ঢাকা ২৩ কার্তিক ১৪৩১, শুক্রবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৪

অনলাইন নিউজ পোর্টালের ইতিহাস

প্রকাশ: ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫:২৪ পিএম
আপডেট: ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮:৩১ পিএম
অনলাইন নিউজ পোর্টালের ইতিহাস
অনলাইন নিউজ পোর্টালের ইতিহাস

ইন্টারনেটের সহজলভ্যতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ১৯৯০-এর দশকের শুরুর দিকে সংবাদমাধ্যমগুলোতে ডিজিটাল রূপান্তর শুরু হয়। বর্তমানে সময়ে All Bangla Newspaper-এ সবগুলো বাংলা সংবাদপত্রসহ বিশ্বের প্রায় সব দেশ ও ভাষার সংবাদপত্রের অনলাইন সংস্করণ রয়েছে। তথ্য, বিনোদন, সংবাদ ও বিজ্ঞাপন ইত্যাদি দ্রুততম সময়ের মধ্যে ব্যবহারের সুযোগ থাকার কারণে অনলাইন নিউজ পোর্টালগুলো দিন দিন জনপ্রিয় হচ্ছে।

অনলাইন নিউজ পোর্টালের ইতিহাস বেশ সমৃদ্ধ এবং বৈচিত্র্যময়। যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয়েস স্টেট ইউনিভার্সিটি থেকে ‘নিউজ রিপোর্ট’ নামে প্রথম অনলাইন নিউজ পোর্টালটি ১৯৭৪ সালে প্রকাশিত হয়েছিল। 

উইকিপিডিয়ার তথ্যমতে, ১৯৮৭ সালে শুরু হওয়া ব্রাজিলীয় সরকারি মালিকানাধীন সংবাদপত্র ‘জর্নালদোদিঅ্যা’ ৯০-এর দশকের দিকে অনলাইন সংস্করণের সূচনা করে।

উপমহাদেশের অনলাইন সংবাদপত্রের যাত্রা শুরু হয় ৯০-এর দশকের শেষে ও ২০ দশকের শুরুর দিকে ভারতের প্রথম দ্য হিন্দু ও টাইমস অব ইন্ডিয়া এবং পাকিস্তানের দ্য ডন এবং দ্য নিউজ ইন্টারন্যাশনাল অনলাইন পোর্টাল দিয়ে। তখন সংবাদপত্রগুলো ছাপা সংস্করণের পাশাপাশি অনলাইন পোর্টালও প্রকাশ করে।

দেশের প্রথম অনলাইন নিউজ পোর্টাল যাত্রা শুরু করে ২০০৫ সালে। এরপর পর্যায়ক্রমে দেশের আরও কয়েকটি জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যম তাদের অনলাইন সংস্করণ প্রকাশ করে।

২০২৪ সাল পর্যন্ত বিশ্বে অনলাইন নিউজ পোর্টালের মোট সংখ্যা কত তার সঠিক তথ্য পাওয়া যায়নি। এর সঠিক সংখ্যা বের করা খুব কঠিন একটি কাজ, কেননা প্রতিনিয়ত বিশ্বে অনেক অনলাইন পোর্টাল যাত্রা শুরু করছে এবং অনেক পোর্টাল তাদের কার্যক্রম বন্ধ করে দিচ্ছে। তবে প্রকাশিত বেশিরভাগ সংবাদপত্রগুলোই তাদের উন্নতি সাধন করছে।

সালমান/

কমিউনিটি ব্যাংক-খবরের কাগজ বিশ্বকাপ কুইজের পুরস্কার বিতরণ

প্রকাশ: ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ১০:২৫ পিএম
আপডেট: ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ১০:২৫ পিএম
কমিউনিটি ব্যাংক-খবরের কাগজ বিশ্বকাপ কুইজের পুরস্কার বিতরণ
কমিউনিটি ব্যাংক-খবরের কাগজ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ অনলাইন কুইজ বিজয়ীদের সঙ্গে সম্পাদক মোস্তফা কামালসহ অন্যরা। ছবি : খবরের কাগজ

