ঢাকা ১১ আষাঢ় ১৪৩২, বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫
English

সাবেক আইজিপি মামুনসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের সময় বাড়ল

প্রকাশ: ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ০১:১৫ পিএম
সাবেক আইজিপি মামুনসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের সময় বাড়ল
সাবেক আইজিপিসহ ১৩ জনকে ট্রাইব্যুনালে আনা হয়েছে। ছবি: সংগৃহীত

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে হত্যা, গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর শীর্ষ ১৩ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের সময় আবারও বাড়ানো হয়েছে।

সোমবার (২৮ এপ্রিল) ধার্য দিনে প্রসিকিউশনের আবেদনের শুনানি শেষে বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল প্রায় তিন মাস সময় বাড়িয়েছেন। আদেশে আগামী ২০ জুলাই পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছেন ট্রাইব্যুনাল।

এর আগে ১৯ ডিসেম্বর এই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন উপস্থাপনের নির্দেশ দিয়েছিলেন ট্রাইব্যুনাল। ওই দিন ২৮ এপ্রিল (গতকাল) পর্যন্ত সময় বাড়ানো হয়েছিল। 

গণ-অভ্যুত্থানের পর পুনর্গঠিত ট্রাইব্যুনালে করা তৃতীয় মামলা এটি। মামলার ১৩ আসামি মধ্যে গ্রেপ্তারের পর কারাবন্দি আটজনকে সোমবার ধার্যদিনে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।

এরা হলেন সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, সাবেক সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসান, ডিএমপির মিরপুর বিভাগের সাবেক উপকমিশনার (ডিসি) জসিম উদ্দিন মোল্লা, ঢাকা জেলা পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত সুপার (সাভার সার্কেল) মো. শাহিদুল ইসলাম, যাত্রাবাড়ী থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসান, বরখাস্ত হওয়া ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহিল কাফী, গুলশান থানার সাবেক ওসি মো. মাজহারুল হক এবং ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি উত্তর) সাবেক পরিদর্শক মো. আরাফাত হোসেন। তাদের সকালে শুনানি শুরুর আগেই কারাগার থেকে এনে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। মামলার পলাতক ৫ আসামি হলেন সহকারী পুলিশ সুপার রাজন কুমার সাহা, সাবেক এসআই মো. আব্দুল মালেক, সাবেক এএসআই চঞ্চল চন্দ্র সাহা, সাবেক কনস্টেবল মো. মুকুল হোসেন ও রবিউল আলম।

চাঁদপুরে মাদ্রাসাছাত্র হত্যা মামলায় ২ জনের মৃত্যুদণ্ড, একজনের যাবজ্জীবন

প্রকাশ: ২৪ জুন ২০২৫, ০৫:০৮ পিএম
আপডেট: ২৪ জুন ২০২৫, ০৫:০৮ পিএম
চাঁদপুরে মাদ্রাসাছাত্র হত্যা মামলায় ২ জনের মৃত্যুদণ্ড, একজনের যাবজ্জীবন
ছবি: খবরের কাগজ

চাঁদপুরের কচুয়ায় সম্পত্তি নিয়ে বিরোধের জেরে মাদ্রাসাছাত্র মো. মিলন হোসেনকে (১২) শ্বাসরোধ ও পানিতে ডুবিয়ে হত্যার দায়ে দুইজনের মৃত্যুদণ্ড এবং একজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। 

মঙ্গলবার (২৪ জুন) দুপুরে চাঁদপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ (২)-এর বিচারক সৈয়দ তাফাজ্জল হোসেন হিরু এই রায় দেন।

মাদ্রাসাছাত্র মিলন হোসেন কচুয়া কান্দিরপাড় গ্রামের প্রধানিয়া বাড়ির মো. তাজুল ইসলামের ছেলে। মিলন স্থানীয় চাপাতলী মাদ্রাসার ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র ছিল।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি শামিম হোসেন (২৮) কান্দিরপাড় প্রধানিয়া বাড়ির মো. ইমাম হোসেন ও সোহাগ হোসেন (২৮) পাড়াগাঁও গ্রামের নুর উদ্দিনের ছেলে। যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি রাব্বি হোসেন কান্দিরপাড় গ্রামের ফরাজি বাড়ির আবুল বাসারের ছেলে।

