ঢাকা ২৪ আষাঢ় ১৪৩২, মঙ্গলবার, ০৮ জুলাই ২০২৫
English
মঙ্গলবার, ০৮ জুলাই ২০২৫, ২৪ আষাঢ় ১৪৩২

বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্টের ফিক্সড ডিপোজিট অবরুদ্ধ

প্রকাশ: ০৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৫:১৭ পিএম
বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্টের ফিক্সড ডিপোজিট অবরুদ্ধ
বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্ট

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ (পুতুল), তার ছোট বোন শেখ রেহানা ও তাদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্টের ফিক্সড ডিপোজিটটি অবরুদ্ধের আদেশ দিয়েছেন ঢাকার একটি আদালত।

বুধবার (৯ এপ্রিল) দুদকের আবেদনের প্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. জাকির হোসেন গালিব এ  আদেশ দেন।

এই ফিক্সড ডিপোজিট অ্যাকাউন্টটি এনসিসি ব্যাংক পিএলসিতে করা। এতে ১৬ কোটি সাড়ে ১২ লাখ টাকা রয়েছে বলে আবেদনে উল্লেখ করেন দুদকের উপ-পরিচালক মনিরুল ইসলাম।

আবেদনে বলা হয়, শেখ হাসিনা, সজীব ওয়াজেদ জয়, সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, শেখ রেহানা ও তাদের স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট অ্যাকাউন্টের অস্থাবর সম্পদ সমূহ অন্যত্র হস্তান্তর, স্থানান্তর বা বেহাত করার চেষ্টা করছেন। সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে উক্ত অ্যাকাউন্টটি অবিলম্বে অবরুদ্ধ করা আবশ্যক। এমতাবস্থায় অভিযোগটির সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে অনুসন্ধান সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের উল্লিখিত অস্থাবর সম্পদ/সম্পত্তির মালিকানা পরিবর্তন/স্থানান্তর বা অন্য কোনো প্রক্রিয়ায় হস্তান্তর করতে না পারেন এ মর্মে অবরুদ্ধকরণ আদেশ দানে সদয় মর্জি হয়। 

পরে আদালত আবেদন মঞ্জুর করে অবরুদ্ধের আদেশ দেন। সূত্র: বাসস

অমিয়/

ঝিনাইদহে পুলিশ কর্মকর্তা হত্যায় ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড, ৪ জনের যাবজ্জীবন

প্রকাশ: ০৮ জুলাই ২০২৫, ১২:৪৮ পিএম
আপডেট: ০৮ জুলাই ২০২৫, ০২:০৩ পিএম
ঝিনাইদহে পুলিশ কর্মকর্তা হত্যায় ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড, ৪ জনের যাবজ্জীবন
আমজাদ হোসেন ।

ঝিনাইদহে পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মিরাজুল ইসলাম হত্যা মামলায় চারজনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া এ মামলায় চারজনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। রায়ে সাতজনকে খালাস দেওয়া হয়। উপ-পরিদর্শক মিরাজুল সদর উপজেলার ডাকবাংলা পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ ছিলেন।

সোমবার (৭ জুলাই) দুপুর ১২টার দিকে ঝিনাইদহের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মাহাবুব আলম এ রায় দেন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০১১ সালের ২৩ আগস্ট রাতে জেলা শহরের বাস মালিক সমিতির কার্যালয়ের সামনে একটি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় পড়ে। পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ এলে আরোহীরা পালিয়ে যান। সে সময় দেখা যায়, মোটরসাইকেলটি পুলিশের উপ-পরিদর্শক মিরাজুল ইসলামের। কিন্তু তখন তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

পরদিন সকালে সদর উপজেলার ভেটেরিনারি কলেজের পাশের ডোবা থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় এসআই মিরাজুলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পুলিশ ওইদিনই ঝিনাইদহ সদর থানায় একটি হত্যা মামলা করে। পুলিশ ২০১২ সালের জানুয়ারি মাসে ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দেয়।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- রাজবাড়ি জেলার নিমতলার লিয়াকত হোসেন, আমজাদ হোসেন, দক্ষিণ দৌলতদিয়া গ্রামের আক্কাস আলী ও ফরিদপুর জেলার ভাটি লক্ষ্মীপুর গ্রামের আলম শেখ।

যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন-  ফরিদপুর জেলার গোয়ালচামট গ্রামের মোহাম্মদ সাগর, টাপাখোলা গ্রামের নুরু খা, শোভারামপুর গ্রামের শাহীন ও যশোরের শেখহাটি খা পাড়ার মনির হোসেন। আসামিদের মধ্যে আমজাদ হোসেন ছাড়া বাকিরা পলাতক।

