
ঝিনাইদহে চাঞ্চল্যকর জসিম হত্যা মামলায় স্ত্রী রিতা খাতুন ও তার পরকীয়া প্রেমিক আব্দুল মালেককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (৩ জুন) দুপুরে ঝিনাইদহের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ-২ আদালতের বিচারক উৎপল ভট্টাচার্য্য এ রায় ঘোষণা করেন।
আদালতের বেঞ্চ সহকারী মামুনুর রশিদ খবরের কাগজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
জেলার হরিণাকুন্ডু উপজেলার ভালকী গ্রামে পরকীয়ার জেরে জসিমকে হত্যা করে স্ত্রী রিতা খাতুন ও তার পরকীয়া প্রেমিক আব্দুল মালেক।
রিতা খাতুন হরিণাকুন্ডু উপজেলার কেষ্টপুর গ্রামের এবং মালেক একই উপজেলার কাপাশহাটিয়া ইউনিয়নের ভালকী গ্রামের বাসিন্দা।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০২২ সালের ১৭ নভেম্বর রিতা ও তার পরকীয়া প্রেমিক মালেক কৌশলে বাড়ির পাশে ডেকে নিয়ে চেতনানাশক ওষুধ খাইয়ে জসীম উদ্দীনকে হত্যা করেন।
পরে এ ঘটনায় নিহতের ভাই আব্দুর রশিদ বাদী হয়ে হরিণাকুন্ডু থানায় একটি হত্যা মামলায় করেন। দীর্ঘ তদন্ত শেষে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) অনিশ মন্ডল আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। ২০ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে আদালত এ রায় দেন।
রায়ে অভিযুক্ত রিতা খাতুন ও আব্দুল মালেককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে তিন মাসের কারাদণ্ড দেন আদালত।
বাদীপক্ষে অ্যাডভোকেট রবিউল ইসলাম, অ্যাডভোকেট নেকবার আলী ও অ্যাডভোকেট রিমা ইয়াসমিন এবং আসামি পক্ষে অ্যাডভোকেট আনোয়ার হোসেন ও অ্যাডভোকেট গৌতম কুমার মামলাটি পরিচালনা করেন।
রায় ঘোষণার পর প্রতিক্রিয়া জানিয়ে মামলার বাদী আব্দুর রশিদ বলেন, আসামিদের ফাঁসি হলে আরো খুশি হতাম।
তিনি বলেন, দণ্ডিত আসামি রিতা ও মালেক পরিকল্পিতভাবে তার ভাই জসিমকে হত্যা করেছে, যা আমরা আদালতে প্রমাণ করতে পেরেছি।
মাহফুজুর/রিফাত/