পুজোর সময় হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষের বাড়িতে ধূপকাঠি জ্বালানো একটি অন্যতম রীতি। এটি ঘরে সুবাস ছড়ায় এবং ইতিবাচক শক্তির অনুভূতি দেয়। প্রধানত ভারতসহ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় এর ব্যবহার বেশি। বাংলাদেশ ও ভারতের ধূপকাঠির রং ধূসর হলেও ভিয়েতনামে এটি হয় রঙিন। এর জন্য দেশটির একটি গ্রাম বিখ্যাত। কীভাবে এই গ্রাম অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী হয়ে উঠেছে শুধুমাত্র ধূপকাঠির কারণে, তা জানলে আপনি অনেকটাই চমকে উঠবেন।
এই গ্রাম কোথায়?
আমরা যে ধূপকাঠির গ্রামের কথা বলছি সেটি ভিয়েতনামে। এই গ্রামের নাম কাং ফু চাউ। এই গ্রামে গেলে সবখানে শুধু রঙিন ধূপকাঠি দেখতে পাবেন। এই ধূপকাঠি গ্রামের সৌন্দর্য বৃদ্ধির পাশাপাশি সেখানকার মানুষকে আর্থিকভাবে শক্তিশালী করে তুলছে। এ ছাড়া এই রঙিন ধূপকাঠিগুলো দূর-দূরান্তের পর্যটকদেরও আকৃষ্ট করছে।
লাল, সবুজ, হলুদ ধূপকাঠি
ভারতীয় কিংবা বাংলাদেশিদের বাড়িতে পোড়ানো ধূপকাঠি প্রায়ই চন্দনের কিংবা কালো রঙের হয়। কিন্তু ভিয়েতনামের এই গ্রামে তৈরি ধূপকাঠিগুলো রঙিন। মূলত তিনটি রং রয়েছে। লাল, সবুজ এবং হলুদ। প্রকৃতপক্ষে, ভিয়েতনামে শুরু থেকেই এই রঙের ধূপকাঠি তৈরি হচ্ছে। এখানে আপনি বেশির ভাগ বাড়ির বাইরে ফাঁকা জমিতে এসব ধূপকাঠির গুচ্ছ শুকানো হচ্ছে দেখতে পাবেন।
সেলফির জন্য টাকা
জার্মান সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভ্যালির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই গ্রামের মানুষ শুধু এই রঙিন ধূপকাঠি বিক্রি থেকে অর্থ উপার্জন করছে তা নয়। এখানকার লোকেরা এই ধূপকাঠি দিয়ে সেলফি তুলতে চায় এমন পর্যটকদের কাছ থেকে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা নেয়। এই পরিমাণ ৫০ হাজার ডং, যা বাংলাদেশি টাকায় ২৫০ থেকে ৩০০ টাকার মতো। তবে এখানে ধূপকাঠির দাম খুবই কম। এই কারণেই এখানে বেড়াতে আসা পর্যটকরাও প্রচুর ধূপকাঠি কিনে নিয়ে যান।
কলি