ঢাকা ১ আশ্বিন ১৪৩১, সোমবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪

সাংবাদিক নির্মল সেনের ৯৪তম জন্মদিন আজ

প্রকাশ: ০৩ আগস্ট ২০২৪, ০৯:৪৮ এএম
আপডেট: ০৩ আগস্ট ২০২৪, ০৯:৪৮ এএম
সাংবাদিক নির্মল সেনের ৯৪তম জন্মদিন আজ
সুরেন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত

বিশিষ্ট সাংবাদিক নির্মল সেনের ৯৪তম জন্মদিন আজ ৩ আগস্ট। ১৯৩০ সালের এ দিনে গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ার দিঘীরপাড় গ্রামে তার জন্ম। তার বাবার নাম সুরেন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত। মায়ের নাম লাবণ্য প্রভা সেনগুপ্ত। ৫ ভাই ও ৩ বোনের মধ্যে নির্মল সেন ছিলেন পঞ্চম।

দেশভাগের পর নির্মল সেনের পরিবার কলকাতা চলে যায়। তবে তিনি থেকে যান বাংলাদেশেই। তিনি ঝালকাঠির কলসকাঠি বিএম একাডেমি থেকে ১৯৪৪ সালে ম্যাট্রিক পাস করেন। বিএম কলেজ থেকে আইএসসি এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএ ও এমএ পাস করেন।

‘ভারত ছাড়ো আন্দোলনের’ মাধ্যমে রাজনৈতিক জীবন শুরু হয় নির্মল সেনের। শ্রমিক কৃষক সমাজবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ১৯৬১ সালে দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকার মধ্যে দিয়ে নির্মল সেন তার সাংবাদিকতা জীবন শুরু করেন। তার পর দৈনিক আজাদ, দৈনিক পাকিস্তান, দৈনিক বাংলা পত্রিকায় সাংবাদিকতা করেন। তিনি বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ছিলেন। 

নির্মল সেন স্মৃতি সংসদের সভাপতি মিজানুর রহমান বুলু বলেন, ‘প্রথম প্রহরে নির্মল সেনের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদনের মধ্য দিয়ে আমাদের দিনের কর্মসূচি শুরু হবে। এরপর আলোচনা সভার মধ্য দিয়ে আমাদের কর্মসূচির শেষ হবে।’

‘পূর্ব পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশ’, ‘মানুষ সমাজ রাষ্ট্র’, ‘স্বাভাবিক মৃত্যুর গ্যারান্টি চাই’, ‘আমার জবানবন্দি’ তার লেখা উল্লেখযোগ্য বই। নির্মল সেন ২০১৩ সালে ৮ জানুয়ারি মারা যান।

সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ঢালাও মামলা স্বাধীন মত প্রকাশের অন্তরায়

প্রকাশ: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬:৪৮ পিএম
সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ঢালাও মামলা স্বাধীন মত প্রকাশের অন্তরায়
ল’ রিপোর্টার্স ফোরাম

সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ঢালাও মামলা করার বিষয়টি আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা ও স্বাধীন মত প্রকাশের অন্তরায় বলে মনে করে আইন, বিচার ও মানবাধিকারবিষয়ক সাংবাদিকদের সংগঠন ল’ রিপোর্টার্স ফোরাম (এলআরএফ)। 

রবিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সংগঠনটির পাঠানো এক বিবৃতিতে অভিমত ব্যক্ত করা হয়েছে। 

সংগঠনের সদস্য শেখ মুহাম্মদ জামাল হোসাইন ও আবু সালেহ রনিসহ সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়া মামলা দায়েরের ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে সংগঠনের পক্ষে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হাসান জাবেদ ও সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মিশন বলেন, ‘সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়া হত্যা মামলা কোনোভাবেই কাম্য নয়। এই ধরনের মামলা আইনের শাসন ও স্বাধীন সাংবাদিকতার পরিপন্থী। তাই সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের আগে অভিযোগ যাচাই-বাছাই করার অনুরোধ জানাচ্ছি। এ ছাড়া দায়ের করা মামলাগুলোতে কোনো সংশ্লিষ্টতা পাওয়া না গেলে এসব মামলা থেকে সাংবাদিকদের অব্যাহতি দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।’

