ঢাকা ২০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, মঙ্গলবার, ০৩ জুন ২০২৫
English
মঙ্গলবার, ০৩ জুন ২০২৫, ২০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

তিন বন কর্মকর্তার ব্যাংক হিসাব-সঞ্চয়পত্র অবরুদ্ধ

প্রকাশ: ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৫:২৬ পিএম
আপডেট: ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৫:৩৪ পিএম
তিন বন কর্মকর্তার ব্যাংক হিসাব-সঞ্চয়পত্র অবরুদ্ধ
প্রতীকী ছবি

বাগেরহাট জেলার ষাট গম্বুজ বন বিভাগের এসএফএনটিসি ফরেস্টার চিন্ময় মধু, তার স্ত্রী লোপা রানী মণ্ডল, বাগেরহাট বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা জি এম রফিক আহমেদ ও তার স্ত্রী আকলিমা আহমেদ, আরেক কর্মকর্তা হরিদাস মধু এবং তার স্ত্রী দুলালি মধুর নামে থাকা ৫টি ব্যাংক হিসাব ও ১৩টি সঞ্চয়পত্র অবরুদ্ধ (ফ্রিজ) করার আদেশ দেওয়া হয়েছে।

সোমবার (২৮ এপ্রিল) ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিব এ আদেশ দেন। 

এর মধ্যে চিন্ময় মধু ও তার স্ত্রী লোপা রানী মণ্ডলের নামে থাকা ৫ ব্যাংক হিসাবের আছে ১ কোটি ৩৪ লাখ ৯১ হাজার ৬৩২ টাকা। 

এ ছাড়া জিএম রফিকের নামে ৬টি, তার স্ত্রীর  নামে ৩টি, দুলালি মধুর নামে ২টি, হরিদাস মধু ও লোপা রানীর নামে ১টি সঞ্চয়পত্র রয়েছে। এসব সঞ্চয় পত্রে ১ কোটি ৪৫ লাখ টাকা রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন। 

সূত্র জানায়, দুদকের উপ-সহকারী পরিচালক কাজী হাফিজুর রহমান ওই আবেদন দাখিল করেন।

আবেদনে বলা হয়, অভিযোগ সংশ্লিষ্ট বাগেরহাট জেলার ষাট গম্বুজ বন বিভাগের এসএফএনটিসি ফরেস্টার চিন্ময় মধু, তার স্ত্রী লোপা প্রাহী মণ্ডল, বাগেরহাট বন বিভাগের জি এম রফিক আহমেদ ও তার স্ত্রী আকলিমা আহমেদ, হরিদাস মানু এবং দুলালি মধুর নামের ৫টি ব্যাংক হিসাবে অস্বাভাবিক লেনদেন এবং ৩৫ জনের নামে মোট ১৩টি সঞ্চয় ক্রয় করা হয়েছে। 

তাদের ওইসব হিসাবে মোট ২ কোটি ৭৯ লাখ ৯১ হাজার ৬৩২ টাকা রয়েছে। 

তারা এসব অর্থ অন্যত্র সরিয়ে ফেলতে পারেন মর্মে আশঙ্কা রয়েছে। ওই অর্থ অন্যত্র সরিয়ে ফেললে ভবিষ্যতে তা রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করা সম্ভব হবে না বিধায় এই হিসাবগুলো জরুরিভিত্তিতে অবরুদ্ধ করা প্রয়োজন।

এম এ জলিল উজ্জ্বল/সুমন/

মোল্লা মাসুদসহ ৩ জন রিমান্ড শেষে কারাগারে

প্রকাশ: ০৩ জুন ২০২৫, ০৭:৪৮ পিএম
মোল্লা মাসুদসহ ৩ জন রিমান্ড শেষে কারাগারে
ছবি: সংগৃহীত

শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইনের সহযোগী আবু রাসেল ওরফে মোল্লা মাসুদসহ ৩ জনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

মঙ্গলবার (৩ জুন) ঢাকার এডিশনাল মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ওয়াহিদুজ্জামান ওই আদেশ দেন। 

অন্যরা হলেন— এম এ এস শরিফ (২৫) ও মো. আরাফাত ইবনে মাসুদ (৪৩)।

এর আগে হাতিঝিল থানায় অস্ত্র আইনে দায়ের করা মামলায়  রিমান্ডে নিয়ে ছয়দিন জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আদালতে হাজির করেন তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের উপপরিদর্শক রিয়াদ আহমেদ।  

এক প্রতিবেদনে দাখিল করে আসামিদের কারাগার আটক রাখার আবেদন করেন। 

তাদের আইনজীবী জামিন চেয়ে আবেদন করলে তা নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বিচারক। 

গত ২৮ মে তাদের আদালতে হাজির করে দশদিন রিমানন্ডে নেওয়ার আবেদন করা হলে তিনজনের ছয়দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়। একইসঙ্গে গ্রেপ্তার শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইনের আটদিন রিমান্ডে নেওয়ার আদেশ দেওয়া হয়‌। সুব্রত বর্তমানে রিমান্ডে আছেন।

