সময় আবার আইনজীবীরা জড়ো হতে থাকেন। বেলা ৩টার কিছু আগে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্য দিয়ে তাকে প্রিজন ভ্যানে তোলা হয়। এ সময় তার মাথায় হেলমেট ও শরীরে বুলেট প্রুফ জ্যাকেট পরানো হয়।

চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির বিরুদ্ধে ৪৫ জনের মামলা

প্রকাশ: ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ১০:২৮ এএম
চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির বিরুদ্ধে ৪৫ জনের মামলা
চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির বিরুদ্ধে অবৈধভাবে সদস্যপদ বাতিলের অভিযোগে ৪৫ জনের মামলা। ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির বিরুদ্ধে নিয়মনীতি তোয়াক্কা না করে বেআইনিভাবে ৮৬৭ জনের সদস্যপদ বাতিলের অভিযোগে চট্টগ্রাম প্রথম জেলা যুগ্ম জেলা জজ আদালতে মামলা ও নিষেধাজ্ঞা চাওয়া হয়েছে। প্রথম যুগ্ম জেলা জজ বেলাল উদ্দিন মামলাটি গ্রহণ করে ৮ মে শুনানির জন্য দিন ধার্য করেছেন। গত মঙ্গলবার অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ আরিফ উদ্দিন এবং বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ৪৪ শিক্ষক মামলাটি করেন। তবে মামলার বাদীর পক্ষ থেকে গতকাল বুধবার একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তি পাঠানো হলে তা প্রকাশ্যে আসে। 

এর আগে তাদের (বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও আইন কর্মকর্তা) চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতি কারণ দর্শানোর নোটিশ দেন। ওই নোটিশে অভিযোগ করা হয়, আইনের শিক্ষকেরা আইন পেশা ছাড়া অন্য পেশায় নিয়োজিত থেকেও আইনজীবী পেশা ও সমিতির বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা আদায় করছেন।
জানা যায়, বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের বিধান এবং চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সংবিধান অনুযায়ী, কোনো আইনজীবী অন্য পেশা, ব্যবসা বা চাকরিতে নিযুক্ত থাকতে পারেন না। এই বিধান অনুযায়ী, সমিতির এডহক কমিটি তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে দেখতে পায়, ৮৬৭ জন আইনজীবী বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে, যেমন- ব্যাংক, বিশ্ববিদ্যালয়, পুলিশ প্রশাসন, বিচার বিভাগসহ অন্যান্য খাতে চাকরিরত রয়েছেন। তাদের ‘নন-প্র্যাকটিশনার’ হিসেবে চিহ্নিত করে ওই কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করা হয়। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে অনেকে কোনো জবাব দেননি এবং অনেকের জবাব গ্রহণযোগ্য বিবেচিত হয়নি। পরে ৯ এপ্রিল সাধারণ সভায় তাদের সদস্যপদ বাতিলের সিদ্ধান্ত হয়। 

এদিকে বাদীপক্ষের মতে, বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে শিক্ষকতা করাকে ‘আইন পেশা ছাড়া অন্য পেশা’ হিসেবে অভিহিত করা একটি ভুল ব্যাখ্যার ফল। আইন শিক্ষা আইন পেশারই একটি সম্প্রসারিত অংশ, যা এই পেশার জ্ঞানভিত্তিক ভিতকে মজবুত করে। আইন শিক্ষকতা আইন পেশার মূল উদ্দেশ্য ও চেতনার সঙ্গে সাংঘর্ষিক নয়। বরং এ দুটি পরস্পর-সম্পূরক সম্পর্ক বিচার বিভাগ ও আইনি কাঠামোকে বিকশিত এবং শক্তিশালী করে থাকে। আইন শিক্ষকতা আইন পেশার অবিচ্ছেদ্য অংশ এবং বিশ্বব্যাপী বিচারব্যবস্থায় স্বীকৃত।

শিক্ষার্থী পারভেজ হত্যা মামলায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতা রিমান্ডে

প্রকাশ: ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:৪০ পিএম
শিক্ষার্থী পারভেজ হত্যা মামলায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতা রিমান্ডে
পুলিশ হেফাজতে হৃদয় মিয়াজী। ছবি: সংগৃহীত

প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম পারভেজ হত্যা মামলায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বনানী থানার যুগ্ম সদস্যসচিব হৃদয় মিয়াজীকে (২৩) সাত দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। বুধবার (২৩ এপ্রিল) ঢাকার অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. ছানাউল্যাহ শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। 

এদিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বনানী থানার পুলিশ পরিদর্শক এ কে এম মাইন উদ্দিন আসামিকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন। অন্যদিকে আসামির আইনজীবী রিমান্ড আবেদন বাতিল করে জামিন চান। 

শুনানিতে আসামির আইনজীবী তাসলিমা মিনু বলেন, ‘আমার মক্কেল ফার্মেসি ডিপার্টমেন্টের, তারা অন্য ডিপার্টমেন্টের। এ হত্যার সঙ্গে তার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। পারভেজ তার ডিপার্টমেন্টের কেউ ছিলেন না। তা ছাড়া মেয়েদেরও তিনি চেনেন না।’

পরে বিচারক মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে জিজ্ঞেস করেন, মেয়েরা কোথায়? তাদের ধরেননি কেন?

তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, ‘এ মামলায় সন্দেহ করার মতো যৌক্তিক কারণ খুঁজে পাইনি। সিসি ক্যামেরায় তাদের দেখা যায়নি। আবুজর পিয়াস অর্গানাইজ করেছেন। আমরা তাকে খুঁজছি।’ এরপর বিচারক বলেন, মামলার সঙ্গে তাদের সংশ্লিষ্টতা আছে। তারা স্পটে ছিল, মেয়েগুলোর ভূমিকা ছিল। তাদের খুঁজে বের করেন।

আসামির আইনজীবী আবার বলেন, সিসিটিভি ক্যামেরায় তার (হৃদয়) কোনো ভূমিকার কথা বলা নাই। রাজনৈতিকভাবে তাকে এ মামলায় জড়ানো হয়েছে। রাষ্ট্রপক্ষের পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী রিমান্ড মঞ্জুর করার পক্ষে শুনানি করেন। শুনানিতে তিনি বলেন, হৃদয় এজাহারনামীয় আসামি। সিসিটিভি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ দেখেই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। 

গত ২১ এপ্রিল সোমবার রাতে কুমিল্লার তিতাস উপজেলার মনাইরকান্দি গ্রাম থেকে হৃদয় মিয়াজীকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব-১১। গত ২০ এপ্রিল ভোরে প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও বহিরাগতসহ আটজনের নাম উল্লেখ করে বনানী থানায় মামলা করেন পারভেজের ভাই হুমায়ুন কবির। 

এজাহারে বিশ্ববিদ্যালয়ের এলএলবি ও ইংরেজি বিভাগের তিন ছাত্র মাহাথি, মেহেরাব, আবুজর ছাড়া আরও পাঁচজনকে আসামি করা হয়েছে। এরা সবাই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।

গত ১৯ এপ্রিল বিকেল সাড়ে ৪টায় ইউনিভার্সিটি অব স্কলার্সের দুই ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করার অভিযোগে পারভেজের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন শিক্ষার্থীর তর্কাতর্কি হয়। একপর্যায়ে দুই পক্ষকে নিয়ে মীমাংসার জন্য বসে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ক্যাম্পাস থেকে বের হওয়ার পর টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং ২২৩ ব্যাচের শিক্ষার্থী জাহিদুলকে এক দল যুবক ছুরিকাঘাত করেন। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

এম এ জলিল উজ্জ্বল/মাহফুজ

সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলা করলেন পরীমণি

প্রকাশ: ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ০৫:২০ পিএম
আপডেট: ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ০৫:২৭ পিএম
সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলা করলেন পরীমণি
ছবি: সংগৃহীত

অনলাইনে কুৎসা রটনা করে মানহানির অভিযোগে গৃহকর্মী পিংকি আক্তারের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন চিত্রনায়িকা শামসুন নাহার স্মৃতি ওরফে পরীমণি।

বুধবার (২৩ এপ্রিল) ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক নুরে আলম মামলাটি গ্রহণ করেন‌। একইসঙ্গে ঘটনার তদন্ত করে ভাটারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। আগামী ৮ জুলাই প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য করা হয়েছে। 

সংশ্লিষ্ট ট্রাইব্যুনালের পেশকার মো. জুয়েল মিয়া এ তথ্য জানিয়েছেন।

এদিন ট্রাইব্যুনালে পরীমণি উপস্থিত ছিলেন। তার পক্ষে আইনজীবী মহসিন রেজা, মহিমা বাঁধন ও ব্যারিস্টার সাদমান সাকিব শুনানি করেন। 

এর আগে মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) গৃহকর্মী পিংকি আক্তার বাদী হয়ে পরীমণিসহ দুজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। অভিযোগের তদন্ত করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন আদালত। আগামী ৮ মে প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য করা হয়েছে।

