ঢাকা ২৫ আষাঢ় ১৪৩২, বুধবার, ০৯ জুলাই ২০২৫
English

জবির অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক আনোয়ারা বেগম কারাগারে

প্রকাশ: ২৯ মে ২০২৫, ০৬:০৫ পিএম
জবির অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক আনোয়ারা বেগম কারাগারে
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ড. আনোয়ারা বেগম। ছবি: সংগৃহীত

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ড. আনোয়ারা বেগমকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৯ মে) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মোস্তাফিজুর রহমান এ আদেশ দেন। 

পরে তাকে গাজীপুরের কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে আদালত সূত্রে জানা গেছে। 

এর আগে গত বছর জুলাই গণঅভ্যুত্থানের আন্দোলনে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় সূত্রাপুর থানায় করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাকে হাজির করা হয়। 

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সূত্রাপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) এ কে এম মাহমুদুল কবির তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন।

আবেদনে বলা হয়, আনোয়ারা বেগম এই মামলায় এজাহার নামীয় আসামি। প্রাথমিক তদন্তে ঘটনার সঙ্গে তার জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে, যা যাচাই করা হচ্ছে। জামিন পেলে তিনি পালিয়ে যেতে পারেন। তাই তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটকে রাখা প্রয়োজন।  

অন্যদিকে আসামির পক্ষে আইনজীবী সোহরাব হোসেন তার জামিন চেয়ে আবেদন করেন। 

শুনানিতে তিনি বলেন, আনোয়ারা বেগম একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। তিনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ছিলেন। এ ছাড়া বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) সদস্য ছিলেন। তিনি ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছিলেন না। হয়রানির জন্য মামলায় জড়ানো হয়েছে। মানবিক কারণে তাকে জামিন দেওয়া উচিত। 

মামলার বিবরণে জানা যায়,  গত বছরের ১৯ জুলাই জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থী ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে রওনা হয়। ওইদিন বিকেল সাড়ে ৩টায় মিছিলটি রায় সাহেব বাজার এলাকায় পৌঁছালে বিশ্ববিদ্যালয়ের আওয়ামীপন্থি শিক্ষকদের প্ররোচনায় ছাত্রলীগসহ ১০০ থেকে ১৫০ জন তাদের ওপর হামলা করে। হামলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদলের বর্তমান সেক্রেটারি সুজন মোল্লার বাম চোখে গুলির চারটি স্প্রিন্টার লাগে। শরীরের বিভিন্ন স্থানে কয়েকটি গুলির আঘাতে তাৎক্ষণিক রক্তাক্ত হন। পরে রাস্তায় পড়ে থাকা অবস্থায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে শরীরে আঘাত করা হয়। 

চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের  জবির অধ্যাপক, কর্মকর্তা ও ছাত্রলীগের ৯৪ জনসহ মোট ১৯৩ জনের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মামলা করেন ভুক্তভোগী।‌

উল্লেখ্য গত ২৮ মে সন্ধ্যায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে থেকে আনোয়ারা বেগমকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এম এ জলিল উজ্জ্বল/সুমন/

সালমান এফ রহমান ও তার ছেলেসহ ১৩ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

প্রকাশ: ০৮ জুলাই ২০২৫, ০৮:১৫ পিএম
আপডেট: ০৮ জুলাই ২০২৫, ০৮:২০ পিএম
সালমান এফ রহমান ও তার ছেলেসহ ১৩ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
ছবি: সংগৃহীত

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাণিজ্য উপদেষ্টা ও আইএফআইসি ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমান ও তার ছেলেসহ ১৩ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। 

মঙ্গলবার (৮ জুলাই) ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিব দুদকের আবেদন মঞ্জুর করে এ আদেশ দেন। 

দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা তানজির আহমেদ এ তথ্য জানান।

সালমান এফ রহমান ছাড়া নিষেধাজ্ঞা দেওয়া ব্যাক্তিরা হলেন- সালমান এফ রহমানের ছেলে আহমেদ শায়ান ফজলুর রহমান, আইএফআইসি ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ শাহ আলম সারোয়ার, সাবেক পরিচালক রাবেয়া জামালী, এ.আর. এম নাজমুস সাকিব, কামরুন নাহার আহমেদ, মো. জাফর ইকবাল, সাবেক উপ ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহ মো. মঈনুদ্দিন, মো. নুরুল হাসনাত, বেক্সিমকো গ্রুপের ডেপুটি ম্যানেজার কৌশিক কান্তি পন্ডিত, সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, সার্ভ কনট্রাকশন লিমিটেডের পরিচালক সারওয়াত সুলতানা মনামী ও একই প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মনিরুল ইসলাম।

দুদকের উপপরিচালক মো. ইয়াছির আরাফাত নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন।

