ঢাকা ২১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, বুধবার, ০৪ জুন ২০২৫
English

দামি পানির গোপন রহস্য

প্রকাশ: ২৫ মে ২০২৪, ০১:২৬ পিএম
দামি পানির গোপন রহস্য
সব ধরনের পানি সবার ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে নেই। পানিতে মিনারেলস যেন যথাযথ থাকে, খাওয়ার আগে এটুকু দেখে নিলেই যথেষ্ট । (সংগৃহীত)


মানুষ কিংবা অন্য কোনো প্রাণী পানি ছাড়া বেঁচে থাকতে পারে না। তাই পানির অপর নাম জীবন। সব ধরনের প্রাণের বেঁচে থাকার জন্য পানি অপরিহার্য। পৃথিবীতে ৭০ দশমিক ৯ শতাংশ অংশ জুড়ে পানির অস্তিত্ব রয়েছে। দেশে এক লিটার পানি কিনতে খরচ হয় ২৫ থেকে ৪০ টাকা। শুনলে অবাক হবেন বিশ্বের এমন পানিও আছে, যার এক বোতলের দাম লাখ লাখ টাকা!

প্রকৃতির দান পানির কেন এত দাম হবে, তা নিয়ে কৌতূহলের শেষ নেই সাধারণ মানুষের। এমন কী আছে হাইড্রোজেন আর অক্সিজেনের এই মিশেলে, যার জন্য আকাশছোঁয়া দাম? এই বিলাসী পানি কখনো হয়তো সংগ্রহ করা হয়েছে হাওয়াই দ্বীপের ভলকানিক পাথর থেকে, কোনো ক্ষেত্রে তা সংগৃহীত নরওয়ের কোনো গলিত হিমবাহ থেকে বা তাসমানিয়ায় ঘাসে জমা শিশিরবিন্দু থেকে। এ ধরনের পানিকে বলা হয় ‘পিয়োরেস্ট অব পিয়োর’। তবে এসব দামি পানির বিশেষ গুণও রয়েছে। তাই তার এত কদর। প্রকৃতির দান পানির কেন এত দাম হবে, তা নিয়ে কৌতূহলের শেষ নেই সাধারণ মানুষের। জেনে নিন বিশ্বের সবচেয়ে দামি পানির রহস্য ও উপকারিতা কী কী রয়েছে-

স্প্রিং ওয়াটার
স্প্রিং ওয়াটার। এ পানির নাম যেমন সুন্দর তেমনি এর দামও আকাশছোঁয়া। এই পানি সংগ্রহ করা হয় নদী বা ঝরনার উৎসমুখ থেকে অর্থাৎ তা হিমবাহের বরফগলা পানি, যাতে সেরা মিনারেলস পাওয়া যায় এবং তা বিশুদ্ধ। স্প্রিং ওয়াটার সংগ্রহের বেশ কিছু নিয়ম আছে। সেই জায়গায় ওই অবস্থায় তা সংগ্রহ করতে হবে এবং বোতলবন্দিও সেখানেই করা হবে। তাই যথাযথভাবে নিয়ম মেনে স্প্রিং ওয়াটার সংগ্রহ করা হচ্ছে কি না এবং তা প্রকৃতই স্প্রিং ওয়াটার কি না সেটা বলা সম্ভব নয়, যদি না তা খুবই বিখ্যাত কোনো সংস্থার হয়, যারা সব সময় নিজেদের মান সম্পর্কে সচেতন। পুষ্টিবিদদের মতে, এই পানি অবশ্যই শরীরের জন্য খুব ভালো।

অ্যাকোয়া দ্য ক্রিন্তালো ট্রিবুতো আ মোদিগিলানি
বিশ্বের সবচেয়ে দামি পানি মনে করা হয় ‘অ্যাকোয়া দ্য ক্রিন্তালো ট্রিবুতো আ মোদিগিলানি’কে। কারণ, এতে লুকিয়ে রয়েছে হাজারো রহস্য। এই পানিতে নাকি মেশানো রয়েছে ৫ গ্রাম ২৪ ক্যারেটের খাঁটি সোনা। এতে পানিতে ক্ষারের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। তাছাড়া এর পানি সংগ্রহ করা হয় পৃথিবীর তিনটি স্থান যেমন- ফ্রান্সের একটি ঝরনা, ফিজি দ্বীপের একটি প্রস্রবণ এবং আইসল্যান্ডের হিমবাহ থেকে। শুধু পানি নয়, ৭৫০ মিলিলিটার পানির বোতলেও রয়েছে চমক।

