
গৃহযুদ্ধের পরিকল্পনা ও বর্তমান সরকারকে উৎখাতের ষড়যন্ত্রের অভিযোগে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৭৩ জনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা হয়েছে। মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, ‘জয় বাংলা ব্রিগেড’ নামে অনলাইন প্ল্যাটফর্মের মিটিংয়ে এই ষড়যন্ত্র হয়েছে। সেখানে শেখ হাসিনাকে ফের প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা বুঝিয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্রমূলক আলোচনা বা সিদ্ধান্ত হয়।
সিআইডি সদর দপ্তরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির বরাত দিয়ে বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) রাতে পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি (মিডিয়া) ইনামুল হক সাগর এ তথ্য জানিয়েছেন। এতে বলা হয়েছে, ‘গত ১৯ ডিসেম্বর অনলাইন প্ল্যাটফর্মের মিটিংয়ে ‘জয় বাংলা ব্রিগেড’ গঠন করে একটি গৃহযুদ্ধের মাধ্যমে পলাতক শেখ হাসিনাকে ফের প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা বুঝিয়ে দেওয়া এবং তা নিশ্চিতকরণের জন্য শেষ নিশ্বাস পর্যন্ত যুদ্ধ করে যাবেন বলে অনেকেই প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। মোট ৫৭৭ জন অংশগ্রহণকারী দেশ-বিদেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ওই জুম মিটিংয়ে অংশগ্রহণ করেন। এ সময় তারা শেখ হাসিনার সব নির্দেশ পালন করার ব্যাপারে একাগ্রচিত্তে মত প্রকাশ করেন।’
সিআইডির বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ড. রাব্বি আলমের ‘হোস্টিংয়ে’ (আয়োজক) সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, হোস্ট, কো-হোস্ট ও অংশগ্রহণকারী নেতা-কর্মীদের কথোপকথনে ভয়েস রেকর্ড পর্যালোচনা করা হয়। এতে ‘জয় বাংলা ব্রিগেড’ নামক প্ল্যাটফর্মে দেশ-বিদেশ থেকে অংশগ্রহণকারীরা বৈধ সরকারকে শান্তিপূর্ণভাবে দেশ পরিচালনা করতে দেবে না বলে আলোচনা হয়। এই অনলাইন প্ল্যাটফর্ম মিটিংয়ে বর্তমান সরকারকে উৎখাত করার জন্য গৃহযুদ্ধের ঘোষণা দিয়ে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে রাষ্ট্রদ্রোহের অপরাধের সুস্পষ্ট উপাদান রয়েছে বলে প্রতীয়মান হয়েছে। এ কারণে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের পর ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে ওই অভিযোগে মামলাটি করা হলে আদালত তা আমলে নিয়ে সিআইডিকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। এ মামলায় শেখ হাসিনাসহ ৭৩ জনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা হয়েছে। এতে দ্বিতীয় আসামি করা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ড. রাব্বি আলমকে। এ ছাড়া অনলাইন মিটিংয়ে অংশগ্রহণকারী আরও ৫০৩ জনকেও আসামি করা হয়েছে। তবে মামলার বাদী কে এবং কবে মামলাটি হয়েছে, সে বিষয়ে সিআইডির বিজ্ঞপ্তিতে কোনো তথ্য জানানো হয়নি।