এ ছাড়া রায়ে শামিম ও সোহাগকে ১ লাখ টাকা করে জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও ১ বছর সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। অপর আসামি রাব্বিকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও ১ বছর সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

মামলার বিবরণে জানা গেছে, মাদ্রাসাছাত্র মিলনের বাবা তাজুল ইসলামের সঙ্গে আসামিদের স্বজনদের সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ ছিল। ওই বিরোধের কারণে ঘটনার দিন ২০১৫ সালের ২৯ জুন দুপুর ১টার দিকে মিলন বাড়ি থেকে পাশের রহিমানগর বাজারে যায়। বাজার থেকে বাড়িতে না ফেরায় পরদিন ৩০ জুন কচুয়া থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে তার ভাই মো. রিপন হোসেন (২৫)। এরপর ২ জুলাই স্থানীয়দের মাধ্যমে মিলনের পরিবার জানতে পারে সম্পত্তি নিয়ে বিরোধের জেরে আসামি শামিম, সোহাগ ও রাব্বি মিলনকে হত্যার উদ্দেশে কান্দিরপাড় এলাকার ইব্রাহিম খলিল নামে একজনের জমিতে নিয়ে পানিতে ডুবিয়ে এবং শ্বাসরোধ করে হত্যা করে।

বাদী রিপন হোসেন জানান, আসামিদের নাম পরিচয় জানার পর প্রথমে স্থানীয় লোকজন শামিমকে আটক করে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদে বাকি দুই আসামি সোহাগ ও রাব্বির নাম পাওয়া যায়। এরপর তাদের স্থানীয়দের সহায়তায় আটক করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ২ জুলাই ঘটনাস্থল থেকে মিলনের মরদেহ উদ্ধার ও আসামিদের থানা হেফাজতে নেয়।

এই ঘটনায় ওই দিনই মিলনের বড় ভাই রিপন হোসেন বাদী হয়ে কচুয়া থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তৎকালীন কচুয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. ওয়াজেদ আলী ২০১৬ সালের ৮ জানুয়ারি আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, মামলাটি দীর্ঘ ১০ বছর চলাকালীন ২২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন আদালত। আসামিদের অপরাধ স্বীকার ও মামলার নথিপত্র পর্যালোচনা শেষে বিচারক তাদের উপস্থিতিতে এই রায় দেন।

আসামিপক্ষে আইনজীবী ছিলেন নুরুল হক কমল।

সালমান/

ধর্ষণ মামলায় গায়ক নোবেলের জামিন

প্রকাশ: ২৪ জুন ২০২৫, ০৪:৫০ পিএম
আপডেট: ২৪ জুন ২০২৫, ০৫:৩২ পিএম
ধর্ষণ মামলায় গায়ক নোবেলের জামিন
ছবি: সংগৃহীত

ধর্ষণ মামলায় গায়ক নোবেলকে জামিন দেওয়া হয়েছে। 

মঙ্গলবার (২৪ জুন) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেরা মাহবুব এ জামিন মঞ্জুর করেন।

ইসলামী শরিয়াহ অনুযায়ী বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হওয়ায় এবং উভয় পক্ষের মধ্যে আপোষের কারণে তাকে জামিন দেওয়া হয়েছে বলে জানান নোবেলের আইনজীবী খলিলুর রহমান। 

তিনি জানান, বাদীর সঙ্গে যেহেতু বিয়ে হয়ে গেছে। সেহেতু তার কারামুক্তিতে আর কোনো বাধা নেই। পরবর্তীতে বাদীর অনুমতি সাপেক্ষে আমরা মামলা প্রত্যাহারের জন্য আদালতে আবেদন করব।

গত রবিবার (২২ জুন) নোবেলের পক্ষে জামিন আবেদন করা হয়। ওই দিন আদালত এ মামলার বাদী ও নোবেলের উপস্থিতিতে শুনানির জন্য মঙ্গলবার (২৪ জুন) দিন ধার্য করেন। 

শুনানির সময় নোবেলকে কারাগার থেকে হাজির করা হয়। অন্যদিকে বাদী আদালতে উপস্থিত হন।

