ঢাকা ১ শ্রাবণ ১৪৩২, বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫
English

চাঁদপুরে মাদ্রাসাছাত্র হত্যা মামলায় ২ জনের মৃত্যুদণ্ড, একজনের যাবজ্জীবন

প্রকাশ: ২৪ জুন ২০২৫, ০৫:০৮ পিএম
আপডেট: ২৪ জুন ২০২৫, ০৫:০৮ পিএম
চাঁদপুরে মাদ্রাসাছাত্র হত্যা মামলায় ২ জনের মৃত্যুদণ্ড, একজনের যাবজ্জীবন
ছবি: খবরের কাগজ

চাঁদপুরের কচুয়ায় সম্পত্তি নিয়ে বিরোধের জেরে মাদ্রাসাছাত্র মো. মিলন হোসেনকে (১২) শ্বাসরোধ ও পানিতে ডুবিয়ে হত্যার দায়ে দুইজনের মৃত্যুদণ্ড এবং একজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। 

মঙ্গলবার (২৪ জুন) দুপুরে চাঁদপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ (২)-এর বিচারক সৈয়দ তাফাজ্জল হোসেন হিরু এই রায় দেন।

মাদ্রাসাছাত্র মিলন হোসেন কচুয়া কান্দিরপাড় গ্রামের প্রধানিয়া বাড়ির মো. তাজুল ইসলামের ছেলে। মিলন স্থানীয় চাপাতলী মাদ্রাসার ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র ছিল।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি শামিম হোসেন (২৮) কান্দিরপাড় প্রধানিয়া বাড়ির মো. ইমাম হোসেন ও সোহাগ হোসেন (২৮) পাড়াগাঁও গ্রামের নুর উদ্দিনের ছেলে। যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি রাব্বি হোসেন কান্দিরপাড় গ্রামের ফরাজি বাড়ির আবুল বাসারের ছেলে।

এ ছাড়া রায়ে শামিম ও সোহাগকে ১ লাখ টাকা করে জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও ১ বছর সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। অপর আসামি রাব্বিকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও ১ বছর সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

মামলার বিবরণে জানা গেছে, মাদ্রাসাছাত্র মিলনের বাবা তাজুল ইসলামের সঙ্গে আসামিদের স্বজনদের সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ ছিল। ওই বিরোধের কারণে ঘটনার দিন ২০১৫ সালের ২৯ জুন দুপুর ১টার দিকে মিলন বাড়ি থেকে পাশের রহিমানগর বাজারে যায়। বাজার থেকে বাড়িতে না ফেরায় পরদিন ৩০ জুন কচুয়া থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে তার ভাই মো. রিপন হোসেন (২৫)। এরপর ২ জুলাই স্থানীয়দের মাধ্যমে মিলনের পরিবার জানতে পারে সম্পত্তি নিয়ে বিরোধের জেরে আসামি শামিম, সোহাগ ও রাব্বি মিলনকে হত্যার উদ্দেশে কান্দিরপাড় এলাকার ইব্রাহিম খলিল নামে একজনের জমিতে নিয়ে পানিতে ডুবিয়ে এবং শ্বাসরোধ করে হত্যা করে।

বাদী রিপন হোসেন জানান, আসামিদের নাম পরিচয় জানার পর প্রথমে স্থানীয় লোকজন শামিমকে আটক করে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদে বাকি দুই আসামি সোহাগ ও রাব্বির নাম পাওয়া যায়। এরপর তাদের স্থানীয়দের সহায়তায় আটক করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ২ জুলাই ঘটনাস্থল থেকে মিলনের মরদেহ উদ্ধার ও আসামিদের থানা হেফাজতে নেয়।

এই ঘটনায় ওই দিনই মিলনের বড় ভাই রিপন হোসেন বাদী হয়ে কচুয়া থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তৎকালীন কচুয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. ওয়াজেদ আলী ২০১৬ সালের ৮ জানুয়ারি আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, মামলাটি দীর্ঘ ১০ বছর চলাকালীন ২২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন আদালত। আসামিদের অপরাধ স্বীকার ও মামলার নথিপত্র পর্যালোচনা শেষে বিচারক তাদের উপস্থিতিতে এই রায় দেন।

আসামিপক্ষে আইনজীবী ছিলেন নুরুল হক কমল।

সালমান/

মুন্নি সাহা দম্পতির ৩১ ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ

প্রকাশ: ১৬ জুলাই ২০২৫, ০৮:২৯ পিএম
মুন্নি সাহা দম্পতির ৩১ ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ
সাংবাদিক মুন্নি সাহা। ছবি: সংগৃহীত

