ঢাকা ৪ বৈশাখ ১৪৩২, বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫
English
বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ৪ বৈশাখ ১৪৩২

রাস্তার পাশের ঝোপে সৌন্দর্য ছড়াচ্ছে ভাঁটফুল

প্রকাশ: ১৫ মার্চ ২০২৫, ০৯:৩৬ এএম
আপডেট: ১৫ মার্চ ২০২৫, ০৯:৪২ এএম
রাস্তার পাশের ঝোপে সৌন্দর্য ছড়াচ্ছে ভাঁটফুল
ভাঁটফুল। ছবি: সংগৃহীত

ফরিদপুরে বিভিন্ন ঝোপ-ঝাড়ে জঙ্গলে এমনকি রাস্তার ধারেও নিজের সৌন্দর্য ছড়াচ্ছে ভাঁটফুল। ভাঁটফুল এ অঞ্চলে বনজুঁই ফুলও নামে পরিচিত। ঝোপ-ঝাড়ে, জঙ্গলে, রাস্তার পাশে নিজের সুন্দর রূপ ছড়িয়ে সুবাস ছড়িয়ে মানুষকে মুগ্ধ করতে থাকে ভাঁটফুল। স্থানভেদে এটির নাম ভাঁটফুল, ঘেটু ফুল, ভাত ফুল, ঘণ্টাকর্ণ থাকলেও ফরিদপুর অঞ্চলে ‘ভাঁটফুল’ নামেই পরিচিত। 

এ ছাড়া এর মনোমুগ্ধকর সৌরভে প্রজাপতি, মৌমাছি, পিঁপড়াসহ নানা প্রজাতির কীট-পতঙ্গের আনাগোনা চোখে পড়ার মতো। এরা ফুলের সুগন্ধ, সৌরভে ব্যাকুল হওয়া ছাড়াও ফুল থেকে মধু সংগ্রহ করতে আসে।

ফরিদপুর কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, বসন্তের আগমনে পলাশ, শিমুলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে এ ফুল ফোটে। বিশেষ করে পরিত্যক্ত মাঠ, বন, রাস্তা কিংবা জলাশয়ের পাশে ভাঁটফুলের ঝোপ চোখে পড়ে। বসন্ত থেকে গ্রীষ্ম পর্যন্ত এ ফুল ফোটে। এ ফুলের রয়েছে মিষ্টি সৌরভ। রাতে বেশ সুঘ্রাণ ছড়ায়। ফুল ফোটার পর মৌমাছিরা ভাঁটফুলের মধু সংগ্রহ করে।

কলেজছাত্রী শুক্লা বলেন, ‘এক সময় গ্রামগঞ্জে এ ফুল দেখতে পেতাম। এখন আগের মতো দেখা যায় না। অযত্নে প্রাকৃতিকভাবে বেড়ে উঠলেও সৌন্দর্যে কোনো কমতি নেই।’ বোয়ালমারী উপজেলার ময়না সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক কালীপদ চক্রবর্তী বলেন, ‘ভাঁটফুল সৌন্দর্যপ্রিয় মানুষের মনের খোরাক জোগায়। রাস্তার পাশে, পরিত্যক্ত জমিতে অনাদর অবহেলায় বেড়ে ওঠা ভাঁটগাছের ফুল বসন্তে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে যোগ করে বাড়তি মাত্রা। পথচারীরা উপভোগ করেন আবহমান বাংলার আদি বুনো ফুলের অপরূপ রূপ। রাস্তার দুই পাশে থোকায় থোকায় ফুটে থাকা ফুলের সৌন্দর্য আসা-যাওয়ার পথে পথচারীদের মুগ্ধতা ছড়ায়। প্রকৃতিতে ফাল্গুন মাস এলেই এ গাছে ফুল ফোটে। এতে পরিবেশে নতুন এক মাত্রা যোগ হয়।’

