ঢাকা ২১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, বুধবার, ০৪ জুন ২০২৫
English

যবিপ্রবি সাংবাদিক সমিতির বর্ষসেরা প্রতিবেদক খবরের কাগজের মোতালেব

প্রকাশ: ০৮ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:৫৩ পিএম
যবিপ্রবি সাংবাদিক সমিতির বর্ষসেরা প্রতিবেদক খবরের কাগজের মোতালেব
ছবি : খবরের কাগজ

যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (যবিপ্রবি) কর্মরত গণমাধ্যম কর্মীদের সংগঠন যবিপ্রবি সাংবাদিক সমিতির 'বর্ষসেরা প্রতিবেদক পুরস্কার-২০২৪' পেয়েছেন দৈনিক খবরের কাগজের যবিপ্রবি প্রতিনিধি মোতালেব হোসাইন।

মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব একাডেমিক ভবনের ভার্চুয়াল ক্লাস রুমে যবিপ্রবিসাসের ষষ্ঠ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও দায়িত্ব হস্তান্তর উপলক্ষে আয়োজিত "ছাত্র জনতার অভ্যুত্থান; ক্যাম্পাস সাংবাদিকদের ভূমিকা" শীর্ষক আলোচনা সভায় এ পুরস্কার ঘোষণা করা হয় ও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল মজিদ এ সম্মাননা তুলে দেন। মোতালেব হোসাইন বর্তমানে সমিতির প্রচার, প্রকাশনা ও দপ্তর সম্পাদক হিসেবে কাজ করছেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়টির ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০-২১ সেশনের শিক্ষার্থী।

উক্ত অনুষ্ঠানে বর্ষসেরা প্রতিবেদকসহ দৈনিক নয়া দিগন্তের প্রতিনিধি মোস্তফা গালিব কে বর্ষসেরা অনুসন্ধানী প্রতিবেদক ও দৈনিক আমাদের সময়ের যবিপ্রবি প্রতিনিধি শিহাব উদ্দিন সরকারকে বর্ষ সেরা ফিচার লেখক সম্মাননা ২০২৪ দেওয়া হয়। এছাড়া যবিপ্রবিসাসে যুক্ত হওয়া নবীন সাংবাদিকদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেন সংগঠনটির সদস্যরা। 

বর্ষ সেরা প্রতিবেদকের পুরস্কার গ্রহণের পর সাংবাদিক সমিতিকে ধন্যবাদ জানিয়ে মোতালেব হোসাইন বলেন, এমন সম্মাননা আমাদের কাজ করার ক্ষেত্রে উৎসাহ যোগাবে। ক্যাম্পাস সাংবাদিকতা ক্ষমতায়ন কিংবা আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার কোনো জায়গা না। তবে ক্যাম্পাসের সমস্যা, আয়োজন আর অর্জন নিয়ে লিখতে বেশ ভালো লাগে বলেই এখানে আসা। প্রতিনিয়ত কাজ করার ক্ষেত্রে আমাদের নানা অভিজ্ঞাতার সম্মুখীন হতে হয় যা আমাদের দক্ষ করে তুলে।

প্রধান অতিথি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল মজিদ বলেন, সাংবাদিকতায় যদি সত্য না থাকে তবে সমাজ এবং দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়, আবার এই সত্যই যদি সাংবাদিকরা প্রকাশ করে তখন সমাজ এবং দেশের মানুষরা উপকৃত হয়। সাংবাদিকরা হলো রাষ্ট্রের দর্পন, তারা নির্ভীক ও সাহসী। এখানে কাজ করতে হলে মেধা, তীব্র ইচ্ছা ও ধৈর্য্য তিন গুণের সমাহার প্রয়োজন। আমি আশা করব যবিপ্রবিসাসের সদস্যরা যবিপ্রবি থেকে দূর্নীতি পরিশুদ্ধ করণে কাজ করবে। 

দূর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করে তিনি বলেন, আমি দায়িত্বে থাকাকালীন একটি পয়সারও দূর্নীতি করব না। পাশাপাশি যবিপ্রবিতে দায়িত্বরত যে কেউ বা তাদের আত্মীয়স্বজন দূর্নীতিতে যুক্ত থাকলে তাদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং তাকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা হবে। আমি আশা করছি যবিপ্রবিসাস বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম তুলে ধরার পাশাপাশি দূর্নীতি, অনিয়ম নিয়ে অনুসন্ধানী মূলক কাজও করবে।