সাংবাদিক মুন্নি সাহা ও তার স্বামী কবির হোসেনের ৩১টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ (ফ্রিজ) করার আদেশ দেওয়া হয়েছে। 

তাদের ৩১ টি ব্যাংক হিসাবের কয়েকটিতে এটিএন নিউজের ক্যামেরাম্যান তপন কুমার সাহা ও তার মা আপেল রানী সাহার সঙ্গে মুন্নী সাহার যৌথ মালিকানার হিসাব রয়েছে।‌ হিসাবগুলোতে  ১৮ কোটি ১৬ লাখ টাকা রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

বুধবার (১৬ জুলাই) ঢাকার  মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিব দুদকের আবেদন মঞ্জুর করে ওই আদেশ দেন। 

দুদকের উপপরিচালক ইয়াছির আরাফাত ওই ব্যাংক হিসাবগুলো অবরুদ্ধ করার আবেদন করেন। 

আবেদনে বলা হয়, সাংবাদিক মুন্নী সাহা ও তার স্বামী এম এস প্রমোশনালের স্বত্বাধিকারী কবির হোসেনের বিরুদ্ধে ব্যাংক হিসাবে অবৈধ উপায়ে অর্থ উপার্জন এবং জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদকের অনুসন্ধান চলমান।

অনুসন্ধানের তথ্য অনুযায়ী, অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নামে অসংখ্য ব্যাংক হিসাব ও তাতে অনেক সন্দেহজনক লেনদেন পাওয়া গেছে।  হিসাবগুলোর স্থিতির পরিমাণ ১৮ দশমিক ১৬ কোটি টাকা। 

তারা এসব অর্থ উত্তোলন করে বিদেশে পাচারের চেষ্টা করছেন। যেসব অস্থাবর সম্পদের তথ্য পাওয়া গেছে, তা মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২ এর ১০ ও ১৪ ধারা ও দুর্নীতি দমন কমিশন বিধিমালা ২০০৭এর ১৮ ধারার বিধান মতে অবরুদ্ধ করা  আবশ্যক।

এম এ জলিল উজ্জ্বল/সুমন/

এবার দুর্নীতির মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হলো দীপু মনিকে

প্রকাশ: ১৬ জুলাই ২০২৫, ০৭:৪২ পিএম
এবার দুর্নীতির মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হলো দীপু মনিকে
ছবি: সংগৃহীত

সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী দীপু মনিকে এবার দুর্নীতির মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দেওয়া হয়েছে।

বুধবার (১৬ জুলাই) ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক মো. ইব্রাহিম মিয়া 
দুদকের আবেদন মঞ্জুর করে এই‌ আদেশ দেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের সহকারী পরিচালক এস এম রাশেদুল হাসান দীপু মনিকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন।

জ্ঞাত আয়-বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে করা এ মামলায় গত ২১ মে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন দাখিল করার পর আসামির উপস্থিতিতে শুনানির জন্য বুধবার ধার্য করা হয়।

এ আবেদন শুনানির জন্য দীপু মনিকে আদালতে হাজির করা হয়। শুনানি শেষে তাকে কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। 

দুদকের প্রসিকিউটর মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর এ তথ্য জানান।

চলতি বছরের ১১ ফেব্রুয়ারি ৫ কোটি ৯২ লাখ ২ হাজার ৫৩০ টাকার জ্ঞাত আয়-বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও ২৮টি ব্যাংক হিসাবে ৫৯ কোটি ৭৯ লাখ ৯২ হাজার ৭৩১ টাকার অস্বাভাবিক লেনদেনের অভিযোগে দীপু মনির বিরুদ্ধে মামলাটি করেন সংস্থার কর্মকর্তা রাশেদুল হাসান।

একইদিন তার স্বামী তৌফীক নাওয়াজের বিরুদ্ধেও মামলা করে দুদক। এ মামলায় দীপু মনিকেও আসামি করা হয়।

স্ত্রীর ক্ষমতার অপব্যবহার করে ঘুষ–দুর্নীতির মাধ্যমে ১ কোটি ৯৬ লাখ ৩৯ হাজার ২০৫ টাকার জ্ঞাত আয়-বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয় তৌফীকের বিরুদ্ধে।  

বাংলাদেশের প্রথম নারী পররাষ্ট্র ও শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি ২০০৮ সাল থেকে চাঁদপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের পর  তাকে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের  দায়িত্ব দেওয়া হয়। 

গত বছরের ৫ আগস্ট ক্ষমতার পট পরিবর্তনের পর তার বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। 

এর ধারাবাহিকতায় দীপু মনি, তার স্বামী তৌফীক ও বড় ভাই জে আর ওয়াদুদ টিপুর ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হয়েছে। পাশাপাশি তাদের মালিকানাধীন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাবের লেনদেনও স্থগিত করা হয়েছে।

