ঢাকা ১ আশ্বিন ১৪৩১, সোমবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪

ভিটেবাড়ি

প্রকাশ: ৩১ জুলাই ২০২৪, ০৪:০৪ পিএম
আপডেট: ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬:৫২ পিএম
ভিটেবাড়ি
অলংকরণ : মেহেদী হাসান

ভোলানাথের মৃত্যুর অল্প কিছুদিনের মধ্যে রবিনাথ সংসারটা গুছিয়ে ফেলল।

সবাই ভেবেছিল উরণচণ্ডী ছেলে তাই সংসারটা এবার উচ্ছনে যাবে। কিন্তু তা হয়নি। বরং জোয়ানমদ্দ রবি মাছের কারবারে কাজ করে বাপের চেয়ে এগিয়ে নিয়েছে সংসারটা। ভোলানাথের বয়স হয়েছিল। শরীরে গতি কমে এসেছিল। তাই ছোটাছুটি কম করতে পারত। মিয়ারা তাকে কম পয়সা দিত। এতে অবশ্য ভোলানাথের আফসোস ছিল না। 

তিন-চারজন মালিকের বহু পুরনো কর্মচারী সে। বিশ্বস্ত আর প্রভুভক্ত। পয়সা কম দিলেও ছুটিছাঁটা, চাকরির নিশ্চয়তা ছিল। সব মিলিয়ে চারটে ডালভাত ভগবান জুটিয়ে দিত এই কারবারের মধ্য দিয়ে। চৌদ্দ-পনেরো কিলোমিটারের মধ্যে চার চারটে জলকার দেখতে হতো তাকে।

চাকিলার বিল, গাড়াবাড়িয়ার বিল, দিননাথপুর বিল, হানুরবাড়াদি বিল- সবগুলো জলকারই ৫০ থেকে ৭০ বিঘা করে। এসব বিলের মাছের খাদ্য, পোনা সংগ্রহ, মাছ মারতে জেলেদের সাতে যোগাযোগ, মাছের রোগবালাই, রাতে নাইটগার্ডদের তদারকি সব করতে হতো ভোলানাথকে। গত ৩০ বছর ধরে এক হাতে এসব করছে ভোলানাথ। 

কিন্তু শেষদিকে বয়সের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে পারেনি। দুর্বল শরীর নিয়ে যেটুকু পারত করত। তার পর হুট করে একদিন বিছানায় পড়ে গেল লোকটা। 

হাত-পা, শরীর অবশ হয়ে এল। সবাই বলাবলি করতে লাগল অতিরিক্ত পরিশ্রম, রাতজাগা- এসবই তার অসুস্থতার কারণ। বেশিদিন রোগে ভোগেনি ভোলানাথ। জেলা সদরের হাসপাতালে ভর্তি হলো। সপ্তাহখানেক থাকল। ডাক্তার, টেস্ট, ওষুধ সবই করা হলো। 

একটু সুস্থ হলে বাড়ি আনা হলো। তার পর একদিন ভোরে মরাকান্না শোনা গেল ভোলানাথের বাড়ি থেকে। রাতে ঘুমের মধ্যে মৃত্যু হয়েছিল তার। ভোলানাথের স্ত্রীর আর্তনাদে সব জানা গেল। ঘরে জোয়ান ছেলে প প করে ঘুরে বেড়ায় বাপের কাজে লাগে না। তাই সবাই ছেলেকেই একপ্রকার দায়ী করল ভোলানাথের মৃত্যুতে।

রবিনাথকে কেউ বলে চালাক, কেউ বলে ধূর্ত। তবে বাবার মৃত্যুর পর তার আকস্মিক পরিবর্তন সবাইকে অবাক করে। মাছ কারবারিদের কাছ থেকে বাপের দায়িত্বটা পেয়েছে সে। দায়িত্বটা ঠিকঠাক মতো পালন করে। তাই মিয়ারা তাকে ভালোবাসে। অবশ্য রবিনাথও কম যায়নি। 

বাবার অনুপস্থিতি বুঝতে দেয়নি মিয়াদের। অল্পদিনেই একজন বিশ্বস্ত আর পরিশ্রমী কর্মচারী হিসেবে নিজেকে প্রমাণ করে। ভোলানাথের শ্রাদ্ধ করতে লোক খাওয়াতে যে খরচ হয়েছে তার প্রায় সবটাই দিয়েছে মিয়ারা। ভোলানাথের প্রতি তাদের গভীর ভালোবাসা সবাই বুঝতে পেরেছে। তাই ভোলানাথের ছেলে আর তার পরিবার কৃতজ্ঞ মিয়াদের ওপর।

