ঢাকা ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪
English
বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

জীবন জয়ের গল্প নিয়ে বই ‘সব সম্ভব’, তারুণ্যে বদলাবে বাংলাদেশ

প্রকাশ: ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ১১:৫২ পিএম
আপডেট: ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ১১:৫৪ পিএম
‘সব সম্ভব’, তারুণ্যে বদলাবে বাংলাদেশ
ছবি: সংগৃহীত

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে দেশের তরুণ প্রজন্ম আবারো দেখিয়েছে তারা কী করতে পারে। তরুণ বয়সটা সকল বৃত্ত ভাঙার। অসম্ভব জেনেও সেই কাজে ঝাঁপিয়ে পড়ার। কোনো ব্যর্থতাকে ব্যর্থতা মনে না করার। বড় চিন্তা করার। ভালো চিন্তা করার। কারণ সে বিশ্বাস করে, সম্ভবের নির্দিষ্ট কোনো সীমানা নেই। বাংলাদেশের Gen-Z প্রজন্ম বিশ্বাস করে—সব সম্ভব। 

এমনই শত তরুণের জীবন জয়ের গল্প নিয়ে সংকলন ‘সব সম্ভব’। প্রায় শতাধিক তরুণের জীবন জয়ের গল্প নিয়ে কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন প্রকাশ করেছে ‘সব সম্ভব’। 

বইটির নাম ভূমিকা পড়ে প্রশ্ন হতে পারে, কীভাবে বদলে গেল তাদের জীবন? একটি শিক্ষালয়—কোয়ান্টাম কসমো স্কুল ও কলেজ বদলে দিয়েছে তাদের জীবন। বান্দরবানে লামায় স্কুলটির অবস্থান।

মেধার কোনো জাত নেই পাত নেই। সুযোগ পেলে যে কেউ নিজ গুণে বিকশিত হতে পারে—এই বিশ্বাস নিয়ে ২০০১ সালে বান্দরবানের প্রত্যন্ত এলাকায় কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা শহীদ আল বোখারী মহাজাতক গড়ে তোলেন এ বিদ্যাপীঠ। মাত্র সাতজন  শিশুকে নিয়ে যাত্রা শুরু। বর্তমানে বাঙালিসহ ২২ জাতির আড়াই হাজারের বেশি শিক্ষার্থী ধ্যানে জ্ঞানে প্রযুক্তিতে আলোকিত মানুষ হয়ে গড়ে উঠছে এখানে।

কারো হয়তো বাবা নেই, কারো মা নেই, কারো দুজনই নেই, আবার কারো বাবা-মা থেকেও আর্থিকভাবে অসহায়, কারো লেখাপড়ার পরিবেশ ছিল না—এমন অবস্থায় এই স্কুলে শিশুরা এসেছে চার কিংবা পাঁচ বছর বয়সে, নয়তো স্কুল জীবনের কোনো না কোনো ধাপে। আবার কেউ কেউ ভর্তি হয়েছে কলেজে।

সেই শিশু বয়সেই তারা পেয়েছে নিয়মিত মেডিটেশন, ইয়োগা, লেখাপড়া, খেলাধুলা, শুদ্ধাচার চর্চার পাশাপাশি ‘জীবনে ১ম’ হওয়ার ভাবনা বা মনছবি। এই স্কুলের ছোট্ট কোনো শিশুকে ‘বড় হয়ে তুমি কী হবে’ জিজ্ঞেস করলে, নিজের নামটা ঠিকমতো বলতে না পারলেও সে বলতে পারে—‘পথম’ (প্রথম) হবো। এই প্রথম হওয়ার মনছবির শক্তিতেই তারা আজ অধিকাংশ পড়ছে দেশের স্বনামধন্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে। জাতীয় শিশু-কিশোর কুচকাওয়াজ প্রতিযোগিতায় প্যারেড ও ব্যান্ড বাদনে (২০১৫-২০১৯) টানা পাঁচ বার প্রথম হয়ে সারাদেশে নজর কেড়েছে। এছাড়াও ক্রীড়ানৈপুণ্যে দেশসেরা স্কুল হয়েছে পর পর চার বার (২০১৭-২০২০)।

