ঢাকা ২১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, বুধবার, ০৪ জুন ২০২৫
English

রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের পদমর্যাদাক্রমের রিভিউ শুনানি ১৮ মে

প্রকাশ: ২৭ এপ্রিল ২০২৫, ১২:২৬ পিএম
রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের পদমর্যাদাক্রমের রিভিউ শুনানি ১৮ মে
ফাইল ছবি

রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের পদমর্যাদাক্রম (ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স) নিয়ে আপিল বিভাগের রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউয়ের পরবর্তী শুনানি আগামী ১৮ মে।

রবিবার (২৭ এপ্রিল) বিষয়টি নিয়ে শুনানির পর জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন ছয় বিচারপতির আপিল বিভাগ এই দিন ধার্য করেন।

আদালতে আজ (রবিবার) বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের রিভিউ আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার সালাউদ্দিন দোলন।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ রুলস অব বিজনেস অনুযায়ী ১৯৮৬ সালে ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স তৈরি করে। রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের পর ওই বছরের ১১ সেপ্টেম্বর তা জারি করা হয়। পরে বিভিন্ন সময়ে তা সংশোধন করা হয়। তবে ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স তৈরির ক্ষেত্রে সাংবিধানিক পদ, সংবিধান কর্তৃক স্বীকৃত ও সংজ্ঞায়িত পদগুলো প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের নিচের ক্রমিকে রাখা হয়েছে বলে বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক মহাসচিব মো. আতাউর রহমান ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্সের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ২০০৬ সালে হাইকোর্টে রিটটি করেন।

২০১০ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট আট দফা নির্দেশনাসহ ১৯৮৬ সালের ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স (সংশোধিত) অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করে রায় দেন। এ রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ ২০১১ সালে আপিল করে। সে আপিলের শুনানি শেষে ২০১৫ সালের ১১ জানুয়ারি রায় দেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। এই রায়ে হাইকোর্টের দেওয়া আট দফা নির্দেশনার কিছুটা সংশোধন করে তিন দফা নির্দেশনা দেওয়া হয়। সেগুলো হলো- ১. যেহেতু সংবিধান দেশের সর্বোচ্চ আইন, তাই বিরোধপূর্ণ প্রিসিডেন্সে সাংবিধানিক পদধারীরা অগ্রাধিকার পাবেন। ২. জুডিশিয়াল সার্ভিসের সদস্য হিসেবে জেলা জজ ও সমপদমর্যাদা সম্পন্নরা সরকারের সচিবদের সঙ্গে ১৬ নম্বরে অবস্থান করবেন। ৩. জেলা জজদের পরেই অতিরিক্ত সচিবেরা ১৭ নম্বর ক্রমিকে থাকবেন।

একপর্যায়ে আপিল বিভাগের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ আবেদন করে বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন। পরে রিভিউ আবেদনে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেলরা পক্ষভুক্ত হয়।

বাসস/তাওফিক/ 

সাবেক আইজিপি নূর মোহাম্মদ ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

প্রকাশ: ০৪ জুন ২০২৫, ০২:৫০ পিএম
সাবেক আইজিপি নূর মোহাম্মদ ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
সাবেক আইজিপি নূর মোহাম্মদ

জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ও সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) নূর মোহাম্মদ এবং তার স্ত্রী ইসমত আরা বেগমের বিরুদ্ধে দুটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

মঙ্গলবার দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১-এ উপসহকারী পরিচালক আবু মোহাম্মদ আনোয়ারুল মাসুদ মামলাগুলো করেন।

দুদকের মুখপাত্র ও মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) আক্তার হোসেন এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

নূর মোহাম্মদের মামলায় বলা হয়, ২০০৭ সাল থেকে চলতি বছরের মে মাস পর্যন্ত ক্ষমতার অপব্যবহার, ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে নূর মোহাম্মদ নিজ নামে ১ কোটি ১৬ লাখ ৩০ হাজার ৪৪৩ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন করেন। এ ছাড়া তিনি নিজের ১৭টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ১৬ কোটি ৪২ লাখ ৬৬ হাজার ১৩৪ টাকার সন্দেহজন লেনদেন করেছেন। তিনি ওই সব অর্থসম্পদ অর্জনের উৎস গোপন করতে স্থানান্তর, রূপান্তর ও হস্তান্তর করেছেন। যা দুদকের তফসিলভুক্ত ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ২০০৪ সালের দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ও ২০১২ সালের মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ।   

