
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে হত্যা, গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর শীর্ষ ১৩ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের সময় আবারও বাড়ানো হয়েছে।
সোমবার (২৮ এপ্রিল) ধার্য দিনে প্রসিকিউশনের আবেদনের শুনানি শেষে বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল প্রায় তিন মাস সময় বাড়িয়েছেন। আদেশে আগামী ২০ জুলাই পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছেন ট্রাইব্যুনাল।
এর আগে ১৯ ডিসেম্বর এই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন উপস্থাপনের নির্দেশ দিয়েছিলেন ট্রাইব্যুনাল। ওই দিন ২৮ এপ্রিল (গতকাল) পর্যন্ত সময় বাড়ানো হয়েছিল।
গণ-অভ্যুত্থানের পর পুনর্গঠিত ট্রাইব্যুনালে করা তৃতীয় মামলা এটি। মামলার ১৩ আসামি মধ্যে গ্রেপ্তারের পর কারাবন্দি আটজনকে সোমবার ধার্যদিনে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।
এরা হলেন সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, সাবেক সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসান, ডিএমপির মিরপুর বিভাগের সাবেক উপকমিশনার (ডিসি) জসিম উদ্দিন মোল্লা, ঢাকা জেলা পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত সুপার (সাভার সার্কেল) মো. শাহিদুল ইসলাম, যাত্রাবাড়ী থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসান, বরখাস্ত হওয়া ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহিল কাফী, গুলশান থানার সাবেক ওসি মো. মাজহারুল হক এবং ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি উত্তর) সাবেক পরিদর্শক মো. আরাফাত হোসেন। তাদের সকালে শুনানি শুরুর আগেই কারাগার থেকে এনে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। মামলার পলাতক ৫ আসামি হলেন সহকারী পুলিশ সুপার রাজন কুমার সাহা, সাবেক এসআই মো. আব্দুল মালেক, সাবেক এএসআই চঞ্চল চন্দ্র সাহা, সাবেক কনস্টেবল মো. মুকুল হোসেন ও রবিউল আলম।