ঢাকা ১ আশ্বিন ১৪৩১, সোমবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪

শতদলে দুই পাতা

প্রকাশ: ০৯ আগস্ট ২০২৪, ০২:২৫ পিএম
আপডেট: ০৯ আগস্ট ২০২৪, ০২:২৫ পিএম
শতদলে দুই পাতা

শতদলে দুই পাতা- মানবজীবনের অনন্য এক প্রতিচ্ছবি
এ জগৎ সৃষ্টি রহসাবৃত্ত নাটকীয় দুর্বোধ্য  
কবিতার মতো মানবজীবন-ছায়ার পেছনে প্রচ্ছায়ার মতো 
ঋজু শব্দলংকারের গহিনান্তরেও দুর্ভেদ্য এক প্রাচীর।
জীবনের বাঁকে বাঁকে ঘটে যায় বহুমাত্রিক এপিসোড, 
সবই ক্ষণিক স্মৃতি জীবনের বাঁকে বাঁকে
কে-ই বা কাকে আর সত্যিকার মনে রাখে?
তবুও অন্যের মনে অন্তরীণ মানুষ- এই তো মানবজীবন!
এ জীবন অনবদ্য কারিগরের নান্দনিক সৃষ্টির সুনিপুণ দৃষ্টান্ত।
ধূলিকণা সঞ্চারিত প্রাণ, মিশে যায় একদিন ধূলি-ধূসরিত পথে-প্রান্তে
কী এক আকাশচুম্বী স্বপ্নের বিফল করুণ পতন! এই তো জীবন!!
লাল-নীল সাদা-কালো গোলাপ-হলুদে
শতরঙে রঞ্জিত মায়ার জীবন বৈচিত্র্যময় শতদল যেন-
সে ফুলে সাপ আসে অভিশাপ হয়ে- দংশন প্রত্যাশায়
মহুয়া উড়ে আসে শেফারূপ মধুসঞ্চয়ে-
এ ভুবন মধুময় করার দারুণ অভিপ্রায় তাদের
শাপে-অভিশাপে প্রেমহীন জীবন হিংস্র-ইতর চরম পাশবিক
দুরাত্মার এই বেহিসেবি স্বার্থপর অন্ধ মানুষ ছায়াশীল বটবৃক্ষ
নিধন করে অনায়াসেই- এদের কারও বাড়ির খতিয়ান নেই।
তটিনীর জলকে অপত্যপ্রেমে ঘিরে রাখে কূল
অথচ সেই জলই একদিন কূল ভেঙে দেয়
দলিলহীন এই দালালেরা হৃদয়ের মাঝে বসেই হৃদয় ভেঙে দেয়
কাচের মতো; অলিন্দ-নিলয় করে নিঃশেষ।
কূলহীন জলের প্রেম নকল; প্রেমহীন মন নির্বোধ, বিকল
স্ফূলিঙ্গ প্রেম শতধারায় বিকশিত করাই জীবন
পৃথিবীর সব রং সব বাতি নিমিষেই নিলীন
একটি শতদলের রূপের এক ঝলকেই-
দুটি চোখের দুই পাতা চেয়ে থাকে এক পলকেই
শতদল জীবন সুখ-দুঃখ রেখে ধরাতে 
                  যেতে হবে ওপারেই
                  আজ কিংবা কালকেই।

ঘামের গ্রাফিতি

প্রকাশ: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:৩২ পিএম
আপডেট: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:৩৪ পিএম
ঘামের গ্রাফিতি

ভেতরে বৃষ্টি- বাইরে তুমুল স্রোত
হাওয়াদের অটোক্র্যাটিক পাখনা ভাঙছে বাতাসে-
মৃত্যুর ভেতরে গান! উপড়ানো আঙুলের পাখনায় 
ফুটছে পাখিদের জন্মোৎসব 

মানুষ জেগে গেলে হাওয়ারা খুলে রাখে পায়ের পাতা

রক্তের ভেতরে দৌড়ে আসে জিজ্ঞাসাচিহ্ন-
মুক্তির করতলে ঘামের গ্রাফিতি-
বুক চেতিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা মুহূর্তেরা বারুদের ঘ্রাণে
একে যায় নতুন বাংলাদেশ।

সংশোধন

প্রকাশ: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:৩১ পিএম
আপডেট: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:৩৪ পিএম
সংশোধন

