তুই কি আমার হবি
মুনমুন চক্রবর্তী
তুই কি আমার বৃষ্টি হবি?
যেন খুব মন খারাপেও ভিজতে পারি।
যেন তোকে খুব খুশিতে ছুঁতে পারি।
তুই কি আমার আকাশ হবি?
আমার সব বিষন্নতা নিজের করে নিবি।
ভালোবাসার সবগুলো রং আমায় মাখাবি।
তুই আমার সাগর হবি?
যেন আমি তোর বুকেতে ঢেউ হয়ে আঁচড়ে যেতে পারি।
যেন তোর নীলিমা গায়ে মাখাতে পারি।
তুই কি আমার চাঁদ হবি?
যেন আমি যখন তখন হাঁ হয়ে দেখতে পারি।
যেন অমাবস্যায়ও আমি চাঁদ ছুঁতে পারি।
তুই কি আমার গল্প হবি?
রূপকথার রাজকুমার হবি?
তুই কি সত্যিই আমার হবি?
শ্রাবণ নিশিতে
শারমিন নাহার ঝর্ণা
বাহিরে ঝরছে শ্রাবণ নিস্তব্ধ নিশিতে
মুখোমুখি বসে দু'জন অপলক দৃষ্টিতে,
ঘুমিয়ে পরেছে সব গাছের সবুজ পাতা
জেগে আছে হৃদয় ঘরে অজস্র কথা।
এই চেয়ে থাকার মাঝে যেন অপার সুখ
জানিনা কেন মহামায়ায় ভরে ওঠে বুক?
রিমঝিম শব্দে শ্রাবণের মেঘগুলো ঝরছে
শূণ্য পাত্র গুলো জলের ফোঁটায় ভরছে।
ঐ নয়ন সরোবরে হারিয়ে গেছে এই মন
ঝিঁঝি পোকার গানে মধুময় হলো ক্ষণ,
শ্রাবণ নিশি ফুরিয়ে এলো রঙিন প্রভাত
সহস্র বছর মায়ায় জড়ানো থাক দুটি হাত।
গণক
মামুন মুস্তাফা
গণকের হাতের তালুতে একটি মাছি
মাছি উড়ে গেলে সময় স্তব্ধ হয়;
গণকের হস্তরেখা ওলোটপালট
কুষ্ঠির প্রাণভোমরা এখন আঙুলের ডগায়
ওই হাতের রেখা ক্রমশ নিভে যাচ্ছে
গণক নিজেই উল্টোরথে
সামনে আত্মহননের গাছ
বাঁশি বাজে অন্য লোকে...
মৃতবীজ
দ্বীপ সরকার
নির্মোহ রোদের কফিন খোলা শেষ হলে পরে
সারি সারি মৃতবীজ খসে পড়ে
মৃতবীজ মানে—এই বীজে মৃত্যু লেখা আছে সকলের
অতঃপর কফিন থেকে আমার পিতা খসে পড়েন
আমার পিতামহ খসে পড়েন
তাদেরও পূর্বপুরুষরা খসে পড়েন সারি সারি
মৃতবীজ থেকে কবে যে আমিও খসে পড়বো
জানা নেই