আলোচনা সভায় সমিতির নবগঠিত কমিটির সাধারণ সম্পাদক এ টি এম মাহফুজ এর সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি'র বক্তব্য প্রদান করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. মীর মোশাররফ হোসেন, প্রক্টর ড. মো. আমজাদ হোসেন। এ ছাড়া যবিপ্রবিসাস নিয়ে স্মৃতিচারণ করে বক্তব্য রাখেন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য কর্মকর্তা মো. নাজমুল হোসাইন এবং সদ্য সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. সজীবুর রহমান।

অনুষ্ঠানের সমাপনি বক্তব্যে নবগঠিত কমিটির সভাপতি মো. ওয়াশিম আকরাম বলেন, যবিপ্রবি সাংবাদিক সমিতি কারো বিপক্ষে নয় সাংবাদিক সমিতি সর্বদা অন্যায় ও দূর্নীতির বিরুদ্ধে। এ সকল অপকর্মে যারাই জড়িত থাকবেন তাদের বিরুদ্ধে যবিপ্রবি সাংবাদিক নিউজ করে তাদের মুখোশ উন্মোচন করবেন। এ ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা ও গবেষণার সফলতা লেখনীর মাধ্যমে তুলে ধরে বিশ্ববিদ্যালয়কে সামনের দিকে এগিয়ে নেওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

মোতালেব হোসেন/জোবাইদা/

একটি ছবি লাখ শব্দের সমান, বলে দেয় হাজারো কথা: কাদের গনি চৌধুরী

প্রকাশ: ২৮ মে ২০২৫, ০৯:২৩ পিএম
আপডেট: ২৮ মে ২০২৫, ০৯:২৫ পিএম
একটি ছবি লাখ শব্দের সমান, বলে দেয় হাজারো কথা: কাদের গনি চৌধুরী
বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের মহাসচিব কাদের গনি চৌধুরী। ছবি: খবরের কাগজ

বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের মহাসচিব কাদের গনি চৌধুরী বলেছেন, ‘আলোকচিত্র হচ্ছে সময়ের দর্পণ। এমনকি ইতিহাসের সাক্ষী। একটি ছবির অনেক ক্ষমতা। কিছু না বলেও একটা ছবি অনেক সত্যকে তুলে ধরে। ফটোগ্রাফি হলো এমন একটি বড় উদ্ভাবন, যা বিশ্বকে দেখার দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টে দিয়েছে।’

বুধবার (২৮ মে) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত রূপসী বাংলা জাতীয় আলোকচিত্র প্রদর্শনী ও প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানে তিনি এসব বলেন।

তিনি বলেন, ‘আলোকচিত্রের মাধ্যমে সব সময় গল্পের পেছনের গল্পটি উঠে আসে। ক্যামেরার লেন্সের একটি ক্লিকের ছবি যেমন বুকের ভেতর হাকাকার জাগিয়ে তুলতে পারে, ঠিক তেমনি সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার প্রেরণাও জোগায়।’

বাংলাদেশ ফটোজার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি একেএম মহসিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সমাজ কল্যাণ এবং মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এস শারমিন  মুরশিদ। আলোচনায় অংশ নেন জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ও কালের কন্ঠের সম্পাদক কবি হাসান হাফিজ, লেখক ও গবেষক ওবেইদ জায়গীরদার, ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক বাবুল তালুকদার ও নাসিম শিকদার প্রমুখ।

কাদের গনি চৌধুরী বলেন, ‘একটি ছবি একটি গল্প বলতে পারে এবং আবেগ, মেজাজ ও বার্তা প্রকাশ করতে পারে- এমনকি এমন ধারণাও জাগাতে পারে যা শব্দ পারে না।’

তিনি বলেন, ‘আপনাদের নিশ্চয় মনে আছে, ২০১৫ সালের ২ সেপ্টেম্বরের একটি ছবি বিশ্ব বিবেককে ঝাঁকুনি দিয়েছিল। ছবিটি কি ছিল?  ভূমধ্যসাগরের তীরে মুখ লুটিয়ে আছে তিন বছরের এক শিশু, আয়লান। নিষ্পাপ আয়লানের নিথর দেহের ছবি কাঁদিয়েছিল বিশ্ব বিবেককে। বলেছিল যুদ্ধের নির্মমতা ও অমানবিকতা। তুরস্কের উপকূলে নিথর পড়ে থাকা তিন বছরের শরণার্থী শিশু আয়লান কুর্দি নাম শুনলে এখনও স্তব্ধ হয়ে যান অনেকে।’

আরেকটি ঐতিহাসিক ছবির কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘১৯৯৩ সালের মার্চের কোন একদিন। গৃহযুদ্ধে বিধ্বস্ত ও দুর্ভিক্ষে পীড়িত দক্ষিণ সুদান। ক্ষুধার জ্বালায় হামাগুড়ি দিয়ে জাতিসংঘের খাদ্য সহায়তা কেন্দ্রের দিকে এগোচ্ছিল একটি কন্যা শিশু। ছোট্ট দুপায়ে আর একবিন্দুও শক্তি ছিল না যে আরেক কদম এগোবে। সে সময় কানাডীয় আলোকচিত্রী কেভিন কার্টার দেখেন একটি শকুন অনুসরণ করছে শিশুটিকে। দিনের পর দিন খাবার না পেয়ে কঙ্কালসার ও শক্তিহীন শিশুটি চেষ্টা করছে খাদ্য সহায়তা কেন্দ্রের দিকে যেতে। আর শকুন অপেক্ষা করছে কঙ্কালসার এ শিশুটির প্রাণবায়ু কখন শেষ হবে। তাহলে সে খেতে পারবে। এটি আদিমতম এক লড়াইয়ের ছবি।’ 

তিনি বাংলাদেশে ফটোসাংবাদিকদের অবদান তুলে ধরে বলেন, ‘৭৪ সালে বস্ত্রাভাবে লজ্জা নিবারণের জন্য রংপুরের বাসন্তী ও দুর্গা নামের দুই যুবতী নারীর দেহে মাছ ধরার শতচ্ছিন্ন জাল জড়ানোর ছবি দুনিয়া জুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল। তখনকার বাংলাদেশের প্রধানতম সংবাদপত্র দৈনিক ইত্তেফাকের প্রথম পৃষ্ঠায় এ ছবি ছাপানো হয়েছিল। সীমান্তে কাঁটা তারে ফেলানির ঝুলে থাকা লাশের ছবি ভারতীয় আগ্রাসন সম্পর্কে বিশ্ববাসীকে জানান দিয়েছিল।’

ফটো সাংবাদিকদের অবদান তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, অখণ্ডতা এবং জাতীয় ঐক্য ও সংহতি রক্ষায় ফটোগ্রাফারদের ভূমিকা অনিস্বীকার্য। ৫২’র ভাষা আন্দোলন, ৬৯’র গণঅভ্যুত্থান, ৭১’র মহান স্বাধীনতা যুদ্ধ, ৮২ থেকে ৯০ এর স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন এবং সর্বশেষ জুলাই-আগষ্ট বিপ্লবের জীবন্ত দলিল ক্যামেরার ফ্রেমে ধারন করে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে স্বাধীনতা ও সংগ্রামী প্রেরণা যোগিয়েছেন ফটোসাংবাদিকরা। আর এ কাজটি করতে গিয়ে তাদের আহত হতে হতেছিল এমন কি জীবনও দিতে হয়েছিল। পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী ভাষাসংগ্রামের রক্তাক্ত ঘটনাকে অস্বীকার করতে চেয়েছিল। তাদের সেই চেষ্টা ব্যর্থ হয়ে যায় একটিমাত্র ছবির কারণে।’

কাদের গনি চৌধুরী বলেন, ‘পুলিশের গুলিতে নিহত রফিক উদ্দীনের মরদেহ লুকিয়ে রাখা হয়েছিল ঢাকা মেডিকেলের মর্গে। গোপন খবরের ভিত্তিতে আমানুল হক মর্গে ঢুকে পেয়ে যান কাঙ্ক্ষিত ছবি। ছবিটি রক্ষা করতে তাকে ভারতে আত্মগোপনে চলে যেতে হয়। আমানুলের তোলা ছবিটি এভাবেই ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে যায়।’

তিনি বলেন, ‘প্রথম এশিয়ান হিসেবে ২০০৩ সালে ড. শহিদুল আলম ওয়ার্ল্ড প্রেস ফটোর জুরি চেয়ার হন। এর আগে তিনি ১৯৯৪, ১৯৯৫ ও ১৯৯৮ সালে ওয়ার্ল্ড প্রেস ফটো প্রতিযোগিতার জুরি সদস্য ছিলেন। এরপর ওয়ার্ল্ড প্রেসের জুরি সদস্য হয়েছেন আলোকচিত্রী আবীর আবদুল্লাহ ও মুনেম ওয়াসিফ। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের কোনো আলোকচিত্রী স্বাধীনতা পদক পাননি। একুশে পদক পেয়েছেন মো. কামরুজ্জামান, আফতাব আহমেদ, মনজুর আলম বেগ, মোহাম্মদ আলম, আমানুল হক, গোলাম মুস্তফা, সাইদা খানম ও পাভেল রহমান। বাংলাদেশ শিল্পকলা পদক পেয়েছেন শহিদুল আলম, গোলাম মুস্তফা, নাসির আলী মামুন, এমএ তাহের ও শফিকুল ইসলাম স্বপন।’

সুমন/

বিপিজেএ এর জাতীয় আলোকচিত্র প্রদর্শনী ‘রূপসী বাংলা’ উদ্বোধন

প্রকাশ: ২৮ মে ২০২৫, ০৭:৪৮ পিএম
আপডেট: ২৮ মে ২০২৫, ০৮:১৭ পিএম
বিপিজেএ এর জাতীয় আলোকচিত্র প্রদর্শনী ‘রূপসী বাংলা’ উদ্বোধন
আলোকচিত্র প্রদশর্নী ও প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন সমাজকল্যাণ, নারী ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমিন এস মুরশিদ। ছবি: খবরের কাগজ

রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে শুরু হয়েছে বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্টস এসোসিয়েশনের আয়াজনে জাতীয় আলোকচিত্র প্রদর্শনী ‘রূপসী বাংলা’। 

বুধবার (২৮ মে) দুপুর ১২টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের পশ্চিম গ্যালারিতে সপ্তাহব্যাপী এই আলোকচিত্র প্রদশর্নী ও প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সমাজকল্যাণ, নারী ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপদেষ্টা শারমিন এস মুরশিদ।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কিউবা’র অনারারি কনস্যুল ওবেইদ জায়গীরদার, জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি হাসান হাফিজ, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন মহাসচিব কাদের গনি চৌধুরী, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে) সভাপতি শহিদুল ইসলাম এবং বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্টস এসোসিয়েশনের সভাপতি এ কে এম মহসীন ও সাধারণ সম্পাদক বাবুল তালুকদার।

আলোকচিত্র প্রতিযোগিতার বিজয়ী তিন জনের নাম ঘোষণা করে প্রধান অতিথি বলেন, সাহসী তরুণরাও রূপসী বাংলার অংশ, তাদের ত্যাগ, আন্দোলন ও সফলতার আর্কাইভ থাকতে হবে।

তিনি আরও বলেন, বহুত্ববাদী বাংলাদেশ গড়তে নারী ও শিশুদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে, ফটো সাংবাদিকসহ একসঙ্গে সকলের কাজ করতে হবে।

২০২৪-এর জুলাই বিপ্লবে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সাহসিকতার সঙ্গে ফটো সাংবাদিকদের পেশাগত দায়িত্ব পালনের জন্য সকলকে ধন্যবাদও জানান তিনি।

আলোকচিত্র প্রদর্শনী ও প্রতিযোগিতার আহ্বায়ক নাসিম সিকদার জানান সারাদেশ থেকে প্রায় ৫০০ আলোকচিত্র প্রতিযোগিতা থেকে বাছাইকৃত ৯১টি আলোকচিত্র প্রদর্শিত হচ্ছে।

প্রদর্শনীর ব্যবস্থাপক ও স্মরণিকা প্রকাশনার আহ্বায়ক মো. সৌরভ বলেন, উদ্বোধনী দিনের পর নির্বাচিত আলোকচিত্র বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্টস এসোসিয়েশনের কার্যালয়ে প্রদর্শিত হবে।

আলোকচিত্র প্রতিযোগিতায় ১ম হয়েছেন দৈনিক পূর্বদেশ পত্রিকার এম. হায়দার আলী, ২য় স্থান অধিকার করেন দেশকাল নিউজ এর শামরুল হক রিপন এবং ৩য় স্থানের জন্য নির্বাচিত হয়েছেন দৈনিক সমকালের মো. রাশেদ।

প্রতিযোগিতার বিচারক হিসেবে ছিলেন এ বি এম রফিকুর রহমান, মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান, শরিফুল ইসলাম, মনিরুল আলম এবং মুনিরুজ্জামান।

প্রদর্শনীটি শেষ হবে আগামী ৩রা জুন।

মাল্টিমিডিয়া জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন সিলেট-এর আত্মপ্রকাশ

প্রকাশ: ২৮ মে ২০২৫, ১০:২৪ এএম
মাল্টিমিডিয়া জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন সিলেট-এর আত্মপ্রকাশ
আহ্বায়ক মাসুদ আহমদ রনি-যুগ্ম আহ্বায়ক মামুন হোসেন-সদস্যসচিব এইচ. এম শহীদুল ইসলাম

সিলেটে কর্মরত জাতীয় ও স্থানীয় গণমাধ্যমের মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকদের পেশাগত উন্নয়ন, পারস্পরিক  সহযোগিতা এবং অধিকার রক্ষার লক্ষ্যে আত্মপ্রকাশ করেছে মাল্টিমিডিয়া জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন সিলেট। সংগঠনটির কার্যক্রম পরিচালনার জন্য প্রাথমিক আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে। এতে মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতায় অভিজ্ঞ ও প্রতিশ্রুতিশীল একঝাঁক সাংবাদিককে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৭ মে) রাত ৯টায় সিলেট নগরীর মিরবক্সটুলাস্থ রেইনবো রেস্তোরায় সিলেটে কর্মরত জাতীয় ও স্থানীয় গণমাধ্যমের মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকরা মিলে এই সংগঠনের আত্মপ্রকাশ ও আহ্বায়ক কমিটি গঠন করেন।

ঢাকা পোস্টের সিলেট প্রতিনিধি মাসুদ আহমদ রনিকে আহ্বায়ক, দৈনিক খবরের কাগজের ফটোসাংবাদিক ও মাল্টিমিডিয়া প্রতিবেদক মামুন হোসেনকে যুগ্ম আহ্বায়ক ও দৈনিক আমার দেশের ফটোসাংবাদিক এইচ. এম শহীদুল ইসলামকে সদস্যসচিব করে ৮ সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়।

কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন- সিলেট ভয়েসের লতিফুর রহমান উজ্জ্বল, দৈনিক কালের কন্ঠের কবির আহমদ, নয়া দিগন্তের মাল্টিমিডিয়া রিপোর্টার মহসিন রনি, শ্যামল সিলেটের আলী হায়দার মিদুল।

মাল্টিমিডিয়া জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন সিলেটের আহ্বায়ক মাসুদ আহমদ রনি বলেন, আধুনিক সাংবাদিকতার ধারায় মাল্টিমিডিয়া কনটেন্ট প্রোডাকশন ও ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে কাজ করা স্থানীয় ও জাতীয় গণমাধ্যমের সাংবাদিকদের জন্য বাধ্যতামূলক হয়ে গেছে। তাই আমরা মনে করি এই সংগঠনের আত্মপ্রকাশ একটি সময়োপযোগী উদ্যোগ হিসেবে বিবেচিত হবে। আগামী দিনগুলোতে নিয়মিত সভা, প্রশিক্ষণ কর্মশালা, নেটওয়ার্কিং সেশন এবং সাংবাদিকদের কল্যাণমূলক কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে। দ্রুততম সময়ের মধ্যে একটি পূর্ণাঙ্গ কার্যনির্বাহী কমিটি গঠন ও আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনী অনুষ্ঠান আয়োজনের পরিকল্পনাও রয়েছে।

সভায় উপস্থিত ছিলেন দৈনিক সমকালের ফটোসাংবাদিক ইউসুফ আলী, কালের কণ্ঠের ফটোসাংবাদিক আশকরি আমিন রাব্বি, প্রথম আলোর ফটোসাংবাদিক আনিস মাহমুদ, বাংলানিউজের ফটোসাংবাদিক মাহমুদ হোসেন, বার্তা২৪.কম'র স্টাফ করেসপন্ডেন্ট মশাহিদ আলী, সিলেট ভিউ'র শহিদুল ইসলাম সবুজ, আজকের পত্রিকার রোমান আহমদ প্রমুখ।

