ঢাকা ৪ বৈশাখ ১৪৩২, বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫
English
বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ৪ বৈশাখ ১৪৩২

রিমান্ডে ইনু-মেনন-আনিসুল-দীপু মনি ও সাদেক খান

প্রকাশ: ১৯ মার্চ ২০২৫, ০১:২০ পিএম
আপডেট: ১৯ মার্চ ২০২৫, ০১:৪৫ পিএম
রিমান্ডে ইনু-মেনন-আনিসুল-দীপু মনি ও সাদেক খান
ছবি: সংগৃহীত

সাবেক মন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, রাশেদ খান মেনন, আনিসুল হক, দীপু মনি ও সাবেক সংসদ সদস্য সাদেক খানের বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

বুধবার (১৯ মার্চ) তাদের কারাগার থেকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে তদন্তকারী কর্মকর্তারা  সাতদিন করে রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন। শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শাহিন রেজার আদালত তাদের বিভিন্ন মেয়াদের রিমান্ডের আদেশ দেন।

ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে গুলিতে ওবায়দুল ইসলাম নিহতের মামলায় হাসানুল হক ইনু, রাশেদ খান মেনন, দীপু মনিকে চার দিনের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত।

এ ছাড়া মোহাম্মদপুরের বসিলায় মো. সুজন নামে এক ব্যক্তির গুলিতে নিহতের মামলায় আনিসুল হকের তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। এ আন্দোলনের সময় মোহাম্মদপুরের বসিলায় মিরাজুল ইসলাম অর্ণব নিহতের মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য সাদেক খানের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

ইনু,মেনন,দীপু মনির মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় গত ৪ আগস্ট বিকেল পাঁচটার দিকে যাত্রাবাড়ীর কাজলা পেট্রোল পাম্পের সামনে আওয়ামী লীগের নেতাসহ ১৪ দলের নেতা-কর্মীরা অবৈধ অস্ত্র দিয়ে নির্বিচারে হাজার হাজার জনতার ওপর গুলি চালায়। এতে ওবায়দুল ইসলাম গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। এ ঘটনায় নিহতের আত্মীয় মো. আলী শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদেরসহ ৫৮ জনকে আসামি করে যাত্রাবাড়ী থানায় মামলা করেন।

আনিসুল হকের মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, গত ২০ জুলাই ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বসিলায় আওয়ামী লীগের পার্টি অফিসের সামনে মো. সুজন নামের এক ব্যক্তি গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন। এ ঘটনায় নিহতের ভাই মো. রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে মোহাম্মদপুর থানায় মামলা করেন।

সাদেক খানের মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, মোহাম্মদপুরের বসিলায় গত ১৯ জুলাই ছাত্র-জনতার আন্দোলনে অংশ নেন মিরাজুল ইসলাম অর্ণব। পরে আসামিদের হামলায়  গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান তিনি ।এ ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানায় একটি হত্যা মামলা করা হয়। সূত্র: বাসস

মেহেদী/

প্রতারণার মামলায় গ্রেপ্তার মডেল মেঘনা

প্রকাশ: ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ১১:৫৮ এএম
আপডেট: ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ১২:০৩ পিএম
প্রতারণার মামলায় গ্রেপ্তার মডেল মেঘনা
ছবি : সংগৃহীত

বিদেশি রাষ্ট্রদূতদের প্রেমের ফাঁদে ফেলে তাদের সঙ্গে প্রতারণার অভিযোগে করা মামলায় মডেল মেঘনা আলমকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। রাজধানীর ধানমন্ডি থানায় এই মামলাটি করা হয়।

রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা বিঘ্নিত করা এবং গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি সম্পর্কে মিথ্যাচার ছড়ানোর মাধ্যমে আন্তঃরাষ্ট্রীয় সম্পর্ক অবনতির অপচেষ্টা করার অভিযোগে পুলিশের হেফাজতে রাখা মডেল মেঘনা আলমকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। রাজধানীর ধানমন্ডি থানার প্রতারণার এক মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে তাঁকে। 

বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) সকালে মেঘনা আলমকে আদালতে হাজির করে এই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তাকে গ্রেপ্তার দেখানোর জন্য আবেদন করেন।

