ঢাকা ৩ ফাল্গুন ১৪৩১, রোববার, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
English
রোববার, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ৩ ফাল্গুন ১৪৩১

সিলেট প্রেস ক্লাবের সভাপতি মঈন, সম্পাদক নাসির

প্রকাশ: ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:৫২ পিএম
আপডেট: ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:৫৩ পিএম
সিলেট প্রেস ক্লাবের সভাপতি মঈন, সম্পাদক নাসির
মঈন উদ্দিন ও মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন। ছবি : খবরের কাগজ

সিলেট জেলা প্রেস ক্লাবের দ্বি-বার্ষিক নির্বাচনে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন মঈন উদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন। দুজনেই বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন। 

শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুর ২টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রাতে সিলেট নগরীর পূর্ব জিন্দাবাজারের বারুতখানা সিলমার্ট কমপ্লেক্সে সিলেট জেলা প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে এ ফলাফল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট এ কে এম শমিউল আলম।

সভাপতি পদে মঈন উদ্দিন ৬৪ ভোট পেয়ে ফয়সল আহমদ বাবলুকে ১৯ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করেছেন। সাধারণ সম্পাদক পদে মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন ৮৭ পেয়ে মিসবাহ উদ্দীন আহমদকে ৬৩ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করেছেন।

নবনির্বাচিত কমিটির নেতারা হলেন সহসভাপতি (প্রথম) ডেইলি নিউএজ-এর স্টাফ করেসপন্ডেন্ট মনিরুজ্জামান মনির, সহসভাপতি (দ্বিতীয়) দৈনিক উত্তরপূর্ব-এর জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক সজল ঘোষ, সাধারণ সম্পাদক দৈনিক শ্যামল সিলেট পত্রিকার চিফ রিপোর্টার ও বাংলা নিউজ২৪ডটকম-এর সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট (সিলেট) মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন, সহ-সাধারণ সম্পাদক ডেইলি সাউথ এশিয়ান টাইমস-এর বিশেষ প্রতিনিধি (সিলেট) রবি কিরণ সিংহ (মাইস্লাম রাজেশ), কোষাধ্যক্ষ দৈনিক জৈন্তাবার্তার বার্তা সম্পাদক আনন্দ সরকার, দপ্তর সম্পাদক দৈনিক রূপালী বাংলাদেশ-এর সিলেট প্রতিনিধি আব্দুল আহাদ, প্রচার-প্রকাশনা সম্পাদক সিলেট ভিউ-এর নিউজ ইনচার্জ ও দৈনিক বাংলাদেশ খবরের নিজস্ব প্রতিবেদক (সিলেট)  মো. রেজাউল হক ডালিম, ক্রীড়া ও সংস্কৃতি সম্পাদক এশিয়ান টেলিভিশনের সিলেট প্রতিনিধি শাহজাহান সেলিম বুলবুল, তথ্য ও প্রযুক্তি সম্পাদক জাগো নিউজ২৪ডটকম-এর সিলেট জেলা প্রতিনিধি জামিল আহমদ (আহমেদ জামিল), পাঠাগার সম্পাদক ফাইনান্সিয়াল এক্সপ্রেস ও দৈনিক বণিক বার্তার সিলেট প্রতিনিধি মো. আলী আকবর চৌধুরী কোহিনূর এবং সদস্য (প্রথম) দৈনিক শুভ প্রতিদিন-এর সহকারী বার্তা সম্পাদক মো. সোহেল আহমদ সুহেল (নবীন সোহেল), দ্বিতীয় সদস্য দৈনিক যুগভেরী-এর স্টাফ ফটোগ্রাফার রনজিৎ কুমার সিংহ, তৃতীয় সদস্য দৈনিক প্রতিদিনের সংবাদ-এর সিলেট প্রতিনিধি তুহিন আহমদ এবং চতুর্থ সদস্য দৈনিক জাগ্রত সিলেট-এর বার্তা সম্পাদক রাজীব আহমেদ রাসেল (রাজীব রাসেল)।