রবিনাথের চারজনের সংসার। স্ত্রী, পুত্র, মা আর সে। মালোপাড়ার ৩৪ শতাংশ জায়গার ওপর তাদের ভিটেবাড়িটা লোভনীয় হয়ে উঠেছে। বড় রাস্তার ধারে আম, কাঁঠাল, লিচু গাছে ঘেরা বাড়িটা দারুণ মনোরম। এলাকার অনেক বিত্তশালী লোক তাকে বলে- এত বড় বাড়ি তুমি কী করবা? তার চেয়ে বরং কিছু জায়গা বিক্রি করে ব্যবসা কর। 

বাড়িও থাকল আর্থিক স্বচ্ছলতাও আসল। রবিনাথ মুখ টিপে হাসে। নিজে থেকে কিছু বলে না। তার সে হাসি বুদ্দিদীপ্ত না ধূর্তের তা বোঝা মুশকিল। খবরটা তার মায়ের কানেও আসে। মা ভিটেবাড়ি বিক্রি করতে বারণ করে। রবিনাথ মুখে কিছু বলে না। বাবার মৃত্যুর পর ছেলের পরিবর্তনে মা ভরসা রাখে ছেলের ওপর। ছেলে এমন অলুক্ষণে কাজ করবে না বলেই বিশ্বাস তার। 

দিন গড়িয়ে যায়। রবিনাথের মধ্যে পরিবর্তন আসে। চাকরির পাশাপাশি বাড়তি ব্যস্ততা দেখা যায় তার মাঝে। গত ছয় মাসে সে দুবার ইন্ডিয়া ঘুরে আসে। বিভিন্ন ধরনের লোক আসে বাড়ির ওপর। রবিনাথের সঙ্গে কথা বলে, বাড়িটা ঘুরে দেখে। মা রবিনাথকে প্রশ্ন করলে সে খেঁকিয়ে ওঠে। বলে এরা সব মাছের কারবারের লোক। 

মা আর কিছু বলে না। তবে বুঝতে পারে রবিনাথ তাকে কিছু লুকোচ্ছে। গোপনে ছেলের বউয়ের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। কিন্তু বউমা তেমন কোনো তথ্য তাকে দিতে পারে না। সেও রবিনাথের আচরণে রহস্য খুঁজে পায়। কিন্তু কী করছে রবিনাথ তা কেউ বুঝতে পারে না।

কিছুদিন যেতেই একদিন মাকে নিয়ে শহরে যায় রবিনাথ। একটি অফিসে যায় তারা যেখানে লোক গিজগিজ করছিল। মা মূর্খ মানুষ। পড়তে পারে না। তাই সাইনবোর্ডে খেখা অফিসের নাম বুঝল না। সেখানে তাকে দিয়ে রবিনাথ হাত দিয়ে ধরে নাম স্বাক্ষর করাল, টিপসই নিল। 

মা প্রশ্ন করতেই রবিনাথ বলল- ব্যাংক থেকে লোন নিচ্ছি তাই তোমার স্বাক্ষর লাগছে। ছেলের কথাই আশ্বস্ত হতে পারল না রবিনাথের মা। দুঃশ্চিন্তা আর অনিশ্চয়তার ছাপ পড়ল তার কপালে। মনের খচখচানিটা মনেই পুষে রাখলেন তিনি। স্বামীর কথা স্মরণ করে নীরবে চোখের পানি ফেললেন। ভাবলেন মানুষটার এমন আকস্মিক মৃত্যু না হলে বুঝি আজ এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হতো না। ভগবান অদৃষ্টে আর কী কী লিখে রেখেছে তা কে জানে! একটি অশুভ ভবিষ্যৎ যেন তাকে কামড়ে ধরল।

আরও কিছুদিন পর রবিনাথ ঘরের কিছু আসবাব বিক্রি করে দিল। স্ত্রী প্রশ্ন করায় সে বলল-‘ঘরে নতুন আসবাব আসবে তাই এগুলো বিক্রি করে দিচ্ছি। মেয়ে মানুষ বেশি বুঝতে নেই। চুপ করে থাক। সময় হলে সব বুঝবা’। রবিনাথের কথায় আর কাজে স্ত্রী মিল খুঁজে পেল না। সে বুঝতে পারছে ঘরবাড়ির প্রতি লোকটির মায়া কমে গেছে। কেমন যেন ঘোরের মধ্যে থাকে। সব কিছুতেই গা ছাড়া ভাব।

