
বাগেরহাট জেলার ষাট গম্বুজ বন বিভাগের এসএফএনটিসি ফরেস্টার চিন্ময় মধু, তার স্ত্রী লোপা রানী মণ্ডল, বাগেরহাট বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা জি এম রফিক আহমেদ ও তার স্ত্রী আকলিমা আহমেদ, আরেক কর্মকর্তা হরিদাস মধু এবং তার স্ত্রী দুলালি মধুর নামে থাকা ৫টি ব্যাংক হিসাব ও ১৩টি সঞ্চয়পত্র অবরুদ্ধ (ফ্রিজ) করার আদেশ দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (২৮ এপ্রিল) ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিব এ আদেশ দেন।
এর মধ্যে চিন্ময় মধু ও তার স্ত্রী লোপা রানী মণ্ডলের নামে থাকা ৫ ব্যাংক হিসাবের আছে ১ কোটি ৩৪ লাখ ৯১ হাজার ৬৩২ টাকা।
এ ছাড়া জিএম রফিকের নামে ৬টি, তার স্ত্রীর নামে ৩টি, দুলালি মধুর নামে ২টি, হরিদাস মধু ও লোপা রানীর নামে ১টি সঞ্চয়পত্র রয়েছে। এসব সঞ্চয় পত্রে ১ কোটি ৪৫ লাখ টাকা রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
সূত্র জানায়, দুদকের উপ-সহকারী পরিচালক কাজী হাফিজুর রহমান ওই আবেদন দাখিল করেন।
আবেদনে বলা হয়, অভিযোগ সংশ্লিষ্ট বাগেরহাট জেলার ষাট গম্বুজ বন বিভাগের এসএফএনটিসি ফরেস্টার চিন্ময় মধু, তার স্ত্রী লোপা প্রাহী মণ্ডল, বাগেরহাট বন বিভাগের জি এম রফিক আহমেদ ও তার স্ত্রী আকলিমা আহমেদ, হরিদাস মানু এবং দুলালি মধুর নামের ৫টি ব্যাংক হিসাবে অস্বাভাবিক লেনদেন এবং ৩৫ জনের নামে মোট ১৩টি সঞ্চয় ক্রয় করা হয়েছে।
তাদের ওইসব হিসাবে মোট ২ কোটি ৭৯ লাখ ৯১ হাজার ৬৩২ টাকা রয়েছে।
তারা এসব অর্থ অন্যত্র সরিয়ে ফেলতে পারেন মর্মে আশঙ্কা রয়েছে। ওই অর্থ অন্যত্র সরিয়ে ফেললে ভবিষ্যতে তা রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করা সম্ভব হবে না বিধায় এই হিসাবগুলো জরুরিভিত্তিতে অবরুদ্ধ করা প্রয়োজন।
এম এ জলিল উজ্জ্বল/সুমন/