ইসমত আরা বেগমের মামলায় বলা হয়, ২০০৬ সাল থেকে চলতি বছরের মে মাস পর্যন্ত ইসমত আরা বেগম তার স্বামীর সহযোগিতায় ক্ষমতার অপব্যবহার ও দুর্নীতির মাধ্যমে ১ কোটি ১৪ লাখ ৮৬ হাজার ১৮ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন। এ ছাড়া তিনি নিজের ২১টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে ১৮ কোটি ৯৫ লাখ ২৭ হাজার ৮৭৭ টাকার সন্দেহজনক লেনদেন করেছেন। তিনি ওই সব অর্থসম্পদ অর্জনের উৎস গোপন করতে স্থানান্তর, রূপান্তর ও হস্তান্তর করেছেন। যা দুদকের তফসিলভুক্ত ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ২০০৪ সালের দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ও ২০১২ সালের মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ। 

এ মামলায় নূর মোহাম্মদকে সহযোগী আসামি করা হয়েছে।  

অস্ত্র মামলায় গ্রেপ্তার কামাল মজুমদার

প্রকাশ: ০৪ জুন ২০২৫, ০২:৪৫ পিএম
অস্ত্র মামলায় গ্রেপ্তার কামাল মজুমদার
ছবি: সংগৃহীত

রাষ্ট্রীয় প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী আগ্নেয়াস্ত্র জমা না দেওয়ায় দায়ের করা অস্ত্র মামলার সাবেক শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদারকে গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দেওয়া হয়েছে। 

বুধবার (৪ জুন) ঢাকার এডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জিয়াদুর রহমান শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। 

নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আগ্নেয়াস্ত্র নিজে অথবা অন্য কোনো প্রতিনিধির মাধ্যমে থানায় জমা দেওয়ার বিষয়ে কোনো তথ্য না থাকায় এবং অস্ত্রের লাইসেন্সে উল্লিখিত ঠিকানায় উপস্থিত হয়ে কাউকে না পাওয়ায় অস্ত্র আইনে করা মামলার গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা।  

আদালত সূত্রে জানা গেছে, শুনানি উপলক্ষে দুপুর ১২টার দিকে হাতে হাতকড়া, মাথায় হেলমেট ও গায়ে বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট পরিহিত অবস্থায় তাকে এজলাসে হাজির করা হয়। 

শুনানির সময় কামাল মজুমদার বিচারককে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘মাননীয় আদালত এ বিষয়ে আমার কিছু বলার ছিল’। 

তবে বিচারক তার কোনো কথা না শুনেই এজলাস ত্যাগ করেন। পরে তাকে হাজতখানায় নিয়ে যাওয়া হয়। 

মামলার এজাহারে বলা হয়, গত বছরের ২৫ আগস্ট জারিকৃত প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত ব্যক্তিগত নিরাপত্তার জন্য প্রদত্ত সব আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স স্থগিত করা হয়। স্থগিতকৃত লাইসেন্সভুক্ত আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলাবারুদ ২০২৪ সালের ৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে জমাদানের নির্দেশ প্রদান করা হয়। এ তারিখের মধ্যে কোন অস্ত্র ও গোলাবারুদ থানায় জমা না দেওয়া হলে তা অবৈধ অস্ত্র হিসেবে গণ্য করে অস্ত্র আইনে মামলা হবে বলে উল্লেখ করা হয়।

তবে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আসামি তার দুটি আগ্নেয়াস্ত্র নিজে অথবা অন্য কোনো প্রতিনিধির মাধ্যমে রাজধানীর বনানী থানায় বা অন্য কোন থানায় জমা দিয়েছেন কি না সে বিষয়ে তথ্য পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে থানাকে অবহিতও করেননি। তার অস্ত্রের লাইসেন্সে উল্লিখিত ঠিকানায় উপস্থিত হয়ে  কাউকে পাওয়া যায়নি। 

এ ঘটনায় অস্ত্র আইনের ১৯ (১) ধারায়  মামলা করেন বনানী থানার উপ-পরিদর্শক (নিরস্ত্র) মো. জানে আলম দুলাল।

শুনানি শেষে হাতে হাতকড়া, মাথায় হেলমেট ও গায়ে বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট পরিহিত কামাল মজুমদারকে এজলাস থেকে হাজতখানায় নেওয়া হয়।

