ঢাকা ২৯ আষাঢ় ১৪৩২, রোববার, ১৩ জুলাই ২০২৫
English

ঢাবির ছাত্র সাম্য হত্যায় ৩ জন ৬ দিনের রিমান্ডে

প্রকাশ: ১৭ মে ২০২৫, ০৮:১৪ পিএম
আপডেট: ১৭ মে ২০২৫, ০৮:৪৯ পিএম
ঢাবির ছাত্র সাম্য হত্যায় ৩ জন ৬ দিনের রিমান্ডে
খবরের কাগজ গ্রাফিকস

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্র শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যা মামলায় তিন জনকে ছয় দিনের রিমান্ডে নেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

শনিবার (১৭ মে) ঢাকার  মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শাহিন রেজা শুনানি শেষে এই রিমান্ড মন্জুর করেন।

এর আগে রিমান্ড শুনানি উপলক্ষে আসামিদের কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। 

এর আগে গত বৃহস্পতিবার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহবাগ থানার উপ-পরিদর্শক তৌফিক হাসান আসামিদের ১০ দিন রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। 

গত ১৪ মে আসামিদের পুলিশ গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠালেও ঐ দিন তাদের রিমান্ডে নেওয়ার কোনো আবেদন করা হয়নি। ফলে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেওয়া হয়। পর দিন ১৫ মে তিনজনের রিমান্ড আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা।

গত ১৩ মে রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় শাহরিয়ার আলম সাম্যকে ছুরিকাঘাত করে একদল দুর্বৃত্ত। পরে রক্তাক্ত অবস্থায় রাত ১২টার দিকে সহপাঠীরা তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সাম্যকে মৃত ঘোষণা করেন।

সাম্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র ও এফ রহমান হল ছাত্রদলের সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক ছিলেন। সাম্য বিশ্ববিদ্যালয়ের এফ রহমান হলের ২২২ নম্বর কক্ষে থাকতেন। গত ১৪ মে সকালে সাম্যের বড় ভাই শরীফুল ইসলাম শাহবাগ থানায় হত্যা মামলা করেন। 

এম এ জলিল উজ্জ্বল/সুমন

পুরান ঢাকায় ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যায় আসামি রবিনের দায় স্বীকার

প্রকাশ: ১২ জুলাই ২০২৫, ০৯:২১ পিএম
পুরান ঢাকায় ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যায় আসামি রবিনের দায় স্বীকার
আসামি রবিন

রাজধানীর পুরান ঢাকায় মো. সোহাগ (৪৩) নামে এক ভাঙাড়ি ব্যবসায়ীকে ইট-পাথর দিয়ে মাথায় আঘাত করে নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনায় করা অস্ত্র মামলায় বহিষ্কৃত ছাত্রদল নেতা তারেক রহমান রবিন আদলাতে দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন।

শনিবার (১২ জুলাই) বিকেলে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট হাসিব উল্লাহ গিয়াসের আদালতে সেচ্ছায় এ জবানবন্দি দেন তিনি। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। 

জানা গেছে, আসামি তারেক রহমান রবিন রাজধানীর চকবাজার থানাধীন ৩০ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন। ঘটনার পরে তাকে বহিষ্কার করে ছাত্রদল।

এর আগে বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) রবিনের দুইদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জুয়েল রানা। রিমান্ড শেষে আদালতে হাজির করা হলে সেচ্ছায় জবানবন্দি দেন আসামি রবিন।

জানা যায়, ভাঙাড়ি ব্যবসায়ীকে হত্যার ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় দুটি মামলা হয়। একটি হত্যা মামলা অপরটি অস্ত্র মামলা। এর মধ্যে হত্যা মামলায় মাহমুদুল হাসান মহিনকে ৫ দিন এবং তারেক রহমান রবিনকে অস্ত্র মামলায় ২ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। গত বুধবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে হাসপাতালের ৩ নম্বর গেটসংলগ্ন রজনী ঘোষ লেনে এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।

নিহত মো. সোহাগ কেরানীগঞ্জ মডেল থানার পূর্ব নামাবাড়ি গ্রামের ইউসুফ আলী হাওলাদারের ছেলে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে মিটফোর্ড এলাকার ৪ নম্বর রজনী ঘোষ লেনে ভাঙারির ব্যবসা করতেন। ঘটনার পর পুলিশ মাহমুদুল হাসান মহিন ও তারেক রহমান রবিনকে আটক করে। পরে কোতোয়ালি থানায় একটি হত্যা ও একটি অস্ত্র মামলা দায়ের হয়।