আবেদনে বলা হয়, ঋণের নামে আইএফআইসি ব্যাংক প্রিন্সিপাল শাখার অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে আইএফআইসি ব্যাংক পিএলসির সাবেক চেয়ারম্যান সালমান ফজলুর রহমান এবং আইএফআইসি ব্যাংক পিএলসি, প্রিন্সিপাল শাখার গ্রাহক সার্ভ কনট্রাকশন অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডের কথিত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মনিরুল ইসলামসহ অন্যান্যদের বিরুদ্ধে করা মামলা তদন্তাধীন। 
তদন্তকালে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, এজাহারনামীয় এ আসামিরা দেশ ছেড়ে পলায়ন করতে পারেন। এতে তদন্ত কার্যক্রম বিঘ্নিত হতে পারে। মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া একান্ত প্রয়োজন।

জলিল/মেহেদী/

ঝিনাইদহে পুলিশ কর্মকর্তা হত্যায় ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড, ৪ জনের যাবজ্জীবন

প্রকাশ: ০৮ জুলাই ২০২৫, ১২:৪৮ পিএম
আপডেট: ০৮ জুলাই ২০২৫, ০২:০৩ পিএম
ঝিনাইদহে পুলিশ কর্মকর্তা হত্যায় ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড, ৪ জনের যাবজ্জীবন
আমজাদ হোসেন ।

ঝিনাইদহে পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মিরাজুল ইসলাম হত্যা মামলায় চারজনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া এ মামলায় চারজনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। রায়ে সাতজনকে খালাস দেওয়া হয়। উপ-পরিদর্শক মিরাজুল সদর উপজেলার ডাকবাংলা পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ ছিলেন।

সোমবার (৭ জুলাই) দুপুর ১২টার দিকে ঝিনাইদহের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মাহাবুব আলম এ রায় দেন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০১১ সালের ২৩ আগস্ট রাতে জেলা শহরের বাস মালিক সমিতির কার্যালয়ের সামনে একটি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় পড়ে। পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ এলে আরোহীরা পালিয়ে যান। সে সময় দেখা যায়, মোটরসাইকেলটি পুলিশের উপ-পরিদর্শক মিরাজুল ইসলামের। কিন্তু তখন তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

পরদিন সকালে সদর উপজেলার ভেটেরিনারি কলেজের পাশের ডোবা থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় এসআই মিরাজুলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পুলিশ ওইদিনই ঝিনাইদহ সদর থানায় একটি হত্যা মামলা করে। পুলিশ ২০১২ সালের জানুয়ারি মাসে ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দেয়।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- রাজবাড়ি জেলার নিমতলার লিয়াকত হোসেন, আমজাদ হোসেন, দক্ষিণ দৌলতদিয়া গ্রামের আক্কাস আলী ও ফরিদপুর জেলার ভাটি লক্ষ্মীপুর গ্রামের আলম শেখ।

যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন-  ফরিদপুর জেলার গোয়ালচামট গ্রামের মোহাম্মদ সাগর, টাপাখোলা গ্রামের নুরু খা, শোভারামপুর গ্রামের শাহীন ও যশোরের শেখহাটি খা পাড়ার মনির হোসেন। আসামিদের মধ্যে আমজাদ হোসেন ছাড়া বাকিরা পলাতক।

সন্ত্রাসীরা এসআইয়ের কাছে থাকা পিস্তল, গুলি, মোটরসাইকেল ছিনতাইয়ের জন্য তাকে হত্যা করে থাকতে পারে বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়। রায়ে তার সহকর্মী ও পরিবার সন্তোষ প্রকাশ করেন।

ঝিনাইদহ কোর্ট পরিদর্শক মোক্তার হোসেন খবরের কাগজ বলেন, গ্রেপ্তার থাকা মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি আমজাদ হোসেনকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

মাহফুজুর/রিফাত/

পিডিবির সাবেক প্রধান প্রকৌশলী হযরত আলীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

প্রকাশ: ০৭ জুলাই ২০২৫, ০৬:৪৭ পিএম
পিডিবির সাবেক প্রধান প্রকৌশলী হযরত আলীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
খবরের কাগজ গ্রাফিকস

বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) অবসরপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. হযরত আলীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত। 

সোমবার (৭ জুলাই) ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিব দুদকের আবেদন মঞ্জুর করে এ আদেশ দেন। 

দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা তানজির আহমেদ এ তথ্য জানান।

দুদকের উপ-পরিচালক নাজমুল ইসলাম নিষেধাজ্ঞার আদেশ চেয়ে আবেদন করেন। 

আবেদনে বলা হয়, পিডিবির সাবেক ওই প্রধান প্রকৌশলী ব্যাপক দুর্নীতি ও অনিয়মের মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন মর্মে অভিযোগে অনুসন্ধান কার্যক্রম চলমান রয়েছে। তিনি দেশ ছেড়ে বিদেশে পালিয়ে যেতে পারেন। সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে তার দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া একান্ত প্রয়োজন। 

উজ্জ্বল/সালমান/

কুমিল্লায় ৩ মামলা থেকে খালেদা জিয়াকে অব্যাহতি

প্রকাশ: ০৭ জুলাই ২০২৫, ০৫:১৮ পিএম
আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২৫, ০৬:৩৩ পিএম
কুমিল্লায় ৩ মামলা থেকে খালেদা জিয়াকে অব্যাহতি
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। ছবি: সংগৃহীত