মতলু মল্লিক/সালমান/

সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ঢালাও হত্যা মামলা অন্তর্বর্তী সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করছে

প্রকাশ: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮:৩৯ পিএম
আপডেট: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:২৮ পিএম
সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ঢালাও হত্যা মামলা অন্তর্বর্তী সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করছে
সম্পাদক পরিষদ (লোগো)

আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ঢালাওভাবে হত্যা মামলা দেওয়ার নিন্দা জানিয়ে সম্পাদক পরিষদ বলেছে, এ ধরনের মামলা দেওয়ার প্রবণতা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে অন্তর্বর্তী সরকারের ভাবমূর্তিকে ক্ষুণ্ন করছে। সংগঠনটির নেতারা একই সঙ্গে অভিযুক্ত সাংবাদিকদের কোনো সংশ্লিষ্টতা না পাওয়া গেলে এসব মামলা থেকে দ্রুত তাদের অব্যাহতি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) পরিষদের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এই প্রতিবাদ জানানো হয়। 

পরিষদের সভাপতি মাহফুজ আনাম ও সাধারণ সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদ বিবৃতিতে বলেন, ‘ঢালাও অভিযোগের ভিত্তিতে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলার ঘটনা এখনো অব্যাহত রয়েছে। সম্পাদক পরিষদ দ্ব্যর্থহীন কণ্ঠে বলতে চায়, এ ধরনের মামলা প্রচলিত আইনের অপব্যবহারের শামিল। একই সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের স্বাধীন সাংবাদিকতার প্রতিশ্রুতিরও লঙ্ঘন।’ 

সাংবাদিকরা কোনো অপরাধ করে থাকলে সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে যথাযথ ধারা অনুসরণ করে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে। সম্পাদক পরিষদ আরও জোর দিয়ে বলতে চায় যে পেশাদারত্ব বাদ দিয়ে নীতিবিবর্জিত ও লেজুড়বৃত্তির সাংবাদিকতা বর্জনীয়। যেসব সাংবাদিক বিগত সরকারের নানা নিপীড়নমূলক কর্মকাণ্ডে সাংবাদিকতার নামে সমর্থন দিয়েছেন, প্রেস কাউন্সিলে একটি কমিটি গঠন করে তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত ও অনুসন্ধান হতে পারে। সেখানে দোষী সাব্যস্ত হলে প্রেস কাউন্সিল আইনে তাদের সাজা হতে পারে। তাদের অন্যান্য অপরাধের ক্ষেত্রে প্রেস কাউন্সিলের সুপারিশের ভিত্তিতে প্রচলিত আইনে তাদের বিচার চলতে পারে।

সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ঢালাও মামলা অন্তর্বর্তী সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করবে মন্তব্য করে তারা বলেন, ‘বিগত সরকারের সময়ে ডিএসএ/সিএসএসহ নিবর্তনমূলক বিভিন্ন আইন ও হয়রানিমূলক আটক-গ্রেপ্তারের মাধ্যমে সাংবাদিকদের কণ্ঠরোধের যে প্রয়াস চালানো হয়েছিল, তা বৈশ্বিক পরিমণ্ডলে অত্যন্ত নিন্দিত ও সমালোচিত হয়েছিল। আর বর্তমানে সাংবাদিকদের নামে এভাবে ক্রমাগত হত্যা মামলা দেওয়ার প্রবণতাও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে অন্তর্বর্তী সরকারের ভাবমূর্তিকে ক্ষুণ্ন করছে।’

