শতদলে দুই পাতা- মানবজীবনের অনন্য এক প্রতিচ্ছবি
এ জগৎ সৃষ্টি রহসাবৃত্ত নাটকীয় দুর্বোধ্য
কবিতার মতো মানবজীবন-ছায়ার পেছনে প্রচ্ছায়ার মতো
ঋজু শব্দলংকারের গহিনান্তরেও দুর্ভেদ্য এক প্রাচীর।
জীবনের বাঁকে বাঁকে ঘটে যায় বহুমাত্রিক এপিসোড,
সবই ক্ষণিক স্মৃতি জীবনের বাঁকে বাঁকে
কে-ই বা কাকে আর সত্যিকার মনে রাখে?
তবুও অন্যের মনে অন্তরীণ মানুষ- এই তো মানবজীবন!
এ জীবন অনবদ্য কারিগরের নান্দনিক সৃষ্টির সুনিপুণ দৃষ্টান্ত।
ধূলিকণা সঞ্চারিত প্রাণ, মিশে যায় একদিন ধূলি-ধূসরিত পথে-প্রান্তে
কী এক আকাশচুম্বী স্বপ্নের বিফল করুণ পতন! এই তো জীবন!!
লাল-নীল সাদা-কালো গোলাপ-হলুদে
শতরঙে রঞ্জিত মায়ার জীবন বৈচিত্র্যময় শতদল যেন-
সে ফুলে সাপ আসে অভিশাপ হয়ে- দংশন প্রত্যাশায়
মহুয়া উড়ে আসে শেফারূপ মধুসঞ্চয়ে-
এ ভুবন মধুময় করার দারুণ অভিপ্রায় তাদের
শাপে-অভিশাপে প্রেমহীন জীবন হিংস্র-ইতর চরম পাশবিক
দুরাত্মার এই বেহিসেবি স্বার্থপর অন্ধ মানুষ ছায়াশীল বটবৃক্ষ
নিধন করে অনায়াসেই- এদের কারও বাড়ির খতিয়ান নেই।
তটিনীর জলকে অপত্যপ্রেমে ঘিরে রাখে কূল
অথচ সেই জলই একদিন কূল ভেঙে দেয়
দলিলহীন এই দালালেরা হৃদয়ের মাঝে বসেই হৃদয় ভেঙে দেয়
কাচের মতো; অলিন্দ-নিলয় করে নিঃশেষ।
কূলহীন জলের প্রেম নকল; প্রেমহীন মন নির্বোধ, বিকল
স্ফূলিঙ্গ প্রেম শতধারায় বিকশিত করাই জীবন
পৃথিবীর সব রং সব বাতি নিমিষেই নিলীন
একটি শতদলের রূপের এক ঝলকেই-
দুটি চোখের দুই পাতা চেয়ে থাকে এক পলকেই
শতদল জীবন সুখ-দুঃখ রেখে ধরাতে
যেতে হবে ওপারেই
আজ কিংবা কালকেই।