কোয়ান্টাম কসমো স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থীদের বলা হয় কোয়ান্টা। অর্থাৎ প্রত্যেকে একটা করে আলোকগুচ্ছ।

এই বই পড়তে গিয়ে একজন পাঠক যেমন জীবন বদলে দেওয়ার শতাধিক ঘটনা জানবেন, তেমনি পাবেন আমাদের দেশের প্রান্তিক মানুষের দৈনন্দিন সংগ্রামের বাস্তব চিত্র, তাদের আশা-নিরাশার গল্প। আর ঋণ, তামাক চাষ, মাদক, অবিদ্যা, কুসংস্কার, ডিজিটাল আসক্তির মতো সমাজের নানা অসঙ্গতির খন্ড খন্ড চিত্র। তাদের এই গল্পগুলোর নেপথ্যে উঠে আসবে কোয়ান্টাম কসমো স্কুল ও কলেজের ২৩ বছরের ইতিহাস। কোয়ান্টামমের ইতিহাস। শূন্য থেকে শুরু করার ইতিহাস। অসম্ভবকে সম্ভব করার ইতিহাস। আসলে তিন দশক আগে সাধারণ মানুষের ভাবনারাজ্যে কোয়ান্টাম যে মানবিক মহাসমাজের বীজ বুনেছিল, তারই ক্রমবিকশিত রূপ এই কোয়ান্টামম এবং এই শিক্ষাঙ্গন।

আপনি যে বয়সের হোন না কেন, তারুণ্যশক্তিকে অনুভব করবেন। আপনি অনুপ্রাণিত হবেন। নতুন শুরুর একটা তাগিদ পাবেন। এই তরুণদের প্রত্যেকের মতো আপনিও বলে উঠবেন—সব সম্ভব! এই বই দেশের বিভিন্ন স্থানে জন্ম নেওয়া অবহেলিত অবস্থা থেকে সাফল্যের শীর্ষে যাওয়ার পথচলার গল্প উঠে এসেছে। প্রায় চারশো পৃষ্ঠার বইটি দাম রাখা হয়েছে পাঁচশ টাকা। অনলাইনে ও পাওয়া যাচ্ছে।

এখন দেশে জনশক্তির বোনাসকাল অতিক্রম করছে। অর্থাৎ দেশে জনসংখ্যায় যুবশক্তি বেশি।  কিন্তু এখানে বলে রাখা প্রয়োজন অর্থনৈতিক উন্নয়নের সঙ্গে দেশে যদি সৎ, মানবিক ও ইতিবাচক উদার দৃষ্টিসম্পন্ন ভালো মানুষ না হয় তাহলে সত্যিকারের ভালো দেশ হয়ে ওঠা যাবে না। শারীরিক সুস্থতা, মানসিক সুস্থতা, আত্মিক সুস্থতা, সামাজিক সুস্থতা না থাকলে ভালো মানুষ হওয়া যায় না।

ভালো মানুষ তৈরির জন্য এখন রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে উদ্যোগ নিতে হবে যুব সমাজকে দিয়ে। তাদেরকে সম্পূর্ণ সুস্থ মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। তাই প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত টোটাল ফিটনেস বা সম্পূর্ণ সুস্থতা কারিকুলামে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।  

অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির এ সময়ে আমাদের দেশের মানুষের মধ্যে দ্রুত বদলে যাওয়ার উত্তাপ লেগেছে। প্রযুক্তির প্রসার ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বদৌলতে অনেক মন্দ বা ক্ষতিকর কিছুতে সহজে মানুষ অভ্যস্ত হয়ে উঠছে। জীবন যাত্রার মান বাড়ার ফলে আমরা নিজেদের অনেক ঐতিহ্য আভিজাত্যও হারিয়ে ফেলছি। পারিবারিক শিক্ষা-দীক্ষায় শুদ্ধাচার, শিষ্টাচার নীতি নৈতিকতা হারিয়ে ফেলছি। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নীতি নৈতিকতা ও সৎ মানুষ বানানোর পরিবর্তে শুধু সনদ অর্জনই অন্যতম বিষয় হয়ে উঠেছে। 

যতদিন এ দেশের দুঃখী মানুষ পেট ভরে খেতে না পারে, যতদিন অত্যাচার ও অবিচারের হাত থেকে তারা না বাঁচবে, যতদিন না শোষণমুক্ত সমাজ হবে, ততদিন সত্যিকারের মানবিক বাংলাদেশ হবে না।আআগেও বলেছি আমাদের দেশে এখন জনশক্তির বোনাসকাল (ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ট) চলছে। অর্থাৎ এসময়ে মোট জনশক্তির মধ্যে তরুণ জনশক্তি বেশি। 

ভালো মানুষের সংজ্ঞা এখানে কয়েকটি লাইন তুলে ধরা হলো- ‘নীতি নৈতিকতাবান শুদ্ধাচারী মানুষই ভালো মানুষ। যা কিছু ভালো, যা কিছু কল্যাণকর তা-ই শুদ্ধ। যা কিছু মন্দ, যা কিছু অকল্যাণকর তাই অশুদ্ধ। যা কিছু সত্য, সুন্দর ও শুভ তা-ই শুদ্ধ। যা কিছু অসত্য, পঙ্কিল ও অশুভ তা-ই অশুদ্ধ। যা কিছু ন্যায় ও মানবিক তা-ই শুদ্ধ। যা কিছু অন্যায়, জুলুম ও অমানবিক তা-ই অশুদ্ধ। যা শুদ্ধ ও কল্যাণকর তা-ই ধর্ম আর অশুদ্ধ ও অকল্যাণকর তা-ই অধর্ম।

কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের পক্ষে বইটি প্রকাশ করেছেন মায়িশা তাবাসসুম। প্রচ্ছদ শিল্পী শান্ত খিয়াং। মূল্য পাঁচশত টাকা। সম্পাদনা করেছেন শরিফুল ইসলাম, উক্য এ মার্মা। প্রকাশকাল ২০২৪  সেপ্টেম্বর।

এমএ/

সাহিত্যসভার কবিতা

প্রকাশ: ১০ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:৩৬ পিএম
সাহিত্যসভার কবিতা
অলংকরণ: মেহেদী হাসান

এক চিলতে রোদ
জহিরুল হক বিদ্যুৎ

 

এক চিলতে রোদের মতো একটু হাসি 
বদলে দেয় মন আকাশের বিরহী রং। 
মরা নদীর অববাহিকায় কোনো সুর নেই, 
ওরা গান গায় এক পসলা বৃষ্টি মেখে।
জলহীন নদী আর জলহীন বৃক্ষ
নাম বদলে হয়ে ওঠে চর আর কাষ্ঠ,
এই পরিবর্তন কাউকে তেমন ভাবায় না!
প্রচ্ছদে আঁকা কিছু ছবি নিছক বিভ্রান্তি ছড়ায় 
পটভূমিতে চোখ রাখলেই বোঝা যায় 
ওখানে হিজল ফুল আর নদীর সখ্যতা বিবর্ণ।
হাসি ও ক্ষুধা কোনটার শক্তি বেশি?
প্রেম ও ঘৃণার মতো বিপরীত?
নাকি জীবন বোধের মর্মে সমান্তরাল?
একটি নির্মল সহাস্যমুখ স্বপ্নে এসে উঁকি দেয়
অন্ধকারে ক্ষুধার দরজায় নক করে,
সে জানে শোষিত মানুষের স্বপ্নের ইতিকথা! 

