অলংকরণ: মেহেদী হাসান
ফেরারি নারী
মোহামেদ সাইফুল হাসান
কৃত্তিকা তারার আবির্ভাব হেমন্তের পশ্চিমাকাশে
মৃদুমন্দ শীত নীরবতার গহিন অন্ধ রাতে,
বাঁশির সকরুণ আওয়াজ বাউল গানের সুরে
টিনের চালে বেদনাতুর শিশির ঝরার শব্দ
ছাতিমের গন্ধে অতীতের উঁকি তৃষিত অন্তরে,
পুরো একটি বছরের দূরত্ব, হলো দেড় কোটি সমান
অতিথি পাখিরাও চলে এল আপন দেশ ছেড়ে
শুধু ফেরারিদের ফিরে আসার নাম নেই!
শক্তি
রজব বকশী
প্রতিটি মানুষ এক একটি প্রদীপ
হোক না সে অন্ধ কিংবা অন্ধকারে একা
তথাপি জ্বলতে থাকে
দৃশ্য-দৃশ্যান্তর
এই শক্তির প্রাচীন ব্যবহারে পড়ে থাকে কেউ
কেউবা নতুন করে পথ খুঁজে ফেরে
কেবলি নিজের জন্য নয়
সামগ্রিক চৈতন্যের বিদ্যুৎপ্রবাহ নিয়ে ভাবতে শেখায়
এই জেগে থাকা আর জাগানোর গান
আপন সত্তায় প্রতিস্থাপনের টেকনিক স্বপ্ন টাওয়ার
অন্যরকম বোধের আকরিক সংকেত পাঠায়
মানবিক মূল্যবোধে মেধা প্রতিভার এক একটি নক্ষত্র
এই সভ্যতার আলোকিত মনিটরে ভেসে ওঠে
ভাঙাগড়ার ভেতর দিয়ে যে পাওয়াগুলো জয়ধ্বনি করে
সেই আলোয় নিজেকে নতবৃক্ষ হতে দেখা যায়
তারই ইতিহাস পাঠে মনোযোগী আমাদের সময়ের ঢেউ
ক্লিওপেট্রার রোমাঞ্চকর প্রেম
সাগর আহমেদ
ক্লিওপেট্রার হাতে সোমরসে শরাব পাত্র
গলায় প্যাঁচানো সদন্তে সাপ,
তার খিলখিল হাসিতে ছলনার রং
দেশ, মহাদেশ পেরিয়ে জুলিয়াস সিজার
পেল তবে পাপ?
এল গৃহযুদ্ধ, এল বিদেশি শক্তি, বিশ্বাসঘাতকতা
হারেমের দেয়ালে তবু প্রেম আলপনা,
ক্লিওপেট্রার এক হাতে প্রেম, অন্য হাতে যুদ্ধ
ফণীমনসার রাতে দারুণ উন্মাদনা।
প্রেম, বিরহ, ছলনায় ক্লিওপেট্রা, জুলিয়াস সিজার
স্থিত যুগে যুগে,
সে এক রোমাঞ্চ কাব্য
উন্মাতাল সর্বগ্রাসী যৌবন সম্ভোগে।