এদিকে পাথর নিক্ষেপ করে প্রকাশ্যে সোহাগকে হত্যার ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক ভাইরাল হয়েছে। নেটিজেনরা এর তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন।

 

শর্তসাপেক্ষে সাবেক আইজিপি মামুনকে ক্ষমার বিষয়টি বিবেচনা করা হবে: ট্রাইব্যুনাল

প্রকাশ: ১২ জুলাই ২০২৫, ০৩:২৯ পিএম
আপডেট: ১২ জুলাই ২০২৫, ০৪:৩৫ পিএম
শর্তসাপেক্ষে সাবেক আইজিপি মামুনকে ক্ষমার বিষয়টি বিবেচনা করা হবে: ট্রাইব্যুনাল
সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন।

চব্বিশের জুলাই আগস্টের হত্যাযজ্ঞে নিজের এবং প্রধান ও সহযোগী অভিযুক্তদের অপরাধ সম্পর্কিত সম্পূর্ণ সত্য প্রকাশ করার শর্তে সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনকে ক্ষমা করার বিষয়টি বিবেচনা করা হবে বলে আদেশে উল্লেখ করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১।

শনিবার (১২ জুলাই) ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল দুই পৃষ্ঠার লিখিত এ আদেশ প্রকাশ করা হয়।

লিখিত আদেশ বলা হয়, ‘মামুনের আইনজীবী রাজসাক্ষী হওয়ায় তাকে ক্ষমা করে দেয়ার আবেদন করেছে। তবে ট্রাইব্যুনাল মনে করে, সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন যদি অপরাধ সম্পর্কে সম্পূর্ণ সত্য প্রকাশ করে এবং প্রধান অভিযুক্ত ও সহযোগী অভিযুক্তের অপরাধ সম্পর্কে তার জানা সমস্ত ঘটনা প্রকাশ করে তখন ক্ষমার বিষয়টি বিবেচনা করা যাবে।’

এর আগে বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) হত্যাযজ্ঞের দায় স্বীকার করে শেখ হাসিনার মামলায় রাজসাক্ষী হন সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন। 

ওইদিন তিনি ট্রাইব্যুনালে কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে বিচারকদের উদ্দেশ্য বলেন, জুলাই আগস্টের হত্যাযজ্ঞের সঙ্গে জড়িতদের বিস্তারিত তুলে ধরতে চান তিনি।

এরপর মামলা থেকে আসামিদের অব্যাহতির আবেদন খারিজ করে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনের বিচার শুরুর আদেশ দেন বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১।

ট্রাইব্যুনালের অন্য দুই সদস্য হলেন- বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারক মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।

রাজসাক্ষী হওয়ায় সাবেক আইজিপি মামুনকে কারাগারে আলাদা সেলে রাখা হয়েছে।

অমিয়/

অধ্যাপক আবুল বারকাত কারাগারে

প্রকাশ: ১১ জুলাই ২০২৫, ০৫:১৫ পিএম
অধ্যাপক আবুল বারকাত কারাগারে
আদালতে তোলা হয় জনতা ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আবুল বারকাতকে। ছবি: সংগৃহীত

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলায় জনতা ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আবুল বারকাতকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

শুক্রবার (১১ জুলাই) বিকেলে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জুয়েল রানা এই আদেশ দেন।

এদিন আবুল বারকাতকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। আসামি পক্ষের আইনজীবীরা তার জামিন চেয়ে আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষ এর বিরোধিতা করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। 

এদিকে আসামির তিন দিনের রিমান্ড আবেদন ছিল। তবে এই কোর্টের রিমান্ড বিষয়ে শুনানি করার এখতিয়ার না থাকায় তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। পরে সিনিয়র আদালতে এই রিমান্ড বিষয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হবে বলে জানানো হয়।

এর আগে, বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) রাত সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকার নিজ বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।

গত ২০ ফেব্রুয়ারি অ্যাননটেক্স গ্রুপের নামে ২৯৭ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে জনতা ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান আবুল বারকাতসহ ২৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। 