 


কতদূর শান্তিপুর
এস ডি সুব্রত

 

পাথর সময়ে রুদ্ধ বিবেক
ব্যথা বিষে নীল অন্তরাত্মা
পরবাসী দহন গহিন ভেতর 
বোঝা মুশকিল আসল নকল!
কেবল স্বার্থের বেচাকেনা
বড়ই কঠিন মুখোশ চেনা
আর কতদূর শান্তিপুর 
স্বস্তি কোথায় নেই জানা!!

 


অদৃশ্য চুম্বন 
কাজল নিশি 

শীতের আভাস এলেই,
ঠোঁটের তৃষ্ণারা কেমন যেন বেসামাল হয়ে পড়ে! 
নীরবে খোঁজ করে নওজোয়ানের-
কোলবালিশ চেপে ধরতেই অদৃশ্য চুম্বন!

হিম বাতাসে নাকে আসে যুবকের ঘ্রাণ
আড়াল থেকে আর কত মারবে প্রেমের বান!
মাতাল আমি... বড্ড চঞ্চল তনুমন।

অতঃপর আমার ভেতরের আমিটা তাকেই খোঁজে অষ্টপ্রহর…

সাহিত্যসভার কবিতা

প্রকাশ: ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:২৮ এএম
সাহিত্যসভার কবিতা
অলংকরণ: মেহেদী হাসান

হৃদয়াকাশে 
সুশান্ত কুমার দে 

হৃদয়াকাশে এক রাস অশনিসংকেত 
কালো মেঘের দাপাদাপি, বজ্রপাতের 
আশঙ্কায় রুদ্ধশ্বাসে গৃহবন্দি জীবন!
হায়রে, হে দুর্লভ জীবন তোমাকে 
দিতে পারিনি এতটুকু সুখ! এতটুকু শান্তি!
তুমি মৃত্যুর আলিঙ্গনে আবদ্ধ হয়েই থাকো।
তোমার ভালোবাসার স্বপ্নের বাসর আজ
মরুভূমির বালুকাবেলায় আচ্ছাদিত!
হয়তোবা কোনো এক ক্ষণে, তোমাকে 
ছিঁড়ে, ছিঁড়ে খাবে ওই লোলুপ দৃষ্টিটা, 
আপাদমস্তক ক্ষতবিক্ষত চিহ্নে 
এঁকে দেবে কুচক্রীর ভয়ংকর থাবায় 
একটা অমানবিক মানচিত্রের প্রচ্ছদ!

 

ভোরবেলাতে অশ্রু হয়ে
সৌপর্ণ মাছুম

শিউলিতলায় রাশি রাশি নিমেষ-হৃদয়কারা
ভোরবেলাতে অশ্রু হয়ে ঝরে রাতের তারা।।
শীতল-সুবাস মায়াজালে
ছোটে এ মন মোহন তালে
শুভ্রচোখে উন্মীলিত কমলারঙা তারা।।
রাজকুমারী শেফালিকা বহু বছর আগে 
দিনমণিকে চেয়েছিল গভীর অনুরাগে
ফিনিক্স রূপী ভস্ম থেকে
শিউলি ফোটে শিশির মেখে
অসূর্যস্পশ্যা আজও সে অভিমানীপারা।।

সাহিত্যসভার কবিতা

প্রকাশ: ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:০৭ পিএম
সাহিত্যসভার কবিতা
অলংকরণ: মেহেদী হাসান

বিনিময়
সাত্ত্বিক দাস

আকাশজুড়ে ধুধু মাঠ,
ওই, আকাশে নক্ষত্রের নাচ, ও পাড়ার বারোয়ারি তলায়।
নির্ঘুম পেঁচার দল, ঘুম চোখে মাথা নাড়ে নিঃসংকোচে
নক্ষত্রের আলোয়, আমার মাথার ভিড়।
পোড়া ভাতের গন্ধে, একাকী ছায়ামূর্তি,
নিরুপায় চোখে চেয়ে আছে, সম্মুখ পানে
কী দেবে বিনিময়ে?
দুই মুঠো ভাত, 
প্রেম, ভালোবাসা, আদুরে হাত।
না কি, মৃত্যু যন্ত্রণা।।

