ঢাকা ১১ বৈশাখ ১৪৩২, বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫
English
বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ১১ বৈশাখ ১৪৩২

হাসিনা-জয়সহ ২০১ জনের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টার মামলা

প্রকাশ: ২০ মার্চ ২০২৫, ০৮:৪৫ পিএম
হাসিনা-জয়সহ ২০১ জনের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টার মামলা
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়

সরকারি আলিয়া মাদ্রাসার শিক্ষার্থী সাইফুদ্দিন মোহাম্মদ এমদাদ হত্যাচেষ্টার অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়সহ ২০১ জনের বিরুদ্ধে নালিশি (সিআর) মামলার আবেদন করা হয়েছে।

মামলার অন্য আসামির তালিকায় সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, শেখ রেহানা, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, ওবায়দুল কাদের, সালমান এফ রহমান, আসাদুজ্জামান খান কামাল, শেখ ফজলে নূর তাপস, সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ, মনিরুল ইসলাম, শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, মসিউর রহমান, ড. গওহর রিজভী, ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী, হারুন অর রশিদ, বিপ্লব কুমার সরকার, নাঈমুল ইসলাম খান, নঈম নিজাম, শ্যামল দত্ত, সুভাষ সিংহ রায়ের নাম রয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বাদী হয়ে মামলাটি করেন ফ্যাসিস্ট উৎখাত আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির প্রধান সমন্বয়ক ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার কমিশন বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের সভাপতি এম এ হাশেম রাজু। 

শুনানি শেষে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মনিরুল ইসলাম বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করেন। একই সঙ্গে এ ঘটনার বিষয়ে শাহবাগ থানায় কোনো নিয়মিত মামলা চলমান আছে কি না, তা জানতে চেয়ে আগামী সাত দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) নির্দেশ দেন।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় গত ৪ আগস্ট বেলা সাড়ে ১১টায় স্বৈরাচার শেখ হাসিনার বিদায়ের লক্ষ্যে সর্বাত্মক অসহযোগ আন্দোলন এক দফায় রূপ নেয়। এক দফা বাস্তবায়নের দাবিতে মামলার বাদীর নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার থেকে মামলার ঘটনাস্থল পরীবাগ হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের সামনের মোড়ে এসে পৌঁছালে ওত পেতে থাকা মামলার আসামি ছাত্রলীগ, যুবলীগ, আওয়ামী লীগের বিভিন্ন স্তরের নেতা-কর্মীরা ফ্যাসিস্ট হাসিনার সহযোগী পুলিশসহকারে ভিকটিম ও তার সঙ্গীদের অবরোধ করেন। আসামিরা বাদী এবং ভিকটিমসহ অন্য ছাত্র-জনতাকে হত্যার উদ্দেশ্যে গুলিবর্ষণ করেন। তারা তাদের লক্ষ্য করে হাতবোমা, পেট্রলবোমা ও ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটান। মিছিল ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশের কাঁদানে গ্যাস, পিপার স্প্রে ও ছররা গুলিতে  মামলার ২ নং সাক্ষী এবং ভিকটিমের ডান চোখ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তার ডান চোখের ভেতরে ছররা গুলি ঢোকে। ভিকটিম আহত চোখ নিয়ে রাস্তায় লুটিয়ে পড়লে অজ্ঞাতনামা ছাত্রলীগ, যুবলীগ এবং পুলিশ সদস্যরা তাকে বেদম মারধর করে। গুলি ও মারধরের দৃশ্য কাছ থেকে প্রত্যক্ষ করেন মামলার বাদী। তিনি আহত ভিকটিমকে উদ্ধার করে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তির জন্য যোগাযোগ করলে তাকে ভর্তি করাতে অপারগতা প্রকাশ করেন। ভিকটিম চিকিৎসাবঞ্চিত হয়ে ডান চোখের দৃষ্টিশক্তি হারান। অবস্থার আরও অবনতি ঘটলে বাদীর সহযোগিতায় তাকে গোপনে চট্টগ্রাম নিয়ে যান। পরবর্তী সময়ে হাসিনার পতনের সংবাদ জানতে পেরে ৫ আগস্ট তিনি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন। বাদী শাহবাগ থানায় মামলা করতে গেলে থানা কর্তৃপক্ষ তাকে আদালতে মামলা করার পরামর্শ দেয়।

শেখ হাসিনার তিন চাচাতো ভাই ও ভাতিজার দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

প্রকাশ: ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ০৬:১৫ পিএম
শেখ হাসিনার তিন চাচাতো ভাই ও ভাতিজার দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
ছবি: সংগৃহীত

