ঢাকা ১০ বৈশাখ ১৪৩২, বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫
English
বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ১০ বৈশাখ ১৪৩২

গ্রেনেড হামলা মামলায় তারেক রহমানসহ খালাস পাওয়া সবার বিরুদ্ধে আপিল

প্রকাশ: ১৯ মার্চ ২০২৫, ১২:২২ পিএম
আপডেট: ১৯ মার্চ ২০২৫, ১২:২৮ পিএম
গ্রেনেড হামলা মামলায় তারেক রহমানসহ খালাস পাওয়া সবার বিরুদ্ধে আপিল
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান

বহুল আলোচিত ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ সব আসামির খালাসের বিরুদ্ধে আপিল করেছে রাষ্ট্রপক্ষ।

বুধবার (১৯ মার্চ) অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয় এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। এ ছাড়া আপিল বিভাগের কার্যতালিকায়ও রয়েছে বিষয়টি।

এর আগে গত বছরের ১ ডিসেম্বর এ মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত তারেক রহমান ও মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ আসামিদের খালাস দেন হাইকোর্ট। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসবিরোধী সমাবেশে এই গ্রেনেড হামলা হয়েছিল।

এ ঘটনায় মতিঝিল থানায় হত্যা ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে দুটি মামলা হয়। ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার এই সংক্রান্ত মামলা দুটির (হত্যা ও বিস্ফোরক) নতুন করে তদন্ত শুরু করে। পরে ২০০৮ সালে ২২ জনকে আসামি করে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ সিআইডি।

মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, বিএনপি নেতা হারিছ চৌধুরী, কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসাইনসহ ১৯ জনকে যাবজ্জীবন সাজা দেওয়া হয়েছিল। এ ছাড়া বিভিন্ন মেয়াদে ১১ জনকে দণ্ড দেয় বিচারিক আদালত। এর পর ওই বছরই হাইকোর্টে ডেথ রেফারেন্স আসে। পাশাপাশি দণ্ডিত কারাবন্দিরা আপিল করেন।

২০১৮ সালে ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ বিচারক শাহেদ নূরউদ্দিন রায় ঘোষণা করেন। রায়ে ২০০১-২০০৬ আমলের বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুসহ ১৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের মধ্যে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবদুর রহিম ও আসামি শেখ আবদুস সালাম ২০২১ সালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

মেহেদী/

পরীমণির বিরুদ্ধে গৃহকর্মীর মামলা, পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ

প্রকাশ: ২২ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:৫৪ পিএম
আপডেট: ২২ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:০৮ পিএম
পরীমণির বিরুদ্ধে গৃহকর্মীর মামলা, পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ
চিত্রনায়িকা পরীমণি। ছবি: সংগৃহীত

চিত্রনায়িকা পরীমণির বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছেন গৃহকর্মী পিংকি আক্তার (২৪)। ভুক্তভোগী পিংকি নেত্রকোনা জেলা সদরের মৌগাতী ইউনিয়নের ফাদুলিয়া গ্রামের মো. মোজাম্মেলের মেয়ে।

মারধর, হত্যাচেষ্টা ও ভয়ভীতির অভিযোগ এনে দণ্ডবিধির ৩২৩/৩২৪/৩০৭/৫০৬/৩৪ ধারায় দায়ের করা পরীমণিকে ১ নম্বর আসামি করা হয়েছে। একই ফ্ল্যাটে বসবাস করা সৌরভ (২৮) নামের এক ব্যাক্তিকে ২ নম্বর আসামি করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নালিশী মামলাটি দায়ের করা হয়।