ভাঁটফুলের বৈজ্ঞানিক নাম ক্লেরনডেনড্রন ভিসকোসাম। ভাঁট গুল্মজাতীয় বহুবর্ষজীবী উদ্ভিদ। গাছের প্রধান কাণ্ড খাড়া, সাধারণত ২ থেকে ৪ মিটার লম্বা হয়। পাতা কিছুটা পানপাতার আকৃতির ও খসখসে। পাতা ৪ থেকে ৭ ইঞ্চি লম্বা হয়। ডালের শীর্ষে পুষ্প দণ্ডে ফুল ফোটে। পাপড়ি সাদা, তাতে বেগুনি মিশেল আছে। ভাঁট মায়ানমার ও ভারতীয় প্রজাতির ঔষধি উদ্ভিদ। এর পাতা কবিরাজরা অ্যাজমা, টিউমার, সাপের কামড়ের প্রতিষেধক হিসেবে ব্যবহার করেন। এ ছাড়া গ্রামাঞ্চলের মানুষরা জ্বর, চর্মরোগ ও বিছার হুল ফোটানোয় এর পাতা, ফল, ফুল ও মূল ভেষজ হিসেবে ব্যবহার করেন।

৪ দিন সব বিভাগে বৃষ্টির পূর্বাভাস

প্রকাশ: ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ১১:৪৬ পিএম
৪ দিন সব বিভাগে বৃষ্টির পূর্বাভাস
খবরের কাগজ গ্রাফিকস

দেশের সব বিভাগে আগামী রবিবার পর্যন্ত কম-বেশি বৃষ্টি ঝরতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। 

বুধবার (১৬ এপ্রিল) আবহাওয়াবিদ মো. শাহীনুল ইসলাম স্বাক্ষরিত আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানা গেছে।

বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) সকাল ৯টা থেকে পরের ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

আগামী শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) সকাল ৯টা থেকে খুলনা, রাজশাহী ও ঢাকা বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, ময়মনসিংহ, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। পরদিন শনিবার সকাল ৯টা থেকে রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, বরিশাল, খুলনা, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায়, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রবিবার ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায়; রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। 

রাজশাহীতে ঘড়িয়াল প্রজননকেন্দ্র চালু

প্রকাশ: ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ১০:২৬ এএম
রাজশাহীতে ঘড়িয়াল প্রজননকেন্দ্র চালু
রাজশাহীর পবা উপজেলার একটি পুকুরে ঘড়িয়াল প্রজননকেন্দ্রের যাত্রা শুরু। ছবি: খবরের কাগজ

রাজশাহীতে দেশের প্রথম ঘড়িয়াল প্রজননকেন্দ্র চালু করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) দুপুরে জেলার পবা উপজেলায় নার্সারির একটি পুকুরে ঘড়িয়াল প্রজননকেন্দ্র করা হয়েছে। সেখানে গাজীপুর সাফারি পার্ক থেকে আনা একটি পুরুষ ও একটি স্ত্রী পূর্ণবয়স্ক ঘড়িয়াল অবমুক্ত করা হয়েছে। 

ঘড়িয়াল প্রজননকেন্দ্রটির আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন ঢাকা বন অধিদপ্তরের প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘একসময় বাংলাদেশের ব্রহ্মপুত্র, পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা নদীতে ঘড়িয়াল দেখা গেলেও নদীদূষণ, নদীর নাব্য হ্রাস, অতিরিক্ত মাছ আহরণ, অবৈধ শিকার, পাচার, ডিম নষ্ট, প্রজননে ব্যাঘাত ঘটানো ও খাদ্যসংকটের কারণে ঘড়িয়াল এখন বিলুপ্তির পথে। ঘড়িয়ালের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে রাজশাহীতে দেশের প্রথম ঘড়িয়াল প্রজননকেন্দ্র করা হলো। এখানে ঘড়িয়ালের প্রজননের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ দেওয়া হবে।’