উল্লেখ্য জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর দীপু মনি আত্মগোপনে ছিলেন। গত বছরের ১৯ আগস্ট তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

এরপর থেকে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হত্যা ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় হওয়া একাধিক মামলায় দীপু মনিকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। 

এম এ জলিল উজ্জ্বল/সুমন/

ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যা মামলায় তিন আসামি ৭ দিনের রিমান্ডে

প্রকাশ: ১৬ জুলাই ২০২৫, ০৫:৫৭ পিএম
ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যা মামলায় তিন আসামি ৭ দিনের রিমান্ডে
ছবি: সংগৃহীত

পুরান ঢাকার মিটফোর্ডে ভাঙারি ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে মো. সোহাগ হত্যা মামলায় তিন আসামির ৭ দিন করে রিমান্ডে নেওয়ার আদেশ দেওয়া হয়েছে। 

বুধবার (১৬ জুলাই) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুজ্জামান শুনানি শেষে এ  আদেশ দেন।

রিমান্ডে পাঠানো আসামিরা হলেন-নান্নু কাজী, রেজওয়ান উদ্দিন ওরফে অভিজিৎ বসু ও তারেক রহমান রবিন। এদের মধ্যে রবিনকে দ্বিতীয় দফায় রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। 

এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক মনিরুজ্জামান তাদের আদালতে হাজির করে ১০ দিন করে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন।

আদালতে আসামিদের পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিল না।

সংশ্লিষ্ট থানার প্রসিকিউশন বিভাগের কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক তানভীর মোর্শেদ চৌধুরী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। 

আসামিদের মধ্যে নান্নু কাজীকে মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) নারায়ণগঞ্জের বালিয়াগ্রাম এলাকা থেকে এবং রেজওয়ান উদ্দিন অভিকে ওইদিন রাতে পটুয়াখালী থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।  

এর আগে ১০ জুলাই মাহমুদুল হাসান মহিনকে হত্যা মামলায় ও তারেক রহমান রবিনকে অস্ত্র মামলায় রিমান্ডে পাঠানো হয়।

অস্ত্র মামলায় দুই দিন রিমান্ড শেষে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয় রবিন। 

এছাড়া গত শনিবার (১২ জুলাই) পাঁচ দিন রিমান্ডে পাঠানো হয় টিটন গাজীকে। পরদিন রবিবার (১৩ জুলাই) মো. আলমগীর ও মনির ওরফে লম্বা মনিরের চার দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়। এর পরদিন সোমবার (১৪ জুলাই) দুই ভাই সজীব বেপারী ও রাজীব বেপারীকে পাঁচ দিন রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়।

মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) মহিনকে দ্বিতীয় দফায় পাঁচ দিন রিমান্ডে পাঠানো হয়।

গত ৯ জুলাই স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের গেটের কাছে ৩৯ বছর বয়সী ভাঙারি ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে সোহাগকে কুপিয়ে, পিটিয়ে ও পাথর দিয়ে থেঁতলে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। 

এ ঘটনায় ১৯ জনকে আসামি করে কোতোয়ালি থানায় হত্যা মামলা করেন নিহতের বড় বোন। এছাড়া পুলিশ বাদী হয়ে অস্ত্র মামলা দায়ের করে।

নিহত সোহাগ কেরানীগঞ্জ মডেল থানাধীন পূর্ব নামাবাড়ি এলাকায় বসবাস করতেন। দীর্ঘদিন ধরে ভাঙারির ব্যবসা করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। 

এখন পর্যন্ত এ ঘটনায় ৯ জনকে গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে নেওয়া হলো। 

এম এ জলিল উজ্জ্বল/মাহফুজ

গলায় ব্লেড চালিয়ে কাঠগড়ায় আত্মহত্যার চেষ্টা আসামির

প্রকাশ: ১৬ জুলাই ২০২৫, ০৫:৩৩ পিএম
গলায় ব্লেড চালিয়ে কাঠগড়ায় আত্মহত্যার চেষ্টা আসামির
ছবি: সংগৃহীত

সবার চোখ ফাঁকি দিয়ে নিজের গলায় ব্লেড চালিয়ে আদালতের এজলাসেই আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন এক আসামি। 

বুধবার (১৬ জুলাই) দুপুর ২টার দিকে ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩-এ এ ঘটনা ঘটে।

২১ বছর বয়সী বাদল হোসেন মুন্না নামের ওই আসামি শেভ করা রেজারের ব্লেড দিয়ে শ্বাসনালী কেটে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। 