এর মধ্যে দুই সহসভাপতি, কোষাধ্যক্ষ, দপ্তর সম্পাদক, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক, ক্রীড়া ও সংস্কৃতি সম্পাদক, তথ্য ও প্রযুক্তি সম্পাদক এবং পাঠাগার সম্পাদক বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন।

সিলেট জেলা প্রেস ক্লাব নির্বাচনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট এ কে এম সামিউল আলম। বাকি দুই নির্বাচন কমিশনার ছিলেন- মহানগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার ভবতোষ রায় বর্মণ ও সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)-এর সিলেট সভাপতি ফারুক মাহমুদ চৌধুরী।

ফলাফল ঘোষণা অনুষ্ঠানে বর্তমান সভাপতি হাসিনা বেগম চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক শাহ দিদার আলম চৌধুরী নবেলসহ কার্যকরী কমিটির নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

প্রেস ক্লাবে মোট ভোটার ১১৯ জন। এর মধ্যে শনিবারের নির্বাচনে ১১১টি ভোটাধিকার প্রয়োগ করা হয়েছে।

শাকিলা ববি/জোবাইদা/

অন্ধকার ঘুচাতে চাই সাংস্কৃতিক জাগরণ: কাদের গনি চৌধুরী

প্রকাশ: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৬:২০ পিএম
আপডেট: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৬:৩২ পিএম
অন্ধকার ঘুচাতে চাই সাংস্কৃতিক জাগরণ: কাদের গনি চৌধুরী
‘স্বাধীন শিল্প সংস্কৃতি চর্চা’ শীর্ষক আলোচনায় বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের মহাসচিব কাদের গনি চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের মহাসচিব কাদের গনি চৌধুরী বলেছেন, অন্ধকার ঘুচাতে চাই সাংস্কৃতিক জাগরণ। সমাজের অন্যায়-অপরাধ নির্মূল করতে হলে বিশেষ করে তরুণদের সাংস্কৃতিক জাগরণ প্রয়োজন। তরুণদের বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ার শঙ্কা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ভাবতে হচ্ছে। আমাদের তরুণদের এক আলোকিত ভবিষ্যতের দিকে ধাবিত করতে হলে তাদের সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের প্রতি উৎসাহিত করতে হবে। তাহলে তারা মননে ও আচরণে আলোকিত মানুষ হতে পারবে।

শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৩টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী মিলনায়তনে মুক্ত বাংলাদেশে ‘স্বাধীন শিল্প সংস্কৃতি চর্চা’ শীর্ষক আলোচনা এবং জুলাই ২০২৪ ছাত্র আন্দোলনের ওপর ভিত্তি করে নির্মিত চলচ্চিত্র ‘দ্যা রিমান্ড’ এর টিজার প্রদর্শনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব বলেন।

অ্যাডভোকেট কে এম জাবিরের সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশ নেন ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি শহিদুল ইসলাম, এনটিভির পরিচালক নুরুদ্দীন আহমেদ, ব্যারিস্টার ওমর ফারুক, অ্যাডভোকেট শাহ আহমেদ বাদল, সাংবাদিক এরফানুল হক নাহিদ, কামরুল হাসান দর্পণ, সাদিক আল আরমান, নায়ক মারুফ আকিব ও আবির পারভেজ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