কারণ, এ পানির বোতল তৈরি করা হয়েছে ২৪ ক্যারেটের সোনা দিয়ে। বোতলটির নকশা করেছেন ফার্নান্দো আলতামিরানো নামে একজন জনপ্রিয় শিল্পী। এক দশক আগে এ পানির বোতলের দাম ছাড়িয়ে যায় বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৬০ লাখ। এখন এর দাম আরও বেড়েছে। তাহলে বোঝাই যাচ্ছে, সাধারণ মানুষের সাধ্যের অনেকটা বাইরে এই পানি। এই জলের দামের আর এক কারণ অবশ্য তার বোতলের ডিজাইন এবং প্যাকেজিং। প্ল্যাটিনামে মোড়া সীমিত সংস্করণের অসাধারণ দেখতে এই বোতলে ছয় হাজার হীরা খচিত। পানিতে মিশ্রিত রয়েছে ২৩ ক্যারেটের পাঁচ গ্রাম সোনার ভস্ম। অতএব বোঝাই যাচ্ছে দামের কারণ।

নিগারি
মানুষের ওজন কমাতে, শক্তি জোগাতে এবং ত্বকের গুণমান সমুন্নত রাখতে সাহায্য করে নিগারি পানি। এ পানি সম্পর্কে এমনটাই বলা হয়ে থাকে। সমুদ্রপৃষ্ঠের এক হাজার ফুট নিচে হাওয়াই দ্বীপ থেকে এ পানি সংগ্রহ করা হয়। এ পানি অন্যান্য ব্যয়বহুল বোতলজাত পানির চেয়ে বেশি তৃষ্ণা মেটাতে সক্ষম, এ পানি আরও বেশি তৃপ্তিদায়ক বলে বিবেচনা করা হয়। অনেক প্রখ্যাত চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ এবং ফিটনেস প্রশিক্ষক এ পানি পান করতে সুপারিশ করে থাকেন। ৭৫০ মিলিলিটারের এক বোতল পানি ৪০২ ডলারে বিক্রি হয়।

ফিলিকো
পানিও যে সুস্বাদু হয় তা ফিলিকো পানি পান করলেই বোঝা যায়। দাবা খেলার গুটির সঙ্গে পরিচয় থাকলে খুব সহজেই ফিলিকোর বিশেষভাবে ডিজাইন করা বোতলগুলো চেনা যাবে। নকশায় রাজকীয় ভাব রাখতে এর বোতলের নকশা করা হয়েছে দাবার রাজা এবং রানির গুটির মতো করে। স্বরভস্কি ক্রিস্টালের কাচের বোতল দেখতে বেশ মার্জিত এবং এর পানিও খুব সুস্বাদু। এ পানি সংগ্রহ করা হয় জাপানের কোবের নুনোবিকি নামে পরিচিত অতি বিশুদ্ধ ঝরনা থেকে। এ পানির ৭৫০ মিলিমিটারের বোতলের দাম রাখা হয়েছে ২১৯ ডলার।

ব্লিং এইচ২০
আরেকটি দামি পানির নাম ব্লিং এইচ২০। এ পানি অত্যাধুনিক রেস্তোরাঁয় পাওয়া যায়। ব্লিং ওয়াটার যেখান থেকে আসে ঠিক সেখানেই বোতলজাত করা হয়। টেনেসির গ্রেট স্মোকি পর্বতমালার গোড়ায় অবস্থিত ইংলিশ মাউন্টেন ঝরনা থেকে এ পানি সংগ্রহ করা হয়। এ পানির স্বাদ অক্ষুণ্ন রাখতে ৯টি পর্যায়ে পরিশোধন করা হয়। এ পানি অত্যাধুনিক রেস্তোরাঁ, স্পাগুলোয় পরিবেশন করা হয়। ব্লিংয়ের বোতল খোলার অভিজ্ঞতা অনেকটা দামি শ্যাম্পেইনের বোতল খোলার মতো। এর প্রতিটি ৭৫০ মিলিলিটার বোতলের দাম রাখা হয়েছে ৪০ ডলার।

ভিন
ভিনের পানি এসেছে ফিনল্যান্ড থেকে। একে বিশ্বের সবচেয়ে বিশুদ্ধ এবং সতেজ পানির অন্যতম হিসেবে বিবেচনা করা হয়। যে ঝরনা থেকে এ পানি সংগ্রহ করা হয় সেটি ফিনিশ ল্যাপল্যান্ডের কাছে অবস্থিত। ফিনল্যান্ডের প্রাকৃতিক আর্কটিক অঞ্চল বলে পরিচিত কোনিসাজো ঝরনায় পৌঁছানোর আগে এ পানি প্রাকৃতিকভাবে বেশ শীতল পরিবেশের মধ্য দিয়ে ফিল্টার করা হয়। এরপর এ পানি সংগ্রহ করা হয়। তৃষ্ণা মেটাতে এর অস্বাভাবিক গুণসহ আরও বেশকিছু কারণে এ পানিকে বিশেষ স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। এর ৭৫০ মিলিলিটারের বোতলের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ২৫ ডলার।