এর আগের দিন মঙ্গলবার (২৭ মে) বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বিশেষ অভিযানে সুব্রত বাইন ও মোল্লা মাসুদকে গ্রেপ্তার করে। তাদের দেওয়া তথ্যমতে হাতিরঝিল থানাধীন নতুন রাস্তা এলাকা থেকে একইদিন বিকাল ৩টার দিকে আসামি এম এ এস শরীফ ও মো. আরাফাত ইবনে নাসিরকে গ্রেপ্তার করা হয়। 

অভিযানের সময় তাদের কাছ থেকে পাঁচটি বিদেশি পিস্তল, ১০টি ম্যাগাজিন, ৫৩টি গুলি এবং একটি স্যাটেলাইট ফোন উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা করা হয়।

প্রসঙ্গত, ২০০১ সালে বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আসামি সুব্রত বাইন ও তার সহযোগী মোল্লা মাসুদসহ ২৩ জন শীর্ষ সন্ত্রাসীর নাম ঘোষণা করে। তাদের ধরিয়ে দেওয়ার জন্য পুরস্কারের ঘোষণা দেওয়া হয়। তারা সন্ত্রাসী বাহিনী সেভেন স্টার গ্রুপ পরিচালনা করতো।

এম এ জলিল উজ্জ্বল/এমএ/

ডিজিএফআইয়ের সাবেক ডিজি ও তার স্ত্রীর ফ্ল্যাট-বাড়ি জব্দ, ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ

প্রকাশ: ০৩ জুন ২০২৫, ০৭:০৪ পিএম
ডিজিএফআইয়ের সাবেক ডিজি ও তার স্ত্রীর ফ্ল্যাট-বাড়ি জব্দ, ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ
খবরের কাগজ গ্রাফিকস

ডিজেএফআইয়ের সাবেক ডিজি মেজর জেনারেল সাইফুল আলম ও তার স্ত্রী লুবনা আফরোজের নামে থাকা আনুমানিক ৪ কোটি ৫২ লাখ টাকা মূল্যের আশুলিয়ায় থাকা ৯ তলা বাড়ি, পল্লবীতে থাকা একটি ফ্ল্যাট ও ২৩ শতাংশ জমি জব্দ করাসহ তাদের নামে থাকা ৩টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করার আদেশ দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (৩ জুন) ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিব দুদকের আবেদন মঞ্জুর করে এ আদেশ দেন।

দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

সূত্র জানায়, দুদকের উপপরিচালক তাহাসীন মুনাবীল হক এ আবেদন করেন। 

আবেদনে বলা হয়, অভিযোগ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে অর্থ আহাদায় করে নিজ নামে ও পরিবারের সদস্যদের নামে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগের অনুসন্ধানপূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য একটি অনুসন্ধান টিম গঠন করা হয়েছে। অনুসন্ধানে জানা গেছে, দুদকের অনুসন্ধান শুরুর পর সংশ্লিষ্টরা তাদের নামীয় ফ্ল্যাট ও ৯ তলা বাড়ি হেবা দলিলের মাধ্যমে তাদের দুই মেয়েকে প্রদান করে স্থাবর সম্পদ গোপন করার চেষ্টা করছেন। এ ছাড়া ব্যাংক হিসাবের অর্থ অন্যত্র হস্তান্তর, স্থানান্তর বা বেহাত করার চেষ্টা করছেন। তারা যাতে উক্ত ফ্ল্যাট, বাড়ি এবং ব্যাংক হিসাবের অর্থ অন্যত্র হস্তান্তর, স্থানান্তর বা বেহাত করতে না পারে তার জন্য  স্থাবর সম্পদ জব্দ ও ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করার আদেশ দেওয়া প্রয়োজন। 

জলিল/মেহেদী/

জিয়াউল আহসানের স্ত্রীর জমি ক্রোক, ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ

প্রকাশ: ০৩ জুন ২০২৫, ০৬:৩৫ পিএম
আপডেট: ০৩ জুন ২০২৫, ০৬:৫৪ পিএম
জিয়াউল আহসানের স্ত্রীর জমি ক্রোক, ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ
খবরের কাগজ গ্রাফিকস

জাতীয় টেলিযোগাযোগ পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের (এনটিসিএম) সাবেক মহাপরিচালক মেজর জেনারেল (বরখাস্ত) জিয়াউল আহসানের স্ত্রী নুসরাত জাহানের ১৬৪ শতাংশ জমি জব্দ করা হয়েছে। একই সঙ্গে তার নামে চারটি ব্যাংকে থাকা তিন কোটি ১৩ লাখ ২০ হাজার টাকা অবরুদ্ধ (ফ্রিজ) করার আদেশ দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (৩ জুন) ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিব দুদকের আবেদন মঞ্জুর করে এ আদেশ দেন। 

দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

সূত্র জানায়, দুদকের উপপরিচালক মো. জাবেদ হোসেন সজল এসব সম্পদ জব্দ ও অবরুদ্ধ করার আদেশ চেয়ে আবেদন করেন। 

এর আগে গত ২৪ এপ্রিল জিয়াউল আহসানের নামে থাকা তিনটি ফ্ল্যাট ও পাঁচটি বাড়িসহ একশত বিঘা জমি এবং তার ৯টি ব্যাংক হিসাবের এক কোটি ২৮ লাখ ৯০ হাজার ৫১১ টাকা অবরুদ্ধ করা হয় । 

প্রসঙ্গত, গত ১৫ আগস্ট গভীর রাতে রাজধানীর খিলক্ষেত এলাকা থেকে জিয়াউল আহসানকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে হত্যার অভিযোগে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় দায়ের হওয়া মামলায় তাকে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।মানবতাবিরোধী অপরাধ তার তার বিরুদ্ধে অপরাধ ট্রাইব্যুনালে তার বিচার চলছে। 

জলিল/মেহেদী/

সাবেক এমপি বকুলের দুই বাড়ি ক্রোক, ১০ ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ

প্রকাশ: ০৩ জুন ২০২৫, ০৬:২০ পিএম
আপডেট: ০৩ জুন ২০২৫, ০৬:২৫ পিএম
সাবেক এমপি বকুলের দুই বাড়ি ক্রোক, ১০ ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ
নাটোর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শহিদুল ইসলাম বকুল

নাটোর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শহিদুল ইসলাম বকুলের নামে রাজধানীর তেজগাঁওয়ের রাজাবাজারে থাকা ৪ তলা বিশিষ্ট দুইটি বাড়ি জব্দ (ক্রোক) করা হয়েছে। একইসঙ্গে বিভিন্ন ব্যাংকের তার নামে থাকা ১০টি হিসাবের এক কোটি ৭৫ লাখ ৮০ হাজার ৭৪৫ টাকা অবরুদ্ধ (ফ্রিজ) করার আদেশ দেওয়া হয়েছে।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সহকারী পরিচালক মেহেদী মুসা জেবিনের আবেদনের প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার (৩ জুন) ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিব এ আদেশ দেন। 

দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদনে বলা হয়, শহিদুল ইসলাম বকুলের বিরুদ্ধে বিপুল অস্থাবর সম্পদ অর্জনের তথ্য পাওয়া যায়। আসামি শহিদুল ইসলাম বকুলের নামে অর্জিত স্থাবর বা অস্থাবর সম্পদ হাতবদলের সম্ভবনা রয়েছে। সুষ্ঠু-তদন্তের স্বার্থে আসামির নামে অর্জিত সম্পদ জব্দ ও অবরুদ্ধ করা আবশ্যক।

জলিল/মেহেদী/

ইসির সাবেক সচিবসহ ১৫ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

প্রকাশ: ০৩ জুন ২০২৫, ০৬:১৪ পিএম
আপডেট: ০৩ জুন ২০২৫, ০৭:২৪ পিএম
ইসির সাবেক সচিবসহ ১৫ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
খবরের কাগজ গ্রাফিকস

নির্বাচন কমিশনের সাবেক সচিব হেলালুদ্দীন আহমদসহ ১৫ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত। 

মঙ্গলবার (৩ জুন) ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিব দুদকের পৃথক কর্মকর্তাদের দাখিল করা ছয়টি আবেদন শুনানি শেষে মঞ্জুর করে এ আদেশ দেন।

নিষেধাজ্ঞাপ্রাপ্ত অন্যরা হলেন- সাবেক মন্ত্রী ক্যাপ্টেন (অব.) এ বি তাজুল ইসলাম, তার স্ত্রী হাসু ইসলাম, তাদের সন্তান ধানাদ ইসলাম দীপ্ত, ফারাহ ইসলাম প্রভা ও শামা ইসলাম, ফেনী-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী (৬৭), যশোর-৬ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মো. শাহীন চাকলাদার, সাবেক জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, তার স্ত্রী সৈয়দা মোনালিসা ইসলাম, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের কর্মকর্তা সৈয়দ ওয়াসেক মো. আলী, মো. আলমগীর হোসেন, মোহাম্মদ মোস্তফা খায়ের, আব্দুল আজিজ এ মো. মাসুদুর রহমান শাহ।

দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা উপপরিচালক আকতারুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। 

সূত্র জানায়, নিষেধাজ্ঞা প্রাপ্তদের বিরুদ্ধে করা আবেদনে বলা হয়েছে, দুর্নীতি ও অনিয়মের মাধ্যমে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও বিদেশে অর্থপাচারের অভিযোগ অনুসন্ধানাধীন রয়েছে।  সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে অভিযোগ সংশ্লিষ্টদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া প্রয়োজন। 

জলিল/মেহেদী/