পরে রাষ্ট্রপক্ষে মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর তাকে গ্রেপ্তার দেখানোর পক্ষে শুনানি করেন। শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাসুম মিয়া তাকে গ্রেপ্তার দেখান।

এর আগে, গত বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) রাতে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মডেল মেঘনা আলমকে ৩০ দিনের আটকাদেশের আদেশ দেন ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত।

এরপর শুক্রবার ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজের এক পোস্টে বলা হয়, ‘রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা বিঘ্নিত করা, গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি সম্পর্ক মিথ্যাচার ছড়ানোর মাধ্যমে আন্তঃরাষ্ট্রীয় সম্পর্ক অবনতির অপচেষ্টা করা এবং দেশকে অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকার অভিযোগে মেঘনা আলমকে সকল আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করে নিরাপত্তা হেফাজতে রাখা হয়েছে।’

পোস্টে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘তাঁকে (মেঘনা আলম) অপহরণ করার অভিযোগ সঠিক নয়। তথাপি আইনের আশ্রয় নেওয়ার অধিকার তাঁর রয়েছে।’

অমিয়/

চুয়াডাঙ্গায় কিশোরী মেয়েকে ধর্ষণের দায়ে বাবার মৃত্যুদণ্ড

প্রকাশ: ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ১১:২০ এএম
আপডেট: ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ১১:৫৪ এএম
চুয়াডাঙ্গায় কিশোরী মেয়েকে ধর্ষণের দায়ে বাবার মৃত্যুদণ্ড
চুয়াডাঙ্গায় কিশোরী মেয়েকে ধর্ষণের দায়ে বাবার মৃত্যুদণ্ড। ছবি: খবরের কাগজ

চুয়াডাঙ্গায় নিজের কিশোরী মেয়েকে ধর্ষণের দায়ে আলতাপ হোসেন (৪৬) নামের এক পিতার মৃত্যুদণ্ডের রায় দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ২ লাখ টাকা অর্থদণ্ড করা হয়েছে।

বুধবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল, চুয়াডাঙ্গার বিচারক এবং জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক সৈয়দ হাবিবুল ইসলাম এই রায় ঘোষণা করেন।

দণ্ডিত আলতাপ হোসেন সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর উপজেলার মুন্সিগঞ্জ গ্রামের মৃত সাদেক আলী মৃধার ছেলে। তিনি ঘরজামাই হিসেবে চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার চিৎলা হুদাপাড়া গ্রামে বসবাস করছিলেন।

আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০২৩ সালের ৫ ডিসেম্বর রাতে আলতাপ হোসেনের স্ত্রী বাড়িতে না থাকার সুযোগে মেয়েকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ধর্ষণ করেন। এর পর তাকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে একাধিকবার এ কাজ চালিয়ে যান। ২০২৪ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি কিশোরীর বিয়ের কয়েক দিন পর শারীরিক অসুস্থতা দেখা দিলে চিকিৎসার মাধ্যমে জানা যায় সে ২-৩ মাসের অন্তঃসত্ত্বা।

এ ঘটনায় ২০২৪ সালের ৭ মার্চ ভুক্তভোগীর মা বাদী হয়ে আলমডাঙ্গা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধিত ২০২০)-এর ৯ (১) ধারায় মামলা করেন। তদন্ত কর্মকর্তা পরিদর্শক (তদন্ত) বাবর আলী মামলার তদন্ত শেষে ১১ ডিসেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

মোট ৮ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত দোষী সাব্যস্ত করে আলতাপ হোসেনকে মৃত্যুদণ্ড ও ২ লাখ টাকা জরিমানার আদেশ দেন। আদালত রায়ে উল্লেখ করেন, ‘জরিমানার অর্থ দণ্ডিতের জীবদ্দশায় কিংবা মৃত্যুর পর তার সম্পত্তি থেকে আদায়যোগ্য হবে এবং তা ভুক্তভোগীকে ক্ষতিপূরণ হিসেবে প্রদান করা হবে।’