অ্যাকোয়া ডেকো
অ্যাকোয়া ডেকো অন্যতম ব্যয়বহুল পানি। ডেকো শব্দের অর্থ শৈল্পিক। পানির বোতল হিসেবে এ বোতলের শৈল্পিক সৌন্দর্য সেটাই প্রমাণ করে। মানুষের হাতের ছোঁয়া কানাডার একটি বিশুদ্ধ ঝরনা থেকে এ পানি দৃষ্টিনন্দন চমৎকার এ বোতলে সংগ্রহ করা হয়।

২০০৭ সালে এ পানি সেরা নন-কার্বনেটেড পানীয়র স্বীকৃতি হিসেবে স্বর্ণপদক জয় করেছিল। বিলাসী পানি পায়ীদের কাছে এ পানির বিশেষ কদর রয়েছে। বিলাসবহুল রেস্তোরাঁ, হোটেল এবং স্পাতে বিক্রি হওয়া বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল ৭৫০ মিলিলিটারের বোতলজাত এ পানির দাম রাখা হয়েছে ১২ মার্কিন ডলার।

ডিস্টিলড ওয়াটার
ডিস্টিলড ওয়াটার পানি ফুটিয়ে বাষ্পে পরিণত করা হয়। তারপর সেই বাষ্পকে ফের পানিতে পরিবর্তিত করা হয়। ফলে এর মধ্যে কোনো মিনারেলস থাকে না। এই পানি খেলে কোনো রকম পেটের সমস্যা হবে না। কিন্তু ক্রমাগত যদি শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় খনিজবিহীন ডিস্টিলড ওয়াটার খাওয়া হয়, তা শরীরের জন্য উপযোগী নয়।

অ্যালক্যালাইন ওয়াটার
অ্যালক্যালাইন ওয়াটার ইদানীং খুবই জনপ্রিয় হয়েছে সেলেব্রিটিদের সুবাদে। সাধারণ পানির পিএইচ লেভেলের চেয়ে অ্যালক্যালাইন ওয়াটারের পিএইচ লেভেল বেশি থাকে। তাই মনে করা হয় যাদের অ্যাসিডিটির সমস্যা খুব বেশি তারা অ্যালক্যালাইন ওয়াটার খেলে ভালো থাকবেন। রিসার্চ বলছে না যে দীর্ঘদিন ধরে অ্যালকালাইন ওয়াটার খাওয়া শরীরের জন্য ভালো। এতে কিছুটা হলেও মিনারেলস থাকে, তবে তা যে শরীরের জন্য ১০০ শতাংশ ভালো, তা বলা যায় না। আবার অনেকে ভাবেন অ্যালক্যালাইন ওয়াটার ক্যানসারের সম্ভাবনা কমিয়ে দেয় এবং তা বয়স ধরে রাখে—এর কোনোটিই কিন্তু এখন পর্যন্ত প্রমাণিত নয়। অ্যালক্যালাইন ওয়াটারে মিনারেলস ইনফিউজ করা হলে তাকে ব্ল্যাক ওয়াটার বলা হয়। এই পানিও খুব দামি।

সব ধরনের পানি সবার ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে নেই। পানি যেন পরিস্রুত হয় এবং তাতে মিনারেলস যেন যথাযথ থাকে, খাওয়ার আগে এটুকু দেখে নিলেই যথেষ্ট। এতে পেটের গোলমাল বা অন্য রোগের ভয় থাকে না।

পানি বিশুদ্ধ করার সবচেয়ে পুরোনো ও কার্যকর পদ্ধতির একটি হলো সেটা ফুটিয়ে নেওয়া। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের (সিডিসি) নির্দেশনা হলো, পানিতে বলক এসে ফুটতে শুরু হওয়ার পর মাত্র ১ মিনিট জ্বালালেই পানিতে থাকা ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া ও প্রোটোজোয়া নিষ্ক্রিয় হয়। পানি ফোটানোর মাধ্যমেই ক্ষতিকর জীবাণু দূর করা সম্ভব হলেও পুরোপুরি আশঙ্কামুক্ত থাকতে ফিল্টারের মাধ্যমে বিশুদ্ধ করা যেতে পারে।

কলি

ভিন্নধর্মী চিঠির উৎসব ‘ডাকপিয়ন’