অমিয়/

বিজাতীয় সংস্কৃতিকে ছুঁড়ে ফেলে সুস্থ সাংস্কৃতিক চর্চা করতে হবে: কাদের গনি চৌধুরী

প্রকাশ: ২৩ মে ২০২৫, ০৮:৩২ পিএম
আপডেট: ২৩ মে ২০২৫, ০৮:৪৪ পিএম
বিজাতীয় সংস্কৃতিকে ছুঁড়ে ফেলে সুস্থ সাংস্কৃতিক চর্চা করতে হবে: কাদের গনি চৌধুরী
শিল্পকলা একাডেমিতে কাদের গনি চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের মহাসচিব কাদের গনি চৌধুরী বলেছেন, সংস্কৃতি একটি জাতির পরিচিতির মৌলিক উপাদান। এর মাধ্যমে কোনো জাতির জাতিসত্তা আলাদারূপে প্রস্ফুটিত হয়। তাই সংস্কৃতিকে বলা হয়, একটি সমাজের আয়না। কিন্তু সেই আয়নায় সমাজের চিত্র না ফুটে সমাজের বিপরীত কিছু যদি ফুটে ওঠে, তবে সমাজের অসঙ্গতি দেখা দেবে।

শুক্রবার (২৩ মে) বিকেলে শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তনে শিশু কিশোর সংগঠন ‘আমরা কুঁড়ি’র ৩৪ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভা, পুরস্কার বিতরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে তিনি এ বলেন।

তিনি বলেন, অপসংস্কৃতি মানুষকে কলুষিত করে এবং জীবনের সৌন্দর্যের বিকাশকে স্তব্ধ করে দিয়ে শ্রীহীনতার দিকে ঠেলে দেয়। কোনো জাতির স্বকীয়তা, জাতীয়তা, সামাজিক এবং ধর্মীয় মূল্যবোধ তার সংস্কৃতির ওপর নির্ভর করে। তেমনি সংস্কৃতিতে বিজাতীয় আগ্রাসন একটি জাতিকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে দেয়। জাতির উন্নয়নে শিক্ষা আমদানি করা যায় বটে, কিন্তু সংস্কৃতি আমদানি করলে জাতিসত্তা হারিয়ে যায়।

কাদের গনি বলেন, বাংলাদেশ এমন একটি দেশ; যাদের সংস্কৃতির আছে এক গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস। যুগে যুগে এই দেশের সংস্কৃতি হয়েছে সমৃদ্ধ। অথচ গত কয়েক বছর ধরে এই দেশের সংস্কৃতিতে বিদেশি সংস্কৃতির আগ্রাসন চোখে পড়ার মতো। এই আগ্রাসন এতোটাই ভয়াবহ হয়ে উঠছে যে, দেশীয় সংস্কৃতিকে ভুলে যাচ্ছে অনেকে।

'অনেকে বাংলা চলচ্চিত্রের অভিনেতাদের না জানলেও ভারতীয় অভিনেতা ও চলচ্চিত্রের নাম পরিচয় মুখস্থ। যেসব ছেলেরা রিয়াদ, মান্না, শাকিবদের নাম জানে না- তারা অনায়াসেই বলতে পারবে সালমান, শাহরুখ, আমির খানদের ইতিহাস। যেখানে দেশীয় চলচ্চিত্র নির্মাতারা লোকসান দিয়ে চলচ্চিত্র থেকে দূরে সরে যেতে চাইছে, সেখানে বিদেশিরা এই দেশের হলগুলোতে তাদের চলচ্চিত্র নিয়ে ব্যাবসা করতে চাইছে। কারণ, তারা জানে এই দেশের হলগুলোতে দেশীয় চলচ্চিত্রের দর্শক না থাকলেও বিদেশি চলচ্চিত্রের দর্শকের অভাব হবে না।'

