ঢাকা ১ শ্রাবণ ১৪৩২, বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫
English

শেখ হাসিনাসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে গুমের অভিযোগ সালাহউদ্দিনের

প্রকাশ: ০৩ জুন ২০২৫, ১২:২২ পিএম
আপডেট: ০৩ জুন ২০২৫, ১২:৩২ পিএম
শেখ হাসিনাসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে গুমের অভিযোগ সালাহউদ্দিনের
ট্রাইব্যুনালে গুমের অভিযোগ জমা দিচ্ছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ। ছবি: সংগৃহীত

শেখ হাসিনাসহ সাতজনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে গুমের অভিযোগ জমা দিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ।

মঙ্গলবার (৩ জুন) ট্রাইব্যুনালে এ অভিযোগ জমা দেন তিনি।

এর আগে গত ১৫ অক্টোবর তিনি গুমসংক্রান্ত কমিশনেও নিজের গুমের অভিযোগ জমা দিয়েছেন।

গতকাল সোমবার প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ঐকমত্যের দ্বিতীয় দফার সভায় তিনি বলেছিলেন, ‘সবাই বলে আমি কেন মামলা করি না। আগামীকালই আমি আমার অভিযোগ দাখিল করব’।

অভিযোগ জমা দেওয়ার পর সালাহউদ্দিন আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন- গুম, খুনের বিষয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মামলা করা হবে। তবে এখনো এ ব্যাপারে দৃশ্যমান কোনো কার্যক্রম দেখা না যাওয়ায় ক্ষোভ জানান তিনি।

এ সময় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ গুম-খুনে জড়িত সবার বিচার নিশ্চিত করার দাবি জানান বিএনপির এই নেতা।

গুমের ঘটনায় এখন পর্যন্ত যারা গ্রেপ্তার হয়েছেন তাদের সাজা এবং যারা পালিয়ে গেছেন তাদের কমিশনকে খুঁজে বের করার অনুরোধও জানান তিনি।

সালাহউদ্দিন বলেন, সাবেক সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল হাসান-সহ যারা গুমের সঙ্গে জড়িত তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে। এই সরকারের দায়িত্ব সবাইকে আইনের আওতায় আনা। সেইসঙ্গে দেশ থেকে গুম-খুনের সংস্কৃতি চিরদিনের জন্য বন্ধ করতে হবে।

নিজের গুম হওয়া প্রসঙ্গে সালাহউদ্দিন বলেন, ‘আমি আগেই তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে আজকে গুম কমিশনে এসেছি। ২০১৫ সালের ১০ মার্চ রাত সাড়ে ৯টার দিকে উত্তরার একটি বাসা থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে সশস্ত্র ব্যক্তিরা আমাকে তুলে নিয়ে যায়। তার ৬১ দিনের মাথায় আরেকটি দেশে প্রচার করে তারা। এ সময়ের মধ্যে আমাকে যে রুমে রেখেছিল, সেই রুমের বর্ণনাসহ নানা বিষয় আমি গুম কমিশনের কাছে বলেছি।’

২০১৫ সালের ১০ মার্চ রাজধানীর উত্তরা থেকে সালাহউদ্দিন নিখোঁজ হন। এর প্রায় দুই মাস পর ১১ মে ভারতের মেঘালয়ের শিলংয়ে স্থানীয় পুলিশ তার সন্ধান পায়। সালাহউদ্দিনকে আটক করার পর বৈধ নথিপত্র ছাড়া ভারতে প্রবেশের অভিযোগে দেশটির ফরেনার্স অ্যাক্ট অনুযায়ি মামলা করে মেঘালয় পুলিশ। সেই মামলায় নিম্ন আদালতের রায়ে ২০১৮ সালে সালাহউদ্দিন খালাস পান। ভারত সরকার রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করলে তাকে সেখানেই থাকতে হয়।

অমিয়/

এবার দুর্নীতির মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হলো দীপু মনিকে