প্রকাশ: ২৫ এপ্রিল ২০২৫, ০৬:৩৩ পিএম
আপডেট: ২৫ এপ্রিল ২০২৫, ০৬:৪৬ পিএম
ভিন্নধর্মী চিঠির উৎসব ‘ডাকপিয়ন’
চিঠি উৎসব চলবে আগামীকাল পর্যন্ত

সাল ১৯৮৩। পত্র লেখক রফিক তখন শীতে তুষার আবৃত দেশ তুরস্কে। সেখান থেকে বাংলাদেশের প্রিয়জন শিরীনকে বসন্তের শুভেচ্ছা জানাতে না পারার আক্ষেপ জানিয়েছিলেন চিঠিতেই। আবার লেখক বুদ্ধদেব বসুর তিথিডোর পড়ে বন্ধুর কাছে নীল কাগজে চিঠি পাওয়ার বায়না জানাতেই চিঠি লিখেছিলেন মাইশা।

আবেগ ও ভালোবাসা মিশ্রিত এমন সব চিঠি নিয়েই রাজধানীর বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের চিত্রশালায় শুরু হয়েছে দুই দিনব্যাপী চিঠি প্রদর্শনী উৎসব । 
তৃতীয় বারের মতো ডাকপিয়ন নামে এই উৎসবের আয়োজন করেছে নন্দিত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের ভক্ত সংগঠন হিমু পরিবহণ। ২৫ ও ২৬ এপ্রিল এই উৎসবটি চলবে বিকাল ৩ টা থেকে রাত ৯ টা পর্যন্ত।

বেশ কিছুদিন আগে প্রদর্শনীর উদ্দেশ্যে ফেসবুক ইভেন্টের মাধ্যমে চিঠি সংগ্রহ করতে শুরু করে হিমু পরিবহণের তরুণ সংগঠকরা। তাতে সাড়া দিয়ে দেশ-বিদেশ থেকে নিজের সংগ্রহে থাকা চিঠি পাঠায় অনেকে। সেখান থেকে নির্বাচিত ৭০ টি চিঠি নিয়ে আয়োজন করা হয়েছে এবারের উৎসব ।পরিবার, বন্ধুজনকে লেখা চিঠির সঙ্গে প্রদর্শনীতে রয়েছে মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে জেনারেল মুহাম্মদ আতাউল গণি ওসমানীর হাতে লেখা ব্যক্তিগত চিঠিও।

ডাকপিয়ন উৎসবের প্রথম দিনে দর্শনার্থীরা

 


হিমু পরিবহণের সমন্বয়কারী আহসান হাবিব মুরাদ জানান, প্রযুক্তির ছোঁয়ায় যোগাযোগ অনেক সহজ হলেও হাতে লেখা চিঠি এখনো মানুষের আবেগের জায়গা। এই আবেগকে আমরা আবার অভ্যাসে জাগিয়ে তুলতে চাই। তাছাড়া ইতিহাস, সাহিত্যেও রয়েছে চিঠির অবস্থান। তাই এই প্রদর্শনীর আয়োজন।

আলোচিত প্রাণী কৃষ্ণ হরিণ

প্রকাশ: ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০:০৫ পিএম
আলোচিত প্রাণী কৃষ্ণ হরিণ
ছবি: কৃষ্ণ হরিণ

বর্তমান সময়ে আলোচিত একটি প্রাণীর নাম হচ্ছে কৃষ্ণ হরিণ। ১৯৯৮ সালের অক্টোবরে বলিউড অভিনেতা সালমান খানসহ একটি শুটিং ইউনিটের আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধে দুটি কৃষ্ণ হরিণ যা চিংকার নামেও পরিচিত- হত্যার অভিযোগে মামলা করে ভারতের রাজস্থান রাজ্যের বিষ্ণোই সম্প্রদায়। তখন থেকেই কৃষ্ণ হরিণ চলে আসে আলোচনার শীর্ষে। 

ভগবান বিষ্ণুর পূজারি  সম্প্রদায় কয়েক শ বছর ধরে ২৯টি রীতি অক্ষরে অক্ষরে মানার চেষ্টা করে। আর সেসব রীতির মূল কথা হচ্ছে- প্রকৃতির সুরক্ষা, বৃক্ষ রক্ষা ও জঙ্গলের প্রাণী রক্ষা।

বিশেষ করে কৃষ্ণ হরিণকে বিষ্ণোই সম্প্রদায় পবিত্র হিসেবে গণ্য করে। এই হরিণকে বলতে গেলে তারা পূজা করে। ভগবান কৃষ্ণের রথ টানত কৃষ্ণ হরিণ, প্রাচীন হিন্দু পুরানে এমনটাই উল্লেখ আছে। কৃষ্ণ হরিণ বা চিংকারকে মানা হয় বাতাস এবং চাঁদের বাহন হিসেবেও।

কোথায় মেলে কৃষ্ণ হরিণ?

