ঢাকা ১৬ বৈশাখ ১৪৩২, মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫
English
মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ১৬ বৈশাখ ১৪৩২

প্রতারণার মামলায় গ্রেপ্তার মডেল মেঘনা

প্রকাশ: ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ১১:৫৮ এএম
আপডেট: ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ১২:০৩ পিএম
প্রতারণার মামলায় গ্রেপ্তার মডেল মেঘনা
ছবি : সংগৃহীত

বিদেশি রাষ্ট্রদূতদের প্রেমের ফাঁদে ফেলে তাদের সঙ্গে প্রতারণার অভিযোগে করা মামলায় মডেল মেঘনা আলমকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। রাজধানীর ধানমন্ডি থানায় এই মামলাটি করা হয়।

রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা বিঘ্নিত করা এবং গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি সম্পর্কে মিথ্যাচার ছড়ানোর মাধ্যমে আন্তঃরাষ্ট্রীয় সম্পর্ক অবনতির অপচেষ্টা করার অভিযোগে পুলিশের হেফাজতে রাখা মডেল মেঘনা আলমকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। রাজধানীর ধানমন্ডি থানার প্রতারণার এক মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে তাঁকে। 

বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) সকালে মেঘনা আলমকে আদালতে হাজির করে এই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তাকে গ্রেপ্তার দেখানোর জন্য আবেদন করেন।

পরে রাষ্ট্রপক্ষে মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর তাকে গ্রেপ্তার দেখানোর পক্ষে শুনানি করেন। শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাসুম মিয়া তাকে গ্রেপ্তার দেখান।

এর আগে, গত বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) রাতে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মডেল মেঘনা আলমকে ৩০ দিনের আটকাদেশের আদেশ দেন ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত।

এরপর শুক্রবার ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজের এক পোস্টে বলা হয়, ‘রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা বিঘ্নিত করা, গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি সম্পর্ক মিথ্যাচার ছড়ানোর মাধ্যমে আন্তঃরাষ্ট্রীয় সম্পর্ক অবনতির অপচেষ্টা করা এবং দেশকে অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকার অভিযোগে মেঘনা আলমকে সকল আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করে নিরাপত্তা হেফাজতে রাখা হয়েছে।’

পোস্টে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘তাঁকে (মেঘনা আলম) অপহরণ করার অভিযোগ সঠিক নয়। তথাপি আইনের আশ্রয় নেওয়ার অধিকার তাঁর রয়েছে।’

অমিয়/

শেখ হাসিনা-জয়সহ ২৯ জনের বিরুদ্ধে তামিল প্রতিবেদন ১২ মে

প্রকাশ: ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ০২:৪৭ পিএম
আপডেট: ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ০২:৪৭ পিএম
শেখ হাসিনা-জয়সহ ২৯ জনের বিরুদ্ধে তামিল প্রতিবেদন ১২ মে
ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়। ফাইল ছবি

প্লট বরাদ্দে জালিয়াতির অভিযোগে দুদক-এর করা পৃথক দুই মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়সহ ২৯ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তার সংক্রান্ত তামিল প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ১২ মে দিন ধার্য করেছেন আদালত।

মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. জাকির হোসেন গালিবের আদালতে আসামিদের গ্রেপ্তার সংক্রান্ত তামিল প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। তবে পুলিশ আসামিদের গ্রেপ্তার সংক্রান্ত তামিল প্রতিবেদন দাখিল না করায়, আদালত নতুন করে এ দিন ধার্য করেন।

দুদক-এর পাবলিক প্রসিকিউটর মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর বাসসকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে, ১৫ এপ্রিল এই আদালত মামলার অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে শেখ হাসিনা ও তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়সহ চার্জশিটভুক্ত ২৯ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। 

ক্ষমতার অপব্যবহার করে পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে ১০ কাঠার সরকারি প্লট বরাদ্দ নেওয়ার অভিযোগে গত ১৪ জানুয়ারি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন দুদক-এর উপপরিচালক সালাহউদ্দিন। মামলাটি তদন্ত শেষে গত ১০ মার্চ তদন্তে প্রাপ্ত আরও চারজনসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদক-এর সহকারী পরিচালক আফনান জান্নাত কেয়া।

শেখ হাসিনা ছাড়াও এ মামলায় অপর ১১ আসামি হলেন- জাতীয় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব পুরবী গোলদার, রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যানের পিএ মো. আনিছুর রহমান মিঞা, রাজউকের সাবেক সদস্য শফি-উল-হক, খুরশীদ আলম, মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন, মেজর (ইঞ্জি.) সামসুদ্দীন আহমদ চৌধুরী (অব.), উপপরিচালক নায়েব আলী শরীফ, তদন্তপ্রাপ্ত জাতীয় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম সরকার, সচিব কাজী ওয়াছি উদ্দিন, সচিব শহিদ উল্লাহ খন্দকার এবং সাবেক গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ।

এ ছাড়া, একই অভিযোগে ১৪ জানুয়ারি সজীব ওয়াজেদ জয় ও তার মা সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা করেন দুদক-এর সহকারী পরিচালক এসএম রাশেদুল হাসান। মামলাটি তদন্ত শেষে গত ১০ মার্চ তদন্তে প্রাপ্ত আরও দুইজনসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল তিনি।  

