ঢাকা ১ শ্রাবণ ১৪৩২, বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫
English

ধর্ষণ মামলায় গায়ক নোবেলের জামিন

প্রকাশ: ২৪ জুন ২০২৫, ০৪:৫০ পিএম
আপডেট: ২৪ জুন ২০২৫, ০৫:৩২ পিএম
ধর্ষণ মামলায় গায়ক নোবেলের জামিন
ছবি: সংগৃহীত

ধর্ষণ মামলায় গায়ক নোবেলকে জামিন দেওয়া হয়েছে। 

মঙ্গলবার (২৪ জুন) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেরা মাহবুব এ জামিন মঞ্জুর করেন।

ইসলামী শরিয়াহ অনুযায়ী বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হওয়ায় এবং উভয় পক্ষের মধ্যে আপোষের কারণে তাকে জামিন দেওয়া হয়েছে বলে জানান নোবেলের আইনজীবী খলিলুর রহমান। 

তিনি জানান, বাদীর সঙ্গে যেহেতু বিয়ে হয়ে গেছে। সেহেতু তার কারামুক্তিতে আর কোনো বাধা নেই। পরবর্তীতে বাদীর অনুমতি সাপেক্ষে আমরা মামলা প্রত্যাহারের জন্য আদালতে আবেদন করব।

গত রবিবার (২২ জুন) নোবেলের পক্ষে জামিন আবেদন করা হয়। ওই দিন আদালত এ মামলার বাদী ও নোবেলের উপস্থিতিতে শুনানির জন্য মঙ্গলবার (২৪ জুন) দিন ধার্য করেন। 

শুনানির সময় নোবেলকে কারাগার থেকে হাজির করা হয়। অন্যদিকে বাদী আদালতে উপস্থিত হন।

আদালতে শুনানির সময় বাদী বলেন, জামিনে তার আপত্তি নেই। আসামি পক্ষ থেকে বলা হয় ইতিমধ্যে বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে তবে রেজিস্ট্রি হয়নি। জামিন পাওয়ার পর বিবাহ রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন হবে। 

এর আগে গত ১৯ জুন কারা কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে নোবেল ও প্রিয়ার বিয়ে হয়। আগের দিন গত ১৮ জুন তাদের কাবিনমূলে বিয়ের ব্যবস্থা করার জন্য কারা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন আদালত।

গত ১৯ মে নোবেলের বিরুদ্ধে ধর্ষণ, নির্যাতন ও পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা করেন ইডেন মহিলা কলেজের সাবেক শিক্ষার্থী ইসরাত জাহান প্রিয়া। মামলা দায়েরের পরই নোবেলকে ডেমরা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। 

আদালতে হাজির করার পর জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। এর পর থেকে কারাগারেই ছিলেন। 

মামলার বিবরণে বলা হয়, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভুক্তভোগী ইডেন কলেজের ছাত্রী প্রিয়ার সঙ্গে নোবেলের পরিচয় হয়। এরপর তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। গত বছরের ১২ নভেম্বর গায়ক নোবেল তার স্টুডিও দেখানোর কথা বলে ভুক্তভোগীকে ডেমরা থানাধীন তার বাসায় নিয়ে যায় আসামি নোবল। এর পর কয়েকজন আসামির সহায়তায় তাকে আটকে রাখে। তার মোবাইল নিয়ে নেয়। বাদী তার পরিবারের সঙ্গে কথা বলার জন্য আসামিকে মোবাইল ফোন ফেরত দেওয়ার জন্য বললে নোবেল ওই ছাত্রীর ২৬ হাজার টাকার রেডমি ১০ প্রো মোবাইল ফোন ভেঙে ফেলে।
এর পর আসামি নোবেল তার বসতঘরে আটক রেখে ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করে এবং ধর্ষণের ভিডিও তার মোবাইল ফোনে ধারণ করে। নোবেলের কথামতো বাসায় না থাকলে মোবাইল ফোনে ধারণকৃত ধর্ষণের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেবে বলে জানায়। তাই বাদী আসামির ভয়ে কাউকে কোনো কিছু বলার সাহস পাননি।