আদালতে শুনানির সময় বাদী বলেন, জামিনে তার আপত্তি নেই। আসামি পক্ষ থেকে বলা হয় ইতিমধ্যে বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে তবে রেজিস্ট্রি হয়নি। জামিন পাওয়ার পর বিবাহ রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন হবে। 

এর আগে গত ১৯ জুন কারা কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে নোবেল ও প্রিয়ার বিয়ে হয়। আগের দিন গত ১৮ জুন তাদের কাবিনমূলে বিয়ের ব্যবস্থা করার জন্য কারা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন আদালত।

গত ১৯ মে নোবেলের বিরুদ্ধে ধর্ষণ, নির্যাতন ও পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা করেন ইডেন মহিলা কলেজের সাবেক শিক্ষার্থী ইসরাত জাহান প্রিয়া। মামলা দায়েরের পরই নোবেলকে ডেমরা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। 

আদালতে হাজির করার পর জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। এর পর থেকে কারাগারেই ছিলেন। 

মামলার বিবরণে বলা হয়, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভুক্তভোগী ইডেন কলেজের ছাত্রী প্রিয়ার সঙ্গে নোবেলের পরিচয় হয়। এরপর তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। গত বছরের ১২ নভেম্বর গায়ক নোবেল তার স্টুডিও দেখানোর কথা বলে ভুক্তভোগীকে ডেমরা থানাধীন তার বাসায় নিয়ে যায় আসামি নোবল। এর পর কয়েকজন আসামির সহায়তায় তাকে আটকে রাখে। তার মোবাইল নিয়ে নেয়। বাদী তার পরিবারের সঙ্গে কথা বলার জন্য আসামিকে মোবাইল ফোন ফেরত দেওয়ার জন্য বললে নোবেল ওই ছাত্রীর ২৬ হাজার টাকার রেডমি ১০ প্রো মোবাইল ফোন ভেঙে ফেলে।
এর পর আসামি নোবেল তার বসতঘরে আটক রেখে ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করে এবং ধর্ষণের ভিডিও তার মোবাইল ফোনে ধারণ করে। নোবেলের কথামতো বাসায় না থাকলে মোবাইল ফোনে ধারণকৃত ধর্ষণের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেবে বলে জানায়। তাই বাদী আসামির ভয়ে কাউকে কোনো কিছু বলার সাহস পাননি।

মামলায় আরও বলা হয়, এর পর আসামি নেশাগ্রস্ত অবস্থায় বিভিন্ন তারিখ ও সময়ে বাদীকে মারধর করতেন। আসামি তার সহযোগী অজ্ঞাতনামা আরও ২/৩ জনের সহায়তায় বাদীকে নির্যাতন করে একটি কক্ষে আটক করে রাখে।

ওই ঘটনার একটি ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বাদীর বাবা-মা তাকে চিনতে পারে। এর পর তারা জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ কল দিলে গত ১৯ মে রাত সাড়ে ৯টায় নোবেলকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং ভুক্তভোগী ছাত্রীকে উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় ডেমরা থানায় অপহরণপূর্বক ধর্ষণের অভিযোগে নোবেলের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। 

জলিল/মেহেদী/

ইসলামী ব্যাংকের সাবেক এমডি মনিরুল ও সাবেক এমপি সাবিনা কারাগারে

প্রকাশ: ২৩ জুন ২০২৫, ০৬:৫৯ পিএম
ইসলামী ব্যাংকের সাবেক এমডি মনিরুল ও সাবেক এমপি সাবিনা কারাগারে
ছবি: সংগৃহীত

অর্থ আত্মসাৎ ও তথ্য গোপনের অভিযোগে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের(পিএলসি) সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মোহাম্মদ মনিরুল মাওলাকে ও সন্ত্রাসবিরোধী আইনের একটি মামলায় সাবেক এমপি সাবিনা আক্তার তুহিনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। 

সোমবার (২২ জুন) ঢাকার পৃথক দুই আদালতে শুনানি শেষে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়। 

সোমবার (২৩ জুন) ঢাকা ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল  জজ জাকির হোসেন গালিব দুদকের আবেদন মঞ্জুর করে 
ইসলামী ব্যাংকের সাবেক এমডি মনিরুল মাওলাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের  উপপরিচালক মো. ইয়াসির আরাফাত আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আবেদন করেন। 