বাসস/তাওফিক/ 

খালেদা জিয়ার ভাগ্নে তুহিন কারাগারে

প্রকাশ: ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ০১:৪৪ পিএম
আপডেট: ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ০১:৪৯ পিএম
খালেদা জিয়ার ভাগ্নে তুহিন কারাগারে
নীলফামারী-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শাহরিন ইসলাম চৌধুরী তুহিন। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার ভাগ্নে নীলফামারী-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শাহরিন ইসলাম চৌধুরী তুহিনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। 

মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) কর ফাঁকি‌ ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে পৃথক দুই মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত তুহিন আদালতে আত্মসমর্পণপূর্বক জামিন চেয়ে আবেদন করেন। 

পৃথক আদালতে শুনানি শেষে জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেওয়া হয়। 

প্রথমে ঢাকার বিশেষ জজ-৯ আদালতে কর ফাঁকির মামলার শুনানি হয়। সংশ্লিষ্ট বিচারক কবির উদ্দিন প্রামাণিক জামিন নামঞ্জুর করেন। একই সঙ্গে সাজা পরোয়ানাসহ কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

পরে অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় শুনানি শেষে ঢাকার বিশেষ জজ-৭ আদালতের বিচারক প্রদীপ কুমার রায় একই আদেশ দেন।

এদিকে ২০০৮ সালে কর ফাঁকির মামলায় বিচার শেষে রায় ঘোষণা করা হয়। পৃথক দুটি ধারায় তিন বছর ও পাঁচ বছরসহ মোট আট বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। দুটি ধারার সাজা একত্রে চলবে বিধায় তাকে সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের সাজা ভোগ করতে হবে বলে রায়ের আদেশে উল্লেখ করা হয়।অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় একই বছর তাকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

২০০৭ সালে রাজধানীর বিরুদ্ধে গুলশান থানায় তার বিরুদ্ধে মামলা দুটি করে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক)।

এমএ জলিল/তাওফিক/ 

সাবেক আইজিপি মামুনসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের সময় বাড়ল

প্রকাশ: ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ০১:১৫ পিএম
সাবেক আইজিপি মামুনসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের সময় বাড়ল
সাবেক আইজিপিসহ ১৩ জনকে ট্রাইব্যুনালে আনা হয়েছে। ছবি: সংগৃহীত

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে হত্যা, গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর শীর্ষ ১৩ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের সময় আবারও বাড়ানো হয়েছে।

সোমবার (২৮ এপ্রিল) ধার্য দিনে প্রসিকিউশনের আবেদনের শুনানি শেষে বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল প্রায় তিন মাস সময় বাড়িয়েছেন। আদেশে আগামী ২০ জুলাই পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছেন ট্রাইব্যুনাল।

এর আগে ১৯ ডিসেম্বর এই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন উপস্থাপনের নির্দেশ দিয়েছিলেন ট্রাইব্যুনাল। ওই দিন ২৮ এপ্রিল (গতকাল) পর্যন্ত সময় বাড়ানো হয়েছিল। 

গণ-অভ্যুত্থানের পর পুনর্গঠিত ট্রাইব্যুনালে করা তৃতীয় মামলা এটি। মামলার ১৩ আসামি মধ্যে গ্রেপ্তারের পর কারাবন্দি আটজনকে সোমবার ধার্যদিনে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।

এরা হলেন সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, সাবেক সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসান, ডিএমপির মিরপুর বিভাগের সাবেক উপকমিশনার (ডিসি) জসিম উদ্দিন মোল্লা, ঢাকা জেলা পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত সুপার (সাভার সার্কেল) মো. শাহিদুল ইসলাম, যাত্রাবাড়ী থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসান, বরখাস্ত হওয়া ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহিল কাফী, গুলশান থানার সাবেক ওসি মো. মাজহারুল হক এবং ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি উত্তর) সাবেক পরিদর্শক মো. আরাফাত হোসেন। তাদের সকালে শুনানি শুরুর আগেই কারাগার থেকে এনে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। মামলার পলাতক ৫ আসামি হলেন সহকারী পুলিশ সুপার রাজন কুমার সাহা, সাবেক এসআই মো. আব্দুল মালেক, সাবেক এএসআই চঞ্চল চন্দ্র সাহা, সাবেক কনস্টেবল মো. মুকুল হোসেন ও রবিউল আলম।

মডেল মেঘনা আলমের জামিন মঞ্জুর

প্রকাশ: ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ১২:৪৯ পিএম
মডেল মেঘনা আলমের জামিন মঞ্জুর
মেঘনা আলম

রাজধানীর ধানমন্ডি থানায় প্রতারণা ও চাঁদাবাজির অভিযোগে করা মামলায় মডেল মেঘনা আলমের জামিন মঞ্জুর করা হয়েছে। 

সোমবার (২৮ এপ্রিল) ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. ছানাউল্ল্যাহ শুনানি শেষে তার জামিন মঞ্জুর করেন। 