কৃষ্ণ হরিণের সংখ্যা দিন দিন কমলেও ভারত, পাকিস্তান এবং নেপালে এই হরিণ দেখা যায়। ভারতের রাজস্থান এবং গুজরাটের মরু এলাকায় এগুলো চোখে পড়ে বেশি। পুরুষ কৃষ্ণ হরিণের ওজন সর্বোচ্চ ৪৫ কেজি পর্যন্ত হয়। উচ্চতা ৭৪-৮৮ সেমি। আর মাদি কৃষ্ণ হরিণ অপেক্ষাকৃত আকারে ছোট হয়।

রং বদলায় কৃষ্ণ হরিণ

চিংকারের প্রধান বৈশিষ্ট্য এটি রং বদলায়। বর্ষার শেষে পুরুষ চিংকারের রং থাকে কালো। কিন্তু শীতের সঙ্গে সঙ্গে রং হালকা হতে হতে এপ্রিল নাগাদ বাদামি হয়ে যায়। বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞ আরাফ তাহসিন বলেন, ব্রিটিশদের সময়ে উদয়পুরে ঝাঁকে ঝাঁকে চিংকার দেখা যেত, কিন্তু এখন সেই দৃশ্য বিরল। এরা ঘন জঙ্গলের প্রাণী নয়, সমতলে খোলা জায়গা এদের পছন্দ। যেহেতু এ ধরনের জায়গা দ্রুত মানুষের দখলে চলে যাচ্ছে, ফলে এরা বিপদে পড়েছে।

২০০ বছর আগে যেখানে ভারতে এই হরিণের সংখ্যা ছিল ৪০ লাখের মতো, ২০১০ সালে সেটি নেমে আসে মাত্র ৫০ হাজারে। কৃষ্ণ হরিণ রয়েছে ভারতের সংরক্ষিত প্রাণীর তালিকায়। ফলে, দেশটিতে কৃষ্ণ হরিণ শিকার পুরোপুরি নিষিদ্ধ।

 

তারেক

বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল আবাসন

প্রকাশ: ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ০১:১৫ পিএম
আপডেট: ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ০১:১৮ পিএম
বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল আবাসন
ছবি: হ্যাংঝো রিজেন্ট ইন্টারন্যাশনাল অ্যাপার্টমেন্ট

পরিকল্পনা ছিল বিলাসবহুল হোটেলের। পরে সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসে এটিকে একটি আবাসনের রূপ দেওয়া হয়। তবে সাধারণ আবাসন নয়, বিলাসবহুল আবাসন। বাড়িটির নাম হ্যাংঝো রিজেন্ট ইন্টারন্যাশনাল। অনেকের মতে, চীনের হ্যাংঝো রিজেন্ট ইন্টারন্যাশনাল অ্যাপার্টমেন্টই বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল আবাসন।

 

হোটেলের বদলে বাসভবন তৈরির পরিকল্পনার পর ওই ইমারতের অভ্যন্তরীণ নকশাও বদলে ফেলা হয়। ছোট ছোট অসংখ্য কক্ষ তৈরি হয় আবাসনের প্রতিটি তলায়।

 

একটি আবাসনের নিচেই যেন আস্ত একটা শহর। কী নেই সেখানে! ৬৭৫ ফুট লম্বা এই আবাসনে একসঙ্গে ২০ হাজার মানুষ বাস করতে পারেন। ইংরেজি ‘এস’ আকৃতির বিশাল ঝাঁ-চকচকে ইমারত। দূর থেকে দেখলে নজরে পড়ে শুধু জানালা আর বারান্দা। ২ লাখ ৬০ হাজার বর্গমিটারেরও বেশি জায়গাজুড়ে অবস্থিত এ অ্যাপার্টমেন্টটি ২০১৩ সালে উদ্বোধন করা হয়। 

 

আবাসনটিতে মোট ৩৯টি তলা রয়েছে। আর তাতে কয়েক হাজার উচ্চ মানের বিলাসবহুল ফ্ল্যাট রয়েছে বলে সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। শুধু তা-ই নয়, এখানে রয়েছে নানা বিপণিকেন্দ্র, রেস্তোরাঁ, স্কুল এমনকি হাসপাতালও। অত্যাধুনিক ফিটনেস সেন্টার, খাবারের দোকান, সুইমিং পুল, সেলুন সবই রয়েছে এর চৌহদ্দির মধ্যেই।

 

বিভিন্ন প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই বাসভবনে বাস করেন চিনের ‘হ্যাং পিয়াও’রা। চিনের তরুণ পেশাদার, সমাজমাধ্যমের তারকা এবং প্রভাবশালীদের ‘হ্যাং পিয়াও’ বলা হয়।

 

চীনা সংবাদ সংস্থা সিনার একটি নিবন্ধ অনুসারে, জানালা ছাড়া ছোট অ্যাপার্টমেন্টগুলো সাধারণত প্রতি মাসে প্রায় ১৫০০ আরএমবি (২২০ ডলার) ভাড়া নেয়। অন্যদিকে বারান্দাসহ বড় ইউনিটগুলোর ভাড়া ৪০০০ আরএমবি (৫৫০ ডলার) পর্যন্ত বা তারও বেশি হতে পারে।

 

তারেক

পাঠকের গল্প: পাগলিটাও মা হয়েছে

প্রকাশ: ০৩ নভেম্বর ২০২৪, ০১:২০ পিএম
আপডেট: ০৩ নভেম্বর ২০২৪, ০১:২১ পিএম
পাঠকের গল্প: পাগলিটাও মা হয়েছে

হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার একটি গ্রাম চৌকি। চারদিকে সবুজে ঘেরা গ্রামটি। গ্রামের প্রতিটি মানুষের জীবনধারা খুবই সহজ-সরল। অধিকাংশ মানুষই কৃষিজীবী। খুব একটা শিক্ষিত নয় বৃদ্ধ বা মধ্যবয়সী লোকগুলো। তবে নিজেদের সন্তানদের লেখাপড়া চালিয়ে যায় শত অভাবের মাঝে। চৌকি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শুরু হয় তাদের হাতেখড়ি। অনেকে কলেজের গণ্ডি পেরিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে পা রাখেন।

হাজার অভাবের মাঝেও গ্রামের লোকজন খুব অতিথিপরায়ণ। এ গ্রামের সবাইকে এক সুতোয় বেঁধে রেখেছেন যিনি তিনি হলেন রাজপ্রতাপ চৌধুরী। তাকে এই গ্রামের মধ্যমণি বলা যায়। প্রচুর অর্থ-সম্পদের মালিক হলেও নিরহংকারী মানুষ তিনি। গ্রামের প্রতিটি মানুষ তাকে শ্রদ্ধা ও সম্মান করেন। রাজপ্রতাপ চৌধুরীর স্ত্রী মায়া। স্বামীর মতোই উদার মন। তাদের এই বিশাল অট্টালিকার একমাত্র উত্তরাধিকারী তাদের সন্তান দীপায়ন চৌধুরী দ্বীপ। তবে সম্পদ নিয়ে তার বিশেষ কোনো মাথাব্যথা নেই, অনেকটাই উড়নচণ্ডী স্বভাবের। বাউন্ডুলের মতো এদিক সেদিক ছুটে চলা তার কাজ। 

