অসংখ্য প্রাণ একাকিত্বে ছটপট করছে
সমন্বয়ের অভাবে হতে পারছে না পরস্পর।
মনোভূমির চরম খরা
জলাভূমি করতে পারে কেবল
ছোঁয়ার সংক্রমণ,
ঠোঁটের ড্রেন দিয়ে জ্বিহ্বার সেচ।
অসংখ্য প্রাণ একাকিত্বে ছটপট করছে
সমন্বয়ের অভাবে হতে পারছে না পরস্পর।
মনোভূমির চরম খরা
জলাভূমি করতে পারে কেবল
ছোঁয়ার সংক্রমণ,
ঠোঁটের ড্রেন দিয়ে জ্বিহ্বার সেচ।
ভেতরে বৃষ্টি- বাইরে তুমুল স্রোত
হাওয়াদের অটোক্র্যাটিক পাখনা ভাঙছে বাতাসে-
মৃত্যুর ভেতরে গান! উপড়ানো আঙুলের পাখনায়
ফুটছে পাখিদের জন্মোৎসব
মানুষ জেগে গেলে হাওয়ারা খুলে রাখে পায়ের পাতা
রক্তের ভেতরে দৌড়ে আসে জিজ্ঞাসাচিহ্ন-
মুক্তির করতলে ঘামের গ্রাফিতি-
বুক চেতিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা মুহূর্তেরা বারুদের ঘ্রাণে
একে যায় নতুন বাংলাদেশ।
কোনো একদিন কাদাময় পথে হাঁটতে গিয়ে
দু-এক ফোঁটা কাদা ছিটকে এসে বসে গেল বুকের ভেতর
সেই থেকে আমি ধোয়া-ধোয়া-ধোয়া
শত ধোয়ার তুলসীপাতা হতে চেয়ে
কতবার শ্রাবণের মেঘে দিয়েছি সাঁতার
কতবার সূর্যের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে
নিজেকে আমূল ঝল্সে নিয়েছি।
কষ্টি পাথর। আমার কষ্টি
এভাবে আর কতকাল নিজেকে পোড়ালে বলো
বিশুদ্ধ মানুষ হব আমি?...
হরিৎ প্রাচীরে লালচে-হলুদ ফুল
পাপড়ির ভাঁজে ঝলমলে দ্যুতি ছড়াচ্ছে,
রাজন্যের তাজ স্বরূপ সূবর্ণ তার কেশর সজ্জা
ডাল যেন মরকত মণি, পাংশুবর্ণ তার কায়া
নিজেতে মগ্ন পথিকে ভাবে অমূলক প্রহসন,
দূষিত নগরীর অভিমুখে রূপচর্চার আয়োজন
বৃক্ষকূলের পাতাঝরা এক অভিসম্পাত;
চারদিকে যেন ঝলসানো চৈত্রের খরা।
বিদেশিনী গুল্মের রঙ্গন সমাহারে নেই তৃষ্ণা
নিজের সৌন্দর্য বিলিয়ে দেয় অকপটে
মানুষের হৃদয়ে শুভ্রতা দিতে সে ছাড়িল কানন
লোকালয়ে এসে গড়েছে সে আশ্রয়,
রূপের লাবণ্যের গড়িমসি নেয় এক চিলতে
কল্পনায় সে কনক কিংবা কৃষ্ণচূড়ার সহোদরা!
খচিত সেই নগর রূপসীর নাম রাধাচূড়া।
কাগজের মলাটে
তোমার হৃদয়ের ভাঁজে-ভাঁজে
থাকে, অনাহত জীবন...
চোখের মাঝে রক্ত ঝরে
অঝোরে চারপাশে,
পৃথিবীর বুকে রক্তচোষা দেয়াল...
মাটির ফুল ফুটেছে
পরিত্যক্ত অট্টালিকায়
তোমাদের চোখের আড়ালে,
এই শহরের বুকে রেখে যায়
কত পদচিহ্ন...
নিজেরই অজান্তে।
জনাব,
আজ শুক্রবার, আমি তো ছুটিতে,
লইব সময় খানিক ঘুম থেকে উঠিতে!
আপনি কি জেগেছেন নাকি শয্যায়?
কীভাবে যে বলিব কিঞ্চিৎ লজ্জায়!
প্রাতঃকাজ সারিয়া একটু বেলায়
যখন বেরোবেন টানিতে বিড়িখানা,
মুঠোফোনে লইবেন খবর, ঘটিয়াছে কিছু কি-না!
না না তেমন তাড়া নেই, ধীরে লইলেই হইবে
যখন বিষয়টা সবাই সবিস্তারে কইবে!
চঞ্চল করিবেন না মন, কহিলাম বলে কথাটা
বুঝিবেন যেন, এটাই হলো সততা!
জ্ঞানীগুণীরা সবাই চলিয়াছে ধীরে
আমরা কেন হারাইয়া যাইব, বর্তমানের ভিড়ে?
যে বোঝে সে অপেক্ষা করিবে আমার মুখপানে
আমি যে অনন্য, গুণীমান্যিরা তা জানে!
আবারও বলি, ভাইসাব
সময় করিয়া যদি লইতেন খবর
সর্বজনের উপকার হইত জবর!