ঢাকা ১০ আষাঢ় ১৪৩২, মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫
English

ভিন্নধর্মী চিঠির উৎসব ‘ডাকপিয়ন’

প্রকাশ: ২৫ এপ্রিল ২০২৫, ০৬:৩৩ পিএম
আপডেট: ২৫ এপ্রিল ২০২৫, ০৬:৪৬ পিএম
ভিন্নধর্মী চিঠির উৎসব ‘ডাকপিয়ন’
চিঠি উৎসব চলবে আগামীকাল পর্যন্ত

সাল ১৯৮৩। পত্র লেখক রফিক তখন শীতে তুষার আবৃত দেশ তুরস্কে। সেখান থেকে বাংলাদেশের প্রিয়জন শিরীনকে বসন্তের শুভেচ্ছা জানাতে না পারার আক্ষেপ জানিয়েছিলেন চিঠিতেই। আবার লেখক বুদ্ধদেব বসুর তিথিডোর পড়ে বন্ধুর কাছে নীল কাগজে চিঠি পাওয়ার বায়না জানাতেই চিঠি লিখেছিলেন মাইশা।

আবেগ ও ভালোবাসা মিশ্রিত এমন সব চিঠি নিয়েই রাজধানীর বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের চিত্রশালায় শুরু হয়েছে দুই দিনব্যাপী চিঠি প্রদর্শনী উৎসব । 
তৃতীয় বারের মতো ডাকপিয়ন নামে এই উৎসবের আয়োজন করেছে নন্দিত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের ভক্ত সংগঠন হিমু পরিবহণ। ২৫ ও ২৬ এপ্রিল এই উৎসবটি চলবে বিকাল ৩ টা থেকে রাত ৯ টা পর্যন্ত।

বেশ কিছুদিন আগে প্রদর্শনীর উদ্দেশ্যে ফেসবুক ইভেন্টের মাধ্যমে চিঠি সংগ্রহ করতে শুরু করে হিমু পরিবহণের তরুণ সংগঠকরা। তাতে সাড়া দিয়ে দেশ-বিদেশ থেকে নিজের সংগ্রহে থাকা চিঠি পাঠায় অনেকে। সেখান থেকে নির্বাচিত ৭০ টি চিঠি নিয়ে আয়োজন করা হয়েছে এবারের উৎসব ।পরিবার, বন্ধুজনকে লেখা চিঠির সঙ্গে প্রদর্শনীতে রয়েছে মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে জেনারেল মুহাম্মদ আতাউল গণি ওসমানীর হাতে লেখা ব্যক্তিগত চিঠিও।

ডাকপিয়ন উৎসবের প্রথম দিনে দর্শনার্থীরা

 


হিমু পরিবহণের সমন্বয়কারী আহসান হাবিব মুরাদ জানান, প্রযুক্তির ছোঁয়ায় যোগাযোগ অনেক সহজ হলেও হাতে লেখা চিঠি এখনো মানুষের আবেগের জায়গা। এই আবেগকে আমরা আবার অভ্যাসে জাগিয়ে তুলতে চাই। তাছাড়া ইতিহাস, সাহিত্যেও রয়েছে চিঠির অবস্থান। তাই এই প্রদর্শনীর আয়োজন।

ভিন্নধর্মী চিঠির উৎসব ‘ডাকপিয়ন’

প্রকাশ: ২৫ এপ্রিল ২০২৫, ০৬:৩৩ পিএম
আপডেট: ২৫ এপ্রিল ২০২৫, ০৬:৪৬ পিএম
ভিন্নধর্মী চিঠির উৎসব ‘ডাকপিয়ন’
চিঠি উৎসব চলবে আগামীকাল পর্যন্ত

সাল ১৯৮৩। পত্র লেখক রফিক তখন শীতে তুষার আবৃত দেশ তুরস্কে। সেখান থেকে বাংলাদেশের প্রিয়জন শিরীনকে বসন্তের শুভেচ্ছা জানাতে না পারার আক্ষেপ জানিয়েছিলেন চিঠিতেই। আবার লেখক বুদ্ধদেব বসুর তিথিডোর পড়ে বন্ধুর কাছে নীল কাগজে চিঠি পাওয়ার বায়না জানাতেই চিঠি লিখেছিলেন মাইশা।

আবেগ ও ভালোবাসা মিশ্রিত এমন সব চিঠি নিয়েই রাজধানীর বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের চিত্রশালায় শুরু হয়েছে দুই দিনব্যাপী চিঠি প্রদর্শনী উৎসব । 
তৃতীয় বারের মতো ডাকপিয়ন নামে এই উৎসবের আয়োজন করেছে নন্দিত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের ভক্ত সংগঠন হিমু পরিবহণ। ২৫ ও ২৬ এপ্রিল এই উৎসবটি চলবে বিকাল ৩ টা থেকে রাত ৯ টা পর্যন্ত।

বেশ কিছুদিন আগে প্রদর্শনীর উদ্দেশ্যে ফেসবুক ইভেন্টের মাধ্যমে চিঠি সংগ্রহ করতে শুরু করে হিমু পরিবহণের তরুণ সংগঠকরা। তাতে সাড়া দিয়ে দেশ-বিদেশ থেকে নিজের সংগ্রহে থাকা চিঠি পাঠায় অনেকে। সেখান থেকে নির্বাচিত ৭০ টি চিঠি নিয়ে আয়োজন করা হয়েছে এবারের উৎসব ।পরিবার, বন্ধুজনকে লেখা চিঠির সঙ্গে প্রদর্শনীতে রয়েছে মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে জেনারেল মুহাম্মদ আতাউল গণি ওসমানীর হাতে লেখা ব্যক্তিগত চিঠিও।

ডাকপিয়ন উৎসবের প্রথম দিনে দর্শনার্থীরা

 


হিমু পরিবহণের সমন্বয়কারী আহসান হাবিব মুরাদ জানান, প্রযুক্তির ছোঁয়ায় যোগাযোগ অনেক সহজ হলেও হাতে লেখা চিঠি এখনো মানুষের আবেগের জায়গা। এই আবেগকে আমরা আবার অভ্যাসে জাগিয়ে তুলতে চাই। তাছাড়া ইতিহাস, সাহিত্যেও রয়েছে চিঠির অবস্থান। তাই এই প্রদর্শনীর আয়োজন।

আলোচিত প্রাণী কৃষ্ণ হরিণ

প্রকাশ: ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০:০৫ পিএম
আলোচিত প্রাণী কৃষ্ণ হরিণ
ছবি: কৃষ্ণ হরিণ

বর্তমান সময়ে আলোচিত একটি প্রাণীর নাম হচ্ছে কৃষ্ণ হরিণ। ১৯৯৮ সালের অক্টোবরে বলিউড অভিনেতা সালমান খানসহ একটি শুটিং ইউনিটের আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধে দুটি কৃষ্ণ হরিণ যা চিংকার নামেও পরিচিত- হত্যার অভিযোগে মামলা করে ভারতের রাজস্থান রাজ্যের বিষ্ণোই সম্প্রদায়। তখন থেকেই কৃষ্ণ হরিণ চলে আসে আলোচনার শীর্ষে। 

ভগবান বিষ্ণুর পূজারি  সম্প্রদায় কয়েক শ বছর ধরে ২৯টি রীতি অক্ষরে অক্ষরে মানার চেষ্টা করে। আর সেসব রীতির মূল কথা হচ্ছে- প্রকৃতির সুরক্ষা, বৃক্ষ রক্ষা ও জঙ্গলের প্রাণী রক্ষা।

বিশেষ করে কৃষ্ণ হরিণকে বিষ্ণোই সম্প্রদায় পবিত্র হিসেবে গণ্য করে। এই হরিণকে বলতে গেলে তারা পূজা করে। ভগবান কৃষ্ণের রথ টানত কৃষ্ণ হরিণ, প্রাচীন হিন্দু পুরানে এমনটাই উল্লেখ আছে। কৃষ্ণ হরিণ বা চিংকারকে মানা হয় বাতাস এবং চাঁদের বাহন হিসেবেও।

কোথায় মেলে কৃষ্ণ হরিণ?

কৃষ্ণ হরিণের সংখ্যা দিন দিন কমলেও ভারত, পাকিস্তান এবং নেপালে এই হরিণ দেখা যায়। ভারতের রাজস্থান এবং গুজরাটের মরু এলাকায় এগুলো চোখে পড়ে বেশি। পুরুষ কৃষ্ণ হরিণের ওজন সর্বোচ্চ ৪৫ কেজি পর্যন্ত হয়। উচ্চতা ৭৪-৮৮ সেমি। আর মাদি কৃষ্ণ হরিণ অপেক্ষাকৃত আকারে ছোট হয়।