এ অবস্থায় যথাযথভাবে যাচাই-বাছাই করে অভিযুক্ত সাংবাদিকদের কোনো সংশ্লিষ্টতা না পাওয়া গেলে এসব মামলা থেকে দ্রুত তাদের অব্যাহতি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন সম্পাদক পরিষদের নেতারা।

সাংবাদিকদের ভালোবাসায় সিক্ত মুশফিকুল ফজল আনসারী

প্রকাশ: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:০৩ পিএম
সাংবাদিকদের ভালোবাসায় সিক্ত মুশফিকুল ফজল আনসারী
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিচ্ছেন সাংবাদিক মুশফিকুল ফজল আনসারী। ছবি : সংগৃহীত

জাতীয় প্রেসক্লাবে সহকর্মীদের উচ্ছ্বাস ও ভালোবাসায় সিক্ত হয়েছেন দীর্ঘ এক দশক নির্বাসনে থাকা সাংবাদিক মুশফিকুল ফজল আনসারী।

শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাব, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন, ঢাকা সাংবাদিক সমবায় সমিতি লিমিটেডসহ বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠনসহ নানা ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে তাকে বিশেষ সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

সংবর্ধনা আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক সৈয়দ আবদাল আহমদের সভাপতিত্বে সদস্যসচিব শফিউল আলম দোলনের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে রাজনৈতিক নেতা, সাংবাদিক, মানবাধিকারকর্মী, কবি, সাহিত্যিক, শিক্ষক, আইনজীবী, কৃষিবিদ, চিকিৎসকসহ নানা পেশার মানুষ অনুষ্ঠানে অংশ নেন।

মুশফিকুল ফজল আনসারী বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষের সৌভাগ্য যে, ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মতো একজন নোবেল লরিয়েটকে সরকারপ্রধান হিসেবে পেয়েছেন। তিনি আপাদমস্তক একজন নির্লোভ ব্যক্তি। তিনি নিঃসন্দেহে বাংলাদেশ এবং দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করবেন।’ একইসঙ্গে সরকারের উপদেষ্টাদের প্রতি দেশের জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী সুবিচার প্রতিষ্ঠা করবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। 

দেশের গণমাধ্যম প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘কোনো গণমাধ্যম বন্ধ হোক এটা আমরা চাই না। তবে পতিত স্বৈরাচারের সুবিধাভোগী দোসররাই এখনো বেশিরভাগ মিডিয়া চালাচ্ছে। এক্ষেত্রে জনগণের পক্ষের এবং বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকদের দায়িত্ব দিতে হবে। যাতে সত্যিকার অর্থেই দেশের মানুষের চাওয়া-পাওয়া, আশা-আকাঙ্ক্ষার ভাষা প্রতিফলিত হয়।’

শেখ হাসিনা সরকারের আমলে নির্যাতনের শিকার অনেক সাংবাদিক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেন। সেই সাথে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে মুশফিকুল ফজল আনসারীর ভূমিকার ভূয়সী প্রশংসা করেন তারা।

এদিকে অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে দেশের গণতন্ত্র, বাকস্বাধীনতা ও ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের পেছনে সাংবাদিক মুশফিকুল ফজল আনসারীর অনন্য ভূমিকা ছিল বলে উল্লেখ করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি তাকে বাংলাদেশের রিয়েল হিরো বলে আখ্যা দেন।

এ সময় সাংবাদিকদের পেশাদারিত্ব বজায় রেখে নীতি-নৈতিকতার সঙ্গে সংবাদ সংগ্রহ, তৈরি ও পরিবেশনের আহ্বান জানান মির্জা ফখরুল। 

অনুষ্ঠানে উপস্থিত সাংবাদিক নেতারা বলেন, ‘স্বৈরাচার শেখ হাসিনার আমলে বিশ্বের বাংলাভাষীদের কাছে প্রতীক্ষার আরেক নাম ছিল মুশফিকুল ফজল আনসারী। জাতিসংঘ, হোয়াইট হাউস, পেন্টাগন, স্টেট ডিপার্টমেন্টসহ গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক দপ্তরগুলোতে শেখ হাসিনার অপশাসনের কথা তুলে ধরার মাধ্যমে অসামান্য, অনন্য ও অতুলনীয় ভূমিকা রেখেছেন তিনি। সাংবাদিক সমাজ তাকে নিয়ে গর্বিত এবং তাকে সংবর্ধনা দিতে পেরে আনন্দিত।’

