
ওরিয়ন গ্রুপের চেয়ারম্যান ওবায়দুল করিম ও তার স্ত্রী আরজুদা করিমকে বিদেশ যাওয়ার অনুমতি দিয়েছিলেন ঢাকার মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালত। ওই আদেশ স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট।
তাদের আইনজীবী আহসানুল করিম বুধবার (১৯ মার্চ) দৈনিক খবরের কাগজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, বিচারপতি মোহাম্মদ আলী ও বিচারপতি শেখ তাহসিন আলীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ স্থগিতাদেশ দেন।
অধস্তন আদালতের ওই আদেশের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা এক আবেদনের শুনানি নিয়ে এই আদেশ দেন আদালত।
আদালতে দুদকের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আসিফ হাসান। আর ওবায়দুল করিম ও তার স্ত্রীর পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আহসানুল করিম।
জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আহসানুল করিম বলেন, বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া ওই আদেশ আগামী ২১ এপ্রিল পর্যন্ত স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। ওই দিন হাইকোর্টে আবার শুনানি হবে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ওরিয়ন গ্রুপের চেয়ারম্যান ও তার প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিংসংক্রান্ত অভিযোগের ওপর অনুসন্ধান চলছে। এতে প্রাথমিকভাবে কিছু তথ্যও পাওয়া গেছে, এ অবস্থায় তাদের বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া উচিত হবে না। এ কারণে ওবায়দুল করিম, তার স্ত্রী ও পরিবারের সদস্যদের বিদেশ যাওয়ার বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা চাওয়া হয়। এই মামলায় প্রথমে স্পেশাল জজ আদালত বিদেশে যাওয়ার বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা দেন। পরে ওবায়দুল করিম, তার স্ত্রী ও মেয়ে বিদেশে যাওয়ার জন্য অনুমতি চেয়ে আবেদন করেন। আবেদনে ওবায়দুল করিমের চিকিৎসা ও ওমরাহর জন্য বিদেশ যাওয়ার অনুমতি চাওয়া হয়। আর তার অ্যাটেনডেন্ট হিসেবে স্ত্রী ও মেয়ের বিদেশযাত্রার অনুমতি চাওয়া হয়। স্পেশাল জজ ওবায়দুল করিম ও তার স্ত্রীকে বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দিয়ে ১৬ মার্চ আদেশ দেন। ওই আদেশের বিরুদ্ধে দুদক আবেদন করে। আবেদনের ওপর শুনানি নিয়ে রুলসহ আদেশ দেন হাইকোর্ট।
রুলে ওবায়দুল করিম ও তার স্ত্রীকে বিদেশ যেতে অনুমতি দিয়ে স্পেশাল জজ আদালতের ১৬ মার্চ দেওয়া আদেশ কেন বাতিল ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে।