
বগুড়ায় দুই ফ্রিল্যান্সারকে অপহরণ ও মুক্তিপণ আদায়ের ঘটনায় করা মামলায় রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) পাঁচ সদস্যসহ ছয়জনের এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) দুপুরে যশোরের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট লোকমান হাকিমের আদালত এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
আসামিরা হলেন আরএমপির গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সাবেক এসআই শাহীন মোহাম্মদ অনু ইসলাম, কনস্টেবল রিপন মিয়া, কনস্টেবল আবুল কালাম আজাদ, কনস্টেবল মাহবুব আলম ও কনস্টেবল বাশির আলী। অন্য আসামি হলেন মাইক্রোবাসের ড্রাইভার মেহেদী হাসান।
এর আগে দুই ফ্রিল্যান্সারকে অপহরণ ও মুক্তিপণ আদায়ের ঘটনায় আরএমপির ছয় সদস্যসহ সাতজনের বিরুদ্ধে ধুনট থানায় মামলা হয়। এরপর ছয় সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
রিমান্ডের বিষয়ে ধুনট থানার ওসি সাইদুল আলম জানান, এ মামলার অন্য আসামি ডিবির কনস্টেবল ওহাব আলীকে গত ২৫ মার্চ রাতে রাজশাহীর লক্ষ্মীপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে। তবে ঈদের পর রিমান্ড শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।
মামলা সূত্র ও পুলিশ জানায়, ওহাব আলী বগুড়ার ধুনট উপজেলার চৌকিবাড়ি ইউনিয়নের দীঘলকান্দি গ্রামের আলতাব হোসেনের ছেলে। ওই গ্রামের সেলিম শেখের ছেলে রাব্বি শেখ (১৯) ও মৃত শেরবান খাঁর ছেলে জাহাঙ্গীর খাঁ (২৪) ফ্রিল্যান্সার। ওহাব তাদের অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়ের পরিকল্পনা করেন। এর ধারবাহিকতায় গত ২৩ মার্চ রাত সাড়ে ১১টার দিকে মাইক্রোবাসে এসআই শাহীন মোহাম্মদ অনু ইসলামের নেতৃত্বে কনস্টেবল ওহাব আলী, রিপন মিয়া, আবুল কালাম আজাদ, মাহবুব আলম, বাশির আলী এবং ড্রাইভার মেহেদী হাসান দীঘলকান্দি গ্রামে যান। তারা রাব্বী ও জাহাঙ্গীরকে বাড়ি থেকে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যান। রাত ২টার দিকে তাদের পরিবারের কাছে ১২ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। পরে বিকাশের মাধ্যমে ৩ লাখ ৩০ হাজার টাকা নিয়ে তাদের বগুড়ার শেরপুর উপজেলায় ছেড়ে দেওয়া হয়। পরে ভুক্তভোগীদের স্বজনরা বিষয়টি ধুনট থানা ও কুন্দারহাট হাইওয়ে থানাকে অবহিত করেন। এরপর কুন্দারহাট থানার ওসি মনোয়ারুজ্জামানের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার বীরগ্রাম বাসস্ট্যান্ড এলাকায় মাইক্রোবাসটি থামায়। এ সময় ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তবে ওহাব আলী সটকে পড়েন। এ ব্যাপারে রাব্বীর বাবা সেলিম সেখ সাতজনের বিরুদ্ধে ধুনট থানায় মামলা করেন।