বিভিন্ন সংগঠনের দেওয়া ফুলেল সংবর্ধনা শেষে মুশফিকুল ফজল আনসারী বলেন, ‘অনেকটা নিরাপদ স্থানে থেকেই আমরা হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলে গেছি। যদিও নানাভাবে আমাদের পরিবারকে হেনস্থা করা হয়েছিল। তবে আমাদের ত্যাগের চেয়েও দেশে অবস্থান করে যারা লড়াই করে গেছেন তাদের অবদান ভোলার মতো নয়।’ 

তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনা সরকার নানাভাবে আমাকে প্রভাবিত করতে চেষ্টা করেছিল। প্রলোভন দেখিয়েছিল। কিন্তু নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করাটাই নিজের ব্রত মনে করেছি।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘সময়টা আনন্দ-উৎসবের নয়। দয়া করে এসব ছবি দিয়ে শহিদি পরিবারগুলোর মনের কষ্ট বাড়িয়ে দেবেন না। এটা আপনাদের কাছে বিশেষ অনুরোধ। আল্লাহ যেন তাদের সবাইকে শহিদি মর্যাদা দান করেন।’ 

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর ড. কামরুল আহসান, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. আব্দুল লতিফ মাসুম, মানবাধিকারকর্মী নূর খান লিটন, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট রেজাউল করিম রেজা, সরকারি কর্মকর্তা কল্যাণ সমিতির নেতা নেয়ামত উল্লাহ, গণধিকার পরিষদ নেতা তারেক রহমান, বিশিষ্ট কবি উদ্দিন স্টালিন, সাংবাদিক নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কামাল উদ্দিন সবুজ, সাংবাদিক নেতা কবি আবদুল হাই শিকদার, ইলাহি নেওয়াজ খান সাজু, ইলিয়াস খান, কাদের গণি চৌধুরী, ডিআরইউর সাবেক সভাপতি মুরসালিন নোমানী, শহিদুল ইসলাম, খুরশিদ আলম, জাহাঙ্গীর আলম প্রধান প্রমুখ।

মিজানুর রহমান/সালমান/

ইউএনবির চেয়ারম্যান আমানউল্লাহ খান আর নেই

প্রকাশ: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৩:০১ পিএম
ইউএনবির চেয়ারম্যান আমানউল্লাহ খান আর নেই
ইউএনবির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান আমানউল্লাহ খান গতকাল বিকেল পাঁচটায় ইন্তেকাল করেছেন

ইউনাইটেড নিউজ অব বাংলাদেশের (ইউএনবি) প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান আমানউল্লাহ খান আর নেই (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তার বয়স হয়েছিল ৮০ বছর। 

বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে বিকেল ৫টার দিকে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন কসমস গ্রুপ অব কোম্পানির চেয়ারম্যান আমানউল্লাহ খান। বার্ধক্যজনিত জটিলতায় ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। তিনি স্ত্রী, ভাই, আত্মীয়স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। খবর ইউএনবির।

আজ শুক্রবার বাদ জুমা গুলশানের আজাদ মসজিদে জানাজা শেষে বনানী কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।

ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশের ফেলো ছিলেন তিনি। ১৯৬৯ সালে ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস অব পাকিস্তান থেকে চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস হিসেবে ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি ইউএনবির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান। ইউএনবি দেশের শীর্ষস্থানীয় সংবাদ সংস্থা, যা ১৯৮৮ সালে অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের (এপি) সঙ্গে সংবাদ বিনিময়ের প্রধান অংশীদার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।