তিনি আরও বলেন, এই দেশের ছেলেরা বাংলা গান না শুনলেও, হিন্দি কিংবা ইংরেজি গায়কদের ইতিহাসও জানে। তবে বিদেশি সংস্কৃতির আগ্রাসনটা সবচাইতে ভয়াবহ হচ্ছে নারীদের ক্ষেত্রে। এদের ওপর সবচাইতে বেশি আগ্রাসন চালাচ্ছে ভারতীয় টিভি চ্যানেল স্টার জলসা, স্টার গোল্ড, স্টার প্লাস, জি বাংলা, সনি আর্ট ইত্যাদি। এই চ্যানেলগুলোর সিরিয়ালের প্রতি এরা এতোটাই আকৃষ্ট যে, এইসব নারীদের সন্তান, স্বামী কিংবা অন্য যে কোন আপনজনরা অসুস্থ হয়ে কাতরায়, তবু এরা স্টার জলসা, জি বাংলা সিরিয়াল ছেড়ে উঠে আসতে চায় না।

কাদের গনি উল্লেখ করেন, আরেকটা বিষয়ে না বললেই নয়, সংগীতের বিশ্বায়নের নামে বাংলাদেশের অনেক মিডিয়ায় বিদেশি গানগুলো প্রচার করছে। সাম্প্রতিক সময়ে দেশীয় শিল্পীদের বাদ দিয়ে বিদেশি শিল্পীদের দেশে এনে অনুষ্ঠান করার সংস্কৃতি চালু হয়েছে। আমার বলতে দ্বিধা নেই যে, সাংস্কৃতিক আগ্রাসনের প্রভাবে দেশীয় সংস্কৃতিতে আজ মহাবিপর্যয় নেমে এসেছে। আমাদের ঐতিহ্যবাহী সুরসম্ভার হারিয়ে গেছে ইংরেজি আর হিন্দি সঙ্গীতের প্রভাবে। আজ বাংলাদেশের কোথাও বাংলা সঙ্গীত শোনা যায় না, সবখানে হিন্দি আর ইংরেজি দখল করে নিয়েছে।

এই সাংবাদিক নেতা বলেন, এক সময় পোশাক পরিচ্ছদে আমাদের নিজস্ব ঐতিহ্য ছিল। কিন্তু সাংস্কৃতিক আগ্রাসনের কারণে তা আজ হারিয়ে গেছে। বিদেশি সংস্কৃতিক ব্যাপক প্রসার ও চর্চা আমাদের ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরিচ্ছদে ব্যাপক পরিবর্তন এনেছে। আমাদের তরুণ সমাজ আজ অপসংস্কৃতির স্রোতে গা ভাসিয়ে দিয়ে জীবনযাপনে অভ্যস্ত হয়ে পড়ছে। পশ্চিমা বিশ্বের জীবনাচরণকে মডেল বা আদর্শ হিসেবে গ্রহণ করছে। ছেঁড়া প্যান্ট, চুলের অদ্ভুত কাটিং, অস্বাভাবিক অঙ্গভঙ্গিকে তথাকথিত আধুনিক হিসেবে জাহির করছে। আমাদের মেয়েদের অনেকেই স্বল্পবসনকে আধুনিক জীবনের নমুনা বলে মনে করে এর প্রতি চরম আকৃষ্ট হয়ে পড়েছে।

কাদের গনি বলেন, শিক্ষার একটা সংস্কৃতি আছে। শিক্ষার সংস্কৃতির নিহিত চাহিদা হলো মুক্ত পরিবেশ, অংশগ্রহণের অবাধ সুযোগ, প্রকাশের স্বাধীনতা। শিশুদের মেধা ও মনণের বিকাশে সংস্কৃতি চর্চার বিকল্প নেই। শিশুদের শুধু পাঠ্য বইয়ের মধ্যে সীমাবন্ধ রাখবেন না। তাদের জন্য অবশ্যই খেলাধুলা, বিনোদন এবং সংস্কৃতি চর্চার ব্যবস্থা রাখতে হবে। এতে শিশু সামাজিক হবে এবং সহনশীল হতে শিখবে। দেশের ইতিহাস ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতি সম্পর্কে ধারণা দিতে হবে ছোটবেলা থেকেই। না হয় বড় হয়ে নিজেদেরই সন্তানদের জন্য বিপাকে পড়তে হবে।

