
জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে কাষ্টম হাউজ খুলনার সাবেক কর্মকর্তা (এ্যাপ্রেইজার) জিল্লুর রহিম খানের স্ত্রী মমতাজ খানকে দু’টি ধারায় ৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি তাকে ৪ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। রায় ঘোষণার সময় মমতাজ খান আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
বৃহস্পতিবার (২৯ মে) খুলনার বিভাগীয় স্পেশাল জজ আাদালতের বিচারক মো. আশরাফুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন।
মামলার এজহার সূত্রে জানা যায়, আসামি মমতাজ খান টুটপাড়া দিলখোলা রোডের বাসিন্দা। দুর্নীতি দমন কমিশনে দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে তিনি ১৩ লাখ ৭৩ হাজার টাকার স্থাবর সম্পদ থাকার কথা ঘোষণা দেন। কিন্তু তার স্থাবর সম্পদের পরিমান ১৫ লাখ ৪৭ হাজার ৬১০ টাকা। তিনি ১ লাখ ৪৭ হাজার টাকা মূল্যের স্থাবর সম্পদের তথ্য ওই বিবরণীতে উল্লেখ না করে অসৎ উদ্দেশ্যে গোপন করেছেন। এ ছাড়া মমতাজ খান একজন গৃহিনী। স্বামীর আয়ের ওপর নির্ভরশীল। তার নিজের কোন বৈধ আয়ের উৎস নেই।
দুদক সূত্র জানায়, ২০১৬ সালের ২১ জুলাই দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত জেলা কার্যালয় খুলনার সহকারী পরিচালক এস এম শামীম ইকবাল বাদী হয়ে সোনাডাঙ্গা থানায় দুর্নীতি দমন আইনের ২০০৪ এর ২৬ (২) এবং ২৭ (১) ধারায় খুলনা কাষ্টম হাউজ এ্যাপ্রেইজার মো. জিল্লুর রহিম খান এবং তার স্ত্রী মমতাজ খানকে আসামি করে সোনাডাঙ্গা থানায় মামলা দায়ের করেন। ২০১৯ সালের ৩ অক্টোবর দুর্নীতি দমন কমিশন উপ-সহকারী পরিচালক মো. ফয়সাল কাদের তাদের উভয়ের বিরুদ্ধে আদালতে একটি অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলা চলাকালীন জিল্লুর রহিম খান মারা যান। অভিযোগ রয়েছে, জিল্লুর রহিম তার স্ত্রী মমতাজ খানকে ১৫ লাখ ৪৭ হাজার ৬১০ টাকার সহায়তা করেন।
মাকসুদ/সিফাত/