প্রকাশ: ১৬ জুলাই ২০২৫, ০৭:৪২ পিএম
এবার দুর্নীতির মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হলো দীপু মনিকে
ছবি: সংগৃহীত

সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী দীপু মনিকে এবার দুর্নীতির মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দেওয়া হয়েছে।

বুধবার (১৬ জুলাই) ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক মো. ইব্রাহিম মিয়া 
দুদকের আবেদন মঞ্জুর করে এই‌ আদেশ দেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের সহকারী পরিচালক এস এম রাশেদুল হাসান দীপু মনিকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন।

জ্ঞাত আয়-বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে করা এ মামলায় গত ২১ মে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন দাখিল করার পর আসামির উপস্থিতিতে শুনানির জন্য বুধবার ধার্য করা হয়।

এ আবেদন শুনানির জন্য দীপু মনিকে আদালতে হাজির করা হয়। শুনানি শেষে তাকে কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। 

দুদকের প্রসিকিউটর মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর এ তথ্য জানান।

চলতি বছরের ১১ ফেব্রুয়ারি ৫ কোটি ৯২ লাখ ২ হাজার ৫৩০ টাকার জ্ঞাত আয়-বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও ২৮টি ব্যাংক হিসাবে ৫৯ কোটি ৭৯ লাখ ৯২ হাজার ৭৩১ টাকার অস্বাভাবিক লেনদেনের অভিযোগে দীপু মনির বিরুদ্ধে মামলাটি করেন সংস্থার কর্মকর্তা রাশেদুল হাসান।

একইদিন তার স্বামী তৌফীক নাওয়াজের বিরুদ্ধেও মামলা করে দুদক। এ মামলায় দীপু মনিকেও আসামি করা হয়।

স্ত্রীর ক্ষমতার অপব্যবহার করে ঘুষ–দুর্নীতির মাধ্যমে ১ কোটি ৯৬ লাখ ৩৯ হাজার ২০৫ টাকার জ্ঞাত আয়-বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয় তৌফীকের বিরুদ্ধে।  

বাংলাদেশের প্রথম নারী পররাষ্ট্র ও শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি ২০০৮ সাল থেকে চাঁদপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের পর  তাকে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের  দায়িত্ব দেওয়া হয়। 

গত বছরের ৫ আগস্ট ক্ষমতার পট পরিবর্তনের পর তার বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। 

এর ধারাবাহিকতায় দীপু মনি, তার স্বামী তৌফীক ও বড় ভাই জে আর ওয়াদুদ টিপুর ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হয়েছে। পাশাপাশি তাদের মালিকানাধীন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাবের লেনদেনও স্থগিত করা হয়েছে।

উল্লেখ্য জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর দীপু মনি আত্মগোপনে ছিলেন। গত বছরের ১৯ আগস্ট তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

এরপর থেকে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হত্যা ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় হওয়া একাধিক মামলায় দীপু মনিকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। 

এম এ জলিল উজ্জ্বল/সুমন/

ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যা মামলায় তিন আসামি ৭ দিনের রিমান্ডে

প্রকাশ: ১৬ জুলাই ২০২৫, ০৫:৫৭ পিএম
ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যা মামলায় তিন আসামি ৭ দিনের রিমান্ডে
ছবি: সংগৃহীত

পুরান ঢাকার মিটফোর্ডে ভাঙারি ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে মো. সোহাগ হত্যা মামলায় তিন আসামির ৭ দিন করে রিমান্ডে নেওয়ার আদেশ দেওয়া হয়েছে। 

বুধবার (১৬ জুলাই) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুজ্জামান শুনানি শেষে এ  আদেশ দেন।

রিমান্ডে পাঠানো আসামিরা হলেন-নান্নু কাজী, রেজওয়ান উদ্দিন ওরফে অভিজিৎ বসু ও তারেক রহমান রবিন। এদের মধ্যে রবিনকে দ্বিতীয় দফায় রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। 

এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক মনিরুজ্জামান তাদের আদালতে হাজির করে ১০ দিন করে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন।

আদালতে আসামিদের পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিল না।

সংশ্লিষ্ট থানার প্রসিকিউশন বিভাগের কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক তানভীর মোর্শেদ চৌধুরী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। 

আসামিদের মধ্যে নান্নু কাজীকে মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) নারায়ণগঞ্জের বালিয়াগ্রাম এলাকা থেকে এবং রেজওয়ান উদ্দিন অভিকে ওইদিন রাতে পটুয়াখালী থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।  

এর আগে ১০ জুলাই মাহমুদুল হাসান মহিনকে হত্যা মামলায় ও তারেক রহমান রবিনকে অস্ত্র মামলায় রিমান্ডে পাঠানো হয়।

অস্ত্র মামলায় দুই দিন রিমান্ড শেষে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয় রবিন। 

এছাড়া গত শনিবার (১২ জুলাই) পাঁচ দিন রিমান্ডে পাঠানো হয় টিটন গাজীকে। পরদিন রবিবার (১৩ জুলাই) মো. আলমগীর ও মনির ওরফে লম্বা মনিরের চার দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়। এর পরদিন সোমবার (১৪ জুলাই) দুই ভাই সজীব বেপারী ও রাজীব বেপারীকে পাঁচ দিন রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়।

মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) মহিনকে দ্বিতীয় দফায় পাঁচ দিন রিমান্ডে পাঠানো হয়।

গত ৯ জুলাই স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের গেটের কাছে ৩৯ বছর বয়সী ভাঙারি ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে সোহাগকে কুপিয়ে, পিটিয়ে ও পাথর দিয়ে থেঁতলে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। 

এ ঘটনায় ১৯ জনকে আসামি করে কোতোয়ালি থানায় হত্যা মামলা করেন নিহতের বড় বোন। এছাড়া পুলিশ বাদী হয়ে অস্ত্র মামলা দায়ের করে।

নিহত সোহাগ কেরানীগঞ্জ মডেল থানাধীন পূর্ব নামাবাড়ি এলাকায় বসবাস করতেন। দীর্ঘদিন ধরে ভাঙারির ব্যবসা করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। 

এখন পর্যন্ত এ ঘটনায় ৯ জনকে গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে নেওয়া হলো। 

এম এ জলিল উজ্জ্বল/মাহফুজ

গলায় ব্লেড চালিয়ে কাঠগড়ায় আত্মহত্যার চেষ্টা আসামির

প্রকাশ: ১৬ জুলাই ২০২৫, ০৫:৩৩ পিএম
গলায় ব্লেড চালিয়ে কাঠগড়ায় আত্মহত্যার চেষ্টা আসামির
ছবি: সংগৃহীত

সবার চোখ ফাঁকি দিয়ে নিজের গলায় ব্লেড চালিয়ে আদালতের এজলাসেই আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন এক আসামি। 

বুধবার (১৬ জুলাই) দুপুর ২টার দিকে ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩-এ এ ঘটনা ঘটে।

২১ বছর বয়সী বাদল হোসেন মুন্না নামের ওই আসামি শেভ করা রেজারের ব্লেড দিয়ে শ্বাসনালী কেটে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। 

আহত অবস্থায় দ্রুত তাকে আদালত-সংলগ্ন ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় বলে জানান ওই ট্রাইব্যুনালে দায়িত্বরত পুলিশ কনস্টেবল সাইফুর রহমান।‌

তিনি বলেন, ‘আসামি কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে ছিল। তাকে অসুস্থ দেখাচ্ছিল বিধায় তার নাম জানতে চাই যেন তাড়াতাড়ি হাজতখানায় নিয়ে যেতে পারি। কিন্তু সে নাম বলে না। একপর্যায়ে আমাদের সামনে থেকে কিছুটা দূরে সরে যায়। পরে দেখি তার গলা দিয়ে রক্ত পড়ছে। সে পড়ে যাচ্ছিল। দ্রুত গিয়ে তাকে ধরে ফেলি। নিচে শেভ করা রেজারের ব্লেড দেখতে পাই। পর তাকে দ্রুত পার্শ্ববর্তী ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।’ 