উৎসবমুখর পরিবেশে কমিউনিটি ব্যাংক-খবরের কাগজ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ অনলাইন কুইজ বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়েছে। পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন খবরের কাগজ সম্পাদক মোস্তফা কামাল ও কমিউনিটি ব্যাংকের এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং চিফ মার্কেটিং অফিসার ইয়াসের নূর। 

বুধবার (৬ নভেম্বর) রাজধানীর বাংলামোটরে খবরের কাগজের প্রধান কার্যালয়ে এ পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন কমিউনিটি ব্যাংকের ম্যানেজার, পিআর অ্যান্ড মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট মার্কেটিং অ্যান্ড করপোরেট অ্যাফেয়ার্স মো. ইকরাম হোসেন, সিনিয়র অফিসার মিডিয়া অ্যান্ড ব্র্যান্ডিং দিদারুল করিম। এ ছাড়া খবরের কাগজের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন নির্বাহী সম্পাদক এনাম আবেদীন, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক খালেদ ফারুকী, উপ-সম্পাদক ড. মুহম্মদ এমদাদ হাসনায়েন, কপি এডিটর এ. এম. মাসুদুজ্জামান, নিউজ এডিটর রোকেয়া রহমান, ফিচার সম্পাদক খালেদ আহমেদ, বিশেষ প্রতিনিধি (স্পোর্টস)  মহিউদ্দিন পলাশ, জি এম মার্কেটিং মাসুদুর রহমান, মানবসম্পদ বিভাগের প্রধান মিন্টু ভূষণ রায়, সার্কুলেশন বিভাগের প্রধান মাসুদ কবির পাভেল, আইটি হেড প্রিন্স মাহমুদ অর্ণব ও ডিজিটাল বিভাগের প্রধান কাজী গোলাম রাব্বানী। অনুষ্ঠান আয়োজন এবং সঞ্চালনা করেন ব্র্যান্ড অ্যান্ড ইভেন্ট বিভাগের প্রধান আতিয়া সুলতানা। 

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ চলাকালীন প্রতিদিনের কুইজের ফলাফল প্রকাশ করা হয়। পরে বিজয়ীদের ফটোকার্ড খবরের কাগজের ফেসবুক পেজে প্রকাশ করা হয়। কুইজ পরিচালনার কাজে সরাসরি যুক্ত ছিলেন সম্পাদক মোস্তফা কামাল। এ ছাড় যুক্ত ছিল ডিজিটাল মার্কেটিং বিভাগ, আইটি বিভাগ, ডিজিটাল ভিডিও বিভাগ, স্পোর্টস বিভাগ এবং ব্র্যান্ড অ্যান্ড ইভেন্ট বিভাগ।

মোট পুরস্কার বিজয়ী ২৬ জন। প্রথম রাউন্ডে ১৭ জন বিজয়ী পেয়েছেন নেকব্যান্ড। সুপার এইট পর্বে এয়ারবার্ডস পুরস্কার পান সাতজন। সেমিফাইনাল ও ফাইনাল পর্বে একজন করে দুজন পান স্মার্টফোন। এই দুজন হলেন মাহবুবা রহমান (আরুশী বন্যা) ও আতিকুল ইসলাম। 

পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে খবরের কাগজের সম্পাদক মোস্তফা কামাল বলেন, ‘টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ অনলাইন কুইজ প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের অভিনন্দন। অনেকেই দূরদূরান্ত থেকে এসেছেন। আমি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাতে চাই কমিউনিটি ব্যাংককে। নতুন ব্যাংক হিসেবে তারা আমাদের নতুন পত্রিকার পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। আশা করি ভবিষ্যতেও থাকবে।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা খেলাধুলাকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দিয়ে থাকি। সম্প্রতি নেপালে অনুষ্ঠিত সাফ ফুটবলে নারীরা দ্বিতীয়বারের মতো শিরোপা জিতেছেন। সেই টুর্নামেন্ট কভার করতে আমাদের রিপোর্টার গিয়েছিলেন।’