কাদের গনি চৌধুরী বলেন, সংস্কৃতি মানবসভ্যতার একটি অন্যতম অনুষঙ্গ। জীবনের পরতে পরতে সংস্কৃতির উপাদান জড়িয়ে রয়েছে। বিশ্বায়ন, শিল্পায়ন ও ডিজিটালাইজেশনের কারণে সংস্কৃতির উপাদানগুলো বিভিন্ন দেশের মধ্যে বিনিময় হয়। সঙ্গত কারণে সংস্কৃতির সঙ্গে উপসংস্কৃতির একটি যোগসাজশ থাকে। উপসংস্কৃতির ও অপসংস্কৃতির প্রভাব যখন আধিক্য বিস্তার করে তখনই মূলত সাংস্কৃতিক সংকট তৈরি হয়, বিদেশনির্ভরতা চলে আসে অনেকের মধ্যে। বাংলাদেশে একটা সাংস্কৃতিক জাগরণের বড্ড প্রয়োজন। এ জাগরণের মধ্য দিয়ে সকল প্রকার অনিয়ম, অন্যায়, নৈরাজ্য চিরতরে রুখে দেওয়া সম্ভব। এ জাগরণের মধ্য দিয়ে অনাবিষ্কৃত সভ্যতার নিদর্শনগুলো জাতীয় সম্পদে পরিচিতি পাবে এবং জাতীয় অর্থনীতিতে বিশেষ করে পর্যটন খাতে অপার সম্ভাবনার সৃষ্টি হবে।

সাংবাদিকদের এ নেতা বলেন, সারা দুনিয়া সাংস্কৃতিক জাগরণের ওপর বিশেষ গুরুত্ব প্রদান করেছে। তারা অনুধাবন করতে সক্ষম হয়েছেন অনিয়ম, অসঙ্গতি, অপরাধ, নৈরাজ্য, সাম্প্রদায়িকতা থেকে জাতিকে সুরক্ষিত করার অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ সংযোজন হতে পারে সাংস্কৃতিক জাগরণ। একমাত্র সাংস্কৃতিক জাগরণই পারে সব পেশা-শ্রেণির মানুষকে একসূত্রে, এক কাঠামোয়, সুনির্দিষ্ট অঙ্গীকারে দাঁড় করাতে।

সাংস্কৃতিক জাগরণের জন্য একটি আলোড়ন জরুরি উল্লেখ করে তিনি বলেন, একটি শ্রেণি রয়েছে যারা দেশি সংস্কৃতির বিভিন্ন অনুষঙ্গ বয়কট করে বিজাতীয় সংস্কৃতির ওপর নির্ভর করে এবং বিজাতীয় সংস্কৃতিতে বিশ্বাসী শ্রেণিটি সামগ্রিকভাবে বিজাতীয় সংস্কৃতি আমাদের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে চায়। এদের ব্যাপারে সচেতন থাকতে হবে। মধ্যযুগের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কবি আবদুল হাকিম বলেছিলেন, ‘দেশী ভাষা বিদ্যা যার মনে ন জুরায়, নিজ দেশ ত্যাগী কেন বিদেশ ন যায়’। তিনি যথার্থই বলেছিলেন এবং বর্তমান সময়েও তার ভাষ্য প্রাসঙ্গিক। যারা এ দেশে থেকে, এ দেশের আলো-বাতাসে বড় হচ্ছে কিন্তু দেশি সংস্কৃতির ওপর আস্থা নেই, উপরন্তু তারা বিদেশি সংস্কৃতির ওপর নির্ভর করে নিজেদের আলাদা পরিচয় প্রদানে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে তাদের বাংলাদেশে থাকার কোনো যৌক্তিকতা নেই। মাইকেল মধুসূদন দত্ত বিলেতে ইংরেজি ভাষায় তার কবিগুণ প্রকাশ করতে সেখানে থিতু হয়েছিলেন। পরে বিদেশি ভাষায় ব্যর্থ হয়ে দেশে ফিরে দেশি ভাষায় কাব্যচর্চায় মনোনিবেশ করেন এবং সফল হন। তিনি তার কবিতায় বাংলা ভাষাকে অবজ্ঞা করে বিদেশি ভাষায় খ্যাতি অর্জনের ভুল সিদ্ধান্তের বিষয়ে তার পাঠকসমাজকে অবহিত করেন। এ ধরনের বহু ঘটনা পৃথিবীর ইতিহাসে রয়েছে। নিজস্ব সংস্কৃতি, ভাষা, কৃষ্টি অবজ্ঞা করে অন্য সংস্কৃতিতে থিতু হয়ে প্রতিষ্ঠা পাওয়া প্রায় অসম্ভব। সে কারণেই সাংস্কৃতিক জাগরণ অত্যন্ত প্রয়োজন যে জাগরণের মাধ্যমে দেশি গান, নৃত্য, কবিতা, নাটক, পুঁথি, দেশি ভাষায় নির্মিত চলচ্চিত্র ইত্যাদিকে ভালোবেসে স্বপ্নের বাংলাদেশ বিনির্মাণের অগ্রযাত্রায় তরুণ প্রজন্মের শামিল হওয়া জরুরি।