সন্ত্রাসীরা এসআইয়ের কাছে থাকা পিস্তল, গুলি, মোটরসাইকেল ছিনতাইয়ের জন্য তাকে হত্যা করে থাকতে পারে বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়। রায়ে তার সহকর্মী ও পরিবার সন্তোষ প্রকাশ করেন।

ঝিনাইদহ কোর্ট পরিদর্শক মোক্তার হোসেন খবরের কাগজ বলেন, গ্রেপ্তার থাকা মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি আমজাদ হোসেনকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

মাহফুজুর/রিফাত/

পিডিবির সাবেক প্রধান প্রকৌশলী হযরত আলীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

প্রকাশ: ০৭ জুলাই ২০২৫, ০৬:৪৭ পিএম
পিডিবির সাবেক প্রধান প্রকৌশলী হযরত আলীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
খবরের কাগজ গ্রাফিকস

বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) অবসরপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. হযরত আলীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত। 

সোমবার (৭ জুলাই) ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিব দুদকের আবেদন মঞ্জুর করে এ আদেশ দেন। 

দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা তানজির আহমেদ এ তথ্য জানান।

দুদকের উপ-পরিচালক নাজমুল ইসলাম নিষেধাজ্ঞার আদেশ চেয়ে আবেদন করেন। 

আবেদনে বলা হয়, পিডিবির সাবেক ওই প্রধান প্রকৌশলী ব্যাপক দুর্নীতি ও অনিয়মের মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন মর্মে অভিযোগে অনুসন্ধান কার্যক্রম চলমান রয়েছে। তিনি দেশ ছেড়ে বিদেশে পালিয়ে যেতে পারেন। সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে তার দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া একান্ত প্রয়োজন। 

উজ্জ্বল/সালমান/

কুমিল্লায় ৩ মামলা থেকে খালেদা জিয়াকে অব্যাহতি

প্রকাশ: ০৭ জুলাই ২০২৫, ০৫:১৮ পিএম
আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২৫, ০৬:৩৩ পিএম
কুমিল্লায় ৩ মামলা থেকে খালেদা জিয়াকে অব্যাহতি
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। ছবি: সংগৃহীত

২০১৫ সালে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে পেট্রোল বোমা হামলা ও কাভার্ডভ্যানে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় হত্যাসহ তিনটি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

এ ছাড়া তৎকালীন সরকারের করা মামলাগুলো রাজনৈতিক মামলা বিবেচনায় প্রত্যাহারের আবেদনের প্রেক্ষিতে বাকি আসামিদের মামলাও প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে।

সোমবার (৭ জুলাই) বিকেলে সাংবাদিকদের এসব তথ্য নিশ্চিত করেন কুমিল্লা জেলা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মো. কাইমুল হক রিংকু।

তিনি জানান, ২০১৫ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার জগমোহনপুরে একটি বাসে পেট্রোল বোমা হামলার ঘটনায় আট যাত্রী নিহত হন। ওই ঘটনায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি পৃথক মামলা করে পুলিশ। মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ ৭৮ জনকে চার্জশিটে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এ মামলায় বাদী ছিলেন চৌদ্দগ্রাম থানার তৎকালীন পুলিশ কর্মকর্তা নুরুজ্জামান হাওলাদার। ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে দুই মামলার শুনানিতে বেগম খালেদা জিয়ার সম্পৃক্ততা প্রমাণ না হওয়ায় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-২ এর বিচারক সফিকুল ইসলাম তাকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেন। কারণ সে সময় বেগম খালেদা জিয়া গুলশানের বাসায় বালুর ট্রাক দ্বারা অবরুদ্ধ ছিলেন।

অপরদিকে ২০১৫ সালের ২৫ জানুয়ারি চৌদ্দগ্রামের হায়দারপুর এলাকায় কাভার্ডভ্যান পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় নাশকতার মামলায়ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ ৩২ জনকে আসামি করা হয়। পরে এ মামলায় আরও ১০ জনের নাম অন্তর্ভুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দেওয়া হয়। এ মামলারও বাদী চৌদ্দগ্রাম থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নুরুজ্জামান হাওলাদার। এ মামলাতেও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সম্পৃক্ততা না পাওয়া যাওয়ায় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক আফরোজা শিউলি তাকে অব্যাহতি দেন।

কাইমুল হক রিংকু আরও জানান, মামলা তিনটি বিগত আওয়ামী সরকারের সময় রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে করা বিবেচনায় প্রত্যাহারের জন্য আইন মন্ত্রণালয় আবেদন করা হয়। মন্ত্রণালয় সেই আবেদন গ্রহণ করে মামলা তিনটি প্রত্যাহার করে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। এখন থেকে খালেদা জিয়া ও বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের বিরুদ্ধে চৌদ্দগ্রাম থানায় কোনো মামলা নেই।