দুদকের প্রসিকিউটর মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। 

তিনি বলেন, এটা চট্টগ্রাম জেলা সমন্বিত কার্যালয়-১ এ দুদকের করা মামলা। ঢাকার আদালতে এ মামলার জামিন বা রিমান্ড শুনানি করার সুযোগ নেই। বিধি মোতাবেক চট্টগ্রামের আদালতে এ মামলার শুনানি হবে। বিধায় তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। 

এর আগে রবিবার (২২ জুন) রাত সোয়া ১২টার দিকে রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার নিজ বাসা থেকে মনিরুল মাওলাকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।

মামলার বিবরণে জানা গেছে , মোহাম্মদ মনিরুল মাওলার বিরুদ্ধে পরস্পর যোগসাজশে নিজেরা লাভবান হওয়ার উদ্দেশ্যে প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে নথিপত্র তৈরি ও তা ব্যবহার করার অভিযোগ আনা হয়েছে। এর মাধ্যমে তিনি ইসলামী ব্যাংকের মোট এক হাজার ৯২ কোটি ৪৬ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন এবং আত্মসাৎকৃত অর্থের প্রকৃত উৎস ও প্রকৃতি গোপন করতে তিনি অর্থ স্থানান্তর, হস্তান্তর ও রূপান্তরের মাধ্যমে মানিলন্ডারিং করেছেন।

এদিকে, ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান শুনানি শেষে এমপি সাবিনা আক্তার তুহিনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন। 

রাজধানীর শেরে বাংলা নগর থানায় করা ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাকে আদালতে হাজির করা হয়। 

তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। 

আসামির আইনজীবী জামিন চেয়ে শুনানি করেন। শুনানি শেষে জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বিচারক। 

রবিবার মধ্যরাতে ঢাকা জেলার নবাবগঞ্জ ষোল্লা ইউনিয়নের গ্রামের বাড়ি থেকে সাবেক এমপি সাবিনা আক্তার তুহিনকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের ওয়ারী বিভাগের জোনাল টিম। 

জলিল/মেহেদী/

সাবেক সিইসি নুরুল হুদা ৪ দিনের রিমান্ডে

প্রকাশ: ২৩ জুন ২০২৫, ০৫:৪১ পিএম
আপডেট: ২৩ জুন ২০২৫, ০৬:১১ পিএম
সাবেক সিইসি নুরুল হুদা ৪ দিনের রিমান্ডে
ছবি: খবরের কাগজ

সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদার চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

সোমবার (২৩ জুন) বিকেলে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।

এর আগে দুপুরে শেরেবাংলা নগর থানার উপ-পরিদর্শক শামসুজ্জোহা সরকার তাকে ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন।

আবেদনে বলা হয়, সাবেক সিইসি কে এম নুরুল হুদার বিরুদ্ধে ভোট কারচুপি, শপথ ভঙ্গ, ঘুষ গ্রহণসহ ১১টি অভিযোগ রয়েছে। সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তাকে ১০ দিনের রিমান্ডে নেওয়া প্রয়োজন।

রবিবার (২২ জুন) কে এম নুরুল হুদাসহ বিগত ৩ ‘বিতর্কিত’ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সংশ্লিষ্ট ১৮ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আসামি রেখে শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা করে বিএনপি। সেই সঙ্গে ‘বিতর্কিত’ এসব নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করা সাবেক ৩ সিইসিসহ অজ্ঞাতপরিচয়ের মোট ১৯ জনের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) অভিযোগ করেছে দলটি। পরে রবিবার সন্ধ্যার দিকে রাজধানীর উত্তরা এলাকা থেকে সাবেক এ সিইসিকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে রাতে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের কার্যালয়ে ব্রিফিংয়ে তাকে ডিবি কার্যালয়ে নেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।

স্ত্রীসহ সাবেক মন্ত্রী হাছান মাহমুদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

প্রকাশ: ২৩ জুন ২০২৫, ০৫:৪০ পিএম
স্ত্রীসহ সাবেক মন্ত্রী হাছান মাহমুদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ

সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ ও তার স্ত্রী নূরান ফাতেমার দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত।