তিনি কসমস প্রিন্টিং অ্যান্ড পাবলিশিং লিমিটেডের চেয়ারম্যানও ছিলেন। এটি বাংলাদেশের অন্যতম পুরোনো ইংরেজি সাপ্তাহিক ঢাকা কুরিয়ারসহ নানা ধরনের বই প্রকাশ করে। পেশাগত কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি তিনি জাতীয় দৈনিক ও সংবাদ ম্যাগাজিনে বিভিন্ন বিষয়ে নিবন্ধ লেখার জন্য পরিচিত ছিলেন।

অনলাইন নিউজ পোর্টালের ইতিহাস

প্রকাশ: ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫:২৪ পিএম
আপডেট: ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮:৩১ পিএম
অনলাইন নিউজ পোর্টালের ইতিহাস
অনলাইন নিউজ পোর্টালের ইতিহাস

ইন্টারনেটের সহজলভ্যতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ১৯৯০-এর দশকের শুরুর দিকে সংবাদমাধ্যমগুলোতে ডিজিটাল রূপান্তর শুরু হয়। বর্তমানে সময়ে All Bangla Newspaper-এ সবগুলো বাংলা সংবাদপত্রসহ বিশ্বের প্রায় সব দেশ ও ভাষার সংবাদপত্রের অনলাইন সংস্করণ রয়েছে। তথ্য, বিনোদন, সংবাদ ও বিজ্ঞাপন ইত্যাদি দ্রুততম সময়ের মধ্যে ব্যবহারের সুযোগ থাকার কারণে অনলাইন নিউজ পোর্টালগুলো দিন দিন জনপ্রিয় হচ্ছে।

অনলাইন নিউজ পোর্টালের ইতিহাস বেশ সমৃদ্ধ এবং বৈচিত্র্যময়। যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয়েস স্টেট ইউনিভার্সিটি থেকে ‘নিউজ রিপোর্ট’ নামে প্রথম অনলাইন নিউজ পোর্টালটি ১৯৭৪ সালে প্রকাশিত হয়েছিল। 

উইকিপিডিয়ার তথ্যমতে, ১৯৮৭ সালে শুরু হওয়া ব্রাজিলীয় সরকারি মালিকানাধীন সংবাদপত্র ‘জর্নালদোদিঅ্যা’ ৯০-এর দশকের দিকে অনলাইন সংস্করণের সূচনা করে।

উপমহাদেশের অনলাইন সংবাদপত্রের যাত্রা শুরু হয় ৯০-এর দশকের শেষে ও ২০ দশকের শুরুর দিকে ভারতের প্রথম দ্য হিন্দু ও টাইমস অব ইন্ডিয়া এবং পাকিস্তানের দ্য ডন এবং দ্য নিউজ ইন্টারন্যাশনাল অনলাইন পোর্টাল দিয়ে। তখন সংবাদপত্রগুলো ছাপা সংস্করণের পাশাপাশি অনলাইন পোর্টালও প্রকাশ করে।

দেশের প্রথম অনলাইন নিউজ পোর্টাল যাত্রা শুরু করে ২০০৫ সালে। এরপর পর্যায়ক্রমে দেশের আরও কয়েকটি জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যম তাদের অনলাইন সংস্করণ প্রকাশ করে।

২০২৪ সাল পর্যন্ত বিশ্বে অনলাইন নিউজ পোর্টালের মোট সংখ্যা কত তার সঠিক তথ্য পাওয়া যায়নি। এর সঠিক সংখ্যা বের করা খুব কঠিন একটি কাজ, কেননা প্রতিনিয়ত বিশ্বে অনেক অনলাইন পোর্টাল যাত্রা শুরু করছে এবং অনেক পোর্টাল তাদের কার্যক্রম বন্ধ করে দিচ্ছে। তবে প্রকাশিত বেশিরভাগ সংবাদপত্রগুলোই তাদের উন্নতি সাধন করছে।

সালমান/