রাষ্ট্রপক্ষের বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর (স্পেশাল পিপি) এমএম শাহজাহান মুকুল বলেন, ‘এই ঘৃণ্য অপরাধে আদালত সর্বোচ্চ শাস্তি দিয়েছেন। মাত্র ৪৫ দিনের মধ্যে মামলাটির বিচারিক কার্যক্রম শেষ করে রায় দেওয়া একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। সমাজে এমন অপরাধ প্রতিরোধে এই রায় একটি দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।’

মিজানুর/তাওফিক/  

সাবেক দুই এমপি-আইজিপি-ওসি রিমান্ডে

প্রকাশ: ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ১০:৪৯ এএম
আপডেট: ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ১১:৪০ এএম
সাবেক দুই এমপি-আইজিপি-ওসি রিমান্ডে
নবী নেওয়াজ, আব্দুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব, চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন ও আবুল হাসান

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পৃথক তিন মামলায় ঝিনাইদহ-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) নবী নেওয়াজ, ভোলা-৪ আসনের সাবেক এমপি আব্দুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব, পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন এবং রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসানের বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়েছে।

গতকাল বুধবার ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মিনহাজুর রহমান শুনানি শেষে আসামিদের বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। সংশ্লিষ্ট আদালতের কৌঁসুলি কামরুজ্জামান স্বপন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

সূত্র জানায়, গত বছর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় রাজধানীর ভাটারা থানার নতুন বাজার এলাকায় হোটেল কর্মচারী রোহানকে হত্যাচেষ্টার মামলায় জ্যাকবের তিন দিন রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়েছে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ভাটারা থানার উপপরিদর্শক হাফিজুর রহমান তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিন রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। 

রাজধানীর রমনা এলাকায় গৃহকর্মী লিজা আক্তারকে গুলি করে হত্যার মামলায় নবী নেওয়াজকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়েছে। তদন্ত কর্মকর্তা রমনা থানার পুলিশ পরিদর্শক পায়েল হেসেন সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক পাঁচ দিন রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

মামলার বিবরণে জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গত ১৮ জুলাই রাজধানীর রমনা থানাধীন এলাকায় গৃহকর্মী লিজা আক্তার গুলিতে আহত হন। ২২ জুলাই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। এ ঘটনায় ৫ সেপ্টেম্বর লিজা আক্তারের বাবা মো. জয়নাল শিকদার বাদী হয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১৭৪ জনের নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। নবী নেওয়াজ এ মামলায় ১৭০ নম্বর আসামি। 

আন্দোলনে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে শাওন তালুকদার হত্যা মামলায় সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিন দিন এবং যাত্রাবাড়ী থানার সাবেক অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল হাসানকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়েছে। 

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা যাত্রাবাড়ী থানার উপপরিদর্শক মেহেদী হাসান তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিন রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। 

যাত্রাবাড়ী থানার সাবেক ওসি আবুল হাসানের পক্ষে আদালতে কোনো আইনজীবী ছিলেন না। অন্যদের পক্ষে আইনজীবীরা জামিন চেয়ে আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক জামিন আবেদন নাকচ করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। 

মোজাম্মেল-শাকিল-ফারজানা রুপা নতুন মামলায় গ্রেপ্তার

প্রকাশ: ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:৫৩ পিএম
মোজাম্মেল-শাকিল-ফারজানা রুপা নতুন মামলায় গ্রেপ্তার
মোজাম্মেল হক বাবু, শাকিল আহমেদ ও ফারজানা রূপা

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানায় দুই হত্যা মামলায় একাত্তর টেলিভিশনের সাবেক সিইও মোজাম্মেল হক বাবু, সাবেক বার্তাপ্রধান শাকিল আহমেদ ও সাবেক প্রধান প্রতিবেদক ও উপস্থাপক ফারজানা রূপাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।  

বুধবার (১৬ এপ্রিল) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মিনহাজুর রহমান শুনানি শেষে তাদের গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন। 

এর আগে সকালে কারাগার থেকে তাদের আদালতে হাজির করে মামলাগুলোতে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তারা। 

মামলা সূত্রে জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলার সময় গত ৫ আগস্ট যাত্রাবাড়ী থানার উত্তর কুতুবখালী বউ বাজারে আন্দোলনে অংশ নেন ইমরান হাসান। সেদিন দুপুর ১টার দিকে আসামিদের ছোড়া গুলিতে আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। পরে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। 