প্রসঙ্গত, গত বছরের ১৮ অক্টোবর দিবাগত রাতে  রাজধানীর গুলশানের বাসা থেকে গ্রেপ্তার হন কামাল আহমেদ মজুমদার। এর পর থেকে বিভিন্ন হত্যা ও হত্যাচেষ্টা মামলায় রিমান্ড শেষে কারাগারে আছেন তিনি।

জলিল/মেহেদী/

তারিক সিদ্দিক ও তার পরিবারের স্থাবর সম্পত্তি জব্দ

প্রকাশ: ০৪ জুন ২০২৫, ০২:২১ পিএম
আপডেট: ০৪ জুন ২০২৫, ০২:২৩ পিএম
তারিক সিদ্দিক ও তার পরিবারের স্থাবর সম্পত্তি জব্দ
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সামরিক উপদেষ্টা তারিক আহমেদ সিদ্দিক। ছবি: সংগৃহীত

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সামরিক উপদেষ্টা তারিক আহমেদ সিদ্দিক, তার স্ত্রী শাহীন সিদ্দিক এবং তাদের সন্তান নুরিন সিদ্দিকের ২৪ দশমিক ৮০ বিঘা জমিসহ পাঁচটি প্লট ও পাঁচটি ফ্ল্যাট জব্দ (ক্রোক) করার আদেশ দিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার (৩ জুন) ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিব দুদকের আবেদন মঞ্জুর করে এই আদেশ দেন।

ক্রোকের আদেশ হওয়া সম্পদের মধ্যে রয়েছে, বারিধারার ডিওএইচএসের ৭ তলা দালান বাড়ি, একই এলাকার ৭ তলা ভবনের ৫ থেকে ৭ তলার ৩টি ফ্ল্যাট, ৩ হাজর ৬০০ বর্গফুটের ৪টি কার স্পেসসহ দুটি ফ্ল্যাট, পূর্বাচল নতুন শহরে ২০ কাঠা জমির চারটি প্লট এবং বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার একটি প্লট। এ ছাড়া, নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলায় ২৪ দশমিক ৮০ বিঘা জমি। দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

অনুসন্ধানে জানা যায়, তারা স্থাবর সম্পদসমূহ অন্যত্র হস্তান্তর, স্থানান্তর বা বেহাত করার চেষ্টা করছেন। অনুসন্ধান শেষ হওয়ার আগে সম্পদ হস্তান্তর বা স্থানান্তর হয়ে গেলে অনুসন্ধানে ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। তাই এসব স্থাবর সম্পদ ক্রোক করা একান্ত আবশ্যক মর্মে আবেদনে বলা হয়েছে।

সাবেক এমপি বকুলের দুই বাড়ি ক্রোক, ১০ ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ
নাটোর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শহিদুল ইসলাম বকুলের নামে রাজধানীর তেজগাঁওয়ের রাজাবাজারে থাকা ৪ তলাবিশিষ্ট দুইটি বাড়ি ক্রোক করা হয়েছে। একই সঙ্গে বিভিন্ন ব্যাংকে তার নামে থাকা ১০টি হিসাবের ১ কোটি ৭৫ লাখ ৮০ হাজার ৭৪৫ টাকা অবরুদ্ধ (ফ্রিজ) করার আদেশ দেওয়া হয়েছে।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিব এই আদেশ দেন। দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

সূত্র জানায়, দুদকের সহকারী পরিচালক মেহেদী মুসা জেবিন এ আবেদন করেন। আবেদনে বলা হয়, শহিদুল ইসলাম বকুলের বিরুদ্ধে বিপুল অস্থাবর সম্পদ অর্জনের তথ্য পাওয়া যায়। এসব স্থাবর বা অস্থাবর সম্পদ হাতবদলের সম্ভাবনা রয়েছে। সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে আসামির নামে অর্জিত সম্পদ জব্দ ও অবরুদ্ধ করা আবশ্যক।

১১৭৪ কোটি টাকা আত্মসাতে সালমান এফ রহমানসহ ৩৯ জনের বিরুদ্ধে ২ মামলা

প্রকাশ: ০৪ জুন ২০২৫, ০১:৪৭ পিএম
১১৭৪ কোটি টাকা আত্মসাতে সালমান এফ রহমানসহ ৩৯ জনের বিরুদ্ধে ২ মামলা
ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনার উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান। ছবি: সংগৃহীত

