কুমিল্লায় পায়ে শিকল বেঁধে নির্মম নির্যাতন করা হাতিটি উদ্ধার করে গাজীপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কের হাতিশালায় আনা হয়েছে।
শনিবার (৩১ আগস্ট) সকালে গণমাধ্যমে এ তথ্য জানান গাজীপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম।
হাতিটি উদ্ধার করে কুমিল্লা বন বিভাগ। কুমিল্লার বিভাগীয় বন কর্মকর্তা জিএম মোহাম্মদ কবির খবরের কাগজকে বলেন, একটি হাতির পায়ে শিকল বেঁধে নির্মমভাবে নির্যাতন করা হয়। নির্যাতনের ৩০ সেকেন্ডের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। বিষয়টি আমাদের নজরে এলে আমরা বিস্তারিত জানার চেষ্টা করি। পাশাপাশি ওই ভিডিওটি যাচাই করে তা শনাক্তের পরে হাতিটিকে উদ্ধার করতে মন্ত্রণালয় থেকে আমাদের নির্দেশ দেওয়া হয়।
নির্দেশনা মোতাবেক বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার সোনাই উল্ল্যাহ এলাকা থেকে হাতিটি উদ্ধার করা হয়।
তিনি আরও বলেন, হাতির সঙ্গে থাকা তিনজন মাহুত দোকানপাটে ঘুরে ঘুরে টাকা তুলতেন। টাকা তোলার সময় হাতিটি হঠাৎ বেপরোয়া হয়ে যায়। শনিবার (২৪ আগস্ট) দাউদকান্দি এলাকার বেশ কয়েকটি দোকানে তাণ্ডব চালায় হাতিটি। পরে হাতিটিকে নিয়ন্ত্রণে আনতে সঙ্গে থাকা তিন মাহুত হাতিটিকে আঘাত করতে থাকে। সে সময় ঘটনাস্থলে থাকা কেউ একজন এর দৃশ্য মুঠোফোনে ধারণ করে তা ফেসবুকে ছড়িয়ে দিলে মুহূর্তেই ভিডিওটি ভাইরাল হয়। পরে আমরা ঘটনাটির বিস্তারিত জানার জন্য কাজ শুরু করি। এরই মধ্যে হাতি নির্যাতনের বিষয়টি নজরে আসে পরিবেশ উপদেষ্টার। এরপর তিনি হাতিটিকে উদ্ধারের নির্দেশ দেন।
গাজীপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম জানান, ৭০-৭২ বছর বয়সী হাতি দিয়ে কুমিল্লার বিভিন্ন এলাকার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, যানবাহন ও পথচারীদের থেকে মাহুত টাকা আদায় করছিলেন। পরে খবর পেয়ে বন ও বন্যপ্রাণী বিভাগের কর্মকর্তারা বৃহস্পতিবার বিকেলে কুমিল্লার দাউদকান্দি এলাকায় অভিযান চালায়। এ সময় অভিযানের বিষয়টি টের পেয়ে হাতির মাহুত পালিয়ে যায়। সেদিন রাত ১০টার দিকে হাতিটি জব্দ করে সফারি পার্কে নিয়ে আসা হয়। পরে হাতিকে পার্কের হাতিশালায় আলাদাভাবে রাখা হয়েছে।
পলাশ প্রধান/ইসরাত চৈতী/অমিয়/