সোমবার (২৩ জুন) ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিব দুদকের আবেদন মঞ্জুর করে ওই আদেশ দেন।

দুদকের সহকারী পরিচালক আল আমিন তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার আদেশ চেয়ে পৃথক দুটি আবেদন করেন। 

হাছান মাহমুদের নিষেধাজ্ঞার আবেদনে বলা হয়, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও চট্টগ্রাম-৭ আসনের সাবেক এমপি হাছান মাহমুদ বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়, তথ্য মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে এবং সংসদ সদস্যের দায়িত্ব পালনকালে ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন। তিনি অসাধু উপায়ে অর্জিত জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে সঙ্গতিবিহীন ১ কোটি ১১ লাখ ৫৫ হাজার ৩১৮ টাকার সম্পদের মালিকানা অর্জন করেন। সেই সম্পদ ভোগদখলে রেখে অপরাধ করেছেন। এ ছাড়া তার নিজ, যৌথ ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের নামে মোট ৯টি ব্যাংকহিসাবের মাধ্যমে ৩৯ কোটি ৭৬ লাখ ৩৭ হাজার ৫৬৭ টাকা সন্দেহজনক লেনদেন করে তা হস্তান্তর, রূপান্তর, স্থানান্তরের মাধ্যমে অর্থপাচার করেছেন। এর মাধ্যমে তিনি দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারা: মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারা এবং ১৯৪৭ সনের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(১) (ঘ) ও ৫(১) (৬) ধারা লঙ্ঘন করে ৫(২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন। এই অভিযোগের ভিত্তিতে দুর্নীতি দমন কমিশন, সমন্বিত জেলা কার্যালয়, ঢাকা-১-এ মামলা করা হয়েছে। এমতাবস্থায় আসামির বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত এবং সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তার দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া প্রয়োজন।

এদিকে নূরান ফাতেমার আবেদনে বলা হয়, নূরান ফাতেমা অবৈধভাবে ৫ কোটি ৫২ লাখ ৭৮ হাজার ১৯০ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও ভোগদখল করেছেন, যা দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারার লঙ্ঘন। এ ছাড়া তিনি তার ব্যক্তিগত, যৌথ এবং তার প্রতিষ্ঠানের নামে পরিচালিত মোট ৫৬টি ব্যাংকহিসাবে ৬৮৩ কোটি ১৫ লাখ ৩৭ হাজার ৫৫৪ টাকা অস্বাভাবিক লেনদেনের মাধ্যমে অর্থ পাচার করেছেন, যা মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

অপরদিকে তার স্বামী হাছান মাহমুদ পাবলিক সার্ভেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে অসৎ উদ্দেশ্যে ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রভাব ও আর্থিক সহায়তায় তার স্ত্রীর নামে জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ৫ কোটি ৫২ লাখ ৭৬ হাজার টাকার সম্পদ অর্জন করতে সহায়তা করেন। তার স্ত্রী নূরান ফাতেমার নিজ, যৌথ এবং তার প্রতিষ্ঠানের নামে বিভিন্ন ব্যাংকে পরিচালিত মোট ৫৬টি হিসাবে মানিলন্ডারিংয়ের সম্পৃক্ত অপরাধ দুর্নীতি ও ঘুষ সংঘটনের মাধ্যমে প্রাপ্ত অর্থের অবৈধ উৎস গোপন করার উদ্দেশ্যে সেটির রূপান্তর, স্থানান্তর ও হস্তান্তর করে সর্বমোট ৬৮৩ কোটি ১৫ লাখ ৩৭ হাজার ৫৫৪ টাকা অস্বাভাবিক লেনদেনের মধ্যমে ১৯৪৭ সনের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(১) (ঘ) ও ৫(১) (৪) ধারা লঙ্ঘন করে ৫(২) ধারায় মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২-এর ৪(২) ও৪(৩) ধারায় এবং দণ্ডবিধির ১০৯ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করায় দুর্নীতি দমন কমিশনে মামলা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে মামলার সুষ্ঠু তদন্ত নিশ্চিত করতে এবং তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করা একান্ত আবশ্যক। 

উজ্জ্বল/সালমান/