সংশ্লিষ্ট ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন পক্ষের আইনজীবী মো. সাজ্জাদ হোসেন সবুজ বলেন, ‘১৪ বছরের এক কিশোরীকে অপহরণের পর ধর্ষণ করার অভিযোগে ২০২২ সালের জুনে কদমতলী থানায় মামলা করে ভুক্তভোগীর বাবা।’ 

তিনি জানান, মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ আগেই শেষ হয়েছে। আসামিপক্ষ ভুক্তভোগীকে পুনরায় জেরা করার আবেদন করে। এর প্রেক্ষিতে বুধবার ভুক্তভোগীকে ফের জেরা করা হয়। 

ভুক্তভোগী জেরায় বলেছেন, তার সঙ্গে আসামির কোনো সম্পর্ক ছিল না। এ কারণে আবেগতাড়িত হয়ে হয়তো সে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে।

হাসপাতালে খোঁজ নিতে গেলে জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত সালাউদ্দিন জানান, তার শ্বাসনালী কেটে গেছে। প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে সরকারি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। যেহেতু এটা একটা পুলিশ কেইস।

মুন্নার বাবা আব্দুল আলী বলেন, ‘কয়েক মাস ধরে আমার ছেলে জেলে। আজ জামিন শুনানি ছিল। সে কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে ব্লেড দিয়ে গলায় পোচ দিয়েছে।’

উজ্জ্বল/সালমান/

সাবেক স্বরাষ্ট্র সচিব জাহাংগীর আলমের ৮ দিনের রিমান্ড

প্রকাশ: ১৬ জুলাই ২০২৫, ০৩:৩৬ পিএম
সাবেক স্বরাষ্ট্র সচিব জাহাংগীর আলমের ৮ দিনের রিমান্ড
সাবেক স্বরাষ্ট্র সচিব জাহাংগীর আলম

সাবেক স্বরাষ্ট্র সচিব জাহাংগীর আলমের আট দিনের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত। এর মধ্যে মো. রাসেল বাউল হত্যা মামলায় ৫ দিন ও লিটন উদ্দিন হত্যা মামলায় ৩ দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দেওয়া হয়েছে।

বুধবার (১৬ জুলাই) শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জি এম ফারহান ইশতিয়াক দুই মামলায় তার আট দিন রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এর আগে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে  বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট, হেলমেট ও হাতকড়া পরানো অবস্থায় পুলিশ প্রহরায় তাকে আদালতের এজলাসে তোলা হয়।

আদালতে দুই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পুলিশ পরিদর্শক মোহাম্মদ শাহানুজ্জামান ও সারোয়ার জাহান পৃথকভাবে ৫ দিন করে মোট ১০ দিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন। 

তদন্ত কর্মকর্তাদের করা রিমান্ড  আবেদন বাতিল করে জামিন চান তার আইনজীবী ফারজানা ইয়াসমিন রাখি।

এ সময় আদালতে স্বরাষ্ট্র সচিব জাহাংগীর আলম বলেন, 'আমাকে নিয়ে মিথ্যাচার করা হচ্ছে। ৫ আগস্ট অফিস করিনি। ২৭ জুলাইয়ের ঘটনা ৫ আগস্ট দেখানো হচ্ছে।'

তিনি আরও বলেন, আমিও ১৬ বছর ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে কাজ করেছি। আমাকে ইউনাইটেড হাসপাতাল থেকে এক বছর আগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অথচ এতদিন মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। অসত্যের সীমা আছে। সেটা লঙ্ঘন হলে আল্লাহর কাছে দায়ী থাকবেন। 

এদিকে, আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য কাজী মনিরুল ইসলাম মনুকে যাত্রাবাড়ী থানার অপর দুইটি হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন একই বিচারক। 

