ঢাকা ১০ বৈশাখ ১৪৩২, বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫
English
বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ১০ বৈশাখ ১৪৩২

টি স্পোর্টস, নাগরিক টিভি ও টফির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হাইকোর্টের নির্দেশ

প্রকাশ: ২০ মার্চ ২০২৫, ১০:০৬ পিএম
আপডেট: ২০ মার্চ ২০২৫, ১০:৩৬ পিএম
টি স্পোর্টস, নাগরিক টিভি ও টফির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হাইকোর্টের নির্দেশ
ছবি: সংগৃহীত

বিচারপতি ফাহমিদা কাদের এবং বিচারপতি মুবিনা আসাফের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ টি স্পোর্টস, নাগরিক টিভি এবং বাংলালিংকের টফির চ্যানেলে অবৈধভাবে ক্রিকেটের প্রচার সত্ব ক্রয় ও সম্প্রচারের বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। দুবাইভিত্তিক কোম্পানি টোটাল স্পোর্টস মার্কেটিং (টিএসএম) এবং পলাতক ডিআইজি সৈয়দ নুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে অর্থ পাচার, কর ফাঁকির অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এই আদেশ দেন।

ডিআইজি নুরুল, জুলাই গণহত্যায় জড়িত পলাতক একজন পুলিশ কর্মকর্তা, তার ঘনিষ্ঠ আত্মীয় মইনুল হক চৌধুরীকে দিয়ে দুবাইতে টোটাল স্পোর্টস মার্কেটিং নামে একটি কোম্পানি (TSM) প্রতিষ্ঠা করেন। টিএসএম ডিআইজি নুরুলের দুর্নীতির অবৈধ অর্থ ব্যবহার করে বিভিন্ন ক্রিকেট টুর্নামেন্টের সম্প্রচার স্বত্ব অর্জন করেছিলেন, যার মধ্যে রয়েছে উল্লেখযোগ্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ওয়েস্ট ইন্ডিজ অনুষ্ঠিত আইসিসি বিশ্বকাপ ২০২৪ এবং দুবাই, পাকিস্তানে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ২০২৫। 

বাংলাদেশ থেকে অবৈধভাবে এইসব তহবিল স্থানান্তর করে আইসিসিকে প্রদান করা হয়েছিল মূলত হুন্ডির মাধ্যমে এবং আংশিকভাবে তা করা হয়েছিল আন্ডার-ইনভয়েসিংয়ের মাধ্যমে, ব্যাংকিং চ্যানেল এবং সরকারি কর এড়িয়ে। দুবাইভিত্তিক টিএসএম, যা নিয়ন্ত্রকদের ফাঁকি দিতেই বাংলাদেশে তাদের নাম পরিবর্তন করে টোটাল স্পোর্টস ম্যানেজমেন্ট নাম দিয়ে বাংলাদেশি সম্প্রচারকদের কাছে এই সব খেলার সত্ব সরবরাহ করেছিল। বাংলালিংক, টি স্পোর্টস এবং নাগরিক টিভি ডিআইজি নুরুলের দুর্নীতির অর্থের অবৈধ উৎস নিয়ে বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রকাশিত সংবাদ জানা সত্ত্বেও এই অনুষ্ঠানগুলি সম্প্রচার করেছিল। আদালত বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) কে বিষয়টি অবিলম্বে তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছে।

নোটিশে ২০১৪ সালে পরিবেশ কর্মী ও বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের স্বামী আবু বাকের সিদ্দিকের অপহরণের ঘটনায় ডিআইজি নুরুলের জড়িত থাকার বিষয়টিও প্রকাশ করা হয়েছে। ডিআইজি নুরুলের অবৈধ কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ওমর ফারুক অনিক একটি ন্যায়বিচার দাবির নোটিশ দাখিল করার পর আদালতের এই নির্দেশনা আসে।

মাহফুজ

চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর জামিন শুনানি পেছাল

প্রকাশ: ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ০১:৫৯ পিএম
চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর জামিন শুনানি পেছাল
চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের ফাইল ফটো

চট্টগ্রামে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের জামিন শুনানি পিছিয়ে আগামী ৩০ এপ্রিল নির্ধারণ করা হয়েছে।

বুধবার (২৩ এপ্রিল) তার জামিন শুনানির নতুন এই দিন ধার্য করেন আদালত।

এর আগে গত ২৩ মার্চ চিন্ময় দাসের আইনজীবীর আবেদনের প্রেক্ষিতে বিচারপতি মো. আতোয়ার রহমান ও বিচারপতি মো. আলী রেজার হাইকোর্ট বেঞ্চ এ বিষয়ে শুনানির জন্য আজকের দিন ধার্য করেছিলেন।

সেদিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছিলেন চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের আইনজীবী অপূর্ব কুমার ভট্টাচার্য।

এই মামলায় গত ৪ ফেব্রুয়ারি চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে কেন জামিন দেওয়া হবে না, তা জানতে রুল জারি করেছিলেন হাইকোর্ট।

চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের নেতৃত্বে গত বছরের ২৫ অক্টোবর চট্টগ্রামে সনাতনী সম্প্রদায়ের সমাবেশ হয়। ওই সমাবেশের পর গত ৩১ অক্টোবর তার বিরুদ্ধে জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা হয়। এতে চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ছাড়াও আরও ১৮ জনকে আসামি করা হয়। এরপর রাষ্ট্রদ্রোহের সেই মামলায় গত ২৫ নভেম্বর তাকে ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এর পরদিন জামিন আবেদন করা হলে তা নামঞ্জুর করে চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট। পরে আদালত চিন্ময়কে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিলে সেদিন চট্টগ্রামে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও আইনজীবীদের সঙ্গে চিন্ময়ের অনুসারীদের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। ওই সময় আইনজীবীর সাইফুল ইসলাম আলিফকে আদালত চত্বরের বাইরে হত্যা করা হয়। এরপর থেকেই কারাগারে আছেন চিন্ময়।

গত ২ জানুয়ারি চিন্ময় দাসের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন চট্টগ্রামের মহানগর দায়রা জজ আদালত। পরবর্তীতে হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন তার আইনজীবী।

অমিয়/

শাজাহান-পলক-আতিকসহ ৬ জনের রিমান্ড

প্রকাশ: ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ০১:১৯ পিএম
আপডেট: ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ০১:২২ পিএম
শাজাহান-পলক-আতিকসহ ৬ জনের রিমান্ড
সাবেক মন্ত্রী শাজাহান খান ও সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। ছবি: সংগৃহীত

ছাত্র-জনতার আন্দোলনে রাজধানীর বিভিন্ন থানার হত্যা ও হত্যাচেষ্টা মামলায় সাবেক মন্ত্রী শাজাহান খান, সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, ঢাকা উত্তরের সাবেক মেয়র আতিকুল ইসলামসহ ছয়জনের বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন ঢাকার একটি আদালত।

রিমান্ডে যাওয়া অন্য আসামিরা হলেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত, ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক দিলীপ কুমার আগারওয়ালা ও যাত্রাবাড়ী থানার সাবেক ওসি আবুল হাসান।

বুধবার (২৩ এপ্রিল) তাদের কারাগার থেকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে পুলিশ। এ সময় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তারা তাদের বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ড নিতে আবেদন করেন। অন্যদিকে আসামিদের রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে আবেদন করেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাহবুবুর রহমান তাদের বিভিন্ন মেয়াদের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে মাদ্রাসা ছাত্র মো. আরিফ হত্যার মামলায় শাজাহান খানকে একদিন এবং আতিকুল ইসলাম ও তানভীর হাসান সৈকতকে দুইদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন  আদালত।

এ ছাড়াও ভাটারা থানার মনির হত্যা মামলায় আতিকুল ইসলাম, বাড্ডা থানার আরেক হত্যা মামলায় জুনাইদ আহমেদ পলক ও কোতোয়ালী থানার মামলায় দিলীপ কুমার আগারওয়ালা'র দুইদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়েছে। অন্যদিকে যাত্রাবাড়ী থানার আরেক হত্যা মামলায় সংশ্লিষ্ট থানার সাবেক ওসি আবুল হাসানের তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন বিচারক।

এদিকে যাত্রাবাড়ী, উত্তরা পশ্চিম, কোতোয়ালী, ভাটারা থানার বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন কেন্দ্রিক বিভিন্ন মামলায় সাবেক মন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, রাশেদ খান মেনন, জুনাইদ আহমেদ পলক, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, সাধন চন্দ্র মজুমদার, সাবেক মেয়র আতিকুল ইসলাম, ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ, ছাত্রলীগ নেতা তানভীর হাসান সৈকত, সাবেক ওসি আবুল হাসান ও সাবেক এএসপি তানজিল আহম্মেদকে গ্রেফতার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেছেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাহবুবুর রহমান। সূত্র: বাসস

সুমন/

মেজর সিনহা হত্যার ডেথ রেফারেন্স ও আপিল শুনানি শুরু

প্রকাশ: ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ০১:০৬ পিএম
আপডেট: ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ০১:১০ পিএম
মেজর সিনহা হত্যার ডেথ রেফারেন্স ও আপিল শুনানি শুরু
অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান। ছবি: সংগৃহীত

সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলার ডেথ রেফারেন্স ও আসামিদের আপিল শুনানি আজ বুধবার (২৩ এপ্রিল) শুরু হয়েছে।

বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান ও বিচারপতি মো. সগীর হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত একটি  হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চে এই শুনানি শুরু হয়।

২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান।  এই ঘটনায় করা মামলার বিচার শেষে ২০২২ সালের ৩১ জানুয়ারি কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালত দুজনকে মৃত্যুদণ্ড, ছয়জনকে যাবজ্জীবন ও সাতজনকে খালাস দিয়ে রায় দিয়েছিলেন। 

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের তৎকালীন পরিদর্শক বরখাস্ত লিয়াকত আলী ও টেকনাফ থানার বরখাস্তকৃত ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ।

যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের বরখাস্ত উপ-পরিদর্শক (এসআই) নন্দ দুলাল রক্ষিত, সাগর দেব, রুবেল শর্মা, টেকনাফ থানায় পুলিশের করা মামলার সাক্ষী টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুরের মারিশবুনিয়া গ্রামের নুরুল আমিন, মো. নেজামুদ্দিন ও আয়াজ উদ্দিন।

বিচারিক আদালতের রায়ের পরে নিয়ম অনুসারে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তদের দণ্ডাদেশ অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে আসে। অন্যদিকে, দণ্ডিত আসামিরা আপিল ও জেল আপিল করেন। সূত্র: বাসস

সুমন/

মেহের আফরোজ শাওনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

প্রকাশ: ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ১২:৪২ পিএম
আপডেট: ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ১২:৪৩ পিএম
মেহের আফরোজ শাওনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
মেহের আফরোজ শাওন। ছবি: সংগৃহীত

বাবা ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ আলী ও সৎ মা নিশি ইসলামকে শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগে সৎ মা নিশি ইসলামের করা মামলায় অভিনেত্রী মেহের আফরোজ শাওনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।

বুধবার (২৩ এপ্রিল) তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির বিষয়টি জানা গেছে। এর আগে মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) ঢাকা মহানগর প্রথম অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত এ আদেশ দেন।

মামলায় সাবেক ডিবিপ্রধান মোহাম্মদ হারুন-অর-রশিদসহ ১২ জন আসামি রয়েছেন।

মঙ্গলবার আদালতে হাজির হয়ে বাড্ডা থানার দুই পুলিশ সদস্য অভিযোগ স্বীকার করে বলেন, বাড্ডা থানার তৎকালীন ওসির নির্দেশে তারা বাদী নিশি ইসলামকে আটক ও নির্যাতনে অংশ নেন। তবে এদিন শাওন ও সাবেক ডিবিপ্রধান হারুনসহ বাকি আসামিরা হাজির না হওয়ায় আদালত তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।

আদালতের এমন আদেশে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে মামলার বাদী নিশি ইসলাম বলেন, ‘আমরা চাই আসামিদের শাস্তি হোক। শাওন এই মামলায় অনেক প্রভাব বিস্তার করেছে। সে আমাদের মারধর করেছে।’

গত বছরের শুরুর দিকে শাওনের বাবা ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ আলী একটি ম্যারেজ মিডিয়ায় বিয়ের জন্য পাত্রী চাই বিজ্ঞাপন দেন। সেই বিজ্ঞাপন থেকেই নিশির সঙ্গে তার পরিচয় ও বিয়ে হয়। অভিযোগ রয়েছে, এ ঘটনা জানার পর বাবার ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালান শাওন। পাশাপাশি আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থাকায় সেই প্রভাব খাটিয়ে সৎ মা নিশিকে ৬ মাস জেলে খাটান।

এ ছাড়া বাবাকে মানসিক ভারসাম্যহীন বানিয়ে কয়েক মাস একটি মানসিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে আটকে রেখেছিলেন শাওন। এসব ঘটনার সঙ্গে শাওনের অন্যান্য ভাইবোনও জড়িত বলে সে সময় অভিযোগ করেছিলেন বাদী নিশি ইসলাম।

মেহেদী/

আসামি গ্রেপ্তার করতে লাগবে না ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি

প্রকাশ: ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ১২:২৭ পিএম
আপডেট: ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ১২:৩৬ পিএম
আসামি গ্রেপ্তার করতে লাগবে না ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ঘটনায় মামলায় আসামিদের গ্রেপ্তার করতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি লাগবে না বলে আদেশ দিয়েছেন আদালত।

বুধবার (২৩ এপ্রিল) বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ ডিএমপির সার্কুলার স্থগিত করে এ আদেশ দেন।

এর আগে গত ১০ এপ্রিল ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ঘটনায় করা মামলায় আসামি গ্রেপ্তারের আগে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে হবে বলে ডিএমপির যুগ্ম-কমিশনার ফারুক হোসেন স্বাক্ষরিত একটি অফিস আদেশ জারি করে। 

আদেশে বলা হয়, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন সংক্রান্তে রুজু করা মামলায় অধিকাংশ ক্ষেত্রে এজাহারভুক্ত আসামির সংখ্যা অধিক। এসব মামলার এজাহারভুক্ত কিংবা তদন্তেপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তারের জন্য উপযুক্ত প্রমাণসহ (ভিকটিম, বাদী, প্রত্যক্ষদর্শী, সাক্ষী, ঘটনা সংশ্লিষ্ট ভিডিও, অডিও, স্থির চিত্র ও মোবাইলের কল লিস্ট বা সিডিআর ইত্যাদি) অবশ্যই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে গ্রেপ্তার করতে হবে।

পরে এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. জসিম উদ্দিন একটি রিট করেন। রিটের শুনানি শেষে আজ আদেশ দেন হাইকোর্ট।

মেহেদী/