ঢাকা ১১ বৈশাখ ১৪৩২, বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫
English
বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ১১ বৈশাখ ১৪৩২

নাঈমুল ইসলাম খানের ১৬৩ ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ

প্রকাশ: ১৮ মার্চ ২০২৫, ০৯:৫৬ পিএম
নাঈমুল ইসলাম খানের ১৬৩ ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ
নাঈমুল ইসলাম খান

ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রেস সচিব নাঈমুল ইসলাম খান ও তার পরিবারের ১৬৩টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ (ফ্রিজ) করার আদেশ দেওয়া হয়েছে। এসব হিসাবে ৬ কোটি ২৫ লাখ ৪৯ হাজার ৯৪৪ টাকা রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। 

মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) ঢাকা মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিব এ আদেশ দেন। 

আদালত সূত্র জানায়, দুদকের উপপরিচালক আফরোজ হক খান এসব হিসাব অবরুদ্ধ করার আদেশ চেয়ে আবেদন করেন। 

আবেদনে উল্লেখ করা হয়, ঘুষ বা অবৈধ উপায়ে অর্জিত অর্থ ও এর উৎস আড়াল করতে নাঈমুল ইসলাম খান তার নিজ নামে, স্ত্রী নাসিমা খান মন্টি, তাদের তিন সন্তান লাবিবা নাঈম খান, আদিভা নাঈম খান ও যুলিকা নাঈম খানের ১৬৩টি ব্যাংক হিসাবে ৩৮৬ কোটি টাকা জমা করেন। এর মধ্যে ৩৭৯ কোটি টাকা উত্তোলন করা হয়েছে। বাকি টাকা ওই সব অ্যাকাউন্টে অবশিষ্ট আছে।

আবেদনে আরও বলা হয়েছে, নাঈমুল ইসলাম খানের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং করাসহ নিজ ও পরিবারের সদস্যদের নামে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধানে টিম গঠন করা হয়েছে। অনুসন্ধানকালে তার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নামে ১৬টি ব্যাংক ও একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ১৬৩টি হিসাবে কোটি কোটি টাকা লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে। 

বিভিন্ন সূত্র থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায়, অভিযোগসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা এসব হিসাবে রাখা অর্থ অন্যত্র হস্তান্তর, স্থানান্তর বা বেহাত করার চেষ্টা করছেন। তাই অনুসন্ধান শেষ হওয়ার আগে ব্যাংক হিসাবগুলোতে রাখা অর্থ হস্তান্তর বা স্থানান্তর হয়ে গেলে সমূহ ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে এসব ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করা আবশ্যক।

শিক্ষার্থী পারভেজ হত্যা মামলায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতা রিমান্ডে

প্রকাশ: ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:৪০ পিএম
শিক্ষার্থী পারভেজ হত্যা মামলায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতা রিমান্ডে
পুলিশ হেফাজতে হৃদয় মিয়াজী। ছবি: সংগৃহীত

প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম পারভেজ হত্যা মামলায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বনানী থানার যুগ্ম সদস্যসচিব হৃদয় মিয়াজীকে (২৩) সাত দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। বুধবার (২৩ এপ্রিল) ঢাকার অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. ছানাউল্যাহ শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। 

এদিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বনানী থানার পুলিশ পরিদর্শক এ কে এম মাইন উদ্দিন আসামিকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন। অন্যদিকে আসামির আইনজীবী রিমান্ড আবেদন বাতিল করে জামিন চান। 

শুনানিতে আসামির আইনজীবী তাসলিমা মিনু বলেন, ‘আমার মক্কেল ফার্মেসি ডিপার্টমেন্টের, তারা অন্য ডিপার্টমেন্টের। এ হত্যার সঙ্গে তার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। পারভেজ তার ডিপার্টমেন্টের কেউ ছিলেন না। তা ছাড়া মেয়েদেরও তিনি চেনেন না।’

পরে বিচারক মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে জিজ্ঞেস করেন, মেয়েরা কোথায়? তাদের ধরেননি কেন?

তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, ‘এ মামলায় সন্দেহ করার মতো যৌক্তিক কারণ খুঁজে পাইনি। সিসি ক্যামেরায় তাদের দেখা যায়নি। আবুজর পিয়াস অর্গানাইজ করেছেন। আমরা তাকে খুঁজছি।’ এরপর বিচারক বলেন, মামলার সঙ্গে তাদের সংশ্লিষ্টতা আছে। তারা স্পটে ছিল, মেয়েগুলোর ভূমিকা ছিল। তাদের খুঁজে বের করেন।

আসামির আইনজীবী আবার বলেন, সিসিটিভি ক্যামেরায় তার (হৃদয়) কোনো ভূমিকার কথা বলা নাই। রাজনৈতিকভাবে তাকে এ মামলায় জড়ানো হয়েছে। রাষ্ট্রপক্ষের পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী রিমান্ড মঞ্জুর করার পক্ষে শুনানি করেন। শুনানিতে তিনি বলেন, হৃদয় এজাহারনামীয় আসামি। সিসিটিভি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ দেখেই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। 

গত ২১ এপ্রিল সোমবার রাতে কুমিল্লার তিতাস উপজেলার মনাইরকান্দি গ্রাম থেকে হৃদয় মিয়াজীকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব-১১। গত ২০ এপ্রিল ভোরে প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও বহিরাগতসহ আটজনের নাম উল্লেখ করে বনানী থানায় মামলা করেন পারভেজের ভাই হুমায়ুন কবির। 

এজাহারে বিশ্ববিদ্যালয়ের এলএলবি ও ইংরেজি বিভাগের তিন ছাত্র মাহাথি, মেহেরাব, আবুজর ছাড়া আরও পাঁচজনকে আসামি করা হয়েছে। এরা সবাই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।

গত ১৯ এপ্রিল বিকেল সাড়ে ৪টায় ইউনিভার্সিটি অব স্কলার্সের দুই ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করার অভিযোগে পারভেজের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন শিক্ষার্থীর তর্কাতর্কি হয়। একপর্যায়ে দুই পক্ষকে নিয়ে মীমাংসার জন্য বসে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ক্যাম্পাস থেকে বের হওয়ার পর টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং ২২৩ ব্যাচের শিক্ষার্থী জাহিদুলকে এক দল যুবক ছুরিকাঘাত করেন। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

এম এ জলিল উজ্জ্বল/মাহফুজ

সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলা করলেন পরীমণি

প্রকাশ: ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ০৫:২০ পিএম
আপডেট: ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ০৫:২৭ পিএম
সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলা করলেন পরীমণি
ছবি: সংগৃহীত

অনলাইনে কুৎসা রটনা করে মানহানির অভিযোগে গৃহকর্মী পিংকি আক্তারের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন চিত্রনায়িকা শামসুন নাহার স্মৃতি ওরফে পরীমণি।

বুধবার (২৩ এপ্রিল) ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক নুরে আলম মামলাটি গ্রহণ করেন‌। একইসঙ্গে ঘটনার তদন্ত করে ভাটারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। আগামী ৮ জুলাই প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য করা হয়েছে। 

সংশ্লিষ্ট ট্রাইব্যুনালের পেশকার মো. জুয়েল মিয়া এ তথ্য জানিয়েছেন।

এদিন ট্রাইব্যুনালে পরীমণি উপস্থিত ছিলেন। তার পক্ষে আইনজীবী মহসিন রেজা, মহিমা বাঁধন ও ব্যারিস্টার সাদমান সাকিব শুনানি করেন। 

এর আগে মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) গৃহকর্মী পিংকি আক্তার বাদী হয়ে পরীমণিসহ দুজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। অভিযোগের তদন্ত করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন আদালত। আগামী ৮ মে প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য করা হয়েছে।