হঠাৎ একদিন রাত ১১টার দিকে বাড়ির সামনে একটা পুরনো ধাচের প্রাইভেট কার এসে থামল। মা আর স্ত্রীকে রবিনাথ বলল তোমরা দ্রুত ব্যাগ গুছিয়ে নাও। আমরা ঘুরতে যাব। স্ত্রী তো অবাক। ঘুমন্ত ছেলে। উনুনে রান্না। ঘর-গেরস্থালি অগোছাল। এমন অবস্থায় কিনা ঘুরতে যাবে। হ্যাঁ তাই- বলে নিজেই দুটি ব্যাগে জামা-কাপড় আর প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র গুছিয়ে নিল রবিনাথ।

তার পর রাত ১২টার পরে গাড়িতে চেপে বসল তারা। অমাবস্যার রাত। বাইরে ঘুটঘুটে অন্ধকার। রাস্তাঘাট ফাঁকা। কালো পিচঢালা পথে হেডলাইটের আলো ফেলে গাড়ি শা শা করে টান দিল। গাড়ির মধ্যে ভূতুরে নিস্তব্ধতা। ভীতসন্ত্রস্ত স্ত্রী আর মা নির্বাক হয়ে বসে রইল। নিকটস্থ বর্ডার এখান থেকে বাইশ কিলোমিটার। অল্প সময়ের মধ্যে তারা সেখানে এসে পৌঁছল।  
রাতের নির্জনতায় বর্ডার একেবারে নিস্তব্ধ। লোকজনের আনাগোনা নেই বললেই চলে। 

পরিবেশটা শব্দহীন হওয়াই ঝিঁঝিঁ পোকার ডাক কানে আসছে। দায়িত্বরত দুজন লোকের সঙ্গে একান্তে কথা বলল রবিনাথ। তাদের মধ্যে লেনদেন হলো। ব্যাগ চেক করে স্বাক্ষর নিয়ে তাদের ছেড়ে দিল তারা। লোক দুটি একগাল হেসে রবিনাথের গায়ে হাত দিয়ে উচ্ছ্বসিত হয়ে বিদায় দিল তাকে। লোকজন না থাকায় সবকিছু দ্রুত হয়ে গেল। তার পর বর্ডার পেরিয়ে ওপারের জওয়ানদের সঙ্গে কিছুক্ষণ দেন-দরবার করে ভ্যানে চেপে অন্ধকারে মিলিয়ে গেল পুরো পরিবারটি।

খবরটা আলোর গতিতে ছড়িয়ে পড়ল। সালিশ-দরবার, থানা-পুলিশ সবই হলো। কিন্তু কোনো লাভ হলো না। এতগুলো লোককে রবিনাথ বোকা বানাল অথচ তারা কিছুই বুঝতে পারল না। রাতের আঁধারে বর্ডার পেরিয়ে পালিয়ে গেল। ধরতে পারলে শালাকে জ্যান্ত পুঁতে ফেলত তারা। কিন্তু রবিনাথের টিকিটিও ছুতে পারল না কেউ।

তিন ব্যক্তির কাছ থেকে প্রায় ৩৫ লাখ টাকা নিয়েছে রবিনাথ। বাড়ি বিক্রির অগ্রীম হিসেবে তারা দিয়েছে টাকাগুলো। 

প্রত্যেককে অত্যন্ত গোপনীয়তা রক্ষা করতে বলেছে যেন কেউ না জানে। জানলে এত সস্তায় বাড়িসহ জায়গাটা পাবে না তারা। প্রভাবশালীরা এসে ঝামেলা করবে। যে জমির দাম ২ লাখ টাকা শতক সেই জমি পাচ্ছে ১ লাখ টাকা শতকে। সুতরাং চুপচাপ থাকাই যায়। গোপনীয়তার জন্যই এই ছাড়। 

কিন্তু চতুর্থ যে ব্যক্তিকে সে আর তার মা (না জেনে) জমিটা রেজিস্ট্রি করে দিয়েছে তার কাছ থেকে পেয়েছে দেড় লাখ টাকা শতক।  অর্থাৎ ৫০ লাখ টাকা। সব মিলিয়ে ৮৫ লাখ টাকা হুন্ডির মাধ্যমে গত ছয় মাসে পাচার করে সন্তর্পণে দেশ ছেড়ে পালিয়েছে রবিনাথ। 

ঘামের গ্রাফিতি

প্রকাশ: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:৩২ পিএম
আপডেট: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:৩৪ পিএম
ঘামের গ্রাফিতি

ভেতরে বৃষ্টি- বাইরে তুমুল স্রোত
হাওয়াদের অটোক্র্যাটিক পাখনা ভাঙছে বাতাসে-
মৃত্যুর ভেতরে গান! উপড়ানো আঙুলের পাখনায় 
ফুটছে পাখিদের জন্মোৎসব 