তিনি বলেন, সংস্কৃতির উপাদান যত বেশি সমৃদ্ধ, সভ্যতার বিকাশেও ওই জাতির উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আনয়ন সম্ভব। সংস্কৃতি ও সভ্যতার পরিচর্যা মূলত একটি অন্যটিকে প্রভাবিত করতে পারে।

সাংবাদিকদের এ নেতা বলেন, পূর্বপুরুষের হাত ধরে আবহমানকাল ধরে ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতা বজায় রেখে যে আচারাদিগুলো বাঙালির জীবনে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে তা বাঙালির সংস্কৃতি। বাংলার গান, কবিতা, চলচ্চিত্র, সংলাপ, নাটক, উৎসব, পার্বণ ইত্যাদি উৎস মানবজীবনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িয়ে আছে। কাজেই এ বিষয়গুলোই বাঙালির জীবনের সংস্কৃতি। সংস্কৃতির ওপর ভর করেই সামাজিক কাঠামোগুলো স্থিতিশীল হয়, গতিশীলতা পায় সামাজিক কর্মকাণ্ডগুলো। নিজস্ব সংস্কৃতিতে যে জাতি যত বেশি শক্তিশালী এবং নিজস্ব সংস্কৃতির ওপর অব্যাহত চর্চায় অনুশীলন করে সে জাতি কৃষ্টি-কালচারের দিক দিয়ে সমৃদ্ধির পাশাপাশি অর্থনৈতিকভাবেও শক্তিশালী ও সমৃদ্ধ।

তিনি বলেন, সংস্কৃতি একটি জাতির সুস্থির তথা সমৃদ্ধ অবস্থা তুলে ধরতে সহায়তা করে। আঞ্চলিক ভাষাগুলো বিশেষ করে আদিবাসী ভাষাগুলো টিকিয়ে রাখতে হবে, সেজন্য পদক্ষেপ গ্রহণ জরুরি। ভাওয়াইয়া, ভাটিয়ালি, জারি, সারি, প্রবাদবাক্য প্রভৃতি বিষয়ের ব্যবহার ও অনুশীলন পর্যায়ক্রমে কমে আসছে। এ জায়গাগুলোয় উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে যেমন জাতীয় পর্যায়ে লোকসংগীত, পুরোনো দিনের গান এবং উল্লিখিত গানসমূহ উপজীব্য করে প্রতিযোগিতা আয়োজন করতে হবে। কেননা সংস্কৃতির চর্চা যত বেশি হবে সভ্যতার বিকাশমান ধারা তত বেশি পরিমাণে আলোড়িত হবে এবং আবিষ্কৃত হবে।

কাদের গনি চৌধুরী বলেন, সংস্কৃতিকর্মীদের মহড়ার জায়গা নেই, প্রদর্শনের মঞ্চ নেই। পড়াশোনার পাঠাগার নেই, আলোচনার জন্য নেই ফ্রি সেমিনার হল। অন্যদিকে জায়গা, ভবন ও মঞ্চ বেশুমার পতিত হয়ে আছে। অব্যবহৃত জেলা ও উপজেলা সদরের টাউন হলগুলো, পৌর মার্কেট, উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ও ইউনিয়ন পরিষদ ভবনগুলো। নদী, পুকুর, পার্ক ও হাট উৎসবহীন।

শিল্পীরা না খেয়ে মরেন, যাপন করেন অসম্মানিত জীবন। বই পড়ার সুযোগ নেই। শিল্পীদের পরস্পরের সঙ্গে যোগাযোগ নেই। চিত্রশিল্পীদের ছবি প্রদর্শনের গ্যালারি নেই, সিনেমা দেখার সুযোগ নেই। ব্যক্তিমালিকানার হলগুলো বন্ধ হওয়ায় সিনেমা দেখাও প্রায় বন্ধ।