রং বদলায় কৃষ্ণ হরিণ

চিংকারের প্রধান বৈশিষ্ট্য এটি রং বদলায়। বর্ষার শেষে পুরুষ চিংকারের রং থাকে কালো। কিন্তু শীতের সঙ্গে সঙ্গে রং হালকা হতে হতে এপ্রিল নাগাদ বাদামি হয়ে যায়। বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞ আরাফ তাহসিন বলেন, ব্রিটিশদের সময়ে উদয়পুরে ঝাঁকে ঝাঁকে চিংকার দেখা যেত, কিন্তু এখন সেই দৃশ্য বিরল। এরা ঘন জঙ্গলের প্রাণী নয়, সমতলে খোলা জায়গা এদের পছন্দ। যেহেতু এ ধরনের জায়গা দ্রুত মানুষের দখলে চলে যাচ্ছে, ফলে এরা বিপদে পড়েছে।

২০০ বছর আগে যেখানে ভারতে এই হরিণের সংখ্যা ছিল ৪০ লাখের মতো, ২০১০ সালে সেটি নেমে আসে মাত্র ৫০ হাজারে। কৃষ্ণ হরিণ রয়েছে ভারতের সংরক্ষিত প্রাণীর তালিকায়। ফলে, দেশটিতে কৃষ্ণ হরিণ শিকার পুরোপুরি নিষিদ্ধ।

 

তারেক

বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল আবাসন

প্রকাশ: ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ০১:১৫ পিএম
আপডেট: ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ০১:১৮ পিএম
বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল আবাসন
ছবি: হ্যাংঝো রিজেন্ট ইন্টারন্যাশনাল অ্যাপার্টমেন্ট

পরিকল্পনা ছিল বিলাসবহুল হোটেলের। পরে সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসে এটিকে একটি আবাসনের রূপ দেওয়া হয়। তবে সাধারণ আবাসন নয়, বিলাসবহুল আবাসন। বাড়িটির নাম হ্যাংঝো রিজেন্ট ইন্টারন্যাশনাল। অনেকের মতে, চীনের হ্যাংঝো রিজেন্ট ইন্টারন্যাশনাল অ্যাপার্টমেন্টই বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল আবাসন।

 

হোটেলের বদলে বাসভবন তৈরির পরিকল্পনার পর ওই ইমারতের অভ্যন্তরীণ নকশাও বদলে ফেলা হয়। ছোট ছোট অসংখ্য কক্ষ তৈরি হয় আবাসনের প্রতিটি তলায়।

 

একটি আবাসনের নিচেই যেন আস্ত একটা শহর। কী নেই সেখানে! ৬৭৫ ফুট লম্বা এই আবাসনে একসঙ্গে ২০ হাজার মানুষ বাস করতে পারেন। ইংরেজি ‘এস’ আকৃতির বিশাল ঝাঁ-চকচকে ইমারত। দূর থেকে দেখলে নজরে পড়ে শুধু জানালা আর বারান্দা। ২ লাখ ৬০ হাজার বর্গমিটারেরও বেশি জায়গাজুড়ে অবস্থিত এ অ্যাপার্টমেন্টটি ২০১৩ সালে উদ্বোধন করা হয়। 

 

আবাসনটিতে মোট ৩৯টি তলা রয়েছে। আর তাতে কয়েক হাজার উচ্চ মানের বিলাসবহুল ফ্ল্যাট রয়েছে বলে সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। শুধু তা-ই নয়, এখানে রয়েছে নানা বিপণিকেন্দ্র, রেস্তোরাঁ, স্কুল এমনকি হাসপাতালও। অত্যাধুনিক ফিটনেস সেন্টার, খাবারের দোকান, সুইমিং পুল, সেলুন সবই রয়েছে এর চৌহদ্দির মধ্যেই।

 

বিভিন্ন প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই বাসভবনে বাস করেন চিনের ‘হ্যাং পিয়াও’রা। চিনের তরুণ পেশাদার, সমাজমাধ্যমের তারকা এবং প্রভাবশালীদের ‘হ্যাং পিয়াও’ বলা হয়।

 

চীনা সংবাদ সংস্থা সিনার একটি নিবন্ধ অনুসারে, জানালা ছাড়া ছোট অ্যাপার্টমেন্টগুলো সাধারণত প্রতি মাসে প্রায় ১৫০০ আরএমবি (২২০ ডলার) ভাড়া নেয়। অন্যদিকে বারান্দাসহ বড় ইউনিটগুলোর ভাড়া ৪০০০ আরএমবি (৫৫০ ডলার) পর্যন্ত বা তারও বেশি হতে পারে।