জহির/মেহেদী/

শেখ হাসিনার এপিএস লিকুর জমি-প্লট জব্দ, ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ

প্রকাশ: ০৭ জুলাই ২০২৫, ০৪:২৭ পিএম
আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২৫, ০৪:২৯ পিএম
শেখ হাসিনার এপিএস লিকুর জমি-প্লট জব্দ, ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ
গাজী হাফিজুর রহমান লিকু

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাবেক সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) গাজী হাফিজুর রহমান লিকুর জমি ও প্লট জব্দের আদেশ দিয়েছেন ঢাকার একটি আদালত। এছাড়া তার নামে একটি ব্যাংক হিসাব, একটি ক্রেডিট কার্ড ও ৫ লাখ টাকার একটি সঞ্চয়পত্র অবরুদ্ধের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

সোমবার (৭ জুলাই) দুদকের আবেদনের প্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. জাকির হোসেন গালিব এ আদেশ দেন।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) জনসংযোগ বিভাগের উপ-পরিচালক আকতারুল ইসলাম এ তথ্য জানান।

সম্পত্তি সমুহের রয়েছে- গোপালগঞ্জ সদর উপজেলায় ১৪ শতক জমি ও রাজধানীর উত্তরায় রাজউক থেকে বরাদ্দ পাওয়া তিন কাঠার একটি প্লট।

আবেদনে উল্লেখ করা হয়, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কার্যালয়ের দায়িত্ব পালনের সময় ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রাথমিক অনুসন্ধানে ৫৫ লাখ ৩২ হাজার টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও নিজ ভোগদখলে রাখায় মামলা করা হয়। মামলাটি তদন্তের নিমিত্তে তদন্তকারী কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়েছে। আসামির মালিকানাধীন স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদসমূহ অন্যত্র হস্তান্তর, স্থানান্তর বা বেহাত করার প্রচেষ্টা করছেন। আসামির মালিকানাধীন স্থাবর ক্রোক এবং অস্থাবর সম্পদসমূহ অবরুদ্ধ করা না হলে বিচারের সময় তা রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করা সম্ভব হবে না। এতে রাষ্ট্রের অপূরণীয় ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বিধায় মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে অবিলম্বে আসামির মালিকানাধীন স্থাবর সম্পদ ক্রোক এবং অস্থাবর সম্পদ অবরুদ্ধ করা একান্ত প্রয়োজন। আদালত আবেদন মঞ্জুর করে আদেশ দেন।

অমিয়/

চাঁপাইনবাবগঞ্জে ভাইকে হত্যার দায়ে ভাইসহ ২ ভাতিজার যাবজ্জীবন

প্রকাশ: ০৭ জুলাই ২০২৫, ০৪:১১ পিএম
চাঁপাইনবাবগঞ্জে ভাইকে হত্যার দায়ে ভাইসহ ২ ভাতিজার যাবজ্জীবন
ছবি: খবরের কাগজ

চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে আপন ভাইকে হত্যার দায়ে ভাইসহ দুই ভাতিজার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও ছয়মাস করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

সোমবার (৭ জুলাই) দুপুরে চাঁপাইনবাবগঞ্জের দায়রা জজ মো. মিজানুর রহমান আসামিদের উপস্থিতিতে এ দন্ড দেন।

দন্ডপ্রাপ্তরা হলেন- শিবগঞ্জ উপজেলার শাহাবাজপুর ইউনিয়নের কয়লাবাড়ির সহিমুদ্দীন মন্ডলের ছেলে মো. মোস্তফা (৬৫) , মোস্তফার ছেলে নয়ন আলী (৪২) ও মিলন আলী (২৪)। এ ছাড়া অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় মামলা থেকে আব্দুল কাদের ও শরিফুল ইসলাম নামে দুজনকে খালাস করা হয়েছে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আবদুল ওদুদ জানান, ২০২১ সালের ২ জুন সন্ধ্যায় কয়লাবাড়িতে জমিজমা সংক্রান্ত পূর্ব শত্রুতার জের ধরে দণ্ডপ্রাপ্ত মো. মোস্তফার আপন ভাই মাইনুল ইসলামকে অন্যান্য আসামিরা দেশীয় অস্ত্রসহ লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে ও কুপিয়ে গুরুত্বরআহত করেন। পরে তাকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে শিবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। এর পর ৬ জুন সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। এ ঘটনায় নিহত মাইনুল ইসলামের ছেলে মাইনুর রহমান বাদী হয়ে শিবগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শিবগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) বরুন সরকার ওই বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করলে আদালত দীর্ঘ শুনানি ও মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে এ দণ্ড দেন। 

আসাদুল্লাহ/মেহেদী/