মেঘনার পক্ষে আইনজীবী মহসিন রেজা, আইনজীবী মহিমা বাঁধন ও ব্যারিস্টার সাদমান সাকিব তার জামিন চেয়ে করা আবেদনের ওপর শুনানি করেন। গত ১৭ এপ্রিল এ মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়। 

মামলায় এজাহারে বলা হয়,  মেঘনা আলম, দেওয়ান সমিরসহ অজ্ঞাতপরিচয় দু-তিনজন একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সক্রিয় সদস্য। তারা বিভিন্ন সুন্দরী মেয়েদের দিয়ে বাংলাদেশে কর্মরত বিভিন্ন বিদেশি রাষ্ট্রের কূটনীতিক/প্রতিনিধি ও দেশীয় ধনাঢ্য ব্যবসায়ীদের প্রেমের ফাঁদে ফেলেন এবং অবৈধ সম্পর্ক স্থাপন করিয়ে বিভিন্ন অবৈধ পন্থা অবলম্বনের মাধ্যমে তাদের সম্মানহানির ভয় দেখিয়ে অর্থ আদায় করে আসছিলেন। দেওয়ান সমির কাওয়াই গ্রুপ নামে একটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের সিইও এবং সানজানা ইন্টারন্যাশনাল নামে একটি ম্যানপাওয়ার প্রতিষ্ঠানের মালিক বলে জানা যায়। এ ছাড়া  তার  মিরআই ইন্টারন্যাশনাল ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড নামক একটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ছিল। 

গত ১৭ এপ্রিল রাজধানীর ধানমন্ডি থানায় প্রতারণা ও চাঁদাবাজির অভিযোগে করা মামলায় দেওয়ান সমিরের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। গত ২২ এপ্রিল এ মামলায় তাকে আরও চার দিনের রিমান্ড দেওয়া হয়েছে। রিমান্ড শেষে গত ২৭ এপ্রিল তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে গ্রেপ্তারের পরদিন গত ১২ এপ্রিল ভাটারা থানার প্রতারণা মামলায় প্রথমবার সমিরের পাঁচ দিন রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়। 

মেঘনাকে আটকের পর গত ১০ এপ্রিল বিশেষ ক্ষমতা আইনে ৩০ দিনের আটকাদেশ দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়। পরবর্তী সময়ে তাকে ধানমন্ডি থানার এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। 

এজলাসের ফটকে সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুলকে কিল-ঘুষি

প্রকাশ: ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৫:৩৮ পিএম
এজলাসের ফটকে সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুলকে কিল-ঘুষি
ছবি: খবরের কাগজ

নারায়ণগঞ্জে এজলাস থেকে বের করার সময় সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হককে চড়-থাপ্পড় ও কিল-ঘুষি মেরে ধাওয়া দিয়েছেন ফটকে অবস্থানরত বিক্ষুব্ধ জনতা ও বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা।

সোমবার (২৮ এপ্রিল) বিকালে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাইনুদ্দিন কাদিরের আদালতে তার মামলার শুনানি শেষে এ ঘটনা ঘটে।

আদালত পুলিশের পরিদর্শক কাইয়ুম খান জানান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলন চলাকালে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের মাদ্রাসা ছাত্র হাফেজ সোলাইমান হত্যা মামলায় আনিসুল হকের সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করে তদন্তকারী সংস্থা সিআইডি। শুনানি শেষে আদালত আনিসুল হককে জিজ্ঞাসাবাদেন জন্য চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এর আগে সকালে কড়া নিরাপত্তায় তাকে আনিসুল হককে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে নারায়ণগঞ্জের আদালতে আনা হয়। পরে তাকে এজলাস থেকে বের করার সময় ফটকে অবস্থান করা বিক্ষুব্ধ জনতা ও বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা আনিসুল হককে চরথাপ্পড় ও  কিল-ঘুষি দিয়ে ধাওয়া করলে পুলিশ দ্রুত প্রিজন ভ্যানে তুলে তাকে নারায়ণগঞ্জ কারাগারে নিয়ে যায়।

পুলিশ জানায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলন চলাকালে গত ৫ আগস্ট দুপুরে সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইল এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ওপর গুলিবিদ্ধ হন ১৯ বছর বয়সী হাফেজ সোলাইমান। পরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথেই মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় ২২ আগস্ট সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় পলাতক সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রধান আসামি করে মামলা করেন নিহত সোলাইমানের ভগ্নিপতি শামীম কবির। মামলায় আওয়ামী লীগের সাবেক মন্ত্রী, ওবায়দুল কাদের, আসাদুজ্জামান খান কামাল, মন্ত্রী দিপু মনি, আনিসুল হক, ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক, সাবেক এমপি শামীম ওসমানসহ ৫১ জনকে আসামি করা হয়েছে।

মামলার রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবী সাখাওয়াত হোসেন খান জানান, রিমান্ডে আনিসুল হককে জিজ্ঞাসাবাদে আনিসুল হকসহ কারা ছাত্র
হত্যার নির্দেশ দিয়েছে সে রহস্য উদঘাটন হবে বলে মনে করে রাষ্ট্রপক্ষ।

বিল্লাল/সিফাত/