
অন্তত ১৮ কোটি টাকার সন্দেহজনক লেনদেন ও ৩ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মৃণাল কান্তি দাস ও তার স্ত্রী নীলিমা দাসের বিরুদ্ধে দুইটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) দুদকের মুখপাত্র ও মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) আক্তার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মৃণালের বিরুদ্ধে করা মামলায় বলা হয়, তিনি সংসদ সদস্য থাকা অবস্থায় ক্ষমতার অপব্যবহার ও ঘুষ দুর্নীতির মাধ্যমে ১ কোটি ৫৫ লাখ ১৭ হাজার ২৩০ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন। এ ছাড়া, ২০১৩ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত তার নিজের ৮টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ২ কোটি ৪০ লাখ ৯৯ হাজার ৯০৬ টাকার সন্দেহজনক লেনদেন হয়েছে। তিনি এসব সম্পদ গোপনে স্থানান্তর, রূপান্তর ও হস্তান্তর করেছেন। যা দুদকের তফসিলভুক্ত মানি লন্ডারিং আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ। মামলাটি দায়ের করেছেন দুদকের সহকারী পরিচালক শাহজাহান মিরাজ।
নীলিমা দাসের বিরুদ্ধে করা মামলায় বলা হয়, তার স্বামীর সহায়তায় তিনি ১ কোটি ৪৫ লাখ ২৮ হাজার ৮৪ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন। এছাড়া, ২০১৩ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত তার নিজের ৩০টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ১৬ কোটি ১৯ লাখ ২৭ হাজার ৬৪১ টাকার সন্দেহজনক লেনদেন হয়েছে। দুর্নীতি ও ঘুষের মাধ্যমে পাওয়া এসব অর্থ সম্পদ গোপনে স্থানান্তর, রূপান্তর ও হস্তান্তর করেছেন। এ মামলায় মৃণাল কান্তি দাসকে সহযোগী আসামি করা হয়েছে।
এ মামলাটি করেছেন দুদকের উপসহকারী পরিচালক মোহাম্মদ জুলফিকার।
এর আগে গত ২৪ অক্টোবর দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মৃণাল কান্তি ও তার স্ত্রীর বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেন আদালত।