এম এ জলিল উজ্জ্বল/মেহেদী/

পিরোজপুরে হত্যা মামলায় ২ জনের যাবজ্জীবন

প্রকাশ: ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ০২:৪২ পিএম
পিরোজপুরে হত্যা মামলায় ২ জনের যাবজ্জীবন
ছবি: খবরের কাগজ

পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলায় এমদাদুল ফরাজী (৩০) নামে এক যুবককে হত্যার অভিযোগে দুই জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া আসামিদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

বুধবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে পিরোজপুর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. মোক্তাগীর আলম এ রায় দেন। 

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- পিরোজপুর জেলার ভান্ডারিয়া উপজেলার গোলবুনিয়া গ্রামের মজিদ হাওলাদারের ছেলে মো. হাচান হাওলাদার (৩৫) এবং গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী থানার ঘোনাপাড়ার সিরাজুল ইসলামে ছেলে প্রিন্স মোল্লা (৪২)।

পেশায় মোটরসাইকেলচালক নিহত এমদাদুল ফরাজী পিরোজপুর জেলার ভান্ডারিয়া উপজেলার গোলবুনিয়া গ্রামের খান জাহান আলীর ছেলে।

বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ওয়াহিদ হাসান বাবু জানান, ২০০৮ সানের ৩ মার্চ এমদাদুল ফরাজীর ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকলে করে আসামিরা সাফা বন্দর এলাকা থেকে তাকে চরখালী এলাকায় নিয়ে আসেন। সেখানে থেকে আসামিরা ভান্ডারিয়ার-মঠবাড়িয়া সড়কের দারুল হুদা মাদ্রাসা এলাকায় এমদাদুল ফরাজীকে হত্যা করে মোটরসাইকেল নিয়ে পালিয়ে যান। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করলে নিহত এমদাদুল ফরাজীর বাবা খান জাহান আলী ভান্ডারিয়া থানায় আসামির নামীয় করে ৪ মার্চ ভান্ডারিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। পরে তদন্তকারী কর্মকর্তা ভান্ডারিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আলাউদ্দিন আসামিদের অভিযুক্ত করে আদালতে একই বছরের ২৫ এপ্রিল অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এর পর আদালতে ১৩ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য শেষে বিচারক আসামিদের অভিযুক্ত করে এই রায় দেন। তবে রায়ের সময় আসামিরা পলাতক ছিলেন।

হাসান/মেহেদী/

চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর জামিন শুনানি পেছাল

প্রকাশ: ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ০১:৫৯ পিএম
চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর জামিন শুনানি পেছাল
চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের ফাইল ফটো

চট্টগ্রামে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের জামিন শুনানি পিছিয়ে আগামী ৩০ এপ্রিল নির্ধারণ করা হয়েছে।

বুধবার (২৩ এপ্রিল) তার জামিন শুনানির নতুন এই দিন ধার্য করেন আদালত।

এর আগে গত ২৩ মার্চ চিন্ময় দাসের আইনজীবীর আবেদনের প্রেক্ষিতে বিচারপতি মো. আতোয়ার রহমান ও বিচারপতি মো. আলী রেজার হাইকোর্ট বেঞ্চ এ বিষয়ে শুনানির জন্য আজকের দিন ধার্য করেছিলেন।

সেদিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছিলেন চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের আইনজীবী অপূর্ব কুমার ভট্টাচার্য।

এই মামলায় গত ৪ ফেব্রুয়ারি চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে কেন জামিন দেওয়া হবে না, তা জানতে রুল জারি করেছিলেন হাইকোর্ট।

চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের নেতৃত্বে গত বছরের ২৫ অক্টোবর চট্টগ্রামে সনাতনী সম্প্রদায়ের সমাবেশ হয়। ওই সমাবেশের পর গত ৩১ অক্টোবর তার বিরুদ্ধে জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা হয়। এতে চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ছাড়াও আরও ১৮ জনকে আসামি করা হয়। এরপর রাষ্ট্রদ্রোহের সেই মামলায় গত ২৫ নভেম্বর তাকে ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এর পরদিন জামিন আবেদন করা হলে তা নামঞ্জুর করে চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট। পরে আদালত চিন্ময়কে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিলে সেদিন চট্টগ্রামে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও আইনজীবীদের সঙ্গে চিন্ময়ের অনুসারীদের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। ওই সময় আইনজীবীর সাইফুল ইসলাম আলিফকে আদালত চত্বরের বাইরে হত্যা করা হয়। এরপর থেকেই কারাগারে আছেন চিন্ময়।

গত ২ জানুয়ারি চিন্ময় দাসের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন চট্টগ্রামের মহানগর দায়রা জজ আদালত। পরবর্তীতে হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন তার আইনজীবী।

অমিয়/