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তিন চাচাতো ভাই খুলনা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শেখ সালাহউদ্দিন জুয়েল, শেখ সোহেল ও শেখ জালাল উদ্দিন রুবেল ও ভাতিজা শেখ হেলালের ছেলে বাগেরহাট-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শেখ সারহান নাসের তন্ময়ের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিব ওই আদেশ দেন।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন।

সূত্র জানায়, দুদকের উপ-পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার আদেশ চেয়ে আবেদন করেন।

আবেদনে বলা হয়, বিগত সরকারের সাবেক মন্ত্রী ও বিভিন্ন নির্বাচনি এলাকার এমপিদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে অকল্পনীয় অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে অনুসন্ধান কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা তাদের নামে অবৈধভাবে অর্জিত সম্পত্তি হস্তান্তর করে বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। তারা পালিয়ে গেলে কার্যক্রম ব্যাহত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া আবশ্যক।

এম এ জলিল উজ্জ্বল/এমএ/

হারুন ও জিয়াউলের সম্পত্তি জব্দের আদেশ

প্রকাশ: ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ০৫:৪৯ পিএম
আপডেট: ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ০৬:১৯ পিএম
হারুন ও জিয়াউলের সম্পত্তি জব্দের আদেশ
ফাইল ছবি।

ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) সাবেক মহাপরিচালক জিয়াউল আহসানের ৯৯ দশমিক ৯৩ বিঘা জমি, তিনটি ফ্ল্যাট ও পাঁচটি বাড়ি জব্দ এবং নয়টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সাবেক ডিবিপ্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদের নামে রাজধানীর উত্তরায় থাকা একটি ফ্ল্যাট ও মোট ১৮ কাঠার তিনটি প্লট জব্দ করার আদেশ দেওয়া হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) দুদকের দুই কর্মকর্তার করা পৃথক আবেদনের প্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিব। 

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

সূত্র জানায়, দুদকের উপ-পরিচালক রেজাউল করিম জিয়াউল আহসানের সম্পদ জব্দ ও অবরুদ্ধ করার আদেশ চেয়ে আবেদন করেন। জব্দ করা ফ্ল্যাট ও বাড়ির মধ্যে মিরপুর ডিওএইচএসের ১ হাজার ৪৬০ ও ২ হাজার ১১০ বর্গফুটের ফ্ল্যাট ও উত্তরার ২ হাজার ৬০০ বর্গফুটের একটি ফ্ল্যাট। বরিশালের কোতোয়ালি থানার পৈত্রিক সম্পত্তিতে নির্মিত ৮ তলা নতুন বাড়ি, একই জেলার সদরে থাকা বাগান বাড়ি, পুকুরসহ বাড়ি ও ১ হাজার ২৭০ বর্গফুটের একতলা পুরাতন বাড়ি ও নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে ৮ শতাংশ জমিতে নির্মিত ৮ তলা ভবন রয়েছে। আর নয়টি ব্যাংক হিসাবে জমা রয়েছে ১ কোটি ২৮ লাখ ৯০ হাজার ৫১১ টাকা। 

জব্দ ও অবরুদ্ধ করার আবেদনে বলা হয়, আসামি জিয়াউল আহসান স্থাবর সম্পদ বিক্রয় ও ব্যাংক হিসাব থেকে টাকা উত্তোলন এবং স্থানান্তর করার পরিকল্পনা করছেন। মামলাটি সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে এসব সম্পত্তি জব্দ এবং ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করা প্রয়োজন।

এদিকে, সাবেক ডিবি প্রধান হারুনের সম্পদ জব্দ করার আবেদন করেন দুদকের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন। হারুনের নামে থাকা পৃথক তিনটি প্লট রাজধানীর উত্তরায় অবস্থিত। এছাড়াও জব্দের আদেশ দেওয়া ১ হাজার ৫৭০ বর্গফুটের ফ্ল্যাটটিও উত্তরার ১০ নম্বর সেক্টরে অবস্থিত।

আবেদনে বলা হয়, ক্ষমতার অপব্যবহার ও দুর্নীতির মাধ্যমে সাবেক ডিবি প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদের বিরুদ্ধে দেশে-বিদেশে শত শত কোটি টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে অনুসন্ধান চলছে। বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, তিনি এসব সম্পদ বিক্রয় বা হস্তান্তরের চেষ্টা করছেন। সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে হারুনের এসব সম্পদ জব্দ করা প্রয়োজন।

প্রসঙ্গত, চলতি বছরের গত ১৯ ফেব্রুয়ারি হারুন অর রশীদের ১০০ বিঘা জমি, পাঁচটি ভবন ও দুটি ফ্ল্যাট জব্দ করা হয়। একই সঙ্গে বিভিন্ন ব্যাংকের ১০টি হিসাবে তার নামে থাকা ১ কোটি ২৬ লাখ ৯০ হাজার ৪৬৮ টাকা অবরুদ্ধ করা  হয়।

