অর্থ আত্মসাৎ ও তথ্য গোপনের অভিযোগে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের(পিএলসি) সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মোহাম্মদ মনিরুল মাওলাকে ও সন্ত্রাসবিরোধী আইনের একটি মামলায় সাবেক এমপি সাবিনা আক্তার তুহিনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
সোমবার (২২ জুন) ঢাকার পৃথক দুই আদালতে শুনানি শেষে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।
সোমবার (২৩ জুন) ঢাকা ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিব দুদকের আবেদন মঞ্জুর করে
ইসলামী ব্যাংকের সাবেক এমডি মনিরুল মাওলাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের উপপরিচালক মো. ইয়াসির আরাফাত আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আবেদন করেন।
দুদকের প্রসিকিউটর মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, এটা চট্টগ্রাম জেলা সমন্বিত কার্যালয়-১ এ দুদকের করা মামলা। ঢাকার আদালতে এ মামলার জামিন বা রিমান্ড শুনানি করার সুযোগ নেই। বিধি মোতাবেক চট্টগ্রামের আদালতে এ মামলার শুনানি হবে। বিধায় তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে রবিবার (২২ জুন) রাত সোয়া ১২টার দিকে রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার নিজ বাসা থেকে মনিরুল মাওলাকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।
মামলার বিবরণে জানা গেছে , মোহাম্মদ মনিরুল মাওলার বিরুদ্ধে পরস্পর যোগসাজশে নিজেরা লাভবান হওয়ার উদ্দেশ্যে প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে নথিপত্র তৈরি ও তা ব্যবহার করার অভিযোগ আনা হয়েছে। এর মাধ্যমে তিনি ইসলামী ব্যাংকের মোট এক হাজার ৯২ কোটি ৪৬ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন এবং আত্মসাৎকৃত অর্থের প্রকৃত উৎস ও প্রকৃতি গোপন করতে তিনি অর্থ স্থানান্তর, হস্তান্তর ও রূপান্তরের মাধ্যমে মানিলন্ডারিং করেছেন।
এদিকে, ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান শুনানি শেষে এমপি সাবিনা আক্তার তুহিনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।
রাজধানীর শেরে বাংলা নগর থানায় করা ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাকে আদালতে হাজির করা হয়।
তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা।
আসামির আইনজীবী জামিন চেয়ে শুনানি করেন। শুনানি শেষে জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বিচারক।
রবিবার মধ্যরাতে ঢাকা জেলার নবাবগঞ্জ ষোল্লা ইউনিয়নের গ্রামের বাড়ি থেকে সাবেক এমপি সাবিনা আক্তার তুহিনকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের ওয়ারী বিভাগের জোনাল টিম।
জলিল/মেহেদী/