ঢাকা ১০ বৈশাখ ১৪৩২, বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫
English
বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ১০ বৈশাখ ১৪৩২

আমু ও তার পরিবারের সদস্যের বিরুদ্ধে দুদকের ৩ মামলা

প্রকাশ: ২০ মার্চ ২০২৫, ০৯:৪৭ পিএম
আপডেট: ২০ মার্চ ২০২৫, ১০:০৬ পিএম
আমু ও তার পরিবারের সদস্যের বিরুদ্ধে দুদকের ৩ মামলা
আমির হোসেন আমু

অবৈধ উপায়ে প্রায় ৩৯ কোটি টাকার সম্পদ অর্জন ও ৪৫টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে অন্তত ১৪২ কোটি টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের অভিযোগে সাবেক শিল্পমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আমির হোসেন আমু এবং তার পরিবারের তিন সদস্যের বিরুদ্ধে তিনটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। 

বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১-এ পৃথকভাবে মামলাগুলো করা হয়। অপর দুই মামলায় আসামি হলেন আমির হোসেন আমুর মেয়ে সুমাইয়া হোসেন ও শ্যালিকা সৈয়দা হক মেরী। দুদকের মুখপাত্র ও মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) আক্তার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

আমির হোসেন আমুর বিরুদ্ধে করা মামলায় বলা হয়েছে, তিনি ক্ষমতার অপব্যবহার ও ঘুষ-দুর্নীতির মাধ্যমে ২৬ কোটি ২৭ লাখ ৮১ হাজার ৪৬১ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন। এ ছাড়া তার নিজের ১৪টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ৩১ কোটি ৪৭ লাখ ৯২ হাজার ৭০৮ টাকার সন্দেহজনক লেনদেন করা হয়েছে। তিনি এসব অর্থ-সম্পদ গোপনে স্থানান্তর, রূপান্তর ও হস্তান্তর করেছেন, যা দুদকের আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
 
আমুর মেয়ে সুমাইয়া হোসেনের বিরুদ্ধে করা মামলায় বলা হয়, তিনি তার বাবার সহযোগিতায় ক্ষমতার অপব্যবহার করে ঘুষ-দুর্নীতির মাধ্যমে ৪ কোটি ৪৩ লাখ ৫২ হাজার ৮১ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন। তার নিজের ১৮টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ৪৮ কোটি ৪৯ লাখ ৫৯ হাজার ৬৪২ টাকা সন্দেহজনক লেনদেন করা হয়েছে। এই অর্থ-সম্পদ গোপনে স্থানান্তর, রূপান্তর ও হস্তান্তর করেছেন। এ মামলায় আমির হোসেন আমুকেও আসামি করা হয়েছে।
 
এদিকে আমির হোসেন আমুর শ্যালিকা সৈয়দা হক মেরীও ৭ কোটি ৬৬ লাখ ৯১ হাজার ৬৭০ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন উল্লেখ করে আরেকটি মামলা করা হয়েছে। তার নিজের ১৩টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ৬২ কোটি ৬৮ লাখ ৪১৭ টাকা সন্দেহজনক লেনদেন করা হয়েছে। মেরী তার ভগ্নিপতি আমির হোসেন আমুর সহযোগিতায় এই অর্থ-সম্পদের মালিক হয়েছেন। এসব অর্থ-সম্পদ গোপনে স্থানান্তর, রূপান্তর ও হস্তান্তর করা হয়েছে। ফলে এ মামলাতেও আমির হোসেন আমুকে সহযোগী আসামি করা হয়েছে।

মাহফুজ/

পিরোজপুরে হত্যা মামলায় ২ জনের যাবজ্জীবন

প্রকাশ: ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ০২:৪২ পিএম
পিরোজপুরে হত্যা মামলায় ২ জনের যাবজ্জীবন
ছবি: খবরের কাগজ

পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলায় এমদাদুল ফরাজী (৩০) নামে এক যুবককে হত্যার অভিযোগে দুই জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া আসামিদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

বুধবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে পিরোজপুর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. মোক্তাগীর আলম এ রায় দেন। 

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- পিরোজপুর জেলার ভান্ডারিয়া উপজেলার গোলবুনিয়া গ্রামের মজিদ হাওলাদারের ছেলে মো. হাচান হাওলাদার (৩৫) এবং গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী থানার ঘোনাপাড়ার সিরাজুল ইসলামে ছেলে প্রিন্স মোল্লা (৪২)।

পেশায় মোটরসাইকেলচালক নিহত এমদাদুল ফরাজী পিরোজপুর জেলার ভান্ডারিয়া উপজেলার গোলবুনিয়া গ্রামের খান জাহান আলীর ছেলে।

বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ওয়াহিদ হাসান বাবু জানান, ২০০৮ সানের ৩ মার্চ এমদাদুল ফরাজীর ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকলে করে আসামিরা সাফা বন্দর এলাকা থেকে তাকে চরখালী এলাকায় নিয়ে আসেন। সেখানে থেকে আসামিরা ভান্ডারিয়ার-মঠবাড়িয়া সড়কের দারুল হুদা মাদ্রাসা এলাকায় এমদাদুল ফরাজীকে হত্যা করে মোটরসাইকেল নিয়ে পালিয়ে যান। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করলে নিহত এমদাদুল ফরাজীর বাবা খান জাহান আলী ভান্ডারিয়া থানায় আসামির নামীয় করে ৪ মার্চ ভান্ডারিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। পরে তদন্তকারী কর্মকর্তা ভান্ডারিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আলাউদ্দিন আসামিদের অভিযুক্ত করে আদালতে একই বছরের ২৫ এপ্রিল অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এর পর আদালতে ১৩ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য শেষে বিচারক আসামিদের অভিযুক্ত করে এই রায় দেন। তবে রায়ের সময় আসামিরা পলাতক ছিলেন।

হাসান/মেহেদী/

চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর জামিন শুনানি পেছাল

প্রকাশ: ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ০১:৫৯ পিএম
চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর জামিন শুনানি পেছাল
চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের ফাইল ফটো

চট্টগ্রামে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের জামিন শুনানি পিছিয়ে আগামী ৩০ এপ্রিল নির্ধারণ করা হয়েছে।

বুধবার (২৩ এপ্রিল) তার জামিন শুনানির নতুন এই দিন ধার্য করেন আদালত।

এর আগে গত ২৩ মার্চ চিন্ময় দাসের আইনজীবীর আবেদনের প্রেক্ষিতে বিচারপতি মো. আতোয়ার রহমান ও বিচারপতি মো. আলী রেজার হাইকোর্ট বেঞ্চ এ বিষয়ে শুনানির জন্য আজকের দিন ধার্য করেছিলেন।

সেদিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছিলেন চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের আইনজীবী অপূর্ব কুমার ভট্টাচার্য।

এই মামলায় গত ৪ ফেব্রুয়ারি চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে কেন জামিন দেওয়া হবে না, তা জানতে রুল জারি করেছিলেন হাইকোর্ট।

চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের নেতৃত্বে গত বছরের ২৫ অক্টোবর চট্টগ্রামে সনাতনী সম্প্রদায়ের সমাবেশ হয়। ওই সমাবেশের পর গত ৩১ অক্টোবর তার বিরুদ্ধে জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা হয়। এতে চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ছাড়াও আরও ১৮ জনকে আসামি করা হয়। এরপর রাষ্ট্রদ্রোহের সেই মামলায় গত ২৫ নভেম্বর তাকে ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এর পরদিন জামিন আবেদন করা হলে তা নামঞ্জুর করে চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট। পরে আদালত চিন্ময়কে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিলে সেদিন চট্টগ্রামে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও আইনজীবীদের সঙ্গে চিন্ময়ের অনুসারীদের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। ওই সময় আইনজীবীর সাইফুল ইসলাম আলিফকে আদালত চত্বরের বাইরে হত্যা করা হয়। এরপর থেকেই কারাগারে আছেন চিন্ময়।

গত ২ জানুয়ারি চিন্ময় দাসের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন চট্টগ্রামের মহানগর দায়রা জজ আদালত। পরবর্তীতে হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন তার আইনজীবী।

অমিয়/

শাজাহান-পলক-আতিকসহ ৬ জনের রিমান্ড

প্রকাশ: ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ০১:১৯ পিএম
আপডেট: ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ০১:২২ পিএম
শাজাহান-পলক-আতিকসহ ৬ জনের রিমান্ড
সাবেক মন্ত্রী শাজাহান খান ও সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। ছবি: সংগৃহীত

ছাত্র-জনতার আন্দোলনে রাজধানীর বিভিন্ন থানার হত্যা ও হত্যাচেষ্টা মামলায় সাবেক মন্ত্রী শাজাহান খান, সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, ঢাকা উত্তরের সাবেক মেয়র আতিকুল ইসলামসহ ছয়জনের বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন ঢাকার একটি আদালত।

রিমান্ডে যাওয়া অন্য আসামিরা হলেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত, ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক দিলীপ কুমার আগারওয়ালা ও যাত্রাবাড়ী থানার সাবেক ওসি আবুল হাসান।

বুধবার (২৩ এপ্রিল) তাদের কারাগার থেকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে পুলিশ। এ সময় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তারা তাদের বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ড নিতে আবেদন করেন। অন্যদিকে আসামিদের রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে আবেদন করেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাহবুবুর রহমান তাদের বিভিন্ন মেয়াদের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে মাদ্রাসা ছাত্র মো. আরিফ হত্যার মামলায় শাজাহান খানকে একদিন এবং আতিকুল ইসলাম ও তানভীর হাসান সৈকতকে দুইদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন  আদালত।

এ ছাড়াও ভাটারা থানার মনির হত্যা মামলায় আতিকুল ইসলাম, বাড্ডা থানার আরেক হত্যা মামলায় জুনাইদ আহমেদ পলক ও কোতোয়ালী থানার মামলায় দিলীপ কুমার আগারওয়ালা'র দুইদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়েছে। অন্যদিকে যাত্রাবাড়ী থানার আরেক হত্যা মামলায় সংশ্লিষ্ট থানার সাবেক ওসি আবুল হাসানের তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন বিচারক।