'আমাদের ভুলে গেলে চলবে না, শিশুরাই জাতির ভবিষ্যৎ কর্ণধার। তারাই আগামী দিনে সমাজ ও রাষ্ট্র পরিচালনায় তারাই নেতৃত্ব দেবে। জ্ঞানচর্চা ও প্রযুক্তিতে সমৃদ্ধ হয়ে গড়ে তুলবে সবার জন্য কল্যাণকর নতুন বিশ্ব। তাই শিশুদের প্রতি আমাদের বিশেষভাবে যত্ন নেওয়া উচিত। তারা যেন সৃজনশীল, মননশীল ও মুক্তমনের মানুষ হিসেবে গড়ে ওঠে, তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব বিশ্বের প্রতিটি মানুষের। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে শিশু সুরক্ষার জন্য কার কী দায়িত্ব, তা নির্ধারণ করে দিয়ে এই দায়িত্বশীল প্রতিষ্ঠানগুলোর সমন্বয় ও জবাবদিহি নিশ্চিত করা হয়। এই প্রক্রিয়ায় পরিবার, স্কুল, মিডিয়া এবং সামাজিক সংগঠনগুলো শিশু সুরক্ষার জন্য প্রতিরোধমূলক কর্মকাণ্ড ও ইতিবাচক চর্চাগুলো নিশ্চিত করে।'

তিনি বলেন, একদিকে আমাদের সন্তানরা আছে দুধে ভাতে। ভালো কাপড় পরিধান করছে, ভালো খাচ্ছে, ভালো স্কুলে যাচ্ছে। অন্যদিকে অসংখ্য বাংলা মায়ের সন্তানকে দেখি পথশিশু বা টোকাই নামে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরতে। আমার সন্তান থাকবে দুধে-ভাতে আর অন্যের সন্তান থাকবে ফুটপাতে এটা বন্ধ করতে হবে। এই বৈষম্যের বিরুদ্ধে আমাদের জেগে উঠতে হবে।

 

সন্ত্রাসবিরোধী অধ্যাদেশের একটি ধারা নিয়ে সম্পাদক পরিষদের উদ্বেগ

প্রকাশ: ২০ মে ২০২৫, ১০:২২ পিএম
সন্ত্রাসবিরোধী অধ্যাদেশের একটি ধারা নিয়ে সম্পাদক পরিষদের উদ্বেগ

‘সন্ত্রাসবিরোধী (সংশোধন) অধ্যাদেশ-২০২৫’-এর একটি ধারা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সংবাদপত্রের সম্পাদকদের সংগঠন সম্পাদক পরিষদ। ওই ধারা স্থগিত করে পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়েছে পরিষদ।

মঙ্গলবার (২০ মে) সম্পাদক পরিষদের সভাপতি মাহ্ফুজ আনাম ও সাধারণ সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদ এক বিবৃতিতে এ উদ্বেগ ও দাবি জানান।

বিবৃতিতে বলা হয়, ১২ মে আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। এর আগে ১১ মে ‘সন্ত্রাসবিরোধী (সংশোধন) অধ্যাদেশ-২০২৫’-এর গেজেট প্রকাশ করে অন্তর্বর্তী সরকার। প্রকাশিত গেজেটে দেখা যায় যে অধ্যাদেশে একটি ধারা যুক্ত হয়েছে। ২০০৯ সালের ১৬ নম্বর আইনের ধারা ২০-এর (খ) উপধারা (১)-এর দফা (ঙ)তে বলা হয়েছে, ‘উক্ত সত্তা কর্তৃক বা উহার পক্ষে বা সমর্থনে যেকোনো প্রেস বিবৃতির প্রকাশনা বা মুদ্রণ কিংবা গণমাধ্যম, অনলাইন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে যেকোনো ধরনের প্রচারণা অথবা মিছিল, সভা-সমাবেশ বা সংবাদ সম্মেলন আয়োজন বা জনসমক্ষে বক্তৃতা প্রদান নিষিদ্ধ করিবে।’

সম্পাদক পরিষদ বলছে, অধ্যাদেশটির নতুন ধারার প্রয়োগ দেশের মানুষের স্বাধীন মতপ্রকাশ ও গণমাধ্যমের অধিকারের ব্যাপকতাকে সীমিত করতে পারে, যা উদ্বেগজনক এবং সংবাদ প্রকাশের স্বাধীনতার ক্ষেত্রে শঙ্কা সৃষ্টি করবে। অপব্যবহারের সুযোগ থাকে, অধ্যাদেশে এমন একটি ধারার সংযোজন অন্তর্বর্তী সরকারের কাছ থেকে কাম্য নয়। ধারাটি পর্যালোচনার প্রয়োজন রয়েছে।