কোনো একদিন কাদাময় পথে হাঁটতে গিয়ে
দু-এক ফোঁটা কাদা ছিটকে এসে বসে গেল বুকের ভেতর
সেই থেকে আমি ধোয়া-ধোয়া-ধোয়া
শত ধোয়ার তুলসীপাতা হতে চেয়ে
কতবার শ্রাবণের মেঘে দিয়েছি সাঁতার
কতবার সূর্যের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে
নিজেকে আমূল ঝল্সে নিয়েছি।

কষ্টি পাথর। আমার কষ্টি
এভাবে আর কতকাল নিজেকে পোড়ালে বলো
বিশুদ্ধ মানুষ হব আমি?...

রাধাচূড়া

প্রকাশ: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:৩০ পিএম
আপডেট: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:৩৪ পিএম
রাধাচূড়া

হরিৎ প্রাচীরে লালচে-হলুদ ফুল 
পাপড়ির ভাঁজে ঝলমলে দ্যুতি ছড়াচ্ছে, 
রাজন্যের তাজ স্বরূপ সূবর্ণ তার কেশর সজ্জা
ডাল যেন মরকত মণি, পাংশুবর্ণ তার কায়া
নিজেতে মগ্ন পথিকে ভাবে অমূলক প্রহসন,
দূষিত নগরীর অভিমুখে রূপচর্চার আয়োজন
বৃক্ষকূলের পাতাঝরা এক অভিসম্পাত; 
চারদিকে যেন ঝলসানো চৈত্রের খরা। 
বিদেশিনী গুল্মের রঙ্গন সমাহারে নেই তৃষ্ণা 
নিজের সৌন্দর্য বিলিয়ে দেয় অকপটে 
মানুষের হৃদয়ে শুভ্রতা দিতে সে ছাড়িল কানন 
লোকালয়ে এসে গড়েছে সে আশ্রয়,
রূপের লাবণ্যের গড়িমসি নেয় এক চিলতে
কল্পনায় সে কনক কিংবা কৃষ্ণচূড়ার সহোদরা! 
খচিত সেই নগর রূপসীর নাম রাধাচূড়া।

পদচিহ্ন

প্রকাশ: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:২৯ পিএম
আপডেট: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:৩৩ পিএম
পদচিহ্ন

কাগজের মলাটে
    তোমার হৃদয়ের ভাঁজে-ভাঁজে 
থাকে, অনাহত জীবন...

    চোখের মাঝে রক্ত ঝরে
অঝোরে চারপাশে,
     পৃথিবীর বুকে রক্তচোষা দেয়াল...

মাটির ফুল ফুটেছে 
     পরিত্যক্ত অট্টালিকায়
তোমাদের চোখের আড়ালে,
      এই শহরের বুকে রেখে যায়
 কত পদচিহ্ন...
        নিজেরই অজান্তে।

সম্বোধন

প্রকাশ: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:২৮ পিএম
আপডেট: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:৩৩ পিএম
সম্বোধন

জনাব,
আজ শুক্রবার, আমি তো ছুটিতে,
লইব সময় খানিক ঘুম থেকে উঠিতে!
আপনি কি জেগেছেন নাকি শয্যায়?
কীভাবে যে বলিব কিঞ্চিৎ লজ্জায়!
প্রাতঃকাজ সারিয়া একটু বেলায়
যখন বেরোবেন টানিতে বিড়িখানা,
মুঠোফোনে লইবেন খবর, ঘটিয়াছে কিছু কি-না!
না না তেমন তাড়া নেই, ধীরে লইলেই হইবে
যখন বিষয়টা সবাই সবিস্তারে কইবে!
চঞ্চল করিবেন না মন, কহিলাম বলে কথাটা
বুঝিবেন যেন, এটাই হলো সততা!
জ্ঞানীগুণীরা সবাই চলিয়াছে ধীরে
আমরা কেন হারাইয়া যাইব, বর্তমানের ভিড়ে?
যে বোঝে সে অপেক্ষা করিবে আমার মুখপানে
আমি যে অনন্য, গুণীমান্যিরা তা জানে!
আবারও বলি, ভাইসাব
সময় করিয়া যদি লইতেন খবর
সর্বজনের উপকার হইত জবর!