বাউন্ডুলে ছেলেকে সংসারের মায়ায় বাঁধতে বিয়ের সিদ্ধান্ত নেয় বাবা-মা। ধুমধাম করে বিয়ে হয় একমাত্র ছেলের। সিলেটের হবিগঞ্জ শহরের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী অসীম রায়ের একমাত্র মেয়ে রুপার সঙ্গে বিয়ে হয় দীপায়নের। ছেলে-বৌমা নিয়ে সুখে শান্তিতে দিন যাচ্ছে চৌধুরী পরিবারের। শ্বশুর-শাশুড়িকে দেখে মুগ্ধ হয় রুপা। কত দয়ালু তারা। নিজেদের থেকেও অন্যের কথা বেশি ভাবে। গ্রামের সবাইকে সাহায্য করে। সব পূজায় ভালো রান্না হয় গ্রামবাসীর জন্য। পেট পুরে খায় পঞ্চব্যঞ্জন। দীপায়ন এখন অনেকটাই ঘরমুখো। দিনশেষে ঠিকই ঘরে ফেরে। মাঝে মাঝে রুপাকে সঙ্গে নিয়ে ঘুরে বেড়ায় গ্রাম। সবই ঠিক যাচ্ছিল। বছর ঘুরতেই বউয়ের কাছে আবদার করে বসে মায়া দেবী। এবার তারা দাদু, ঠাম্মা হতে চান। রুপাও অমত করেনি। কিন্তু বিধাতা বিরূপ হলো তাদের প্রতি। বিধাতা বোধহয়, ভালো মানুষের কপালে খারাপই লেখেন সবসময়। বহু চেষ্টার পরও তারা বাবা-মা ডাক শোনা থেকে বঞ্চিত। অনেক ডাক্তার দেখানো হলো। কিন্তু তাতে কোনো লাভ হয়নি। দ্বীপ কখনোই বাবা হতে পারবে না। রুপাকে ছেড়ে দিতে বলে দ্বীপ। অন্যত্র বিয়ে হলে মা হতে পারবে। রুপা ছেড়ে যাওয়ার কথা কল্পনায়ও আনে না। শুধু ঈশ্বরের কাছে দুহাত পেতে এক সন্তানের জন্য ব্যাকুল হয়ে অশ্রু ঝরায়। বেশ কিছুদিন পর গ্রামে কোথা থেকে যেন এক পাগলি এসে পড়ে। কেউই চেনে না মেয়েটাকে। কোনো এক চাষি খেতে কাজ করতে গিয়ে শুনতে পায় কে যেন কোঁকড়াচ্ছে যন্ত্রণায়। একটু এগোতেই দেখে এক পাগলিকে। তখন দেখতে পায় মেয়েটি অন্তঃসত্ত্বা। তাড়াতাড়ি লোক জড়ো করে নিয়ে যায় চৌধুরীদের বাড়ির সামনে। গিন্নি মাকে বিষয়টা জানানো দরকার খুব। এই গ্রামে মায়া দেবীর মতো দয়ালু মমতাময়ী আর কে আছেন! গিন্নি মা খবর পেয়ে অতিথিশালায় নিয়ে যান পাগলিকে। মেয়েটির অবস্থা দেখে খুবই মায়া হয় গিন্নি মায়ের। আহা! পাগলিটাকেও ছাড় দিল না সমাজের হিংস্র জানোয়ারগুলো। মুখে কিছুই বলতে পারে না, কত যন্ত্রণা পাচ্ছে দেখেই বোঝা যায়। খাবার খাইয়ে দিল নিজ হাতে মেয়েটাকে। রাতে প্রসব ব্যথায় যখন কাতরাচ্ছিল সেসময় মায়া দেবী পাশেই বসা ছিল। কিছুক্ষণের ভেতর জন্ম হলো এক ফুটফুটে কন্যাসন্তানের। সে যেন এক ফুটন্ত পদ্ম। মায়া দেবী কোলে তুলেই নাম দিল পদ্ম। আমার পদ্ম। বিধাতার কী নির্মম খেলা। কেউ চেষ্টা করেও সন্তান পায় না, কেউ রাস্তায় পড়ে পাগল হয়ে ঘুরে সন্তান পায়। যেহেতু সদ্য জন্ম নেওয়া মেয়েটার মা পাগলি তাই তার যত্ন কে করবে এই ভেবে মায়া দেবী সদ্য ফোটা পদ্মকে নিয়ে তুলে দেয় নিজ পুত্রবধূর কোলে। পরম মমতায় বুকে জড়িয়ে নেয় পদ্মকে। 

এদিকে সদ্য মা হওয়া মেয়েটা দুগ্ধ যন্ত্রণায় যেন মরে যায়। এক ফোঁটা বুকের দুধ দিতে ব্যাকুল হয়ে পৌঁছে যায় চৌধুরীর গৃহে। কীভাবে যেন রুপার পাশ থেকে ছোঁ মেরে তুলে নেয় তার মেয়েকে। মেয়ে মাকে পেয়ে তাকিয়ে হাসছে কেমন, হঠাৎ চোখ মেলে এমন দৃশ্যে রুপা অঝোরে কাঁদতে লাগল। আহা মাতৃত্ব! বড়ই মধুর যন্ত্রণাময়! আবার ফিরে যায় সে অতিথিশালায়। এভাবেই যখনই দুগ্ধ যন্ত্রণা হয় তখনই ছুটে আসে মেয়েকে স্তন পান করাতে। বিষয়টা মায়া দেবী জানতে পারেন। এভাবে চলতে থাকলে পদ্মরও যে বড় ক্ষতি হবে। মেয়েটা সমাজে কোন পরিচয়ে থাকবে! তাই তিনি সিদ্ধান্ত নিলেন এই পাগলিকে দূরে কোথাও পাঠিয়ে দেবে। একটি ট্রাকে করে কয়েকজন লোক দিয়ে অনেক দূরে রেখে আসলেন পাগলিকে। 

এদিকে রাতের বেলা পাগলি ঠিকই চলে এল মাতৃত্বের টানে। আবার মেয়েকে কোলে নিয়ে দুধ পান করে আবার ফিরে যায়। এভাবেই দুদিন পর পাগলি এসে ঘুমন্ত রুপার পাশ থেকে ছোঁ নিয়ে পদ্মকে তুলে দেয় এক ছুট। রুপার চিৎকার শুনে ছুটে গিয়ে দেখে নিজ সন্তান কোলে নিয়ে দৌড়ে যাচ্ছে পাগলিটা। মায়া দেবী দীর্ঘশ্বাস ফেলে ভাবেন, মাতৃত্ব বড়ই অদ্ভুত! পাগলি তো কী হয়েছে, মা তো!