ঋণ জালিয়াতির মাধ্যমে আইএফআইসি ব্যাংকের প্রায় ১ হাজার ১৭৪ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান, তার ছেলে ও আইএফআইসি ব্যাংকের এমডিসহ ৩৯ জনের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

এর মধ্যে ৬৭৮ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২২ জনকে ও ৪৯৬ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ১৭ জনকে আসামি করে পৃথক মামলা করা হয়। মঙ্গলবার (৩ জুন) দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১-এ মামলা দুটি করেন উপপরিচালক মুস্তাফিজুর রহমান ও ইয়াছির আরাফাত। দুদকের মুখপাত্র ও মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) আক্তার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

একটি মামলায় বলা হয়, আইএফআইসি কোনো সহায়ক জামানত বা সঠিক মূল্যায়ন ছাড়াই সম্পূর্ণ জালিয়াতি, প্রতারণা ও ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে ২০২৪ সালের ২০ মার্চ এবং ১২ জুন পরিচালনা পর্ষদের দুটি সভায় মোট ৬১৮ কোটি ৯ লাখ ৩১ হাজার ৭৫ টাকা ৮৫ পয়সার ঋণ অনুমোদন করা হয়। পরে ওইসব ঋণের টাকা তুলে নিয়ে আত্মসাৎ করা হয়েছে, যা সুদ-আসলে আত্মসাতের পরিমাণ দাঁড়ায় ৬৭৭ কোটি ৭৫ লাখ ১৬ হাজার টাকা।

এ মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা, আইএফআইসি ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ও বেক্সিমকো গ্রুপ মালিক সালমান ফজলুর রহমান (সালমান এফ রহমান), তার ছেলে ও আইএফআইসি ব্যাংকের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ শায়ান ফজলুর রহমান, সাবেক পরিচালক শাহ মনজুরুল হক, সুধাংশু শেখর বিশ্বাস, আর এম নাজমুস সাকিব, কামরুন নাহার আহমেদ, গুলাম মোস্তফা, জাফর ইকবাল, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ মুনসুর মোস্তফা, সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহ আলম সারোয়ার, উপব্যবস্থাপনা পরিচালক রফিকুল ইসলাম, চিফ বিজনেস অফিসার নুরুল হাসনাত, চিফ ইনফরমেশন অফিসার মনিতুর রহমান, হেড অব ট্রেজারি মোহাম্মদ শাহিন উদ্দিন, হেড অব ক্রেডিট অ্যাডমিনিস্ট্রেশন সৈয়দ হাসনুজ্জামান, সাবেক হেড অব অপারেশন হেলাল আহমেদ, সাবেক ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও চিফ রিস্ক অফিসার ইকবাল পারভেজ চৌধুরী, চিফ ম্যানেজার হোসাইন শাহ আলী, প্রিন্সিপাল শাখার অ্যাকটিং ইনচার্জ তাছলিমা আক্তার, রিলেশনশিপ ম্যানেজার সরদার মো. মমিনুল ইসলাম, ঋণগ্রহীতা আলমগীর আলম চৌধুরী ও সৈয়দা মুনিমা হোসেন। 

আরেক মামলায় একইভাবে জালিয়াতি, প্রতারণা ও ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে ঋণের নামে সুদ-আসলে ৪৯৬ কোটি টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। এ মামলায় সালমান এফ রহমান, তার ছেলেসহ ১৭ জনকে আসামি করা হয়েছে। বাকি আসামিরা হলেন- আইএফআইসি ব্যাংকের সাবেক পরিচালক ও সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, কাগুজে প্রতিষ্ঠান সার্ভ কনস্ট্রাকশন অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিডির পরিচালক সুলতানা মনামী, প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মনিরুল ইসলাম, আইএফআইসি ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ শাহ আলম সারোয়ার, সাবেক পরিচালক রাবেয়া জামালী, আর এম নাজমুস সাকিব, কামরুন নাহার আহমেদ, মো. জাফর ইকবাল, সাবেক চিফ ম্যানেজার ও বর্তমানে উপব্যবস্থাপনা পরিচালক রফিকুল ইসলাম, সাবেক উপব্যবস্থাপনা পরিচালক ও হেড অব আইডি শাহ মো. মঈনউদ্দিন, সাবেক চিফ বিজনেস অফিসার ও উপব্যবস্থাপনা পরিচালক নূরুল হাসনাত, বর্তমান উপব্যবস্থাপনা পরিচালক ও চিফ অব আইটি মো. মনিতুর রহমান, হেড অব ট্রেজারি মোহাম্মদ শাহিন উদ্দিন, সাবেক রিলেশনশিপ ম্যানেজার ও বর্তমানে ম্যানেজার, নারায়ণগঞ্জ শাখা আবদুর রহমান এবং বেক্সিমকো গ্রুপের ডেপুটি ম্যানেজার (করপোরেট ফাইন্যান্স) কৌশিক কান্তি পণ্ডিত।

গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ব্যাংকিং খাতে নানা অনিয়ম, দুর্নীতি আর লুটপাটের অভিযোগে বেক্সিমকো গ্রুপের কর্ণধার সালমান এফ রহমানের বিরুদ্ধে গত বছরের আগস্ট মাসে কয়েকটি অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। ঋণ জালিয়াতি ও অর্থ আত্মসাৎ ছাড়াও সালমান এফ রহমান ও সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে শেয়ারবাজারে জালিয়াতি, প্লেসমেন্ট শেয়ার কারসাজি ও প্রতারণার মাধ্যমে শেয়ারহোল্ডারদের হাজার হাজার কোটি টাকা লোপাট এবং সেসব টাকা বিদেশে পাচারের অভিযোগ রয়েছে।

মোল্লা মাসুদসহ ৩ জন রিমান্ড শেষে কারাগারে

প্রকাশ: ০৩ জুন ২০২৫, ০৭:৪৮ পিএম
মোল্লা মাসুদসহ ৩ জন রিমান্ড শেষে কারাগারে
ছবি: সংগৃহীত

শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইনের সহযোগী আবু রাসেল ওরফে মোল্লা মাসুদসহ ৩ জনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

মঙ্গলবার (৩ জুন) ঢাকার এডিশনাল মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ওয়াহিদুজ্জামান ওই আদেশ দেন। 

অন্যরা হলেন— এম এ এস শরিফ (২৫) ও মো. আরাফাত ইবনে মাসুদ (৪৩)।

এর আগে হাতিঝিল থানায় অস্ত্র আইনে দায়ের করা মামলায়  রিমান্ডে নিয়ে ছয়দিন জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আদালতে হাজির করেন তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের উপপরিদর্শক রিয়াদ আহমেদ।  

এক প্রতিবেদনে দাখিল করে আসামিদের কারাগার আটক রাখার আবেদন করেন। 

তাদের আইনজীবী জামিন চেয়ে আবেদন করলে তা নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বিচারক। 

গত ২৮ মে তাদের আদালতে হাজির করে দশদিন রিমানন্ডে নেওয়ার আবেদন করা হলে তিনজনের ছয়দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়। একইসঙ্গে গ্রেপ্তার শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইনের আটদিন রিমান্ডে নেওয়ার আদেশ দেওয়া হয়‌। সুব্রত বর্তমানে রিমান্ডে আছেন।

এর আগের দিন মঙ্গলবার (২৭ মে) বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বিশেষ অভিযানে সুব্রত বাইন ও মোল্লা মাসুদকে গ্রেপ্তার করে। তাদের দেওয়া তথ্যমতে হাতিরঝিল থানাধীন নতুন রাস্তা এলাকা থেকে একইদিন বিকাল ৩টার দিকে আসামি এম এ এস শরীফ ও মো. আরাফাত ইবনে নাসিরকে গ্রেপ্তার করা হয়। 

অভিযানের সময় তাদের কাছ থেকে পাঁচটি বিদেশি পিস্তল, ১০টি ম্যাগাজিন, ৫৩টি গুলি এবং একটি স্যাটেলাইট ফোন উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা করা হয়।

প্রসঙ্গত, ২০০১ সালে বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আসামি সুব্রত বাইন ও তার সহযোগী মোল্লা মাসুদসহ ২৩ জন শীর্ষ সন্ত্রাসীর নাম ঘোষণা করে। তাদের ধরিয়ে দেওয়ার জন্য পুরস্কারের ঘোষণা দেওয়া হয়। তারা সন্ত্রাসী বাহিনী সেভেন স্টার গ্রুপ পরিচালনা করতো।

এম এ জলিল উজ্জ্বল/এমএ/