টাউন হলগুলোর ডিজাইন দেখলেই বোঝা যায়, হাসিনা সরকার টাউন হল চিনত না, কমিউনিটি সেন্টার চেনে। প্রত্যেক স্বৈরাচারের মতো তারাও চায়নি সংস্কৃতিচর্চার বিকাশ। এগুলোর টাইলস উঠিয়ে কিছু ইট ধাপে ধাপে বসালেই সত্যিকারের টাউন হলে পরিণত হবে। টাইলস বসানোর সংস্কৃতি থেকে বের হলে লাখখানেক টাকাতেই এটি সম্ভব। সে টাকাও স্থানীয় ধনাঢ্য ব্যক্তিরা দেবেন, যদি কোথাও দাতা হিসেবে তার নাম থাকে।

টাউন হল এলাকা সংস্কৃতিকর্মীদের এলাকা বলে চিহ্নিত করতে হবে। চত্বরের জমিতে ঘর তুলে সাংস্কৃতিক সংগঠনের জন্য বরাদ্দ করলেই সংগঠন গড়ে তোলার জোয়ার ওঠবে। ঘর তুলে দেবেন স্থানীয় ধনাঢ্যরা। শ্বেতপাথরের ফলকে শত বছর ধরে দাতাদের নাম-পরিচয় জ্বলজ্বল করবে। এখনো কারমাইকেল কলেজে ১৯০৮ সালের দাতাদের নাম আমরা পড়তে পাই। ইউএনওরা ডাক দিলে তারা এগিয়ে আসবেন।

মাহফুজ

চৌদ্দগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় সংবাদকর্মীর মৃত্যু

প্রকাশ: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:০২ পিএম
চৌদ্দগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় সংবাদকর্মীর মৃত্যু
নিহত সাংবাদিক নিলয়।

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে বাস চাপায় নুরুন্নবী চৌধুরী প্রকাশ জসীমউদ্দীন চৌধুরী নিলয় (৪০) নামে এক সংবাদকর্মী মারা গেছেন।

বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) রাত আটটার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের জগন্নাথদিঘি ফকির বাজার এলাকায় মোটর সাইকেল নিয়ে রাস্তা পার হওয়ায় সময় চট্টগ্রামগামী অজ্ঞাতনামা গাড়ি চাপায় ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।

নিহত সংবাদকর্মী উপজেলার গুণবতী ইউনিয়নের পরিকোট গ্রামের মৃত আব্দুল খালেকের ছেলে। তিনি এশিয়ান টেলিভিশনের নাঙ্গলকোট উপজেলা প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

নিহতের চাচাত ভাই ও চৌদ্দগ্রাম সরকারি হাসপাতাল সুত্রে জানা গেছে,  মহাসড়কের ফকির বাজার হয়ে বাড়ি আসার পথে চট্টগ্রামগামী অজ্ঞাত বাস চাপায় মাথায় আঘাত পায় নিলয়। এ সময় তাৎক্ষণিক এক সিএনজিচালক তাকে চৌদ্দগ্রাম সরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। 

মিয়া বাজার হাইওয়ে ফাড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জসীমউদ্দীন জানান,  খবর পেয়ে আমরা মরদেহের প্রয়োজনীয় তদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করি।

জহিরুল/মেহেদী/

খবরের কাগজের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ জুবায়েরের বাবা আর নেই

প্রকাশ: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৮:৩৭ পিএম
আপডেট: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৮:৪২ পিএম
খবরের কাগজের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ জুবায়েরের বাবা আর নেই
খবরের কাগজের বিজ্ঞাপন বিভাগের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ মো. আবু জুবায়েরের বাবা মো. আবু তৈয়ব। ছবি: সংগৃহীত

খবরের কাগজের বিজ্ঞাপন বিভাগের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ মো. আবু জুবায়েরের বাবা মো. আবু তৈয়ব মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন)। তার বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর।

বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বেলা ২টার দিকে মারা যান তিনি।

এর আগে ব্রেন স্ট্রোক করে তিনি দীর্ঘদিন শয্যাশায়ী ছিলেন। তিনি তিন ছেলে ও এক মেয়ে রেখে গেছেন। 

পরিবার সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টায় গ্রামের বাড়ি চুয়াডাঙ্গায় জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।

জনগণ দাস সাংবাদিকতাকে মনেপ্রাণে ঘৃণা করে: কাদের গনি চৌধুরী

প্রকাশ: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৬:৪১ পিএম
জনগণ দাস সাংবাদিকতাকে মনেপ্রাণে ঘৃণা করে: কাদের গনি চৌধুরী
জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার ৪৪তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর অনুষ্ঠান। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) মহাসচিব কাদের গণি চৌধুরী বলেছেন, সৎ সাংবাদিকতা সত্যকে প্রতিষ্ঠিত করে। বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা সমাজকে এগিয়ে নেয়, গণতন্ত্রকে বিকশিত করে। তাই সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে সাংবাদিকতা করতে হবে। সততা না থাকলে সাংবাদিকতা থাকে না। সাংবাদিকের কলমের শক্তিকে ইতিবাচক কাজে ব্যবহার না করলে জাতির সর্বনাশ ঘটে। তাই বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশে কোনো অজুহাত নয়। গণমানুষের মনের কথা পত্রিকার পাতায় পাতায় তুলে ধরতে হবে।

তিনি বলেন, জনগণ দাস সাংবাদিকতাকে মনেপ্রাণে ঘৃণা করে। তাদের আত্মসমর্পণকে ঘৃণা করে। তাই অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে সম্পাদক-সাংবাদিকদের নির্ভীক, নির্লোভ ভূমিকা পালন করতে হবে। একজন সাংবাদিকের কাজ সমাজের প্রকৃত চিত্র তুলে ধরা। সে জন্য গণমাধ্যমকে সমাজের দর্পণ বলা হয়। এই দর্পণে প্রতিবিম্বিত হয় সমাজের প্রতিচিত্র।

বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর আহমেদ চৌধুরী হলে জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার ৪৪তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব বলেন।

সংস্থার কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সভাপতি মো. মমিনুর রশিদ শাইন এর সভাপতিত্বে ও মহাসচিব মুহাম্মদ কামরুল ইসলাম এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সহ সভাপতি ও বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা কে এম মহসিন, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন এর সভাপতি মো. শহিদুল ইসলাম, সংস্থার উপদেষ্টা মো. আবুল বাসার মজুমদার, প্রতিষ্ঠা সদস্য মো. শাহজাহান মোল্লা, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সহ-সভাপতি মো. হাসান সরদার জুয়েল, মো. আতিকুর রহমান আজাদ, মো. জামাল হোসেন, মিজানুর রহমান প্রিন্স, মো. খায়রুল ইসলাম, নীতি নির্ধারণী পরিষদ সদস্য মোহাম্মদ মন্জুর হোসেন, যুগ্ম মহাসচিব লায়ন সিকদার মোহাম্মদ আরিফুল আলম টিটো, সহকারী মহাসচিব মো. সরকার জামাল হোসেন, সাংগঠনিক সচিব মো. ওয়াহিদুজ্জামান, মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেন এলিন, অর্থ সচিব মো. আবেদ আলী, প্রেসিডিয়াম সদস্য মো. আতিকুর রহমান, মো. আনারুল হক, পরিকল্পনা সচিব মো. সাইফুল ইসলাম, তথ্য ও প্রযুক্তি সচিব বাপ্পি আহমেদ শ্রাবণ, ঢাকা বিভাগের আহ্বায়ক মো. আনিসুর রহমান প্রধান, ঢাকা জেলা কমিটির আহ্বায়ক মো. মহসিন উদ্দিন, মাদারীপুর জেলা কমিটির সভাপতি মো. ফয়জুল কবিরসহ নেতৃবৃন্দ।