 


দগ্ধ হৃদয়ের খোঁজ
সুমনা আফরিন

তার কোথাও একটা শূন্যতা ছিল
হয়তো শূন্যতায় ভরা কুঠরি ছিল
হয়তো তাতে
নিচ্ছিদ্র যন্ত্রণায় ভরা কোনো দুঃখবাক্স ছিল।

তার বাক্সে হয়তো কালো ও নীল কলম ছিল
কলমে কালি ছিল কম
হৃদয়ে কথার গুরুভার থাকলেও
সব কথা হস্তাক্ষর পায়নি।

তার জন্য সংরক্ষিত সবুজ কালির
সতর্কতার লাল কালির 
বল পেনের কোনো কমতি ছিল না।

তার চোখ বলত
ফাউন্টেন পেনের
অভিলাষ তার নেই।
বাসনা কেবল একটা শূন্য ডাকবাক্সের
শূন্য খাতার অধিকারী
একজন দগ্ধ মানুষের।

তার চোখে খোঁজ ছিল
কোনো পোড়া চোখের
পোড়া চোখের দগ্ধ হৃদয়ই পারে
পৌরহিত্যে করে
বুকের জগদ্দল পাথর নামাতে
দগ্ধ জনের অসীম শূন্যতা ঘোঁচাতে।

সাহিত্যসভার কবিতা

প্রকাশ: ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:০৭ এএম
সাহিত্যসভার কবিতা
অলংকরণ: মেহেদী হাসান

ফেরারি নারী
মোহামেদ সাইফুল হাসান

কৃত্তিকা তারার আবির্ভাব হেমন্তের পশ্চিমাকাশে
মৃদুমন্দ শীত নীরবতার গহিন অন্ধ রাতে,
বাঁশির সকরুণ আওয়াজ বাউল গানের সুরে 
টিনের চালে বেদনাতুর শিশির ঝরার শব্দ 
ছাতিমের গন্ধে অতীতের উঁকি তৃষিত অন্তরে,
পুরো একটি বছরের দূরত্ব, হলো দেড় কোটি সমান
অতিথি পাখিরাও চলে এল আপন দেশ ছেড়ে
শুধু ফেরারিদের ফিরে আসার নাম নেই!

 


শক্তি
রজব বকশী 

প্রতিটি মানুষ এক একটি প্রদীপ 
হোক না সে অন্ধ কিংবা অন্ধকারে একা 
তথাপি জ্বলতে থাকে 
দৃশ্য-দৃশ্যান্তর

এই শক্তির প্রাচীন ব্যবহারে পড়ে থাকে কেউ 
কেউবা নতুন করে পথ খুঁজে ফেরে 
কেবলি নিজের জন্য নয় 
সামগ্রিক চৈতন্যের বিদ্যুৎপ্রবাহ নিয়ে ভাবতে শেখায় 

এই জেগে থাকা আর জাগানোর গান
আপন সত্তায় প্রতিস্থাপনের টেকনিক স্বপ্ন টাওয়ার
অন্যরকম বোধের আকরিক সংকেত পাঠায়
মানবিক মূল্যবোধে মেধা প্রতিভার এক একটি নক্ষত্র 

এই সভ্যতার আলোকিত মনিটরে ভেসে ওঠে 
ভাঙাগড়ার ভেতর দিয়ে যে পাওয়াগুলো জয়ধ্বনি করে
সেই আলোয় নিজেকে নতবৃক্ষ হতে দেখা যায়
তারই ইতিহাস পাঠে মনোযোগী আমাদের সময়ের ঢেউ 

 


ক্লিওপেট্রার রোমাঞ্চকর প্রেম 
সাগর আহমেদ 

ক্লিওপেট্রার হাতে সোমরসে শরাব পাত্র 
গলায় প্যাঁচানো সদন্তে সাপ,

তার খিলখিল হাসিতে ছলনার রং 
দেশ, মহাদেশ পেরিয়ে জুলিয়াস সিজার 
পেল তবে পাপ?