 

তারেক

বিচিত্র সব গাছ

প্রকাশ: ০২ নভেম্বর ২০২৪, ০১:০৩ পিএম
বিচিত্র সব গাছ
ছবি: সংগৃহীত

বিচিত্র পৃথিবীতে বিচিত্রতার শেষ নেই। অদ্ভুত সব রহস্য এখন নিত্যদিনের ঘটনা। বিচিত্র পৃথিবীর কিছু অদ্ভুত গাছ সম্পর্কে জেনে নিই চলুন। যেসব গাছ শুধু একটা করেই আছে।


উল্টো ডুমুর গাছ

ইতালির শহর বাকোলির চীন রোমান আর্চওয়ের ছাদ বেয়ে উলটো করে ঝুলে আছে এক ডুমুর গাছ। অদ্ভুতভাবে বেড়ে ওঠা এই গাছে ফলও ধরে। এই গাছ আক্ষরিকভাবেই উল্টো। মাটি ফুঁড়ে নয় বরং ছাদ থেকে মাটির দিকে নেমে এসেছে এটি। ডুমুর গাছ সাধারণত শুষ্ক এবং রৌদ্রোজ্জ্বল জায়গা পছন্দ করে, তবে তারা শক্তিশালী শিকড় এবং অল্প পানিতেও বেড়ে ওঠে। তবে পারকো আর্কিওলজিকো দেলে তের্মে ডি বাইয়ার একটি গুহার ছাদ থেকে, একটি ডুমুর গাছ ভুল পথে কীভাবে বেড়ে উঠেছে তা অজানা।

প্রিজন ট্রি

বোয়াব প্রিজন ট্রি প্রায় দেড় হাজার বছর পুরোনো। গায়ে বড় ফাঁপাওয়ালা এ অদ্ভুত গাছ অস্ট্রেলিয়ায় অবস্থিত। পশ্চিম অস্ট্রেলিয়া থেকে ৬ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত এই গাছের পরিধি প্রায় ১৪ মিটার। বলা হয় এই গাছে বন্দিদের রাখা হতো। তাই এর নাম প্রিজন গাছ। অর্থাৎ গাছের কুটুরি বা ফাঁপা অংশে বন্দিদের রাখা হতো। যদিও এর সুনির্দিষ্ট প্রমাণ নেই। গাছের অস্বাভাবিক কাণ্ডের আকৃতি এবং স্থানীয় ইতিহাসের সঙ্গে মিশ্রণে এটিকে ভয়ংকর এবং অনন্য করে তোলে। বিশাল কাণ্ডের এই গাছের আশপাশে হাড়গোড় দেখতে পাওয়া যায়। ধারণা করা হয় এখানকার আদিবাসীরা গাছটিকে মৃতদেহ সৎকারের কাজে ব্যবহার করত।

লাহাইনার বটবৃক্ষ

১৮৭৩ সালে রোপণ করা এই বিশাল বটগাছটির একাধিক কাণ্ড রয়েছে, যা একটি গাছ থেকে একটি ছোটখাটো বন তৈরি করে। যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়াইয়ে অবস্থিত এ গাছটি যেন শহরজুড়ে বিস্তৃত। প্রথম আমেরিকান প্রোটেস্ট্যান্ট মিশনের আগমনের ৫০তম বার্ষিকী উপলক্ষে ১৮৭৩ সালের ২৪ এপ্রিল হাওয়াইয়ের লাহাইনায় গাছটি রোপণ করা হয়েছিল। ১ দশমিক ৯৪ একর জুড়ে, গাছটি লাহেনা বেনিয়া কোর্ট পার্কে অবস্থিত। প্রায় ৬০ ফুট উচ্চতার এই গাছ কাণ্ড ব্যতীত ১৬টি প্রধান শিকড়সহ বিস্তৃত, যা প্রায় শূন্য দশমিক ৬৬ একর এলাকাজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। এটি রাজ্য এবং দেশের বৃহত্তম বটগাছ হিসেবে বিবেচিত হয়।

 

তারেক

পৃথিবীর সেরা বিমানবন্দর

প্রকাশ: ২৯ অক্টোবর ২০২৪, ১২:২০ পিএম
পৃথিবীর সেরা বিমানবন্দর
কাতারের হামাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর

বিশ্বের সেরা বিমানবন্দর কোনটি এ প্রশ্নের উত্তরে অকপটে সবাই বলে দেবে সিঙ্গাপুরের চাঙ্গি বিমানবন্দর। আধুনিক সুযোগ-সুবিধার কোনো কমতি নেই এ বিমানবন্দরে, তাই তো একটানা ১২ বার পৃথিবীর সেরা বিমানবন্দরের খেতাব অর্জন করেছে। তবে চলতি বছরে এ বিমানবন্দরকে পেছনে ফেলে বিশ্বের শীর্ষ বিমানবন্দরের খেতাব অর্জন করেছে কাতারের হামাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরটি। গতবার এর অবস্থান ছিল দ্বিতীয়।

ব্রিটেনের অ্যাভিয়েশন শিল্প সমালোচক প্রতিষ্ঠান স্কাইট্র্যাক্স প্রতিবারের মতো এবারও বিশ্বের সেরা ১০০টি বিমানবন্দরের তালিকা প্রকাশ করে। তাদের এই তালিকায় সিঙ্গাপুরের চাঙ্গি বিমানবন্দরকে হারিয়ে বিশ্বসেরার মুকুট অর্জন করেছে কাতারের হামাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরটি। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের যাত্রীদের ভোটে ওয়ার্ল্ড এয়ারপোর্ট অ্যাওয়ার্ডস সেরা বিমানবন্দরের তালিকা ঘোষণা করে থাকে প্রতিষ্ঠানটি। ২০২৩ সালের আগস্ট থেকে ২০২৪ সালের মার্চ পর্যন্ত শতাধিক ভ্রমণকারীর কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করে এই তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। গত ১৭ এপ্রিল জার্মানির ফ্রাঙ্কফুর্টে বিম্নবন্দরের এই র‌্যাংকিংয়ের ঘোষণা দেওয়া হয়। এবারের তাদের তালিকায় প্রথম দশের মধ্যে এশিয়ারই ছিল ছয়টি বিমানবন্দর।

বিলাসবহুল ও জাঁকজমকপূর্ণ হামাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বর্তমানে বিশ্বের সেরা সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার পাশাপাশি কানেক্টিং ফ্লাইট থাকা যাত্রীদের জন্য বিনামূল্যে শহর ভ্রমণ, থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করে থাকে। এ ছাড়া একটি ভিআইপি ট্রান্সফার সেবাও রয়েছে তাদের, যার অংশ হিসেবে বিমানবন্দরে নামার পর এয়ারলাইন্সের কর্মীরা দর্শনার্থীদের গাইড করেন এবং পরবর্তী ফ্লাইটে পৌঁছে দেন।

বিমানবন্দরটি কাতারের রাজধানী দোহা থেকে মাত্র ১৮ কিলোমিটার দূরে সমুদ্রের একদম পাশেই অবস্থিত। এটি ২ হাজার ২০০ হেক্টর কিংবা ৫ হাজার ৫০০ একর জায়গাজুড়ে বিস্তৃত। ২০০৩ সালে বিমানবন্দর তৈরি করার পরিকল্পনা করা হয়। ২০০৫ সালে এর কাজ শুরু হয়। ২০০৯ সালে এয়ারপোর্টের কাজ শেষ করে চালুর কথা থাকলেও বেশ কিছু কারণে তা পিছিয়ে অবশেষে ২০১৪ সালের ৩০ এপ্রিল চালু করা হয়। পুরো এয়ারপোর্টের সব কার্যক্রম পরিচালনা করে কাতার এয়ারওয়েজ। বর্তমান বার্ষিক যাত্রী ধারণক্ষমতা ২ কোটি ৯০ লাখ। কর্তৃপক্ষ আশা করছে, বিমানবন্দরটি আরও আধুনিকায়ন করলে এই এয়ারপোর্টে প্রতি বছর ৩ লাখ ২০ হাজার বিমান ওঠানামা করতে পারবে। 

হামাদ ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টের দেওয়া তথ্যানুযায়ী গত ২০২৩ সালে বিমানবন্দরে মোট ৪ দশমিক ৫৯২ কোটি যাত্রী যাতায়াত করেন। একই সময়ে বিমান ওঠানামা করেছে ২৫ হাজার ৫৯টি এবং পণ্য বহন করেছে ২ দশমিক ৩৪১ মিলিয়ন টন। বিমানবন্দরটি তৈরি করতে কাতারের আল থানি সরকার প্রায় ১৭ বিলিয়নেরও বেশি অর্থ ব্যয় করেছে। ২০২৩ সালে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ প্রায় ৯০০ মিলিয়ন কোটি টাকার বেশি রাজস্ব অর্জন করে।

 

তারেক