ফাবিহা ডিসকভারিতে ওয়াইল্ডলাইফ-বিষয়ক একটি প্রোগ্রাম দেখছিল, চ্যানেলে বিজ্ঞাপন বিরতি আসতে টিভিটা মিউট করে সে হেঁশেলে এলো। উদ্দেশ্য, কাজের মেয়েটার রান্নার খোঁজ করা। ডালিয়া নিবিষ্টমনে আনাজ কুটছে। এখন নিদাঘকাল যেহেতু, উনুনের আঁচে মেয়েটার থুতনি, নাক আর কপালে বিন্দু-বিন্দু ঘাম জমেছে। গরম থেকে কতকটা স্বস্তি পেতে ডালিয়া শাড়ির আঁচলটা নামিয়ে রেখেছে কোলের উপর।
গৃহকর্ত্রীর উপস্থিতি টের পেতে ডালিয়া একবার মুখ তুলে তাকাল; মুখে মোনালিসার হাসি ফোটাল; তারপর বলল, খালা, কালকের ঝিঙের সালুনটা কী করব? ফাবিহা জবাবে বলল, ওগুলো তুই নিয়ে যাস। ডালিয়া আবার বলল, রুইমাছ রইয়া গেছে দুই-পিচ, ওইদুটা? ফাবিহা বলল, ও-দুটোও তুই নিয়ে যাস। ডালিয়াকে দেখে মনে হলো, ফাবিহার এমন জবাব তার অপ্রত্যাশিত ছিল না। তবু তার মুখে কৃতার্থভাব ফুটল। পরে পুনরায় তরকারি কুটায় মন দিল সে।
ফাবিহা ফিরে আসতে গিয়ে দৈবাৎ দাঁড়িয়ে পড়ল। অনিচ্ছাতেও তার আঁখিযুগল একবার ডালিয়ার কম্পমান সুগোল বুকজোড়া টেনে নিল। পাকা তালের মতো রসে টইটুম্বুর বুক এ মেয়ের! শাড়ির পর্দা সরে যেতে ডালিয়ার পীনোদ্ধত স্তনদুটো যেন ছিনাল নারীর মতো ঢলোঢলো মেজাজে হাসছে। ফাবিহা নিশ্চিত, এমন নিটোল বুক সে তার জন্মে খুব বেশি দেখেনি! তদুপরি ডালিয়ার স্বাস্থ্যখানাও মোহনীয়। ফাবিহার সহসা মনে হলো, ডালিয়ার শরীরকে যদি সুরাপাত্র ভাবা যায়, ডালিয়ার বুকজোড়া নির্ঘাত তার বরফকুচি।
ফাবিহা পলকের জন্য ভাবল, ডালিয়াকে বুকের উপর আঁচল টেনে নিতে বলে। পরে মনে পড়ল, বাসায় এখন তারা দুজন বই আর কেউ নেই। অবশ্য এও সত্যি যে, পুরুষগুলো জাহান্নামে যাক, ফাবিহার নিজেরই এখন প্রবল ইচ্ছে হচ্ছে, ডালিয়ার ওই দুরন্ত বুকদুটোয় একবার হাত রাখে। ফাবিহা মনে মনে বলল, কোনো মেয়ের এতটা সুন্দর বুক হওয়া ভালো নয়; ডালিয়ার মতো মেয়েদের তো নয়ইÑসে তো আর সিনেমার নায়িকা হতে যাচ্ছে না।
ফাবিহা আজ আবারও ভাবল, সজীবের যদি আরেকটু বেশি সময় বাসায় কাটানোর জো থাকত, সে বোধহয় ডালিয়াকে এভাবে বাসার কাজে রাখতে ভরসা করত না। এমনটা মনে আসতে মনখারাপও হলো; কিন্তু সে নিরুপায়-নিরালম্ব। কারণ সে দেখেছে, পুরুষমাত্রই নারীদেহ তাকে টানে, আর সে নারী যদি পর-নারী হয় তো কথাই নেই। পেঁচারা নাকি একগামী হয়, এবং জোড়ার প্রতি আমৃত্যু বিশ্বস্ত থাকে। ইস, পুরুষ জাতটারও যদি এ মতি হতো! আচ্ছা, ঘরের নারীরা যে তাদের নিয়ে অনুক্ষণ সংশয়ে ভোগে, পুরুষেরা এ নিয়ে কী ভাবে? না, সজীবকে এ নিয়ে কখনো প্রশ্ন করা হয়নি ফাবিহার।
ফাবিহা তার একাদশ-পড়–য়া ছেলে পলক বাসায় থাকলেও ডালিয়াকে নিয়ে তটস্থ থাকেÑডালিয়াকে বি¯্রস্তবসন হতে দেখলেই কৌশলে সতর্ক করে। এমন অবস্থায় ডালিয়া এক-একবার বলে ওঠে, খালা, গরম লাইগতাছে কিন্তু। বাসায় পুরুষ তো কেউ নাই। ডালিয়া কেন জানি সতেরোর পলককে এখনো পুরুষজ্ঞান করে না। ফাবিহার এক-একদিন ইচ্ছে হয়, ডালিয়ার এ ভুল ভাঙিয়ে দেয়। আবার পরক্ষণে ভয়ও হয়, প্রত্যুত্তরে মেয়েটা কী-না-কী জবাব করে!
ফাবিহার এ বাসায় আজ ঠিক একবছর পূর্ণ হয়েছে। সে হিসেবে ডালিয়ারও এ বাসায় একবছর পূর্ণ হলো আজ। ফাবিহা ভেবেছিল, ডালিয়াকে সে আজকের জন্য কাজ থেকে রেহাই দেবে, আর পুরো সময়টায় সে ডালিয়ার সঙ্গে বসে গল্প করবে। এ কমাসে এটুকু ভালোবাসা পাওয়ার অধিকার মেয়েটার হয়েছে বইকি। একটা মেয়ে যে কি-না একটা বছর ধরে তার বাসায় কাজ করছে, ফাবিহা তার সম্পর্কে সে-রকম কিছুই জানে না, কে বিশ্বাস করবে!
এমনটা ভেবে ডালিয়া আজ কাজে আসতে ফাবিহা ডালিয়াকে বলেছিল, শোন, তোর আজ কোনো কাজ করতে হবে না। আয়, এখানটায় বস! আজ কেবল তোর গল্প শুনব। ডালিয়া তখনি চোখ কপালে তুলে বলেছিল, খালা, আমার কি কুনু দোষ হইছে? নয়, কাম করতে মানা করেন ক্যান! ফাবিহা কোনোভাবেই তার ব্যাপারটা ডালিয়াকে বুঝাতে পারল না। ডালিয়ার ওই এককথা, তার মতো গরিব মানুষের কোনো গল্প থাকে না।
ফাবিহার মনে আছে, এ বাসার কেয়ারটেকারই তাকে ডালিয়ার খোঁজ দিয়েছিল; বলেছিল, আপা, আপনে যেমন মাইয়া চাইতাছেন, এই মাইয়াটা তেমনই। সাফসুফ মাইয়া। কামেও তাড়াহুড়া করে না। একটাই দোষ, কথা একটু বেশি কয়।
কেয়ারটেকার পুরোপুরি না হলেও অনেকখানি সত্য বলেছে। ডালিয়া যথার্থই গোছালো-পরিচ্ছন্ন মেয়ে। অন্যের ঘরের কাজকেও সে নিজের ঘরের কাজের মতো করেই মনপ্রাণ ঢেলে সামলায়। এখনকার কাজের মেয়েদের বেলায় যা প্রায় বিরল গুণ। ডালিয়ার বাচাল-স্বভাব সেভাবে চোখে পড়েনি ফাবিহার। বরং ডালিয়ার অন্য একটা স্বভাব