আহত অবস্থায় দ্রুত তাকে আদালত-সংলগ্ন ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় বলে জানান ওই ট্রাইব্যুনালে দায়িত্বরত পুলিশ কনস্টেবল সাইফুর রহমান।‌

তিনি বলেন, ‘আসামি কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে ছিল। তাকে অসুস্থ দেখাচ্ছিল বিধায় তার নাম জানতে চাই যেন তাড়াতাড়ি হাজতখানায় নিয়ে যেতে পারি। কিন্তু সে নাম বলে না। একপর্যায়ে আমাদের সামনে থেকে কিছুটা দূরে সরে যায়। পরে দেখি তার গলা দিয়ে রক্ত পড়ছে। সে পড়ে যাচ্ছিল। দ্রুত গিয়ে তাকে ধরে ফেলি। নিচে শেভ করা রেজারের ব্লেড দেখতে পাই। পর তাকে দ্রুত পার্শ্ববর্তী ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।’ 

সংশ্লিষ্ট ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন পক্ষের আইনজীবী মো. সাজ্জাদ হোসেন সবুজ বলেন, ‘১৪ বছরের এক কিশোরীকে অপহরণের পর ধর্ষণ করার অভিযোগে ২০২২ সালের জুনে কদমতলী থানায় মামলা করে ভুক্তভোগীর বাবা।’ 

তিনি জানান, মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ আগেই শেষ হয়েছে। আসামিপক্ষ ভুক্তভোগীকে পুনরায় জেরা করার আবেদন করে। এর প্রেক্ষিতে বুধবার ভুক্তভোগীকে ফের জেরা করা হয়। 

ভুক্তভোগী জেরায় বলেছেন, তার সঙ্গে আসামির কোনো সম্পর্ক ছিল না। এ কারণে আবেগতাড়িত হয়ে হয়তো সে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে।

হাসপাতালে খোঁজ নিতে গেলে জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত সালাউদ্দিন জানান, তার শ্বাসনালী কেটে গেছে। প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে সরকারি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। যেহেতু এটা একটা পুলিশ কেইস।

মুন্নার বাবা আব্দুল আলী বলেন, ‘কয়েক মাস ধরে আমার ছেলে জেলে। আজ জামিন শুনানি ছিল। সে কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে ব্লেড দিয়ে গলায় পোচ দিয়েছে।’

উজ্জ্বল/সালমান/

সাবেক স্বরাষ্ট্র সচিব জাহাংগীর আলমের ৮ দিনের রিমান্ড

প্রকাশ: ১৬ জুলাই ২০২৫, ০৩:৩৬ পিএম
সাবেক স্বরাষ্ট্র সচিব জাহাংগীর আলমের ৮ দিনের রিমান্ড
সাবেক স্বরাষ্ট্র সচিব জাহাংগীর আলম

সাবেক স্বরাষ্ট্র সচিব জাহাংগীর আলমের আট দিনের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত। এর মধ্যে মো. রাসেল বাউল হত্যা মামলায় ৫ দিন ও লিটন উদ্দিন হত্যা মামলায় ৩ দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দেওয়া হয়েছে।

বুধবার (১৬ জুলাই) শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জি এম ফারহান ইশতিয়াক দুই মামলায় তার আট দিন রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এর আগে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে  বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট, হেলমেট ও হাতকড়া পরানো অবস্থায় পুলিশ প্রহরায় তাকে আদালতের এজলাসে তোলা হয়।

আদালতে দুই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পুলিশ পরিদর্শক মোহাম্মদ শাহানুজ্জামান ও সারোয়ার জাহান পৃথকভাবে ৫ দিন করে মোট ১০ দিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন। 

তদন্ত কর্মকর্তাদের করা রিমান্ড  আবেদন বাতিল করে জামিন চান তার আইনজীবী ফারজানা ইয়াসমিন রাখি।

এ সময় আদালতে স্বরাষ্ট্র সচিব জাহাংগীর আলম বলেন, 'আমাকে নিয়ে মিথ্যাচার করা হচ্ছে। ৫ আগস্ট অফিস করিনি। ২৭ জুলাইয়ের ঘটনা ৫ আগস্ট দেখানো হচ্ছে।'

তিনি আরও বলেন, আমিও ১৬ বছর ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে কাজ করেছি। আমাকে ইউনাইটেড হাসপাতাল থেকে এক বছর আগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অথচ এতদিন মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। অসত্যের সীমা আছে। সেটা লঙ্ঘন হলে আল্লাহর কাছে দায়ী থাকবেন। 

এদিকে, আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য কাজী মনিরুল ইসলাম মনুকে যাত্রাবাড়ী থানার অপর দুইটি হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন একই বিচারক। 

জলিল/মেহেদী/