কাদের গনি চৌধুরী বলেন, সত্য বলার সাহসিকতাই সাংবাদিকতার মূলমন্ত্র। গণমাধ্যমের জন্য দরকার সৎ, সত্যনিষ্ঠ, পক্ষপাতমুক্ত সাংবাদিকতা। বাস্তবতা হচ্ছে বাংলাদেশে এসবের বড্ড অভাব পরিলক্ষিত হচ্ছে।

তিনি বলেন, গণমাধ্যমের পরাজয় মানে জনগণের পরাজয়। আর জনগণের পরাজয় মানে রাষ্ট্রের পরাজয়। তাই গণমাধ্যমকে পরাজিত হতে দেওয়া যাবে না।

এই সাংবাদিক নেতা বলেন, কারও চোখ রাঙানোকে তোয়াক্কা না করে নির্ভীক ও নিরলসভাবে কাজ করতে হয়। প্রচলিত সমাজ ব্যবস্থার চিত্র প্রত্যক্ষ করতে হয়। মানুষের সমস্যার কথা তুলে ধরার দায়িত্ব পালন করতে হয়। অনেক বাধা বিপত্তির মধ্যে সাংবাদিকদের দিন যায়। ক্ষমতাধরদের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে সাহসিকতার সঙ্গে এগিয়ে যেতে হয়।

বিএফইউজে মহাসচিব বলেন, সাংবাদিক হিসেবে আমাদের যে কর্তব্য, সেই কাজটাই করা উচিত সর্বাগ্রে। তা না করে আমরা কী করছি? রাজনৈতিক ক্যাডারের মতো কাজ করছি। আমরা দলদাসের মতো ভূমিকা রাখছি। এতে আমাদের নৈতিক অঙ্গীকার বলে আর কি-ইবা অবশিষ্ট থাকছে? বস্তুতপক্ষে সাংবাদিকতায় সাদাকে সাদা ও কালোকে কালো বলতে হবে– এটাই শিখে এসেছি আমরা। আজ সে আদর্শ ক'জন লালন করেন? আজ যখন সাংবাদিকদের  ধরে জনগণ পুলিশের হাতে সোপার্দ করে তখন লজ্জায় মুখ দেখানো যায় না।

তিনি সাংবাদিক নির্যাতন বন্ধের দাবি জানিয়ে বলেন, একদল লোক পাঠিয়ে সাংবাদিকদের যদি পদত্যাগে বাধ্য করা হয়, এটা সমাজে ভুল বার্তা যায়। সাংবাদিকদের মধ্যে অপরাধী থাকলে প্রচলিত আইনে বিচার করুন। বেআইনি কাজ আমরা মেনে নেব না।

শহিদুল ইসলাম বলেন, সাংবাদিকতা হচ্ছে পৃথিবীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ জ্ঞান-বিজ্ঞান চর্চা ও মানবিক চেতনা বিকাশের কেন্দ্র এবং নীতি-নৈতিকতা, দায়-দায়িত্ব ও বুদ্ধি-বিবেকের আধার। তাই সৃজনশীল গণমাধ্যম ও সম্মানজনক পেশা হিসেবে সংবাদপত্র অগ্রগণ্য। তবে সবচে’ ঝুঁকিপূর্ণ এবং সাহসী, সংবেদনশীল ও নির্মোহ, নিরপেক্ষ ও বস্তুনিষ্ঠ, সত্যনিষ্ঠ ও গণসম্পৃক্ত সার্বক্ষণিক পেশা সাংবাদিকতা। সংবাদপত্রের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হল দল নিরপেক্ষ সত্যনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন করা। সংবাদপত্র যতবেশি নিরপেক্ষ হবে এবং সাংবাদিকরা যত বেশি নির্ভীক ও সৎ হবে দেশ ও জাতির তত বেশি মঙ্গল হবে। আর সেজন্যই তো সাংবাদিকদের সমাজের অতন্দ্র প্রহরী বা ‘গেট কিপারস’ বলা হয়।