মামলায় আরও বলা হয়, এর পর আসামি নেশাগ্রস্ত অবস্থায় বিভিন্ন তারিখ ও সময়ে বাদীকে মারধর করতেন। আসামি তার সহযোগী অজ্ঞাতনামা আরও ২/৩ জনের সহায়তায় বাদীকে নির্যাতন করে একটি কক্ষে আটক করে রাখে।

ওই ঘটনার একটি ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বাদীর বাবা-মা তাকে চিনতে পারে। এর পর তারা জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ কল দিলে গত ১৯ মে রাত সাড়ে ৯টায় নোবেলকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং ভুক্তভোগী ছাত্রীকে উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় ডেমরা থানায় অপহরণপূর্বক ধর্ষণের অভিযোগে নোবেলের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। 

জলিল/মেহেদী/

এবার দুর্নীতির মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হলো দীপু মনিকে

প্রকাশ: ১৬ জুলাই ২০২৫, ০৭:৪২ পিএম
এবার দুর্নীতির মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হলো দীপু মনিকে
ছবি: সংগৃহীত

সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী দীপু মনিকে এবার দুর্নীতির মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দেওয়া হয়েছে।

বুধবার (১৬ জুলাই) ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক মো. ইব্রাহিম মিয়া 
দুদকের আবেদন মঞ্জুর করে এই‌ আদেশ দেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের সহকারী পরিচালক এস এম রাশেদুল হাসান দীপু মনিকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন।

জ্ঞাত আয়-বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে করা এ মামলায় গত ২১ মে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন দাখিল করার পর আসামির উপস্থিতিতে শুনানির জন্য বুধবার ধার্য করা হয়।

এ আবেদন শুনানির জন্য দীপু মনিকে আদালতে হাজির করা হয়। শুনানি শেষে তাকে কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। 

দুদকের প্রসিকিউটর মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর এ তথ্য জানান।

চলতি বছরের ১১ ফেব্রুয়ারি ৫ কোটি ৯২ লাখ ২ হাজার ৫৩০ টাকার জ্ঞাত আয়-বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও ২৮টি ব্যাংক হিসাবে ৫৯ কোটি ৭৯ লাখ ৯২ হাজার ৭৩১ টাকার অস্বাভাবিক লেনদেনের অভিযোগে দীপু মনির বিরুদ্ধে মামলাটি করেন সংস্থার কর্মকর্তা রাশেদুল হাসান।

একইদিন তার স্বামী তৌফীক নাওয়াজের বিরুদ্ধেও মামলা করে দুদক। এ মামলায় দীপু মনিকেও আসামি করা হয়।

স্ত্রীর ক্ষমতার অপব্যবহার করে ঘুষ–দুর্নীতির মাধ্যমে ১ কোটি ৯৬ লাখ ৩৯ হাজার ২০৫ টাকার জ্ঞাত আয়-বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয় তৌফীকের বিরুদ্ধে।  

বাংলাদেশের প্রথম নারী পররাষ্ট্র ও শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি ২০০৮ সাল থেকে চাঁদপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের পর  তাকে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের  দায়িত্ব দেওয়া হয়। 

গত বছরের ৫ আগস্ট ক্ষমতার পট পরিবর্তনের পর তার বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। 

এর ধারাবাহিকতায় দীপু মনি, তার স্বামী তৌফীক ও বড় ভাই জে আর ওয়াদুদ টিপুর ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হয়েছে। পাশাপাশি তাদের মালিকানাধীন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাবের লেনদেনও স্থগিত করা হয়েছে।

উল্লেখ্য জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর দীপু মনি আত্মগোপনে ছিলেন। গত বছরের ১৯ আগস্ট তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

এরপর থেকে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হত্যা ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় হওয়া একাধিক মামলায় দীপু মনিকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। 

এম এ জলিল উজ্জ্বল/সুমন/

ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যা মামলায় তিন আসামি ৭ দিনের রিমান্ডে

প্রকাশ: ১৬ জুলাই ২০২৫, ০৫:৫৭ পিএম
ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যা মামলায় তিন আসামি ৭ দিনের রিমান্ডে
ছবি: সংগৃহীত