এদিকে যাত্রাবাড়ী, উত্তরা পশ্চিম, কোতোয়ালী, ভাটারা থানার বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন কেন্দ্রিক বিভিন্ন মামলায় সাবেক মন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, রাশেদ খান মেনন, জুনাইদ আহমেদ পলক, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, সাধন চন্দ্র মজুমদার, সাবেক মেয়র আতিকুল ইসলাম, ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ, ছাত্রলীগ নেতা তানভীর হাসান সৈকত, সাবেক ওসি আবুল হাসান ও সাবেক এএসপি তানজিল আহম্মেদকে গ্রেফতার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেছেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাহবুবুর রহমান। সূত্র: বাসস

সুমন/

মেজর সিনহা হত্যার ডেথ রেফারেন্স ও আপিল শুনানি শুরু

প্রকাশ: ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ০১:০৬ পিএম
আপডেট: ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ০১:১০ পিএম
মেজর সিনহা হত্যার ডেথ রেফারেন্স ও আপিল শুনানি শুরু
অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান। ছবি: সংগৃহীত

সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলার ডেথ রেফারেন্স ও আসামিদের আপিল শুনানি আজ বুধবার (২৩ এপ্রিল) শুরু হয়েছে।

বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান ও বিচারপতি মো. সগীর হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত একটি  হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চে এই শুনানি শুরু হয়।

২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান।  এই ঘটনায় করা মামলার বিচার শেষে ২০২২ সালের ৩১ জানুয়ারি কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালত দুজনকে মৃত্যুদণ্ড, ছয়জনকে যাবজ্জীবন ও সাতজনকে খালাস দিয়ে রায় দিয়েছিলেন। 

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের তৎকালীন পরিদর্শক বরখাস্ত লিয়াকত আলী ও টেকনাফ থানার বরখাস্তকৃত ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ।

যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের বরখাস্ত উপ-পরিদর্শক (এসআই) নন্দ দুলাল রক্ষিত, সাগর দেব, রুবেল শর্মা, টেকনাফ থানায় পুলিশের করা মামলার সাক্ষী টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুরের মারিশবুনিয়া গ্রামের নুরুল আমিন, মো. নেজামুদ্দিন ও আয়াজ উদ্দিন।

বিচারিক আদালতের রায়ের পরে নিয়ম অনুসারে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তদের দণ্ডাদেশ অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে আসে। অন্যদিকে, দণ্ডিত আসামিরা আপিল ও জেল আপিল করেন। সূত্র: বাসস

সুমন/

মেহের আফরোজ শাওনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

প্রকাশ: ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ১২:৪২ পিএম
আপডেট: ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ১২:৪৩ পিএম
মেহের আফরোজ শাওনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
মেহের আফরোজ শাওন। ছবি: সংগৃহীত

বাবা ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ আলী ও সৎ মা নিশি ইসলামকে শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগে সৎ মা নিশি ইসলামের করা মামলায় অভিনেত্রী মেহের আফরোজ শাওনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।

বুধবার (২৩ এপ্রিল) তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির বিষয়টি জানা গেছে। এর আগে মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) ঢাকা মহানগর প্রথম অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত এ আদেশ দেন।

মামলায় সাবেক ডিবিপ্রধান মোহাম্মদ হারুন-অর-রশিদসহ ১২ জন আসামি রয়েছেন।

মঙ্গলবার আদালতে হাজির হয়ে বাড্ডা থানার দুই পুলিশ সদস্য অভিযোগ স্বীকার করে বলেন, বাড্ডা থানার তৎকালীন ওসির নির্দেশে তারা বাদী নিশি ইসলামকে আটক ও নির্যাতনে অংশ নেন। তবে এদিন শাওন ও সাবেক ডিবিপ্রধান হারুনসহ বাকি আসামিরা হাজির না হওয়ায় আদালত তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।

আদালতের এমন আদেশে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে মামলার বাদী নিশি ইসলাম বলেন, ‘আমরা চাই আসামিদের শাস্তি হোক। শাওন এই মামলায় অনেক প্রভাব বিস্তার করেছে। সে আমাদের মারধর করেছে।’

গত বছরের শুরুর দিকে শাওনের বাবা ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ আলী একটি ম্যারেজ মিডিয়ায় বিয়ের জন্য পাত্রী চাই বিজ্ঞাপন দেন। সেই বিজ্ঞাপন থেকেই নিশির সঙ্গে তার পরিচয় ও বিয়ে হয়। অভিযোগ রয়েছে, এ ঘটনা জানার পর বাবার ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালান শাওন। পাশাপাশি আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থাকায় সেই প্রভাব খাটিয়ে সৎ মা নিশিকে ৬ মাস জেলে খাটান।

এ ছাড়া বাবাকে মানসিক ভারসাম্যহীন বানিয়ে কয়েক মাস একটি মানসিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে আটকে রেখেছিলেন শাওন। এসব ঘটনার সঙ্গে শাওনের অন্যান্য ভাইবোনও জড়িত বলে সে সময় অভিযোগ করেছিলেন বাদী নিশি ইসলাম।

মেহেদী/