
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (যবিপ্রবি) কর্মরত গণমাধ্যম কর্মীদের সংগঠন যবিপ্রবি সাংবাদিক সমিতির 'বর্ষসেরা প্রতিবেদক পুরস্কার-২০২৪' পেয়েছেন দৈনিক খবরের কাগজের যবিপ্রবি প্রতিনিধি মোতালেব হোসাইন।
মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব একাডেমিক ভবনের ভার্চুয়াল ক্লাস রুমে যবিপ্রবিসাসের ষষ্ঠ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও দায়িত্ব হস্তান্তর উপলক্ষে আয়োজিত "ছাত্র জনতার অভ্যুত্থান; ক্যাম্পাস সাংবাদিকদের ভূমিকা" শীর্ষক আলোচনা সভায় এ পুরস্কার ঘোষণা করা হয় ও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল মজিদ এ সম্মাননা তুলে দেন। মোতালেব হোসাইন বর্তমানে সমিতির প্রচার, প্রকাশনা ও দপ্তর সম্পাদক হিসেবে কাজ করছেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়টির ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০-২১ সেশনের শিক্ষার্থী।
উক্ত অনুষ্ঠানে বর্ষসেরা প্রতিবেদকসহ দৈনিক নয়া দিগন্তের প্রতিনিধি মোস্তফা গালিব কে বর্ষসেরা অনুসন্ধানী প্রতিবেদক ও দৈনিক আমাদের সময়ের যবিপ্রবি প্রতিনিধি শিহাব উদ্দিন সরকারকে বর্ষ সেরা ফিচার লেখক সম্মাননা ২০২৪ দেওয়া হয়। এছাড়া যবিপ্রবিসাসে যুক্ত হওয়া নবীন সাংবাদিকদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেন সংগঠনটির সদস্যরা।
বর্ষ সেরা প্রতিবেদকের পুরস্কার গ্রহণের পর সাংবাদিক সমিতিকে ধন্যবাদ জানিয়ে মোতালেব হোসাইন বলেন, এমন সম্মাননা আমাদের কাজ করার ক্ষেত্রে উৎসাহ যোগাবে। ক্যাম্পাস সাংবাদিকতা ক্ষমতায়ন কিংবা আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার কোনো জায়গা না। তবে ক্যাম্পাসের সমস্যা, আয়োজন আর অর্জন নিয়ে লিখতে বেশ ভালো লাগে বলেই এখানে আসা। প্রতিনিয়ত কাজ করার ক্ষেত্রে আমাদের নানা অভিজ্ঞাতার সম্মুখীন হতে হয় যা আমাদের দক্ষ করে তুলে।
প্রধান অতিথি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল মজিদ বলেন, সাংবাদিকতায় যদি সত্য না থাকে তবে সমাজ এবং দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়, আবার এই সত্যই যদি সাংবাদিকরা প্রকাশ করে তখন সমাজ এবং দেশের মানুষরা উপকৃত হয়। সাংবাদিকরা হলো রাষ্ট্রের দর্পন, তারা নির্ভীক ও সাহসী। এখানে কাজ করতে হলে মেধা, তীব্র ইচ্ছা ও ধৈর্য্য তিন গুণের সমাহার প্রয়োজন। আমি আশা করব যবিপ্রবিসাসের সদস্যরা যবিপ্রবি থেকে দূর্নীতি পরিশুদ্ধ করণে কাজ করবে।
দূর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করে তিনি বলেন, আমি দায়িত্বে থাকাকালীন একটি পয়সারও দূর্নীতি করব না। পাশাপাশি যবিপ্রবিতে দায়িত্বরত যে কেউ বা তাদের আত্মীয়স্বজন দূর্নীতিতে যুক্ত থাকলে তাদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং তাকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা হবে। আমি আশা করছি যবিপ্রবিসাস বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম তুলে ধরার পাশাপাশি দূর্নীতি, অনিয়ম নিয়ে অনুসন্ধানী মূলক কাজও করবে।
আলোচনা সভায় সমিতির নবগঠিত কমিটির সাধারণ সম্পাদক এ টি এম মাহফুজ এর সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি'র বক্তব্য প্রদান করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. মীর মোশাররফ হোসেন, প্রক্টর ড. মো. আমজাদ হোসেন। এ ছাড়া যবিপ্রবিসাস নিয়ে স্মৃতিচারণ করে বক্তব্য রাখেন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য কর্মকর্তা মো. নাজমুল হোসাইন এবং সদ্য সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. সজীবুর রহমান।
অনুষ্ঠানের সমাপনি বক্তব্যে নবগঠিত কমিটির সভাপতি মো. ওয়াশিম আকরাম বলেন, যবিপ্রবি সাংবাদিক সমিতি কারো বিপক্ষে নয় সাংবাদিক সমিতি সর্বদা অন্যায় ও দূর্নীতির বিরুদ্ধে। এ সকল অপকর্মে যারাই জড়িত থাকবেন তাদের বিরুদ্ধে যবিপ্রবি সাংবাদিক নিউজ করে তাদের মুখোশ উন্মোচন করবেন। এ ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা ও গবেষণার সফলতা লেখনীর মাধ্যমে তুলে ধরে বিশ্ববিদ্যালয়কে সামনের দিকে এগিয়ে নেওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
মোতালেব হোসেন/জোবাইদা/