একইসঙ্গে তার ভাই এবিএম শাহরিয়ারের ৩০ বিঘা জমি জব্দ, ১১টি ব্যাংক হিসাব এবং তিনটি কোম্পানির শেয়ার অবরুদ্ধ করার আদেশ দেয় একই আদালত।

এম এ জলিল উজ্জ্বল//সিফাত/

চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির বিরুদ্ধে ৪৫ জনের মামলা

প্রকাশ: ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ১০:২৮ এএম
চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির বিরুদ্ধে ৪৫ জনের মামলা
চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির বিরুদ্ধে অবৈধভাবে সদস্যপদ বাতিলের অভিযোগে ৪৫ জনের মামলা। ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির বিরুদ্ধে নিয়মনীতি তোয়াক্কা না করে বেআইনিভাবে ৮৬৭ জনের সদস্যপদ বাতিলের অভিযোগে চট্টগ্রাম প্রথম জেলা যুগ্ম জেলা জজ আদালতে মামলা ও নিষেধাজ্ঞা চাওয়া হয়েছে। প্রথম যুগ্ম জেলা জজ বেলাল উদ্দিন মামলাটি গ্রহণ করে ৮ মে শুনানির জন্য দিন ধার্য করেছেন। গত মঙ্গলবার অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ আরিফ উদ্দিন এবং বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ৪৪ শিক্ষক মামলাটি করেন। তবে মামলার বাদীর পক্ষ থেকে গতকাল বুধবার একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তি পাঠানো হলে তা প্রকাশ্যে আসে। 

এর আগে তাদের (বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও আইন কর্মকর্তা) চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতি কারণ দর্শানোর নোটিশ দেন। ওই নোটিশে অভিযোগ করা হয়, আইনের শিক্ষকেরা আইন পেশা ছাড়া অন্য পেশায় নিয়োজিত থেকেও আইনজীবী পেশা ও সমিতির বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা আদায় করছেন।
জানা যায়, বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের বিধান এবং চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সংবিধান অনুযায়ী, কোনো আইনজীবী অন্য পেশা, ব্যবসা বা চাকরিতে নিযুক্ত থাকতে পারেন না। এই বিধান অনুযায়ী, সমিতির এডহক কমিটি তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে দেখতে পায়, ৮৬৭ জন আইনজীবী বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে, যেমন- ব্যাংক, বিশ্ববিদ্যালয়, পুলিশ প্রশাসন, বিচার বিভাগসহ অন্যান্য খাতে চাকরিরত রয়েছেন। তাদের ‘নন-প্র্যাকটিশনার’ হিসেবে চিহ্নিত করে ওই কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করা হয়। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে অনেকে কোনো জবাব দেননি এবং অনেকের জবাব গ্রহণযোগ্য বিবেচিত হয়নি। পরে ৯ এপ্রিল সাধারণ সভায় তাদের সদস্যপদ বাতিলের সিদ্ধান্ত হয়। 

এদিকে বাদীপক্ষের মতে, বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে শিক্ষকতা করাকে ‘আইন পেশা ছাড়া অন্য পেশা’ হিসেবে অভিহিত করা একটি ভুল ব্যাখ্যার ফল। আইন শিক্ষা আইন পেশারই একটি সম্প্রসারিত অংশ, যা এই পেশার জ্ঞানভিত্তিক ভিতকে মজবুত করে। আইন শিক্ষকতা আইন পেশার মূল উদ্দেশ্য ও চেতনার সঙ্গে সাংঘর্ষিক নয়। বরং এ দুটি পরস্পর-সম্পূরক সম্পর্ক বিচার বিভাগ ও আইনি কাঠামোকে বিকশিত এবং শক্তিশালী করে থাকে। আইন শিক্ষকতা আইন পেশার অবিচ্ছেদ্য অংশ এবং বিশ্বব্যাপী বিচারব্যবস্থায় স্বীকৃত।

শিক্ষার্থী পারভেজ হত্যা মামলায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতা রিমান্ডে

প্রকাশ: ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:৪০ পিএম
শিক্ষার্থী পারভেজ হত্যা মামলায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতা রিমান্ডে
পুলিশ হেফাজতে হৃদয় মিয়াজী। ছবি: সংগৃহীত

প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম পারভেজ হত্যা মামলায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বনানী থানার যুগ্ম সদস্যসচিব হৃদয় মিয়াজীকে (২৩) সাত দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। বুধবার (২৩ এপ্রিল) ঢাকার অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. ছানাউল্যাহ শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। 

এদিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বনানী থানার পুলিশ পরিদর্শক এ কে এম মাইন উদ্দিন আসামিকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন। অন্যদিকে আসামির আইনজীবী রিমান্ড আবেদন বাতিল করে জামিন চান। 

শুনানিতে আসামির আইনজীবী তাসলিমা মিনু বলেন, ‘আমার মক্কেল ফার্মেসি ডিপার্টমেন্টের, তারা অন্য ডিপার্টমেন্টের। এ হত্যার সঙ্গে তার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। পারভেজ তার ডিপার্টমেন্টের কেউ ছিলেন না। তা ছাড়া মেয়েদেরও তিনি চেনেন না।’

পরে বিচারক মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে জিজ্ঞেস করেন, মেয়েরা কোথায়? তাদের ধরেননি কেন?

তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, ‘এ মামলায় সন্দেহ করার মতো যৌক্তিক কারণ খুঁজে পাইনি। সিসি ক্যামেরায় তাদের দেখা যায়নি। আবুজর পিয়াস অর্গানাইজ করেছেন। আমরা তাকে খুঁজছি।’ এরপর বিচারক বলেন, মামলার সঙ্গে তাদের সংশ্লিষ্টতা আছে। তারা স্পটে ছিল, মেয়েগুলোর ভূমিকা ছিল। তাদের খুঁজে বের করেন।

আসামির আইনজীবী আবার বলেন, সিসিটিভি ক্যামেরায় তার (হৃদয়) কোনো ভূমিকার কথা বলা নাই। রাজনৈতিকভাবে তাকে এ মামলায় জড়ানো হয়েছে। রাষ্ট্রপক্ষের পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী রিমান্ড মঞ্জুর করার পক্ষে শুনানি করেন। শুনানিতে তিনি বলেন, হৃদয় এজাহারনামীয় আসামি। সিসিটিভি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ দেখেই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। 

গত ২১ এপ্রিল সোমবার রাতে কুমিল্লার তিতাস উপজেলার মনাইরকান্দি গ্রাম থেকে হৃদয় মিয়াজীকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব-১১। গত ২০ এপ্রিল ভোরে প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও বহিরাগতসহ আটজনের নাম উল্লেখ করে বনানী থানায় মামলা করেন পারভেজের ভাই হুমায়ুন কবির। 

এজাহারে বিশ্ববিদ্যালয়ের এলএলবি ও ইংরেজি বিভাগের তিন ছাত্র মাহাথি, মেহেরাব, আবুজর ছাড়া আরও পাঁচজনকে আসামি করা হয়েছে। এরা সবাই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।

গত ১৯ এপ্রিল বিকেল সাড়ে ৪টায় ইউনিভার্সিটি অব স্কলার্সের দুই ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করার অভিযোগে পারভেজের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন শিক্ষার্থীর তর্কাতর্কি হয়। একপর্যায়ে দুই পক্ষকে নিয়ে মীমাংসার জন্য বসে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ক্যাম্পাস থেকে বের হওয়ার পর টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং ২২৩ ব্যাচের শিক্ষার্থী জাহিদুলকে এক দল যুবক ছুরিকাঘাত করেন। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

এম এ জলিল উজ্জ্বল/মাহফুজ

সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলা করলেন পরীমণি

প্রকাশ: ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ০৫:২০ পিএম
আপডেট: ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ০৫:২৭ পিএম
সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলা করলেন পরীমণি
ছবি: সংগৃহীত

অনলাইনে কুৎসা রটনা করে মানহানির অভিযোগে গৃহকর্মী পিংকি আক্তারের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন চিত্রনায়িকা শামসুন নাহার স্মৃতি ওরফে পরীমণি।

বুধবার (২৩ এপ্রিল) ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক নুরে আলম মামলাটি গ্রহণ করেন‌। একইসঙ্গে ঘটনার তদন্ত করে ভাটারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। আগামী ৮ জুলাই প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য করা হয়েছে। 

সংশ্লিষ্ট ট্রাইব্যুনালের পেশকার মো. জুয়েল মিয়া এ তথ্য জানিয়েছেন।

এদিন ট্রাইব্যুনালে পরীমণি উপস্থিত ছিলেন। তার পক্ষে আইনজীবী মহসিন রেজা, মহিমা বাঁধন ও ব্যারিস্টার সাদমান সাকিব শুনানি করেন। 

এর আগে মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) গৃহকর্মী পিংকি আক্তার বাদী হয়ে পরীমণিসহ দুজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। অভিযোগের তদন্ত করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন আদালত। আগামী ৮ মে প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য করা হয়েছে।

এম এ জলিল উজ্জ্বল/মেহেদী/