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে- ঘড়িয়াল, বৈজ্ঞানিক নাম গ্যাভিয়ালিস জ্যানজেটিকাস (Gavialis gangeticus), জলজ পরিবেশের এক শান্ত স্বভাবের বাসিন্দা। লম্বা সরু চোয়াল আর জলচর জীবনে নিখুঁত অভিযোজন এই প্রাণীটিকে আলাদা করেছে অন্যসব কুমির প্রজাতি থেকে। একসময় বাংলাদেশের পদ্মা, মেঘনা, যমুনা ও ব্রহ্মপুত্র নদীতে ঘড়িয়ালের অবাধ বিচরণ ছিল। কিন্তু সময়ের নিষ্ঠুরতায় এখন সেটি ইতিহাস। নদীর পানিদূষণ, অতিরিক্ত মাছ আহরণ, অবৈধ শিকার, ডিম নষ্ট করে দেওয়া, প্রজননের সময় আশ্রয়স্থল নষ্ট হওয়া- সব মিলিয়ে বিলুপ্তির দ্বারপ্রান্তে এসে দাঁড়িয়েছে এই প্রজাতিটি। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে, বন্য প্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন ২০১২-তেও এটি একটি রক্ষিত প্রাণী।

এ বিষয়ে রাজশাহী সামাজিক বন বিভাগ ও বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের বিভাগীয় বন বিভাগের কর্মকর্তা মো. রফিকুজ্জামান শাহ বলেন, ‘দেশের প্রথম ঘড়িয়াল প্রজননকেন্দ্রের উদ্বোধন করা হয়েছে রাজশাহীতে। ঘড়িয়ালের মতো একটি স্পর্শকাতর ও বিপন্ন প্রজাতির প্রাণীর প্রজনন সহজ কাজ নয়। এর জন্য প্রয়োজন নিবিড় পর্যবেক্ষণ, বিজ্ঞানসম্মত ব্যবস্থাপনা এবং দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা। কেন্দ্রটিকে শিক্ষণীয় সফরের স্থান হিসেবেও গড়ে তোলা হবে। পবার একটি পুকুরে ঘড়িয়ালের প্রজনন নিয়ে গবেষণা করা হবে। পরবর্তী সময়ে সেগুলো নদীতে ছেড়ে দেওয়া হবে।’ 

এ সময় উপস্থিতি ছিলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. কামরুল হাসান, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. এ. এম সালেহ রেজা, বগুড়া সামাজিক বন অঞ্চলের বন সংরক্ষক মুহাম্মদ সুবেদার ইসলাম, ঢাকা বন্য প্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ অঞ্চলের বন সংরক্ষক মো. ছানাউল্ল্যা পাটওয়ারী, রাজশাহী সেভ দি ন্যাচার অ্যান্ড লাইফের চেয়ারম্যান মো. মিজানুর রহমানসহ বন অধিদপ্তরের শীর্ষ কর্মকর্তা, বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ও স্থানীয় পরিবেশবাদী সংস্থার প্রতিনিধিরা।

বঙ্গোপসাগরে ৫২০ কাছিমের বাচ্চা অবমুক্ত

প্রকাশ: ১৫ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:৫৯ এএম
আপডেট: ১৫ এপ্রিল ২০২৫, ১২:০৮ পিএম
বঙ্গোপসাগরে ৫২০ কাছিমের বাচ্চা অবমুক্ত
বঙ্গোপসাগরে অলিভ রিডলে প্রজাতির ৫২০টি কাছিমের বাচ্চা অবমুক্ত করা হয়েছে। ছবি: খবরের কাগজ

কক্সবাজারের টেকনাফ শাহপরীর দ্বীপে বঙ্গোপসাগরে অলিভ রিডলে প্রজাতির ৫২০টি কাছিমের বাচ্চা অবমুক্ত করা হয়েছে।  