দুদকের উপ-পরিচালক মো. নাজমুল হুসাইন বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। সূত্র: বাসস

সালমান/

সাবেক এমপি বিপ্লব ফের ৫ দিনের রিমান্ডে

প্রকাশ: ১১ জুলাই ২০২৫, ০২:২১ পিএম
আপডেট: ১১ জুলাই ২০২৫, ০২:৩৩ পিএম
সাবেক এমপি বিপ্লব ফের ৫ দিনের রিমান্ডে
মো. ফয়সার বিপ্লব

জুলাই-আগষ্ট আন্দোলনে দিনমজুর সজল মোল্লা (৩০) হত্যা মামলায় মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মো. ফয়সার বিপ্লবের আরও পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

এ মামলায় সাত দিনের রিমান্ড শেষে শুক্রবার (১০ জুলাই) মুন্সীগঞ্জ আমলী আদালত-১ এ পুলিশের আট দিনের রিমান্ড আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালতের বিচারক নুসরাত শারমিন তাকে পাঁচ দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন। 

জেলা পাবলিক প্রসিকিউটর মো. হালিম হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে গত ২২ জুন ঢাকার মনিপুরীপাড়ার একটি আবাসিক ভবন থেকে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ ফয়সাল বিপ্লবকে গ্রেপ্তার করে। পরে গত ১ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শ্রমিক সজল হত্যা মামলায় তাকে মুন্সীগঞ্জ আমলী আদালত-১ এ হাজির করে পুলিশ ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে আদালত সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। পরে ৪ জুলাই তাকে মুন্সীগঞ্জ সদর থানা হেফাজতে রিমান্ডে আনা হয়।

মইনউদ্দিন/মৌসুমী/পপি/

রাজসাক্ষী মামুন খালাস পেতে পারেন

প্রকাশ: ১১ জুলাই ২০২৫, ১২:২৩ পিএম
আপডেট: ১১ জুলাই ২০২৫, ১২:৪১ পিএম
রাজসাক্ষী মামুন খালাস পেতে পারেন
আবদুল্লাহ আল-মামুন

জুলাই অভ্যুত্থানে গণহত্যা ও  মানবতাবিরোধী অপরাধের একটি মামলায় অভিযুক্ত পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন রাজসাক্ষী (অ্যাপ্রুভার) হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (২ জুলাই) তিনি রাজসাক্ষী হওয়ার আবেদন করলে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ তা মঞ্জুর করেন। যদিও তিনি অভিযুক্ত, তবে রাজসাক্ষী হওয়ায় শেষ পর্যন্ত তিনি খালাস পেতে পারেন। আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।  

গত বছরে জুলাই অভ্যুত্থানের সময় গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত ছিলেন তৎকালীন আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন। ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমন করতে তার নির্দেশে পুরো পুলিশ বাহিনী সারা দেশে সক্রিয় ছিল। আন্দোলন ঠেকাতে মারণাস্ত্র ব্যবহার থেকে শুরু করে পুলিশের সব ধরনের কর্মকাণ্ড ঘটেছে তার অধীনেই। তবে তিনিও সরকারপ্রধান ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নির্দেশ মোতাবেক পুলিশ বাহিনীকে পরিচালনা করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। ফলে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধে তিনিসহ সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুদজ্জামান খান কামাল অভিযুক্ত হয়েছেন। তিনি অভিযোগের দায় স্বীকার করে সব আসামির অপরাধ ও সব ঘটনার সত্য তুলে ধরতে রাজসাক্ষী হয়েছেন।       

রাজসাক্ষী হওয়ায় তিনি খালাস পাবেন কি না? এমন প্রশ্নের উত্তরে সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল গতকাল খবরের কাগজকে বলেছেন, ‘রাজসাক্ষী হিসেবে চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন খালাস পাবেন। তার আবেদন মঞ্জুর হওয়ার পর থেকে তিনি রাজসাক্ষী হিসেবে বিবেচিত হবেন। তিনি যদি মূল আসামিদের বিরুদ্ধে প্রত্যক্ষভাবে সাক্ষ্য দেন, তাহলে তার কোনো সাজা হবে না।’    