পুরান ঢাকার মিটফোর্ডে ভাঙারি ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে মো. সোহাগ হত্যা মামলায় তিন আসামির ৭ দিন করে রিমান্ডে নেওয়ার আদেশ দেওয়া হয়েছে। 

বুধবার (১৬ জুলাই) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুজ্জামান শুনানি শেষে এ  আদেশ দেন।

রিমান্ডে পাঠানো আসামিরা হলেন-নান্নু কাজী, রেজওয়ান উদ্দিন ওরফে অভিজিৎ বসু ও তারেক রহমান রবিন। এদের মধ্যে রবিনকে দ্বিতীয় দফায় রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। 

এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক মনিরুজ্জামান তাদের আদালতে হাজির করে ১০ দিন করে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন।

আদালতে আসামিদের পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিল না।

সংশ্লিষ্ট থানার প্রসিকিউশন বিভাগের কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক তানভীর মোর্শেদ চৌধুরী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। 

আসামিদের মধ্যে নান্নু কাজীকে মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) নারায়ণগঞ্জের বালিয়াগ্রাম এলাকা থেকে এবং রেজওয়ান উদ্দিন অভিকে ওইদিন রাতে পটুয়াখালী থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।  

এর আগে ১০ জুলাই মাহমুদুল হাসান মহিনকে হত্যা মামলায় ও তারেক রহমান রবিনকে অস্ত্র মামলায় রিমান্ডে পাঠানো হয়।

অস্ত্র মামলায় দুই দিন রিমান্ড শেষে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয় রবিন। 

এছাড়া গত শনিবার (১২ জুলাই) পাঁচ দিন রিমান্ডে পাঠানো হয় টিটন গাজীকে। পরদিন রবিবার (১৩ জুলাই) মো. আলমগীর ও মনির ওরফে লম্বা মনিরের চার দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়। এর পরদিন সোমবার (১৪ জুলাই) দুই ভাই সজীব বেপারী ও রাজীব বেপারীকে পাঁচ দিন রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়।

মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) মহিনকে দ্বিতীয় দফায় পাঁচ দিন রিমান্ডে পাঠানো হয়।

গত ৯ জুলাই স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের গেটের কাছে ৩৯ বছর বয়সী ভাঙারি ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে সোহাগকে কুপিয়ে, পিটিয়ে ও পাথর দিয়ে থেঁতলে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। 

এ ঘটনায় ১৯ জনকে আসামি করে কোতোয়ালি থানায় হত্যা মামলা করেন নিহতের বড় বোন। এছাড়া পুলিশ বাদী হয়ে অস্ত্র মামলা দায়ের করে।

নিহত সোহাগ কেরানীগঞ্জ মডেল থানাধীন পূর্ব নামাবাড়ি এলাকায় বসবাস করতেন। দীর্ঘদিন ধরে ভাঙারির ব্যবসা করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। 

এখন পর্যন্ত এ ঘটনায় ৯ জনকে গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে নেওয়া হলো। 

এম এ জলিল উজ্জ্বল/মাহফুজ

গলায় ব্লেড চালিয়ে কাঠগড়ায় আত্মহত্যার চেষ্টা আসামির

প্রকাশ: ১৬ জুলাই ২০২৫, ০৫:৩৩ পিএম
গলায় ব্লেড চালিয়ে কাঠগড়ায় আত্মহত্যার চেষ্টা আসামির
ছবি: সংগৃহীত

সবার চোখ ফাঁকি দিয়ে নিজের গলায় ব্লেড চালিয়ে আদালতের এজলাসেই আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন এক আসামি। 

বুধবার (১৬ জুলাই) দুপুর ২টার দিকে ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩-এ এ ঘটনা ঘটে।

২১ বছর বয়সী বাদল হোসেন মুন্না নামের ওই আসামি শেভ করা রেজারের ব্লেড দিয়ে শ্বাসনালী কেটে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। 

আহত অবস্থায় দ্রুত তাকে আদালত-সংলগ্ন ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় বলে জানান ওই ট্রাইব্যুনালে দায়িত্বরত পুলিশ কনস্টেবল সাইফুর রহমান।‌