মুনমুন চক্রবর্তী 
ঠাকুরবাড়ি 
বড়ালিয়া, চন্দ্রগঞ্জ
লক্ষ্মীপুর

 

তারেক

বিচিত্র সব গাছ

প্রকাশ: ০২ নভেম্বর ২০২৪, ০১:০৩ পিএম
বিচিত্র সব গাছ
ছবি: সংগৃহীত

বিচিত্র পৃথিবীতে বিচিত্রতার শেষ নেই। অদ্ভুত সব রহস্য এখন নিত্যদিনের ঘটনা। বিচিত্র পৃথিবীর কিছু অদ্ভুত গাছ সম্পর্কে জেনে নিই চলুন। যেসব গাছ শুধু একটা করেই আছে।


উল্টো ডুমুর গাছ

ইতালির শহর বাকোলির চীন রোমান আর্চওয়ের ছাদ বেয়ে উলটো করে ঝুলে আছে এক ডুমুর গাছ। অদ্ভুতভাবে বেড়ে ওঠা এই গাছে ফলও ধরে। এই গাছ আক্ষরিকভাবেই উল্টো। মাটি ফুঁড়ে নয় বরং ছাদ থেকে মাটির দিকে নেমে এসেছে এটি। ডুমুর গাছ সাধারণত শুষ্ক এবং রৌদ্রোজ্জ্বল জায়গা পছন্দ করে, তবে তারা শক্তিশালী শিকড় এবং অল্প পানিতেও বেড়ে ওঠে। তবে পারকো আর্কিওলজিকো দেলে তের্মে ডি বাইয়ার একটি গুহার ছাদ থেকে, একটি ডুমুর গাছ ভুল পথে কীভাবে বেড়ে উঠেছে তা অজানা।

প্রিজন ট্রি

বোয়াব প্রিজন ট্রি প্রায় দেড় হাজার বছর পুরোনো। গায়ে বড় ফাঁপাওয়ালা এ অদ্ভুত গাছ অস্ট্রেলিয়ায় অবস্থিত। পশ্চিম অস্ট্রেলিয়া থেকে ৬ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত এই গাছের পরিধি প্রায় ১৪ মিটার। বলা হয় এই গাছে বন্দিদের রাখা হতো। তাই এর নাম প্রিজন গাছ। অর্থাৎ গাছের কুটুরি বা ফাঁপা অংশে বন্দিদের রাখা হতো। যদিও এর সুনির্দিষ্ট প্রমাণ নেই। গাছের অস্বাভাবিক কাণ্ডের আকৃতি এবং স্থানীয় ইতিহাসের সঙ্গে মিশ্রণে এটিকে ভয়ংকর এবং অনন্য করে তোলে। বিশাল কাণ্ডের এই গাছের আশপাশে হাড়গোড় দেখতে পাওয়া যায়। ধারণা করা হয় এখানকার আদিবাসীরা গাছটিকে মৃতদেহ সৎকারের কাজে ব্যবহার করত।

লাহাইনার বটবৃক্ষ

১৮৭৩ সালে রোপণ করা এই বিশাল বটগাছটির একাধিক কাণ্ড রয়েছে, যা একটি গাছ থেকে একটি ছোটখাটো বন তৈরি করে। যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়াইয়ে অবস্থিত এ গাছটি যেন শহরজুড়ে বিস্তৃত। প্রথম আমেরিকান প্রোটেস্ট্যান্ট মিশনের আগমনের ৫০তম বার্ষিকী উপলক্ষে ১৮৭৩ সালের ২৪ এপ্রিল হাওয়াইয়ের লাহাইনায় গাছটি রোপণ করা হয়েছিল। ১ দশমিক ৯৪ একর জুড়ে, গাছটি লাহেনা বেনিয়া কোর্ট পার্কে অবস্থিত। প্রায় ৬০ ফুট উচ্চতার এই গাছ কাণ্ড ব্যতীত ১৬টি প্রধান শিকড়সহ বিস্তৃত, যা প্রায় শূন্য দশমিক ৬৬ একর এলাকাজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। এটি রাজ্য এবং দেশের বৃহত্তম বটগাছ হিসেবে বিবেচিত হয়।

 

তারেক