মানুষ জেগে গেলে হাওয়ারা খুলে রাখে পায়ের পাতা

রক্তের ভেতরে দৌড়ে আসে জিজ্ঞাসাচিহ্ন-
মুক্তির করতলে ঘামের গ্রাফিতি-
বুক চেতিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা মুহূর্তেরা বারুদের ঘ্রাণে
একে যায় নতুন বাংলাদেশ।

সংশোধন

প্রকাশ: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:৩১ পিএম
আপডেট: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:৩৪ পিএম
সংশোধন

কোনো একদিন কাদাময় পথে হাঁটতে গিয়ে
দু-এক ফোঁটা কাদা ছিটকে এসে বসে গেল বুকের ভেতর
সেই থেকে আমি ধোয়া-ধোয়া-ধোয়া
শত ধোয়ার তুলসীপাতা হতে চেয়ে
কতবার শ্রাবণের মেঘে দিয়েছি সাঁতার
কতবার সূর্যের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে
নিজেকে আমূল ঝল্সে নিয়েছি।

কষ্টি পাথর। আমার কষ্টি
এভাবে আর কতকাল নিজেকে পোড়ালে বলো
বিশুদ্ধ মানুষ হব আমি?...

রাধাচূড়া

প্রকাশ: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:৩০ পিএম
আপডেট: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:৩৪ পিএম
রাধাচূড়া

হরিৎ প্রাচীরে লালচে-হলুদ ফুল 
পাপড়ির ভাঁজে ঝলমলে দ্যুতি ছড়াচ্ছে, 
রাজন্যের তাজ স্বরূপ সূবর্ণ তার কেশর সজ্জা
ডাল যেন মরকত মণি, পাংশুবর্ণ তার কায়া
নিজেতে মগ্ন পথিকে ভাবে অমূলক প্রহসন,
দূষিত নগরীর অভিমুখে রূপচর্চার আয়োজন
বৃক্ষকূলের পাতাঝরা এক অভিসম্পাত; 
চারদিকে যেন ঝলসানো চৈত্রের খরা। 
বিদেশিনী গুল্মের রঙ্গন সমাহারে নেই তৃষ্ণা 
নিজের সৌন্দর্য বিলিয়ে দেয় অকপটে 
মানুষের হৃদয়ে শুভ্রতা দিতে সে ছাড়িল কানন 
লোকালয়ে এসে গড়েছে সে আশ্রয়,
রূপের লাবণ্যের গড়িমসি নেয় এক চিলতে
কল্পনায় সে কনক কিংবা কৃষ্ণচূড়ার সহোদরা! 
খচিত সেই নগর রূপসীর নাম রাধাচূড়া।

পদচিহ্ন

প্রকাশ: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:২৯ পিএম
আপডেট: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:৩৩ পিএম
পদচিহ্ন

কাগজের মলাটে
    তোমার হৃদয়ের ভাঁজে-ভাঁজে 
থাকে, অনাহত জীবন...

    চোখের মাঝে রক্ত ঝরে
অঝোরে চারপাশে,
     পৃথিবীর বুকে রক্তচোষা দেয়াল...

মাটির ফুল ফুটেছে 
     পরিত্যক্ত অট্টালিকায়
তোমাদের চোখের আড়ালে,
      এই শহরের বুকে রেখে যায়
 কত পদচিহ্ন...
        নিজেরই অজান্তে।

সম্বোধন

প্রকাশ: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:২৮ পিএম
আপডেট: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:৩৩ পিএম
সম্বোধন

জনাব,
আজ শুক্রবার, আমি তো ছুটিতে,
লইব সময় খানিক ঘুম থেকে উঠিতে!
আপনি কি জেগেছেন নাকি শয্যায়?
কীভাবে যে বলিব কিঞ্চিৎ লজ্জায়!
প্রাতঃকাজ সারিয়া একটু বেলায়
যখন বেরোবেন টানিতে বিড়িখানা,
মুঠোফোনে লইবেন খবর, ঘটিয়াছে কিছু কি-না!
না না তেমন তাড়া নেই, ধীরে লইলেই হইবে
যখন বিষয়টা সবাই সবিস্তারে কইবে!
চঞ্চল করিবেন না মন, কহিলাম বলে কথাটা
বুঝিবেন যেন, এটাই হলো সততা!
জ্ঞানীগুণীরা সবাই চলিয়াছে ধীরে
আমরা কেন হারাইয়া যাইব, বর্তমানের ভিড়ে?
যে বোঝে সে অপেক্ষা করিবে আমার মুখপানে
আমি যে অনন্য, গুণীমান্যিরা তা জানে!
আবারও বলি, ভাইসাব
সময় করিয়া যদি লইতেন খবর
সর্বজনের উপকার হইত জবর!