তিনি বলেন, ‘আসামি কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে ছিল। তাকে অসুস্থ দেখাচ্ছিল বিধায় তার নাম জানতে চাই যেন তাড়াতাড়ি হাজতখানায় নিয়ে যেতে পারি। কিন্তু সে নাম বলে না। একপর্যায়ে আমাদের সামনে থেকে কিছুটা দূরে সরে যায়। পরে দেখি তার গলা দিয়ে রক্ত পড়ছে। সে পড়ে যাচ্ছিল। দ্রুত গিয়ে তাকে ধরে ফেলি। নিচে শেভ করা রেজারের ব্লেড দেখতে পাই। পর তাকে দ্রুত পার্শ্ববর্তী ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।’ 

সংশ্লিষ্ট ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন পক্ষের আইনজীবী মো. সাজ্জাদ হোসেন সবুজ বলেন, ‘১৪ বছরের এক কিশোরীকে অপহরণের পর ধর্ষণ করার অভিযোগে ২০২২ সালের জুনে কদমতলী থানায় মামলা করে ভুক্তভোগীর বাবা।’ 

তিনি জানান, মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ আগেই শেষ হয়েছে। আসামিপক্ষ ভুক্তভোগীকে পুনরায় জেরা করার আবেদন করে। এর প্রেক্ষিতে বুধবার ভুক্তভোগীকে ফের জেরা করা হয়। 

ভুক্তভোগী জেরায় বলেছেন, তার সঙ্গে আসামির কোনো সম্পর্ক ছিল না। এ কারণে আবেগতাড়িত হয়ে হয়তো সে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে।

হাসপাতালে খোঁজ নিতে গেলে জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত সালাউদ্দিন জানান, তার শ্বাসনালী কেটে গেছে। প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে সরকারি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। যেহেতু এটা একটা পুলিশ কেইস।

মুন্নার বাবা আব্দুল আলী বলেন, ‘কয়েক মাস ধরে আমার ছেলে জেলে। আজ জামিন শুনানি ছিল। সে কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে ব্লেড দিয়ে গলায় পোচ দিয়েছে।’

উজ্জ্বল/সালমান/

সাবেক স্বরাষ্ট্র সচিব জাহাংগীর আলমের ৮ দিনের রিমান্ড

প্রকাশ: ১৬ জুলাই ২০২৫, ০৩:৩৬ পিএম
সাবেক স্বরাষ্ট্র সচিব জাহাংগীর আলমের ৮ দিনের রিমান্ড
সাবেক স্বরাষ্ট্র সচিব জাহাংগীর আলম

সাবেক স্বরাষ্ট্র সচিব জাহাংগীর আলমের আট দিনের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত। এর মধ্যে মো. রাসেল বাউল হত্যা মামলায় ৫ দিন ও লিটন উদ্দিন হত্যা মামলায় ৩ দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দেওয়া হয়েছে।

বুধবার (১৬ জুলাই) শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জি এম ফারহান ইশতিয়াক দুই মামলায় তার আট দিন রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এর আগে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে  বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট, হেলমেট ও হাতকড়া পরানো অবস্থায় পুলিশ প্রহরায় তাকে আদালতের এজলাসে তোলা হয়।

আদালতে দুই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পুলিশ পরিদর্শক মোহাম্মদ শাহানুজ্জামান ও সারোয়ার জাহান পৃথকভাবে ৫ দিন করে মোট ১০ দিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন। 

তদন্ত কর্মকর্তাদের করা রিমান্ড  আবেদন বাতিল করে জামিন চান তার আইনজীবী ফারজানা ইয়াসমিন রাখি।

এ সময় আদালতে স্বরাষ্ট্র সচিব জাহাংগীর আলম বলেন, 'আমাকে নিয়ে মিথ্যাচার করা হচ্ছে। ৫ আগস্ট অফিস করিনি। ২৭ জুলাইয়ের ঘটনা ৫ আগস্ট দেখানো হচ্ছে।'

তিনি আরও বলেন, আমিও ১৬ বছর ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে কাজ করেছি। আমাকে ইউনাইটেড হাসপাতাল থেকে এক বছর আগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অথচ এতদিন মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। অসত্যের সীমা আছে। সেটা লঙ্ঘন হলে আল্লাহর কাছে দায়ী থাকবেন। 