এম এ জলিল উজ্জ্বল/মেহেদী/

পিরোজপুরে হত্যা মামলায় ২ জনের যাবজ্জীবন

প্রকাশ: ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ০২:৪২ পিএম
পিরোজপুরে হত্যা মামলায় ২ জনের যাবজ্জীবন
ছবি: খবরের কাগজ

পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলায় এমদাদুল ফরাজী (৩০) নামে এক যুবককে হত্যার অভিযোগে দুই জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া আসামিদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

বুধবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে পিরোজপুর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. মোক্তাগীর আলম এ রায় দেন। 

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- পিরোজপুর জেলার ভান্ডারিয়া উপজেলার গোলবুনিয়া গ্রামের মজিদ হাওলাদারের ছেলে মো. হাচান হাওলাদার (৩৫) এবং গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী থানার ঘোনাপাড়ার সিরাজুল ইসলামে ছেলে প্রিন্স মোল্লা (৪২)।

পেশায় মোটরসাইকেলচালক নিহত এমদাদুল ফরাজী পিরোজপুর জেলার ভান্ডারিয়া উপজেলার গোলবুনিয়া গ্রামের খান জাহান আলীর ছেলে।

বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ওয়াহিদ হাসান বাবু জানান, ২০০৮ সানের ৩ মার্চ এমদাদুল ফরাজীর ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকলে করে আসামিরা সাফা বন্দর এলাকা থেকে তাকে চরখালী এলাকায় নিয়ে আসেন। সেখানে থেকে আসামিরা ভান্ডারিয়ার-মঠবাড়িয়া সড়কের দারুল হুদা মাদ্রাসা এলাকায় এমদাদুল ফরাজীকে হত্যা করে মোটরসাইকেল নিয়ে পালিয়ে যান। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করলে নিহত এমদাদুল ফরাজীর বাবা খান জাহান আলী ভান্ডারিয়া থানায় আসামির নামীয় করে ৪ মার্চ ভান্ডারিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। পরে তদন্তকারী কর্মকর্তা ভান্ডারিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আলাউদ্দিন আসামিদের অভিযুক্ত করে আদালতে একই বছরের ২৫ এপ্রিল অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এর পর আদালতে ১৩ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য শেষে বিচারক আসামিদের অভিযুক্ত করে এই রায় দেন। তবে রায়ের সময় আসামিরা পলাতক ছিলেন।

হাসান/মেহেদী/

চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর জামিন শুনানি পেছাল

প্রকাশ: ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ০১:৫৯ পিএম
চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর জামিন শুনানি পেছাল
চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের ফাইল ফটো

চট্টগ্রামে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের জামিন শুনানি পিছিয়ে আগামী ৩০ এপ্রিল নির্ধারণ করা হয়েছে।

বুধবার (২৩ এপ্রিল) তার জামিন শুনানির নতুন এই দিন ধার্য করেন আদালত।

এর আগে গত ২৩ মার্চ চিন্ময় দাসের আইনজীবীর আবেদনের প্রেক্ষিতে বিচারপতি মো. আতোয়ার রহমান ও বিচারপতি মো. আলী রেজার হাইকোর্ট বেঞ্চ এ বিষয়ে শুনানির জন্য আজকের দিন ধার্য করেছিলেন।

সেদিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছিলেন চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের আইনজীবী অপূর্ব কুমার ভট্টাচার্য।

এই মামলায় গত ৪ ফেব্রুয়ারি চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে কেন জামিন দেওয়া হবে না, তা জানতে রুল জারি করেছিলেন হাইকোর্ট।

চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের নেতৃত্বে গত বছরের ২৫ অক্টোবর চট্টগ্রামে সনাতনী সম্প্রদায়ের সমাবেশ হয়। ওই সমাবেশের পর গত ৩১ অক্টোবর তার বিরুদ্ধে জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা হয়। এতে চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ছাড়াও আরও ১৮ জনকে আসামি করা হয়। এরপর রাষ্ট্রদ্রোহের সেই মামলায় গত ২৫ নভেম্বর তাকে ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এর পরদিন জামিন আবেদন করা হলে তা নামঞ্জুর করে চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট। পরে আদালত চিন্ময়কে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিলে সেদিন চট্টগ্রামে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও আইনজীবীদের সঙ্গে চিন্ময়ের অনুসারীদের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। ওই সময় আইনজীবীর সাইফুল ইসলাম আলিফকে আদালত চত্বরের বাইরে হত্যা করা হয়। এরপর থেকেই কারাগারে আছেন চিন্ময়।

গত ২ জানুয়ারি চিন্ময় দাসের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন চট্টগ্রামের মহানগর দায়রা জজ আদালত। পরবর্তীতে হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন তার আইনজীবী।

অমিয়/

শাজাহান-পলক-আতিকসহ ৬ জনের রিমান্ড

প্রকাশ: ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ০১:১৯ পিএম
আপডেট: ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:১০ পিএম
শাজাহান-পলক-আতিকসহ ৬ জনের রিমান্ড
সাবেক মন্ত্রী শাজাহান খান ও সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। ছবি: সংগৃহীত

গত বছর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনে রাজধানীর বিভিন্ন থানার হত্যা ও হত্যাচেষ্টার ঘটনার মামলায় সাবেক নৌপরিবহণ মন্ত্রী শাজাহান খান, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আতিকুল ইসলাম, আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকসহ ছয়জনের বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়েছে।

বুধবার (২৩ এপ্রিল) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাহবুবুর রহমান শুনানি শেষে বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এ ছাড়া সাবেক খাদ্যমন্ত্রী, অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর তুরিন আফরোজসহ ১০ জনকে রাজধানীর চার থানার মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। 

রিমান্ডে যাওয়া অন্যরা হলেন- আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্যবিষয়ক উপকমিটির সদস্য দিলীপ কুমার আগারওয়াল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত ও যাত্রাবাড়ী থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসান। 

আদালত সূত্র জানায়, রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে মাদ্রাসা ছাত্র মো. আরিফ হত্যার মামলায় শাজাহান খানকে একদিন এবং আতিকুল ইসলাম ও তানভীর হাসান সৈকতকে দুদিন রিমান্ডে দেওয়া হয়েছে। 

ভাটারা থানার মনির হত্যা মামলায় আতিকুল ইসলাম, বাড্ডা থানার আরেক হত্যা মামলায় জুলাইদ আহমেদ পলক ও কোতয়ালী থানার মামলায় দিলীপ কুমার আগারওয়ালাকে দুইদিন রিমান্ড দেওয়া হয়েছে। 

অন্যদিকে যাত্রাবাড়ী থানার আরেক হত্যা মামলায় একই থানার সাবেক ওসি আবুল হাসানের তিনদিন রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়েছে।এ মামলাগুলোতে আসামিদের আগেই গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছিল।

এর আগে বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ড আবেদন শুনানির জন্য কারাগার থেকে সকালেই তাদের আদালতে হাজির করেন তদন্ত কর্মকর্তারা। 

শুনানিতে আসামিদের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল করে জামিন চান। বিচারক পুলিশকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেন। 

এদিকে,  রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম, ভাটারা, যাত্রাবাড়ী ও কোতোয়ালী থানায় হত্যার অভিযোগে হওয়া মামলায় সাবেক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, সাধন চন্দ্র মজুমদার, হাসানুল হক ইনু, রাশেদ খান মেনন, সাবেক মেয়র আতিকুল ইসলাম, প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, প্রসিকিউটর ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ, সাবেক এএসপি তানজিল আহম্মেদ, সাবেক ওসি আবুল হাসান ও ছাত্রলীগ নেতা তানভীর হাসান সৈকতকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন একই বিচারক।

এম এ জলিল উজ্জ্বল/সুমন/