ভুক্তভোগী পিংকির আইনজীবী অ্যাডভোকেট নাসিদুস জামান নিশান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, সংশ্লিষ্ট আমলী আদালতের বিচারক মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নাজমিন আক্তার বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করেন। মামলার ঘটনা তদন্ত করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে আগামি ৮ মে’র মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য করেন।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, গত বছরের মার্চে মামলার বাদী পিংকি আসামিদ্বয়ের বাসায় কাদের এজেন্সি নামক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে গৃহপরিচারিকা হিসেবে চাকরি নেন। একটি বাচ্চাকে দেখাশোনার দায়িত্ব নেওয়ার কথা বলে এজেন্সি হতে বাদীকে  নিয়োগ দেওয়া হলেও তাকে দুটি বাচ্চার দায়িত্ব পালন করতে হতো।

গালিগালাজ কেন করছেন জানতে চাইলে পরীমণি বাদীকে বলেন, ‘তুই আমার বাচ্চার জন্য দুধ কেন তৈরি করছিস, এখন ওকে সলিড খাবার দিবি।’

বাদী বলেন, ‘বাচ্চার খাওয়ার রুটিন অনুসারে এখন দুধ খাওয়ানোর কথা, তাই আমি দুধ তৈরি করেছি।’

এসময় পরীমণি ক্ষিপ্ত হয়ে  এলোপাতাড়িভাবে বাদীর মাথায়, মুখে ও চোখে চড়-থাপ্পড় মেরে আহত করে।

পরীমণির মারধরে একসময় অজ্ঞান হয়ে পড়েন। জ্ঞান ফেরার পর বাদী ভীত সন্ত্রস্ত্র হয়ে পড়েন। ঘটনাস্থল থেকে নিরাপদ স্থানে যাওয়ার জন্য পিংকি পরীমণিকে হাসপাতালে নেওয়ার অনুরোধ করতে থাকেন। ঘটনার সময় ২নং আসামি সৌরভ উপস্থিত ছিলেন।

আসামিরা বাদীর কোনো কথা শোনেননি। উপরন্তু আসামি সৌরভ পিংকিকে নির্যাতন করার জন্য পরীমণিকে উৎসাহিত করতে থাকেন ও বাদীকে বাসার বাইরে যাওয়া থেকে বিরত করেন।

পরে ভুক্তভোগী পিংকি ৯৯৯ এ কল করে পুলিশের সহায়তায় ঘটনাস্থল থেকে নিরাপদে যান। পরে ভুক্তভোগী পিংকি ঢাকার কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহণ করেন।

এ ঘটনায় পিংকি গত ৩ এপ্রিল ভাটারা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। পরীমণির মূল নাম শামসুন নাহার স্মৃতি।

ওই জিডি-র কোনো অগ্রগতি না থাকায় আদালতে মামলা করেন বলে আবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

এম এ জলিল উজ্জ্বল/

ওরিয়ন গ্রুপের চেয়ারম্যানের মেয়েকে বিদেশ যাওয়ার অনুমতি

প্রকাশ: ২২ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:১২ পিএম
আপডেট: ২২ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:৪৪ পিএম
ওরিয়ন গ্রুপের চেয়ারম্যানের মেয়েকে বিদেশ যাওয়ার অনুমতি
ছবি: সংগৃহীত

রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পালনের জন্য ওরিয়ন গ্রুপের চেয়ারম্যান ওবায়দুল করিমের মেয়ে জারিন করিমকে বিদেশ যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। 

মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিব তার পক্ষে করা আবেদন  শুনানি শেষে মঞ্জুর করে ওই আদেশ দেন।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, সোমবার (২১ এপ্রিল) সরকারি দায়িত্ব পালনে বিদেশ গমনে অনুমতি চেয়ে আবেদন দাখিল  করেন জারিন করিম।‌

আবেদনে বলা হয়, জারিন করিম বাংলাদেশি কনস্যুলেটর হিসেবে ক্যারিবিয়ান রাষ্ট্র ডমিনিকান রিপাবলিকে দায়িত্ব পালন করছেন। সরকারি দায়িত্ব পালনে তিনি সেখানে যাওয়ার অনুমতি চান।

এর আগে গত ১৭ মার্চ ওবায়দুল করিম ও তার স্ত্রী আরজুদা করিমের চিকিৎসা ও ওমরা হজ পালনের জন্য অনুমতি চেয়ে আবেদন করা হলে একই আদালত আবেদন মঞ্জুর করেছিলেন। যদিও পরে দুদকের আবেদনে হাইকোর্ট ওই আদেশ স্থগিত করে।