গতকাল ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। তিনিও তার দোষ স্বীকার করেছেন। ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে যে মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত হয়েছিল, সেই অপরাধের সবকিছুই তার জানার কথা। সব তথ্য উদ্‌ঘাটনের ব্যাপারে ট্রাইব্যুনালকে সহায়তার মাধ্যমে তিনি অ্যাপ্রুভার (রাজসাক্ষী) হওয়ার আবেদন করলে ট্রাইব্যুনাল তা মঞ্জুর করেছেন। সুতরাং চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন পরবর্তী সময়ে এই ট্রাইব্যুনালে সুবিধাজনক সময়ে তার বক্তব্য উপস্থাপনের মাধ্যমে প্রকৃত ঘটনাসহ সব অপরাধ কাদের মাধ্যমে, কীভাবে সংঘটিত হয়েছিল, সেই তথ্য উদ্‌ঘাটনে সাহায্য করবেন। সে হিসেবে তিনি রাজসাক্ষী হিসেবে গণ্য হবেন। তিনি এখন কারাগারেই থাকবেন। বক্তব্য গ্রহণের পর তার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন ট্রাইব্যুনাল। অ্যাপ্রুভার হওয়ার কারণে তার নিরাপত্তাসংকটের আশঙ্কায় যথাযথ নিরাপত্তা চেয়ে তিনি ট্রাইব্যুনালে আবেদন করেছেন।  নিরাপত্তার বিষয়ে ট্রাইব্যুনাল পরবর্তী সময়ে যথাযথ আদেশ দেবেন। রাজসাক্ষী হিসেবে চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন এ মামলায় ক্ষমা পেতে পারেন কিংবা ট্রাইব্যুনাল অন্য কোনো আদেশ দিতে পারেন। এটা পুরোপুরি আদালতের এখতিয়ার।’  

উল্লেখ্য, ‘রাজসাক্ষী’ শব্দটি এসেছে মূলত ‘রাজা’ ও ‘সাক্ষী’ শব্দ দুটি থেকে। সাক্ষ্য আইন প্রণয়নের সময় রাজার রাজ্য প্রথা ছিল। সেই সময় এ ধরনের সাক্ষীকে রাজসাক্ষী বলা হতো। এখন রাজাও নেই, রাজত্ব প্রথাও নেই। এখন রাষ্ট্র। তাই রাজসাক্ষীকে বর্তমানে রাষ্ট্রের সাক্ষী হিসেবে গণ্য করা হয়। অপরাধের সঙ্গে যুক্ত কোনো আসামি রাজি হলে তাকে রাষ্ট্রের পক্ষে সাক্ষী করা হয়। আইন অনুসারে এখনো তাকে রাজসাক্ষী বা অ্যাপ্রুভার বলা হয়। কোনো আসামি রাজসাক্ষী হিসেবে সাক্ষ্য দিতে রাজি হলে প্রথমে তাকে রাজসাক্ষী হিসেবে ঘোষণা করা হয় এবং পরে কারাগারে রাখা হয়, যাতে অন্য কোনো আসামি বা ব্যক্তি তাকে প্রভাবিত করতে না পারে অথবা তার কোনো ক্ষতি করতে না পারে। 

রায় ঘোষণার আগেই বিচার চলাকালে অপরাধটির সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত বা সে সম্পর্কে গোপন তথ্যের অধিকারী কোনো ব্যক্তির অপরাধের সব ঘটনা, মূল অপরাধী ও সহায়তাকারী হিসেবে জড়িত সব অপরাধী সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ ও সত্য ঘটনা প্রকাশ করে সাক্ষ্য প্রদান সম্পন্ন হলে আদালত রাজসাক্ষীকে ক্ষমা করতে পারেন। তবে রাজসাক্ষী ইচ্ছাকৃতভাবে অত্যাবশ্যক কোনো কিছু গোপন করে মিথ্যা সাক্ষ্য দিলে বা যে শর্তে ক্ষমা করা হয়েছিল সেই শর্ত পালন না করলে আদালত রাজসাক্ষীরও বিচার করতে পারবেন। যে অপরাধের বিষয়ে রাজসাক্ষীকে ক্ষমা করা হয়েছিল, আদালত সেই অপরাধের বিষয়ে তার বিচার করতে পারবেন। তবে রাজসাক্ষীকে অন্য আসামিদের সঙ্গে একত্রে বিচার করা যাবে না।