ট্র্যাব অ্যাওয়ার্ড ২০২৫ শ্রেষ্ঠ উপস্থাপক হলেন অভিনেতা পাভেল ইসলাম

প্রকাশ: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৫:২৬ পিএম
আপডেট: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৫:২৭ পিএম
শ্রেষ্ঠ উপস্থাপক হলেন অভিনেতা পাভেল ইসলাম
টকশোর জন্য শ্রেষ্ঠ উপস্থাপকের পুরস্কার গ্রহণ করেন অভিনেতা ও গণমাধ্যম কর্মী পাভেল ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত

সম্প্রতি টেলিভিশন রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনস অব বাংলাদেশ-ট্র্যাব আয়োজিত '২৬তম ট্র্যাব অ্যাওয়ার্ড ২০২৫' অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো হোটেল প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁওয়ের পদ্মা মিলনায়তনে। বিগত ২০২৪ সালে মিডিয়ার বিভিন্ন ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ এই পুরস্কার প্রদান করা হলো। এ বছর এনটিভিতে প্রচারিত 'সংলাপ প্রতিদিন: আমাদের সাংস্কৃতিক সংগ্রাম' টকশোর জন্য 'শ্রেষ্ঠ উপস্থাপক' নির্বাচিত হন অভিনেতা ও গণমাধ্যম কর্মী পাভেল ইসলাম। অভিনয়ের বাইরেও তিনি বর্তমানে এনটিভি'র অনুষ্ঠান বিভাগের ব্যবস্থাপক (অনুষ্ঠান ও যোগাযোগ) হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

পুরস্কার প্রাপ্তির অনুভূতি জানতে চাইলে পাভেল ইসলাম বলেন, 'যদিও আমি একজন অভিনেতা, তবুও উপস্থাপক হিসেবে এই পুরস্কার প্রাপ্তি অন্যরকম আনন্দের। অনুষ্ঠান উপস্থাপনার সুযোগটি এসেছে এনটিভি'র চেয়ারম্যান মোসাদ্দেক আলীর কারণে। তিনি সাহস ও সহযোগিতা না করলে এটা সম্ভব হতো না।'

পাভেল বলেন, 'মূলত জুলাই অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে আমরা এ টকশোটির পরিকল্পনা করি। সমসাময়িক বিষয়ভিত্তিক এই টকশো এনটিভিতে প্রতিদিন সন্ধ্যা ৬.১৫ মিনিটে সরাসরি সম্প্রচারিত হচ্ছে। তবে আমার পর্বটি শুধু শুক্রবার প্রচার হয়। সংস্কৃতি অঙ্গনের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ অনুষ্ঠানের অতিথি হয়ে আসেন।'

এ বছর অভিনয় জীবনের ৩০ বছর পূর্ণ করেছেন পাভেল ইসলাম। বর্তমান কাজ প্রসঙ্গে তিনি জানান, মঞ্চ ও টেলিভিশনের কাজের বাইরে সামনে সৈয়দ ওয়াহিদুজ্জামান ডায়মন্ডের 'ভাসানী' এবং তানভীর মোকাম্মেলের 'সোজন বাদিয়ার ঘাট' চলচ্চিত্রে অভিনয়ের কথা চলছে। এছাড়াও সম্প্রতি আলিফ আল সজলের 'অর্ধেক', সজিব চিশতী'র 'অনল' এবং মাহমুদ হাসান রানা'র 'রং নাম্বার' নাটকের শুটিং শেষ করেছেন পাভেল ইসলাম।

গত ৮ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত 'ট্র্যাব অ্যাওয়ার্ড ২০২৫' এ এবার প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ও কালের কণ্ঠ পত্রিকার সম্পাদক বিশিষ্ট কবি ও সাংবাদিক হাসান হাফিজ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক চিত্রনায়ক আশরাফ উদ্দিন আহমেদ উজ্জ্বল। এছাড়াও অনুষ্ঠানে দেশবরেণ্য সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, সমাজকর্মী, জনপ্রিয় তারকা শিল্পী, অনলাইন ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

মাহমুদুল আলম/এমএ/