এল গৃহযুদ্ধ, এল বিদেশি শক্তি, বিশ্বাসঘাতকতা 
হারেমের দেয়ালে তবু প্রেম আলপনা,
ক্লিওপেট্রার এক হাতে প্রেম, অন্য হাতে যুদ্ধ 
ফণীমনসার রাতে দারুণ উন্মাদনা।

প্রেম, বিরহ, ছলনায় ক্লিওপেট্রা, জুলিয়াস সিজার 
স্থিত যুগে যুগে,
সে এক রোমাঞ্চ কাব্য
উন্মাতাল সর্বগ্রাসী যৌবন সম্ভোগে।

সাহিত্যসভার কবিতা

প্রকাশ: ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:৫৬ পিএম
আপডেট: ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:৫৮ পিএম
সাহিত্যসভার কবিতা
অলংকরণ: মেহেদী হাসান

আমার ধ্যান শুধুই তোমার মুখ 
মিনহাজ উদ্দিন শপথ 

রোদের হ্যাঙ্গারে শুকাই 
গত রাতের ভেজা চোখ 
স্যাঁতস্যাঁতে স্বপ্নের পর্দা
তোমার কাছ থেকে ফিরে আসার পর মনে হলো 
বাগানের ফুলগুলো আজ
অযথাই সৌরভে সারাৎসার। 

অন্ধের কাছে সব ইন্দ্রিয় দক্ষতার কথা 
জানতে চেয়ো না কখনো আর
আমার ধ্যান শুধুই তোমার মুখ

 

 


জখমিপ্রেম
মোজাম্মেল সুমন

অতঃপর তুমি
নির্বিঘ্নে পবিত্র হৃদয়ের ভূমি
থেকে হারিয়ে যাওয়াতে
শূন্যতার হাওয়াতে
একাকিত্বের ছায়া জমতে জমতে
ভালো থাকা কমতে কমতে
আমার নিগড়ে পড়ার
চোখের অশ্রুজল বিগড়ে মরার
প্রতিধ্বনিতে বরফ
হয়ে নিশ্চুপ থাকলেও আমার তরফ
থেকে এখনো কিঞ্চিৎ লুকাইনি
অথবা শুকাইনি
বলে প্রতিনিয়ত বোবাকষ্ট প্রপাতের
দৃশ্য বেদনার প্রভাতের
মতো ফোটে
আর জীবনে জোটে
জখমিপ্রেমের অসহ্য ভগ্নাংশ
কিংবা নিষ্পেষিত অহেতুক স্বপ্নাংশ
যার প্রকৃত মানে
বেঁচে থাকা ক্রমাগত জীবন্মৃতের পানে।

'), descriptionParas[2].nextSibling); } if (descriptionParas.length > 6 && bannerData[arrayKeyTwo] != null) { if (bannerData[arrayKeyTwo].type == 'image') { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertImageAd(bannerData[arrayKeyTwo].url, ('./uploads/ad/' + bannerData[arrayKeyTwo].file)), descriptionParas[5].nextSibling); } else { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertDfpCodeAd(bannerData[arrayKeyTwo].custom_code), descriptionParas[5].nextSibling); } } if (descriptionParas.length > 9 && bannerData[arrayKeyThree] != null) { if (bannerData[arrayKeyThree].type == 'image') { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertImageAd(bannerData[arrayKeyThree].url, ('./uploads/ad/' + bannerData[arrayKeyThree].file)), descriptionParas[8].nextSibling); } else { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertDfpCodeAd(bannerData[arrayKeyThree].custom_code), descriptionParas[8].nextSibling); } } });