সোমবার (১৪ এপ্রিল) সকাল ৮টায় শাহপরীর দ্বীপ মাঝেপাড়া বঙ্গোপসাগরে বাচ্চাগুলো অবমুক্ত করা হয়।

ন্যাচার কনজারভেশন ম্যানেজমেন্টের (নেকম) প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবস্থাপনা ও জলবায়ু পরিবর্তন ম্যানেজার মো. আবদুল কাইয়ুম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মো. আবদুল কাইয়ুম বলেন, ‘নেচার কনজারভেশন ম্যানেজমেন্টের (নেকম) পরিচালনায় গত চার বছরে ৪৪ হাজার ৪৫০টি মা কাছিমের ডিম সংগ্রহ করে যা থেকে ৮৫% বাচ্চা ফুটিয়ে সাগরে অবমুক্ত করা হয়েছে। এ ধরনের পদ্ধতিত এক্স-সিটু সংরক্ষণ বলা হয়। এ ছাড়া গত তিন বছরে ১৫ টি সংস্থান বা ইনসিট্যু পদ্ধতিতে সংরক্ষণ করে বাচ্চা সাগরে অবমুক্ত করা হয়।’

 

সম্প্রতি নেকমের একটি জরিপে দেখা গেছে, মাত্র ৩৪টি স্পটে সামুদ্রিক কাছিম ডিম পাড়তে আসছে, যা এক দশক আগেও ছিল ৫২টি অর্থাৎ হুমকির মুখে সামুদ্রিক কাছিমের ডিম পাড়ার স্থানগুলো।

এদিকে বন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের দিক নির্দেশনায় নেকম কাছিম সংরক্ষণের এ কাজ বিগত ২০ বছর করে আসছেন। এ বছর কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে ১২টি পয়েন্টের হ্যাচারি থেকে ২৬ হাজার ৮৭০টি ডিম পাওয়া গেছে এবং ইতোমধ্যে ৮ হাজার ৫৩০টি কাছিমের বাচ্চা অবমুক্ত করা হয়েছে।

সমুদ্রের ময়লা আবর্জনা, আগাছা, মাছের পোনা ও খাদক জেলিফিশ ইত্যাদি খেয়ে সমুদ্রের জীববৈচিত্র্যের ভারসাম্য বজায় রাখতে ভূমিকা রাখে এই কাছিম।

মো. শাহীন/সুমন/

সেন্ট মার্টিনে তিন মাসে ৩০২২ কাছিমের বাচ্চা অবমুক্ত

প্রকাশ: ১৩ এপ্রিল ২০২৫, ০১:৫৬ পিএম
আপডেট: ১৩ এপ্রিল ২০২৫, ০১:৫৮ পিএম
সেন্ট মার্টিনে তিন মাসে ৩০২২  কাছিমের  বাচ্চা অবমুক্ত
সেন্ট মার্টিনের গলাচিপা এলাকা দিয়ে বঙ্গোপসাগরে ছেড়ে দেওয়া কাছিমের বাচ্চা। ছবি: খবরের কাগজ

তিন মাসে টেকনাফের সেন্ট মার্টিন ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে মা-কাছিম ডিম পেড়েছে ৪ হাজার ১৫৭টি। এর মধ্যে ৩ হাজার ২২টি বাচ্চা সাগরে অবমুক্ত করা হয়েছে। গত ১০ এপ্রিল বিকেলে সেন্ট মার্টিনের গলাচিপা ও দক্ষিণ পাড়া এলাকা দিয়ে বঙ্গোপসাগরে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে কাছিমের ১৫০টি বাচ্চা।