গত ১৭ ফেব্রুয়ারি  ওরিয়ন গ্রুপের চেয়ারম্যান এবং তার প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং সংক্রান্ত অভিযোগের বিষয়ে অনুসন্ধান চলছে মর্মে অবগত করে চলমান প্রক্রিয়ার সুষ্ঠু সম্পাদনের জন্য তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা প্রয়োজন বলে আবেদন করে দুদক।  এর পরিপ্রেক্ষিতে ওবায়দুল করিমসহ পরিবারের সদস্যদের বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছিল। 

জলিল/মেহেদী/

মেঘনা আলমের সহযোগী ফের ৪ দিনের রিমান্ডে

প্রকাশ: ২২ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:১০ পিএম
আপডেট: ২২ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:১৫ পিএম
মেঘনা আলমের সহযোগী ফের ৪ দিনের রিমান্ডে
মেঘনা আলমের সহযোগী মো. দেওয়ান সমিরের আবার চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। ছবি: খবরের কাগজ

প্রতারণা ও চাঁদা দাবির মামলায় আলোচিত মডেল মেঘনা আলমের সহযোগী সানজানা ম্যান পাওয়ার প্রতিষ্ঠানের মালিক মো. দেওয়ান সমিরের আবার চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

মেয়েদের দিয়ে বিদেশি রাষ্ট্রদূতদের প্রেমের ফাঁদে ফেলে অর্থ আদায়ের অভিযোগে রাজধানীর ধানমন্ডি থানায় করা এ মামলায় দ্বিতীয় দফায় তাকে রিমান্ডে নেওয়া হলো। 

পাঁচদিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) তাকে আদালতে হাজির করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের পরিদর্শক আক্তার মোর্শেদ।

আসামিকে ফের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাতদিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন। 

আসামির পক্ষে তার আইনজীবী রিমান্ড আবেদন নাকচ করে জামিন চেয়ে শুনানি করেন।

শুনানি শেষে ফের রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এম এ আজহারুল ইসলাম।

এর আগে ১৭ এপ্রিল একই মামলায় তার পাঁচদিন রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়েছিল।

উজ্জ্বল/পপি/

চানখাঁরপুল হত্যা মামলায় আনুষ্ঠানিক অভিযোগ ৪ সপ্তাহের মধ্যে: চিফ প্রসিকিউটর

প্রকাশ: ২২ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:৫৫ পিএম
চানখাঁরপুল হত্যা মামলায় আনুষ্ঠানিক অভিযোগ ৪ সপ্তাহের মধ্যে: চিফ প্রসিকিউটর
চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম

ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট রাজধানীর চানখাঁরপুলে গুলি করে ছয়জনকে হত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে (ফরমাল চার্জ) আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্র্যাইব্যুনালে দাখিল করা হবে বলে জানিয়েছেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।

মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) এই মামলায় তদন্ত সংস্থার জমা দেওয়া তদন্ত প্রতিবেদন যাচাই-বাছাই শেষে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ হিসেবে দাখিল করতে চার সপ্তাহ সময় চান চিফ প্রসিকিউটর। 

এরপর ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্র্যাইব্যুনাল সময় আবেদন মঞ্জুর করে আগামী ২৫ মে এই মামলায় পরবর্তী তারিখ ধার্য করেন।

গত ২০ এপ্রিল এই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে বলে গতকাল সোমবার নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের জানান চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। 

সে সময় চিফ প্রসিকিউটর বলেন, ‘জুলাই আগস্টে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে এটিই প্রথম দাখিল করা কোনো তদন্ত প্রতিবেদন এবং আশা করি, এই প্রতিবেদনটি যাচাই-বাছাই করে ট্রাইব্যুনালে প্রথম ফরমাল চার্জ (আনুষ্ঠানিক অভিযোগ) হিসেবে দাখিল করা হবে।’