২০১৫ সালে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে পেট্রোল বোমা হামলা ও কাভার্ডভ্যানে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় হত্যাসহ তিনটি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

এ ছাড়া তৎকালীন সরকারের করা মামলাগুলো রাজনৈতিক মামলা বিবেচনায় প্রত্যাহারের আবেদনের প্রেক্ষিতে বাকি আসামিদের মামলাও প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে।

সোমবার (৭ জুলাই) বিকেলে সাংবাদিকদের এসব তথ্য নিশ্চিত করেন কুমিল্লা জেলা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মো. কাইমুল হক রিংকু।

তিনি জানান, ২০১৫ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার জগমোহনপুরে একটি বাসে পেট্রোল বোমা হামলার ঘটনায় আট যাত্রী নিহত হন। ওই ঘটনায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি পৃথক মামলা করে পুলিশ। মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ ৭৮ জনকে চার্জশিটে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এ মামলায় বাদী ছিলেন চৌদ্দগ্রাম থানার তৎকালীন পুলিশ কর্মকর্তা নুরুজ্জামান হাওলাদার। ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে দুই মামলার শুনানিতে বেগম খালেদা জিয়ার সম্পৃক্ততা প্রমাণ না হওয়ায় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-২ এর বিচারক সফিকুল ইসলাম তাকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেন। কারণ সে সময় বেগম খালেদা জিয়া গুলশানের বাসায় বালুর ট্রাক দ্বারা অবরুদ্ধ ছিলেন।

অপরদিকে ২০১৫ সালের ২৫ জানুয়ারি চৌদ্দগ্রামের হায়দারপুর এলাকায় কাভার্ডভ্যান পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় নাশকতার মামলায়ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ ৩২ জনকে আসামি করা হয়। পরে এ মামলায় আরও ১০ জনের নাম অন্তর্ভুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দেওয়া হয়। এ মামলারও বাদী চৌদ্দগ্রাম থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নুরুজ্জামান হাওলাদার। এ মামলাতেও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সম্পৃক্ততা না পাওয়া যাওয়ায় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক আফরোজা শিউলি তাকে অব্যাহতি দেন।

কাইমুল হক রিংকু আরও জানান, মামলা তিনটি বিগত আওয়ামী সরকারের সময় রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে করা বিবেচনায় প্রত্যাহারের জন্য আইন মন্ত্রণালয় আবেদন করা হয়। মন্ত্রণালয় সেই আবেদন গ্রহণ করে মামলা তিনটি প্রত্যাহার করে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। এখন থেকে খালেদা জিয়া ও বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের বিরুদ্ধে চৌদ্দগ্রাম থানায় কোনো মামলা নেই।

জহির/মেহেদী/

শেখ হাসিনার এপিএস লিকুর জমি-প্লট জব্দ, ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ

প্রকাশ: ০৭ জুলাই ২০২৫, ০৪:২৭ পিএম
আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২৫, ০৪:২৯ পিএম
শেখ হাসিনার এপিএস লিকুর জমি-প্লট জব্দ, ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ
গাজী হাফিজুর রহমান লিকু

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাবেক সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) গাজী হাফিজুর রহমান লিকুর জমি ও প্লট জব্দের আদেশ দিয়েছেন ঢাকার একটি আদালত। এছাড়া তার নামে একটি ব্যাংক হিসাব, একটি ক্রেডিট কার্ড ও ৫ লাখ টাকার একটি সঞ্চয়পত্র অবরুদ্ধের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

সোমবার (৭ জুলাই) দুদকের আবেদনের প্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. জাকির হোসেন গালিব এ আদেশ দেন।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) জনসংযোগ বিভাগের উপ-পরিচালক আকতারুল ইসলাম এ তথ্য জানান।

সম্পত্তি সমুহের রয়েছে- গোপালগঞ্জ সদর উপজেলায় ১৪ শতক জমি ও রাজধানীর উত্তরায় রাজউক থেকে বরাদ্দ পাওয়া তিন কাঠার একটি প্লট।

আবেদনে উল্লেখ করা হয়, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কার্যালয়ের দায়িত্ব পালনের সময় ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রাথমিক অনুসন্ধানে ৫৫ লাখ ৩২ হাজার টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও নিজ ভোগদখলে রাখায় মামলা করা হয়। মামলাটি তদন্তের নিমিত্তে তদন্তকারী কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়েছে। আসামির মালিকানাধীন স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদসমূহ অন্যত্র হস্তান্তর, স্থানান্তর বা বেহাত করার প্রচেষ্টা করছেন। আসামির মালিকানাধীন স্থাবর ক্রোক এবং অস্থাবর সম্পদসমূহ অবরুদ্ধ করা না হলে বিচারের সময় তা রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করা সম্ভব হবে না। এতে রাষ্ট্রের অপূরণীয় ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বিধায় মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে অবিলম্বে আসামির মালিকানাধীন স্থাবর সম্পদ ক্রোক এবং অস্থাবর সম্পদ অবরুদ্ধ করা একান্ত প্রয়োজন। আদালত আবেদন মঞ্জুর করে আদেশ দেন।

অমিয়/