ফাবিহাকে খানিকটা অস্বস্তি দেয়, মেয়েটা শরীর-সচেতন নয়। অথচ মেয়েদের শরীর-সচেতন না হলে চলে না। সে তো আর এমন নারী নয় যে, যার শরীর জরাগ্রস্ত, আর বুক হয়ে পড়েছে কিশমিশের মতো চিমসে। কে জানে, ডালিয়া হয়তো এমন ভাবে, মাইনষের ত আর খায়া-দায়া কাম নাই যে আমার মতন একটা গরিব মাইয়ার শইল দেখতে পেছন লইব। বিশ্বাস নেই ডালিয়াকে; এমনটা ভাবলেও ভাবতে পারে। ডালিয়ার বোধহয় জানা নেই, যে মানুষের শরীর দরকার, তার শরীরই দরকার; সে শরীর ধনীর না নির্ধনের, সে শরীর কৃষ্ণ না ধবল, সে শরীর ঘরের না পরেরÑএসবের ভাবনা তাকে ভাবায় না।
আচ্ছা, ডালিয়ার কত বয়স হবে? খুবজোর বাইশ-তেইশ। বিশ-একুশও হতে পারে। ফাবিহা একবার জিজ্ঞেস করেছিল। ডালিয়া অনুমতিভাবেই বলেছে, সত্যই মনে নাই খালা।
এমন অল্প বয়সেই ডালিয়া কিন্তু বিবাহিত একজন; বছর-দুয়েক বয়সের তার একটা বাচ্চাও রয়েছে। অবশ্য কাজে বেরোতে ডালিয়া কখনো বাচ্চাকে সঙ্গে নেয় না বলে আজতক ডালিয়ার বাচ্চাকে একনজর দেখা হয়নি ফাবিহার। ডালিয়ার স্পষ্ট কথা, ছোড বাচ্চা নিয়া কাম করণ যায় না।
এটা মিথ্যে নয় যে, ডালিয়ার শরীর এক-একবার ফাবিহার মনেও ঈর্ষা জাগায়। ফাবিহা জানে, তাদের দুজনকে পাশাপাশি দাঁড় করিয়ে দিলে কেউ ডালিয়াকে ফেলে তার দিকে ফিরে তাকাবে না। কী করে ডালিয়া এমন সুন্দর শরীর সুন্দর বুক তৈরি করল, কে জানে! অথচ মেয়েটা শরীর নিয়ে কতই-না অসচেতন। তুলনায় ফাবিহা তার শরীরকে আজন্ম ভালোবাসা দিয়ে এসেছে; যতেœ রেখেছে, আরামে-আদরে রেখেছেÑসে তুলনায় তার শরীর সাড়া দিয়েছে সামান্য। কিছু কিছু ব্যাপারে প্রকৃতির ভাব বুঝা মুশকিল। নয় ডালিয়ার এই অযতেœর শরীর কেন এমন মায়াকাড়া আর নয়নভোলানো হবে!
ফাবিহাকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে ডালিয়া আরেকবার মুখে তুলে বলল, খালা, কিছু কি কইবেন?
ফাবিহা চট করে কথা খুঁজে না পেয়ে বলে উঠল, ভাবছি যে তোর কাছ থেকে রান্নাটা একটু-আধটু শিখে নেবো। শেখাবি নাকি?
ডালিয়া গালভর্তি হেসে বলল, খালায় যে কী কন না-কন!
এখন খোশগল্প আরম্ভ করলে ডালিয়ার কাজে ব্যাঘাত হবে ভেবে ফাবিহা টিভিরুমে ফিরে এলো।
দুই.
ডালিয়া কাজ শেষে যখন বেরিয়ে যাবে ফাবিহা ডেকে বলল, ডালিয়া, তোর কি তাড়া আছে?
কন যে কী করতে হইব।
কোনো কাজ নয়। আজ তোর সাথে একটু গল্প করতে ইচ্ছে করছে।
ধক করে উঠল ফাবিহার ভেতরটায়। বুকের অন্দরে সাইরেন বাজছে শুনতে পেল। ইতস্তত মুখ করে ডালিয়া কোনোরকমে বলল, বসতে কন যদি বসবার পারি। তয় কইলাম, আমার কিন্তু কোনো গল্প নাই।
ফাবিহা আলটপকা হেসে উঠে বলল, তোর কোনো গল্প নেই, এ কী রকম কথা! যে মানুষ বলে তার কোনো গল্প নেই, ওই মানুষটারই আসলে বলবার গল্প থাকে বেশি। অল্পের জন্য থেমে পুনশ্চ বলল, মনে হচ্ছে কিছুর তাড়া আছে তোর। ঠিক আছে, এখন যা তবে তুই। অন্যদিন করব তোর সাথে গল্প।
তিন.
ডালিয়া রাস্তায় নেমে এসে একবার পেছন ফিরে তাকাল। না, ফাবিহার টিকিটি নেই জানালা কিংবা ব্যালকনিতে। এতক্ষণে যেন দম ফেলল ডালিয়া। ফাবিহার আচরণ তাকে আজ ভালোরকম ধাঁধায় ফেলে দিয়েছে। মানুষটা কেন আজ বারবার করে তার গল্প শুনতে চাইছিল, কে জানে! মানুষটা কি তার সম্পর্কে কোথাও থেকে কিছু জানতে পেরেছে? অজানা আশঙ্কায় ডালিয়ার হাত-পা জমে আসতে চাইছে।
হ্যাঁ, ডালিয়ার ভেতর ঢের গল্প জমা আছে। কিন্তু কেবল ডালিয়া জানে, এ এমন গল্প, যা কাউকে শোনাবার মতো নয়।
ফাবিহার কাছে মিথ্যে বলে ডালিয়ার এখন কষ্ট হচ্ছে। মানুষটা তার প্রতি সমব্যথী-দরদি। তার শুভাকাক্সক্ষী একজনের সঙ্গে এভাবে কপটতা করা কি তার উচিত হলো? কিন্তু এখানটায় মিথ্যে না বলে ডালিয়ার উপায়ই-বা কী ছিল! ডালিয়া যদি তার গল্পগুলো শুনাতে যেতো, এসব গল্প সে যতই রেখেঢেকে করুক, ঝাড়পোঁছ করে যা বলা হবে তাতেও তার সর্বনাশের একশেষ হতো। চট করে তার এ বাসায় কাজটা হাতছাড়া গেলে সে নিদারুণ অসুবিধেয় পড়ে যাবে। বাঁচবার জন্য মানুষ কত কী অন্যায় কাজ করে; ডালিয়া নয় খানিকটা মিথ্যের আশ্রয় নিল। কেবল মিথ্যে করে বলল যে তার জীবনে কোনো গল্প নেই।
একদিক থেকে অবশ্য বলতে গেলে ডালিয়ার জীবনে কোনো গল্প নেইও। যেনতেন আজেবাজে কিছু ঘটনা-দুর্ঘটনাকে কি গল্প বলা যায়? ডালিয়া ভেবে দেখল, গল্পের সংজ্ঞাটা তার কাছে আদতেই পরিষ্কার নয়।
চার.
ডালিয়া তার জন্ম থেকে দেখে এসেছে, তাদের পরিবারটা দীনহীন, অসচ্ছল। তার বাবা সংসারের ঘানি টানতে টানতে জেরবার, পরিশ্রান্ত। সংসার নামক তরীটাকে নিয়ে কোনোভাবেই যেন কূল খুঁজে পাচ্ছিল না বাবা!
সংসারটাকে এমন মাঝ দরিয়ায় রেখে বছর-আড়াই পূর্বে বাবা হুট করে একদিন দেহ রাখল। মৃত্যুতে মানুষটা বেঁচে গেলেও ডালিয়ারা পড়ে গেল আরও গভীর পাঁকে। বাস্তবতার করাল থাবার কাছে মানুষের নিরেট শোকভাবনাও মার খেয়ে যায়। স্বামীর মৃত্যুর মাস-দুই না হতে দ্বিতীয় একটা হাতে পুনরায় নিজের কাহিল হাতটা সঁপে দিল ডালিয়ার মা। খুবসম্ভব, মানুষমাত্রই প্রাণটা আকুলিবিকুলি করে আরেকটু বেশিদিন বাঁচতে।
এর মাঝে ডালিয়া সবিস্ময়ে লক্ষ করল, মায়ের এই দ্বিতীয় মানুষটা দেখতে শক্তপোক্ত, সুঠামদেহী; বয়সেও মায়ের চেয়ে আট-দশ বছরের ছোট হবে। লোকটা কী ভেবে মায়ের মতো বেহাল দশার জীর্ণ শরীরের একজনকে বিয়েতে রাজি হলো, ভেবে থই পাচ্ছিল না ডালিয়া।
না, ডালিয়াকে এ প্রশ্নের উত্তর পেতে খুব বেশিদিন অপেক্ষা করতে হলো না। ডালিয়ার হয়তো এখানে করার ছিল অনেক কিছুই, কিংবা কিছুই করার হয়তো ছিল না। মা একদিন কী করে যেন সেসব টের পেয়ে গেল। সেদিন শেষরাতের দিকে ডালিয়াকে ঘুম থেকে জাগিয়ে মা যুগপৎ অনুচ্চ ও দড়গলায় বলল, রাইত পোয়াবার আগেই যেইদিকে দুইচখ যায় বাইর হইয়া যাবি, নয় তর গলায় আমি ছুরি চালামু।
যার কিছু থাকে না, কেউ থাকে না, তারও ঠাঁই হয় কোথাও না কোথাও। ডালিয়ার ঠাঁই হলো শহরের এক বস্তিতে। কদিনেই পড়শি এক মহিলার সঙ্গে খালার সম্পর্ক পাতিয়ে ফেলল। বাচ্চাদের কাছে অশরীরী কিছুর গল্প ফাঁদার মতো পাতানো খালার কাছে পেটের বাচ্চাটার ব্যাপারে আজগুবি সব গল্প করল ডালিয়া। খালা গল্পগুলো কৌতূহল নিয়ে শুনল; কোনো প্রশ্ন করল না। যথাসময়ে ডালিয়ার পেটের বাচ্চাটা জন্ম নিল। বাচ্চাকে একনজর দেখেই চমকে উঠেছিল ডালিয়া, হা খোদা, বাচ্চাটা যার আদল পেল, সে কী করে এ বাচ্চাকে লোকসম্মুখে বের করবে!
বাচ্চার মুখ দেখে ডালিয়াকে বিবশ হয়ে পড়তে দেখে পাতানো খালা উপদেশের ঢঙে বলেছিল, হতচ্ছাড়ি শোন, তোর সেই গোপন কুঠুরিগুলোয় এবার জন্মের তরে তালা ঝুলিয়ে দেয়। দেখবি অনেক হালকা হয়ে গেছিস। মনে রাখিস, এ দুনিয়াতে যত মানুষ দেখছিস, সবাই এভাবেই বেঁচে আছে।
এ মহিলা মাঝেমাঝেই এমন গুরুপাকের কথা বলে, যার অধিকাংশই ডালিয়া ধরতে পারে না। এটাও পারেনি। তাই নিরুত্তর ছিল।
যা হোক, ডালিয়া নিশ্চিত নয়, এভাবে মিথ্যের উপর নির্মিত সৌধ কতদিন টেকসই হয়। কিন্তু এখানে কী-ইবা সে করতে পারে, প্রতীক্ষার প্রহর গোনা ছাড়া।