চিফ প্রসিকিউটর আরও বলেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্র্যাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার দেওয়া এই মামলার তদন্ত প্রতিবেদনটি ৯০ পৃষ্ঠার। এই তদন্ত করতে তদন্ত সংস্থার সময় লেগেছে ছয় মাস ১৩ দিন। এই তদন্ত প্রতিবেদনে ৭৯ সাক্ষীর জবানবন্দি গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়া ১৯টি ভিডিও, প্রত্রিকার ১১টি রিপোর্ট, দুটি অডিও, বই ও রিপোর্ট ১১টি এবং ছয়টি ডেথ সার্টিফিকেট সংযুক্ত করা হয়েছে।

তদন্ত প্রতিবেদনে আসামি করা হয়েছে সাবেক ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমানসহ আটজনকে। যাদের মধ্যে গ্রেপ্তার আছেন- ইন্সপেক্টর আরশাদ, কনস্টেবল মো. সুজন, কনস্টেবল ইমাজ হোসেন ইমন ও কনস্টেবল নাসিরুল ইসলাম।

এই তদন্ত প্রতিবেদনের অভিযোগে বলা হয়, রাজধানীর চানখাঁরপুল এলাকায় আসামিরা নিরস্ত্র ও শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকারীদের ওপর প্রাণঘাতি অস্ত্র ব্যবহার করে শহিদ শাহরিয়ার খান আনাস, শেখ মাহদি হাসান,জুনায়েদ, শহিদ মো. ইয়াকুব, শহিদ মো. রাকিব হাওলাদার, শহিদ মো. ইসমামুল হক ও শহিদ মানিক মিয়াকে গুলি করে হত্যা করে। সূত্র: বাসস

অমিয়/

তিন হত্যা মামলায় গাজীপুরের আদালতে দীপু-পলক-কামরুলসহ ৬ জন

প্রকাশ: ২২ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:৩৬ পিএম
আপডেট: ২২ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:৪৭ পিএম
তিন হত্যা মামলায় গাজীপুরের আদালতে দীপু-পলক-কামরুলসহ ৬ জন
তিন হত্যা মামলায় দীপু-পলক-কামরুলসহ আদালতে ছয় জন। ছবি: সংগৃহীত

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় গাজীপুর মহানগরের গাছা থানায় হওয়া তিনটি হত্যা মামলায় শেখ হাসিনা সরকারের সাবেক পাঁচ মন্ত্রী ও এক সেনা কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে গাজীপুর মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৩ এর বিচারক মো. ওমর হায়দার এই গ্রেপ্তার আবেদন মঞ্জুর করেন। পরে আসামিদের কেরানীগঞ্জ ও কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে ফেরত পাঠানো হয়।

গ্রেপ্তার দেখানো আসামিরা হলেন, সাবেক মন্ত্রী ডা. দীপু মনি, সাবেক আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট মো. কামরুল ইসলাম, সাবেক খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, সাবেক প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, এনটিএমসি প্রধান মেজর জেনারেল (অব.) জিয়াউল আহসান এবং সাবেক সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম মজুমদার।

গাজীপুর মহানগর কোর্ট পরিদর্শক আসান উল্লাহ চৌধুরী জানান, গাছা থানার তিনটি হত্যা মামলায় আসামিদের আদালতে হাজির করে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করা হয়। শুনানি শেষে আদালত আবেদন মঞ্জুর করেন।

আসামিদের আদালতে হাজিরকে কেন্দ্র করে সকাল থেকেই আদালতপাড়ায় কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়। আসামিদের মধ্যে ডা. দীপু মনি, জুনাইদ আহমেদ পলক ও সাধন চন্দ্র মজুমদারকে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে এবং বাকিদের ঢাকার কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

এদিকে আসামিদের আদালত থেকে বের করে নেওয়ার পর আদালত চত্বরে বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা বিক্ষোভ মিছিল করেন।

পলাশ/তাওফিক/