এ ঘটনায় নিহতের মা কোহিনূর আক্তার গত বছরের ৬ সেপ্টেম্বর সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ২৯৭ জনকে এজাহারনামীয় আসামি করে যাত্রাবাড়ী থানায় হত্যা মামলা করেন। 

অপর মামলা সূত্রে জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় গত বছরের ৫ আগস্ট রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানার দনিয়া এলাকায় আন্দোলনে অংশ নেন মাদরাসার আলিম ১ম বর্ষের শিক্ষার্থী সৈয়দ মুন্তাসির রহমান। দুপুরে আসামিদের ছোড়া গুলিতে আহত হওয়ায় হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। 

এ ঘটনায় নিহতের বাবা সৈয়দ গাজিউর রহমান ১১ সেপ্টেম্বর শেখ হাসিনাসহ ১৫৭ জনকে এজাহারনামীয় আসামি করে যাত্রাবাড়ী থানায় মামলা করেন।

গত বছরের ২১ আগস্ট শাকিল আহমেদ ও ফারজানা রুপাকে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে আটক করা হয়। বিভিন্ন থানার মামলায় রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের পর থেকে তারা কারাগারে আছেন। 

এ ছাড়া গত বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর সীমান্ত এলাকা থেকে মোজাম্মেল হক বাবুকে আটক করা হয়। পরদিন রাজধানীর ভাষানটেক এলাকায় ফজলু হত্যা মামলায় তার সাতদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়। এরপর থেকে রিমান্ড শেষে কারাগারে আছেন তিনি।

উজ্জ্বল/পপি/

স্বাস্থ্যের সেই মালেকের ৫ বছর ও তার স্ত্রীর ৩ বছরের কারাদণ্ড

প্রকাশ: ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:০৯ পিএম
আপডেট: ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:১৯ পিএম
স্বাস্থ্যের সেই মালেকের ৫ বছর ও তার স্ত্রীর ৩ বছরের কারাদণ্ড
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক গাড়িচালক আব্দুল মালেক ও তার স্ত্রী নার্গিস বেগমকে পুলিশ নিয়ে যাচ্ছে। ছবি: সংগৃহীত

জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের দায়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক গাড়িচালক আব্দুল মালেকের পাঁচ বছর ও তার স্ত্রী নার্গিস বেগমকে তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। 

বুধবার (১৬ এপ্রিল) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬-এর বিচারক জাকারিয়া হোসেন এ রায় দেন। 

দণ্ডের পাশাপাশি প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড, অনাদায়ে দুজনকে আরও তিন মাস করে বিনাশ্রম কারাভোগ করতে হবে বলে বিচারক রায়ের আদেশে উল্লেখ করেন। 

এ  ছাড়া আসামিদের জ্ঞাত আয়বহির্ভূত এক কোটি ১০ লাখ ৯৩ হাজার ৫০ টাকার সম্পদ রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানান দুদকের প্রসিকিউটর আসাদুজ্জামান রানা। 

রায় ঘোষণার আগে মালেককে কারাগার থেকে আদালতে আনা হয়। জামিনে থাকা নার্গিস বেগম আদালতে হাজির ছিলেন। রায়ের পর আসামিদের সাজা পরোয়ানা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়।

জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ এক কোটি ১০ লাখ ৯২ হাজার ৫০ টাকা মূল্যের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০২১ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি আব্দুল মালেক ও তার স্ত্রী নার্গিস বেগমের বিরুদ্ধে মামলাটি করেন দুদকের সহকারী পরিচালক সৈয়দ নজরুল ইসলাম। 

তদন্ত শেষে একই বছরের ২৭ অক্টোবর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।  

২০২২ সালের ১১ মে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। বিচার চলাকালে চার্জশিটভুক্ত ১০ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। 

এর আগে গত ২৩ মার্চ অবৈধ সম্পদ অর্জনের দায়ে আব্দুল মালেককে পৃথক দুই ধারায় ১৩ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন একই আদালত। 

এ ছাড়া ২০২১ সালে ২০ সেপ্টেম্বর অস্ত্র আইনের মামলায় আব্দুল মালেককে দুই ধারায় ৩০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

এম এ জলিল/সুমন