জলিল/মেহেদী/

চুয়াডাঙ্গায় পৃথক দুটি হত্যা মামলায় ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড

প্রকাশ: ১৬ জুলাই ২০২৫, ০২:৫২ পিএম
আপডেট: ১৬ জুলাই ২০২৫, ০৪:৩৮ পিএম
চুয়াডাঙ্গায় পৃথক দুটি হত্যা মামলায় ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত তিন আসামি। ছবি: খবরের কাগজ

চুয়াডাঙ্গায় চাঞ্চল্যকর পৃথক দুটি হত্যা মামলায় তিন আসামির মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ডও দেওয়া হয়েছে।

বুধবার (১৬ জুলাই) দুপুরে আসামিদের উপস্থিতিতে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আকবর আলী শেখ এ রায় ঘোষণা করেন। 

আলমডাঙ্গা ও জীবননগর উপজেলার এ দুটি হত্যাকাণ্ড জমিজমাসংক্রান্ত বিরোধের জেরে ঘটে।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- আলমডাঙ্গার হারদী ইউনিয়নের বামানগর গ্রামের স্বাধীন আলী (৩৭)। তিনি জেহালা ইউনিয়নের ক্লিনিকপাড়ায় শ্বশুরবাড়িতে বসবাস করতেন। একই মামলার অপর আসামি আশিকুর রহমান আশিক ওরফে বাদশা (২৭)। তিনি চুয়াডাঙ্গা পৌর শহরের ফার্মপাড়ার বাসিন্দা।

অন্য মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হলেন- জীবননগর উপজেলার গঙ্গাদাশপুর গ্রামের জমির উদ্দিন (৪৮)।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০২২ সালের ৯ মে রাতে আলমডাঙ্গায় জমিজমাসংক্রান্ত পূর্ব বিরোধের জেরে কামাল হোসেনকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। তার স্ত্রী বাইরে বের হয়ে রাস্তায় রক্তাক্ত অবস্থায় স্বামীকে পড়ে থাকতে দেখেন। পরে পুলিশ এসে কামালকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ঘটনার দুই দিন পর ১১ মে কামালের স্ত্রী সেলিনা আক্তার বাদী হয়ে আলমডাঙ্গা থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। তদন্ত শেষে থানার পরিদর্শক (নিরস্ত্র) ইকরামুল হোসাইন ২০২২ সালের ৩১ জুলাই পাঁচজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

মামলার ১ নম্বর আসামি স্বাধীন আলী এবং ৬ নম্বর আসামি আশিকুর রহমান বাদশা আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। ১৭ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য শেষে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আদালত তাদের দুজনকে মৃত্যুদণ্ড এবং ১০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড দেন। মামলার অপর পাঁচ আসামিকে খালাস দেওয়া হয়।

অন্যদিকে, ২০২২ সালের ১৬ জুন দুপুরে জীবননগরে পূর্বশত্রুতার জেরে পূর্বপরিকল্পিতভাবে বাবলু রহমানকে কোদাল দিয়ে মাথায় আঘাত করে হত্যা করা হয়। ওই দিনই নিহতের স্ত্রী চায়না খাতুন বাদী হয়ে জীবননগর থানায় হত্যা মামলা করেন।

তদন্ত শেষে জীবননগর থানার উপপরিদর্শক ২০২২ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলায় একমাত্র অভিযুক্ত ছিলেন জমির উদ্দিন। ১৪ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত তাকে দোষী সাব্যস্ত করে মৃত্যুদণ্ড এবং ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেন।

চুয়াডাঙ্গা জেলা জজ কোর্টের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট মারুফ সারোয়ার বাবু জানান, এ রায়ে রাষ্ট্রপক্ষ সন্তোষ প্রকাশ করেছে। চাঞ্চল্যকর দুটি হত্যা মামলায় তিন আসামির মৃত্যুদণ্ডাদেশের মাধ্যমে সমাজে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

মিজানুর/পপি/