খবরের কাগজের এক বছর পূর্তি ও অগ্রযাত্রা নিয়ে মোস্তফা কামাল বলেন, ‘আমরা সব সময়ই বলি পাঠকই পত্রিকার প্রাণশক্তি। পত্রিকা টিকে থাকে পাঠকদের জোরেই। আর আমরা নিজেদের জায়গায় নিরপেক্ষ। সব সময় সত্য ও বস্তুনিষ্ঠ খবর দেওয়ার চেষ্টা করি। আমরা সাদাকে সাদা বলি, কালোকে কালোই বলি। সেই সৎ সাহস আমাদের আছে। আবারও অভিনন্দন জানাই বিজয়ীদের, আশা করি, অতীতের মতো সামনের দিনগুলোতে খবরের কাগজের সঙ্গেই থাকবেন সবাই।’

কমিউনিটি ব্যাংকের এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং চিফ মার্কেটিং অফিসার ইয়াসের নূর তার বক্তব্যে বলেন, ‘আমি ধন্যবাদ জানাতে চাই খবরের কাগজকে। বিশেষ করে সম্পাদক মহোদয়কে। আমাদের ব্যাংক নতুন, খবরের কাগজও নতুন। দুটি নতুন ব্র্যান্ডের প্রথমবারের মতো পথচলাটা দারুণ ছিল। বিশ্বকাপের সময় আপনাদের অংশগ্রহণ আমাদের মুগ্ধ করেছে। সবার কাছে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি পুরস্কার বিতরণে একটু দেরি হওয়ায়। ধন্যবাদ খবরের কাগজকে আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য। ভবিষ্যতে একসঙ্গে কাজ করতে চাই। সবাইকে ধন্যবাদ।’  

পুরস্কারপ্রাপ্তদের তালিকা 

প্রথম পর্বে নেকব্যান্ড বিজয়ী ১৭ জন হলেন কুমিল্লার সুরাইয়া আক্তার; বাড্ডা, ঢাকার মো. শাহিন কাদির; বাড্ডা, ঢাকার মো. সাইদুল ইসলাম মিঠু; হামজারবাগ মোড়, চট্টগ্রামের মোহাম্মদ দিদারুল ইসলাম; আজম রোড নাজিরহাট ফটিকছড়ি চট্টগ্রামের সঞ্জয় দেবনাথ; ঢাকার মগবাজারের মো. নাজমুল আলম; ঢাকার চামেলীবাগের ফামিয়া ইসলাম সুমাইয়া; সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটির পিআর অফিসার মো. সাজ্জাদুল ইসলাম; রংপুর, বড়দরগার ওয়াসীফ ইসলাম ওয়াসী; কমলাপুর, ডিআইবি বটতলা, ফরিদপুরের মোস্তাফিজ জুয়েল; নওগাঁ পলিটেকনিক্যাল ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী, শাকির আল মুহী; দৌলতপুর, কুষ্টিয়ার আব্দুল্লাহ আল জাকির; বাগাতিপাড়া, নাটোরের কৌশিক আহমেদ; ডিআইটি প্লট, গেন্ডারিয়া, ঢাকার এস এম আতাউল রহমান; সিঙ্গার গলি, রংপুরের মো. ফয়সাল আনসারী; বেনারসি পল্লী, মিরপুর ১০ ও  ঢাকার বার্ক নাফিসা ইমা।

সুপার এইট পর্বে এয়ারবার্ডস বিজয়ী ৭ জন হলেন গোদনাইল, সিদ্ধিরগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জের উম্মে মারুফা আশা; নতুন কলেজ রোড, মাইজদী কোর্ট, নোয়াখালীর তারেকুর রহমান; কক্সবাজারের রিদওয়ান মোস্তফা শাকিব; বায়তুশ শরীফ মসজিদ এলাকা, ভাটিখানা, বরিশালের মো. রায়হান পারভেজ; এ কে খান, চট্টগ্রামের এ জে বাপ্পী;  বান্দুটিয়া, মানিকগঞ্জের সঞ্জিত মণ্ডল; তানজিনা তাবাসসুম, সরাইপাড়া, পাহাড়তলী, চট্টগ্রাম।