এদিকে, আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য কাজী মনিরুল ইসলাম মনুকে যাত্রাবাড়ী থানার অপর দুইটি হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন একই বিচারক। 

জলিল/মেহেদী/

চুয়াডাঙ্গায় পৃথক দুটি হত্যা মামলায় ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড

প্রকাশ: ১৬ জুলাই ২০২৫, ০২:৫২ পিএম
আপডেট: ১৬ জুলাই ২০২৫, ০৪:৩৮ পিএম
চুয়াডাঙ্গায় পৃথক দুটি হত্যা মামলায় ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত তিন আসামি। ছবি: খবরের কাগজ

চুয়াডাঙ্গায় চাঞ্চল্যকর পৃথক দুটি হত্যা মামলায় তিন আসামির মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ডও দেওয়া হয়েছে।

বুধবার (১৬ জুলাই) দুপুরে আসামিদের উপস্থিতিতে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আকবর আলী শেখ এ রায় ঘোষণা করেন। 

আলমডাঙ্গা ও জীবননগর উপজেলার এ দুটি হত্যাকাণ্ড জমিজমাসংক্রান্ত বিরোধের জেরে ঘটে।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- আলমডাঙ্গার হারদী ইউনিয়নের বামানগর গ্রামের স্বাধীন আলী (৩৭)। তিনি জেহালা ইউনিয়নের ক্লিনিকপাড়ায় শ্বশুরবাড়িতে বসবাস করতেন। একই মামলার অপর আসামি আশিকুর রহমান আশিক ওরফে বাদশা (২৭)। তিনি চুয়াডাঙ্গা পৌর শহরের ফার্মপাড়ার বাসিন্দা।

অন্য মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হলেন- জীবননগর উপজেলার গঙ্গাদাশপুর গ্রামের জমির উদ্দিন (৪৮)।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০২২ সালের ৯ মে রাতে আলমডাঙ্গায় জমিজমাসংক্রান্ত পূর্ব বিরোধের জেরে কামাল হোসেনকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। তার স্ত্রী বাইরে বের হয়ে রাস্তায় রক্তাক্ত অবস্থায় স্বামীকে পড়ে থাকতে দেখেন। পরে পুলিশ এসে কামালকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ঘটনার দুই দিন পর ১১ মে কামালের স্ত্রী সেলিনা আক্তার বাদী হয়ে আলমডাঙ্গা থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। তদন্ত শেষে থানার পরিদর্শক (নিরস্ত্র) ইকরামুল হোসাইন ২০২২ সালের ৩১ জুলাই পাঁচজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

মামলার ১ নম্বর আসামি স্বাধীন আলী এবং ৬ নম্বর আসামি আশিকুর রহমান বাদশা আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। ১৭ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য শেষে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আদালত তাদের দুজনকে মৃত্যুদণ্ড এবং ১০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড দেন। মামলার অপর পাঁচ আসামিকে খালাস দেওয়া হয়।

অন্যদিকে, ২০২২ সালের ১৬ জুন দুপুরে জীবননগরে পূর্বশত্রুতার জেরে পূর্বপরিকল্পিতভাবে বাবলু রহমানকে কোদাল দিয়ে মাথায় আঘাত করে হত্যা করা হয়। ওই দিনই নিহতের স্ত্রী চায়না খাতুন বাদী হয়ে জীবননগর থানায় হত্যা মামলা করেন।

তদন্ত শেষে জীবননগর থানার উপপরিদর্শক ২০২২ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলায় একমাত্র অভিযুক্ত ছিলেন জমির উদ্দিন। ১৪ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত তাকে দোষী সাব্যস্ত করে মৃত্যুদণ্ড এবং ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেন।

চুয়াডাঙ্গা জেলা জজ কোর্টের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট মারুফ সারোয়ার বাবু জানান, এ রায়ে রাষ্ট্রপক্ষ সন্তোষ প্রকাশ করেছে। চাঞ্চল্যকর দুটি হত্যা মামলায় তিন আসামির মৃত্যুদণ্ডাদেশের মাধ্যমে সমাজে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

মিজানুর/পপি/