সেন্ট মার্টিন পরিবেশ অধিদপ্তরের কচ্ছপ হ্যাচারির সুপারভাইজার মোহাম্মদ আব্দুল আজিজ জানান, চলতি বছরে তিন মাসে দ্বীপের বিভিন্ন স্থানে মা-কাছিম ৪ হাজার ১৫৭টি ডিম পেড়েছে। ইউএনডিপির সহযোগিতায় পরিবেশ অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে ডিমগুলো সংগ্রহ করা হয়। নেচার কনজারভেশন ম্যানেজমেন্টের (নেকম) ব্যবস্থাপনায় হ্যাচারিতে এসব ডিম থেকে বাচ্চা ফোটানো হয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘বিভিন্ন সময়ে কাছিমের মোট ৩ হাজার ২২টি বাচ্চা সাগরে অবমুক্ত করা হয়েছে।’

সংশ্লিষ্টরা জানান, কাছিম সমুদ্রের ময়লা-আবর্জনা ও আগাছা পরিষ্কারে সাহায্য করে। এরা জেলিফিশ খায়। এতে মাছের পোনা রক্ষা পায়। সমুদ্রের জীববৈচিত্র্য রক্ষা ও ভারসাম্য বজায় রাখতে এই কাছিম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

নেকমের সাম্প্রতিক এক জরিপে দেখা গেছে, বর্তমানে মাত্র ৩৪টি স্থানে মা-কাছিম ডিম পাড়ছে। আগের জরিপে এই সংখ্যা ছিল ৫২টি। ফলে বিপন্ন হয়ে পড়ছে কাছিমের প্রজনন এলাকা।

চা-বাগানে বিরল লজ্জাবতী বানর

প্রকাশ: ১৩ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:৫৪ এএম
আপডেট: ১৩ এপ্রিল ২০২৫, ১১:৫৩ এএম
চা-বাগানে বিরল লজ্জাবতী বানর
বিরল প্রজাতির লজ্জাবতী বানর। ছবি: খবরের কাগজ

হবিগঞ্জের চুনারুঘাট থেকে একটি বিরল প্রজাতির লজ্জাবতী বানর উদ্ধার করেছে সাতছড়ি বন্যপ্রাণী রেঞ্জ কর্তৃপক্ষ। গতকাল শনিবার সকালে উপজেলার আহম্মদাবাদ ইউনিয়নের নালুয়া চা-বাগান থেকে বানরটিকে উদ্ধার করা হয়।

বন বিভাগ জানায়, নালুয়া চা-বাগানের এক শ্রমিকের ঘর থেকে বানরটি উদ্ধার করা হয়। স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে সকালেই সাতছড়ি রেঞ্জের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং বানরটিকে উদ্ধার করে নিজেদের হেফাজতে নেয়। উদ্ধার করা লজ্জাবতী বানরটির আনুমানিক বয়স ৬ থেকে ৭ বছর। এটি একটি পূর্ণবয়স্ক ও সুস্থ।

সাতছড়ি বন্যপ্রাণী রেঞ্জ কর্মকর্তা মামুনুর রশিদ ও তেল মাসুরা বিট কর্মকর্তা মেহেদী হাসান জানান, লজ্জাবতী বানর বাংলাদেশের বনে-জঙ্গলে খুব কমই দেখা যায়। এখন পর্যন্ত দেশে আনুমানিক ৫২টির মতো লজ্জাবতী বানর দেখা গেছে। এটি একটি নিশাচর প্রাণী, যা সাধারণত রাতে খাবারের সন্ধানে বের হয়। এর খাদ্যতালিকায় পোকামাকড়, প্রজাপতি এবং গাছের কষ উল্লেখযোগ্য।

তিনি আরও জানান, এই প্রজাতির বানর দেখতে সাদা ও ধূসর রঙের হয় এবং চেহারায় একটি কোমলতা থাকে, যা একে অন্যান্য বানর থেকে আলাদা করে। প্রকৃতিপ্রেমী ও গবেষকদের কাছে এটি অত্যন্ত আকর্ষণীয় একটি প্রাণী।

উদ্ধার করা বানরটিকে প্রাথমিক চিকিৎসা ও পর্যবেক্ষণের পর নিরাপদভাবে প্রাকৃতিক পরিবেশে অবমুক্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন বন বিভাগের কর্মকর্তারা।